2

প্রবন্ধঃ সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়

Posted in


প্রবন্ধ



ভাষা
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়


ভারতবর্ষের মতন এত ভাষার সম্ভার ও সমারোহ যে পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে নেই, সে তথ্য যতখানি নির্ভুল, ভারতবাসী বা ভারতপ্রেমীর জন্য ঠিক ততখানিই আনন্দজনক। দশ লক্ষের উপর মানুষ কথা বলেন, এমন ভাষা এ দেশে ব্যবহৃত হয় ঊনত্রিশটি। এক লক্ষের উপর মানুষ ব্যবহার করেন, এমন ভাষা আছে আরও আঠেরোটি। এ ছাড়াও আছে একশো কুড়িটির উপর বিপন্ন আদিবাসী ভাষা, যে গুলির ব্যবহার দ্রূতগতিতে কমে আসছে। প্রায় পৌনে দু’শোর উপর অল্পাধিক ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে সাক্ষাৎ ভাষাতাত্বিক গবেষণার বিষয়ের মতন পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে ভারতবর্ষ, বাদবাকি বিশ্বের কাছে যে দেশ ইণ্ডিয়া নামে পরিচিত।

এই নাম দুটির ভাষাতাত্বিক ইতিহাসও যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক। ভারত কথাটির অর্থ ভরতের উত্তরাধিকার বা বংশধারা। আমাদের পুরাণখ্যাত রাজা দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার পুত্র মহারাজ ভরত নিজ পরাক্রম, ঔদার্য ও শাসনগুণে এতখানিই প্রসিদ্ধ হয়েছিলেন, যে এই বিস্তৃত ভূখণ্ডটি কালক্রমে তাঁর নামে চিহ্নিত হয়ে যায়। বর্ষ শব্দের অর্থ দেশ। অর্থাৎ, যে দেশের উপর রাজা ভরত রাজত্ব করেছিলেন, সেই দেশ হলো ভারতবর্ষ। এত প্রাচীন, প্রাগৈতিহাসিক কোনও শাসকের নামে পৃথিবীর আর কোনও দেশ সম্ভবত নামাঙ্কিত নয়।

ইণ্ডিয়া নামটি হিন্দু শব্দের উচ্চারণগত বিকার। হিন্দুও কিন্তু আদতে সিন্ধু শব্দের অপভ্রংশ। সম্ভবত আক্রমণকারী পারসিকদের মুখে মুখে প্রচলিত। কোনও প্রাচীণ ভারতীয় গ্রন্থে হিন্দু শব্দের উল্লেখ নেই। যে ধর্মকে নিয়ে আজ ভারতবাসীর এত গর্ব, তাকে যদি সত্যিই অন্যান্য religion গুলির পংক্তিভুক্ত করতে হয়, তাহলে তার সঠিক পরিচয় হওয়া উচিত বৈদিক ধর্ম হিসেবে।

ভারতবর্ষের অধুনা জনপ্রিয় আরেক নাম হিন্দুস্তান অনেক পরে মুসলমান আক্রমণকারীদের মুখে প্রচলিত। যাঁরা ভারতবর্ষকে হিন্দুদের দেশ ভাবতে ভালোবাসেন, তাঁরা এই বিষয়টা নিয়ে ভেবে দেখতে পারেন।

সে যাই হোক, আমরা আপাতত ফিরে আসবো ভারতবর্ষের প্রাচীন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত যে ভাষাটি, তার প্রসঙ্গে। সংস্কৃত। কবে, কি ভাবে যে এই অনন্য সাধারণ ভাষাটির জন্ম, তা আজ আর নির্ণয় করা সম্ভব নয়। শুধু নাম থেকে বোঝা যায়, যে প্রাকৃত জনের ভাষার সংস্কার হয়েছিলো এ ভাষার জন্ম দেওয়ার জন্য। 

গবেষণা বলে, যে ভাষায় ঋগ্বেদ লেখা হয়েছিলো, জেন্দাভেস্তার ভাষার সঙ্গে তার প্রচুর মিল। যে ইন্দো-ইওরোপীয় ভাষাসমষ্টির মধ্যে এখনকার আমেরিকা, ইওরোপ, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশের বেশির ভাগ ভাষা পড়ে, তারই দু’টি প্রধান শাখা ইন্দো-ইরাণীয় এবং ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর দুই মূল ভাষা যথাক্রমে আভেস্তীয় ও সংস্কৃত। দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড়জাতীয় ভাষাগোষ্ঠীর বিবর্তণের ইতিহাস কিছু জটিল, যার সম্পূর্ণ নির্ণয়ন এখনও সম্ভব হয়নি। ভাষা গুলির শব্দভাণ্ডার মূলত দ্রাবিড় হলেও তাদের ব্যাকরণের বিন্যাস অধিকাংশই সংস্কৃত নিয়মানুসারে। ঠিক কোন সময়ে, কবে থেকে এই মিশ্রণের আরম্ভ, তা আজ নির্ণয় করা দুরূহ। এর বাইরে আদিবাসীদের অস্ট্রিক জাতীয় ভাষাগুলি এবং পূর্বপ্রান্তের মোঙ্গোলীয় উৎসের কিছু ভাষা ছাড়া ভারতবর্ষের মূল ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিম-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব ভাষাই আদিতে সংস্কৃত থেকে উৎপন্ন। এর একমাত্র ব্যতিক্রম ঊর্দূ। আরবি ও হিন্দির সংমিশ্রণে তৈরি এই মধুর ভাষাটি ভারতবর্ষকে মূঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার।

বেদান্ত-পুরাণ-মহাকাব্যের ভাষাতাত্বিক বিশ্লেষণ বলে, সে যুগের আর্যরা কথ্য ভাষা ব্যবহার করতেন মূলত দু’টি – শৌরসেনী প্রাকৃত ও মাগধী প্রাকৃত। প্রথমটি প্রচলিত ছিলো শৌরসেন, অর্থাৎ মথুরা অঞ্চল থেকে আরম্ভ করে গান্ধার প্রদেশ, অর্থাৎ এখনকার আফগানিস্তান অবধি। আর দ্বিতীয়টি বলা হতো যমুনার এদিকে, অর্থাৎ এখনকার উত্তরপ্রদেশের অনেকখানি অংশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, বঙ্গ, কামরূপ (অহম), ইত্যাদি অঞ্চলে। এই দু’টি মৌখিক ভাষার মধ্যে খুব বেশি প্রভেদ ছিলো না। দুই অঞ্চলের মানুষদের পরস্পর বাক্যালাপে বিশেষ অসুবিধা হতো না। অন্তত প্রাচীন সংকলন গুলি পড়ে তাই-ই মনে হয়।

এই দুটি প্রাকৃত ভাষা থেকে কালক্রমে ভারতের আঞ্চলিক ভাষা গুলির জন্ম হয়। শৌরসেনী প্রাকৃত থেকে জন্ম হয় উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয়, অর্থাৎ হিন্দি, পঞ্জাবি, গাঢ়ওয়ালি, রাজস্থানি, মরাঠি, গুজরাতি, প্রভৃতি ভাষাগুলির। আর মাগধী অবহট্ঠ থেকে শাখা মেলে বাংলা, ওড়িয়া, অহমিয়া, মৈথিলি, ভোজপুরি ইত্যাদি ভাষা। উদ্ভবকাল থেকে আজকের পরিপূর্ণতায় পৌঁছতে সবগুলি ভাষারই বহু সময় লেগেছে। এবং এই ভাষাগুলির বিকাশের ক্ষেত্রে প্রভূত সাহায্য করেছে ধর্ম।

পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র কথ্য ভাষাগুলির ইতিহাস এই একই সাক্ষ্য দেয়। যখনই নতুন ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে, তখনই ঘটেছে আঞ্চলিক প্রাকৃত ভাষার বিকাশ। কেন? কারণ প্রচারকরা সর্বাগ্রে চেষ্টা করেন সাধারণ দরিদ্র মানুষকে নিজেদের ধর্মে দীক্ষা দিতে। কাজটি সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিকদের প্রভাবিত করার চাইতে অপেক্ষাকৃত সহজতর। দরিদ্র মানুষ, যাঁরা বহু সময় অবধি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজবৈষম্যের শিকার হয়েছেন, জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের আশায়, আশ্রয় ও স্বীকৃতির ভরসায় তাঁরা দলে দলে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ভারতবর্ষে এ ঘটনা ঘটা শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। এই সব সাধারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অশিক্ষিত মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য বৌদ্ধ পণ্ডিতরা পালি, অবহট্ঠের মতন ভাষা গুলি প্রণয়ন করেন, কারণ প্রধাণত আর্ষ ভাষা সংস্কৃত ছিলো এই প্রাকৃতজনের আয়ত্ত ও বোধ বহির্ভূত। বাংলা ভাষায় যা একেবারে প্রাথমিক রচনা বলে প্রমাণিত হয়েছে, খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে লেখা সেই চর্যাপদ গুলি ছিলো মূলত বৌদ্ধ গান ও দোহা। 

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের একেবারে প্রথম যুগে বৌদ্ধধর্ম যে কি অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো, তা সর্বাংশে আলোচনা করার পরিসর এখানে নেই। শুধু এই টুকু বললেই বোধহয় বোঝার কিছুটা সুবিধা হবে, যে বহুযুগ ধরে ভারতীয় রাজনৈতিক শক্তির কেন্দ্র, শিশুনাগ-মৌর্য-গুপ্ত রাজবংশের প্রতাপদিগ্ধ যে মগধ, সেই মগধের রাজধানী পাটলিপুত্রে প্রথম যে বাঙালি রাজবংশটি রাজত্ব করে, সেই পালরাজারা ছিলেন ধর্মে বৌদ্ধ। এই রাজবংশের হাত ধরেই বাঙালির সর্বভারতীয় ক্ষমতার রাজনীতিতে প্রবেশ ও প্রতিষ্ঠা, এবং এঁদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই বঙ্গসংস্কৃতির প্রসারলাভ। প্রসঙ্গত, পাল রাজারা খ্রিষ্টীয় সপ্তম থেকে দশম শতাব্দী পর্যন্ত চারশো বছরেরও বেশি সময় ধরে পাটলিপুত্রে রাজত্ব করেছিলেন। মগধের ইতিহাসে অন্য কোনও রাজবংশ এত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

বৌদ্ধধর্মের পর যে ধর্ম ভারতবর্ষে ব্যাপক হারে প্রচারিত হয়, সে ধর্ম ইসলাম। কুরাণ শরীফ, হজরৎ মুহম্মদ ও ইসলামীয় দর্শনের উপর পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেও এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, যে প্রাথমিক যুগে ইসলাম এ দেশে প্রচারিত হয়েছিলো মূলত অস্ত্রাগ্রে। তারপর এক সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন ততদিনে অত্যধিক ঋজু হয়ে ওঠা ব্রাহ্মণ্যধর্মের অত্যাচারের কবল থেকে মুক্তি পাবার তাড়নায়। তীব্র জাতিভেদ জনিত নিম্নবর্ণের অসহ অপমান ছাড়াও কন্যাপণ, বিধবাদের উপর অকথ্য পীড়ণ ও সতীদাহের মতন ভয়াবহ প্রথাগুলি তখন তথাকথিত হিন্দুধর্মের গলায় ফাঁসের মতন চেপে বসেছে। কেন এই অবস্থা হয়েছিলো, তার ধার্ম-সামাজিক বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ। আমাদের বক্তব্যটুকু হলো, এই অবস্থার কারণে ইসলামকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থানাধিকার করতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। তাই বৌদ্ধধর্মের মতন আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে জনসংযোগের কাজে ব্যবহার করার প্রয়োজন, বা সেই কারণে সেগুলিকে পুষ্ট করার দায়, কোনওটাই ইসলামের ছিলো না।

যে ধর্মের ছিলো, সে হলো অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ভারতবর্ষে প্রচারিত হতে শুরু হওয়া খ্রিষ্টধর্ম। ইওরোপীয় পাদ্রিরা প্রচণ্ড উৎসাহের সঙ্গে ‘অনগ্রসর’ ভারতবাসীদের ‘সদ্ধর্মের’ আলোয় অলোকিত করে তোলার প্রয়াসী হলেন, এবং সেই প্রয়াসের কার্যসিদ্ধির জন্য তাঁদের দ্বারস্থ হতে হলো গ্রামে-গঞ্জে-হাটে-মাঠে ফেরা মানুষের মৌখিক ভাষাগুলির। এঁদের নিরন্তর প্রয়াসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কতজন মানুষ সদ্ধর্মের ছত্রছায়ায় এলেন বলা কঠিন। কিন্তু বিস্তর লাভ হলো ভারতবর্ষের আঞ্চলিক ভাষা সমূহের। উইলিয়ম কেরি, উইলিয়ম জোন্সের মতন পণ্ডিতরা পুনরুজ্জিবীত করে তুললেন বাংলার মতন মৃতপ্রায় ভাষাগুলিকে। কেরি সাহেবের শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত হলো বাংলা ভাষায় প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ, বাইবেলের বঙ্গানুবাদ।

তারপর থেকে তো বাংলা ভাষার ইতিহাস ইতিহাস-ই! এত কম সময়ের মধ্যে এতখানি বৈদগ্ধ্য, বৈচিত্র পৃথিবীর অন্য কোনও ভাষায় সমাবিষ্ট হয়েছে বলে মনে হয় না। সর্বজনপাঠ্য বাংলা গদ্যের জন্ম ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এবং তখন থেকে আজ অবধি, এই দেড়শো বছরের ন্যূনাধিক কিছু সময়ের মধ্যে শুধু বাংলা গদ্যসাহিত্যই পৃথিবীর সেরা সাহিত্যসম্ভারের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। কবিতার কথা আলোচনা না করলেও চলে, কারণ পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা বাকি সব ভারতীয় ভাষায় মিলিয়ে যত, বাংলায় একা তার থেকে বেশি।

কিন্তু এত বিশ্লেষণ ও গৌরবান্বিত পরিসংখ্যানের পরেও এ কথা বোধ হয় অনস্বীকার্য, যে বাংলা সাহিত্যের মান পড়তির দিকে। তার নানা রকম কারণ গত কয়েক দশক যাবৎ শোনা যাচ্ছে। বাঙালির সার্বিক নৈতিক অধঃপতন থেকে আরম্ভ করে কয়েকটি সাহিত্যব্যবসায়ী সংস্থার মৌরসিপাট্টা অবধি সব কিছু আছে তার মধ্যে। কিন্তু সে সব কিছুর বাইরে যে কারণটি সম্ভবত সব আঞ্চলিক ভাষারই সাহিত্যমানের পতন ঘটাচ্ছে, তা হলো আন্তর্জাতিক বাজারের লোভনীয় হাতছানি।

গত দু’দশকে যত বাঙালি তথা ভারতীয় লেখক ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন, তত তার আগের দু’শো বছরের ইতিহাসেও লেখা হয়নি। বলা বাহুল্য, শিক্ষামাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষার ব্যাপক বিস্তারের ফলেই এ ঘটনা সম্ভব হয়েছে। এই সব রচনাই যে অতি উচ্চ মানের, তা নয়। কিন্তু উচ্চ মানের আঞ্চলিক সাহিত্যের থেকেও তাদের প্রায় সবারই বিক্রয়যোগ্যতা বেশি। একটি প্রকৃত অর্থে বিশ্বায়িত ভাষায় রচিত সাহিত্যের এই সুবিধা তো থাকবেই। তাই অনিবার্য কারণেই আজ ভারতবর্ষের মতন দেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলির ভবিষ্যৎ বিপন্ন।

কিন্তু তার মধ্যেও আশার আলো দেখাচ্ছে ঋতবাকের মতন web পত্রিকারা। বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, সমৃদ্ধতর করে তুলতে হলে এই পত্রিকাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নিয়মিত সংগ্রহ ও প্রকাশ করতে হবে উচ্চমানের সাহিত্য। সেই কাজে সাহায্য করা সম্ভবত আমাদের মতন প্রত্যেকজন মাতৃভাষাপ্রেমী সাহিত্যপ্রিয় মানুষের কর্তব্য।

2 comments: