Showing posts with label কবিতা. Show all posts
কবিতা - রঞ্জন রায়
Posted in কবিতাতোমরা এবার পথে নামো
ফুলের দল।
নইলে আজকে সুন্দরকে
কে বাঁচাবে!
তোমরা এবার হামলা করো
ফুলের দল,
নয়তো যত সবুজ ছিল
শুকিয়ে যাবে।
আমার দিকে তুলছ আঙুল!
হার মেনেছি।
জোয়ার এলে বৈঠা ফেলে
পালিয়ে গেছি।
রঙিন কাগজ, রাংতা মোড়া স্বপ্নগুলো,
তাকের উপর আছে তোলা,
জমছে ধুলো।
কথার পিঠে কথা জুড়ে
কানামাছি,
ঢের খেলেছি এখন তোদের
আশায় আছি।।
কবিতা - অমিতাভ মুখার্জী
Posted in কবিতাতোমার প্রতিদিনের
ফেলে আসা সময়কে
লাল জুতোর ফিতে দিয়ে
বাঁধা ছিল
যেমন তেমন করে
তোমার
আক্ষেপ ছিল
মন খারাপ ছিল না
দিন পেরিয়ে যায়
দিন
পালটেও যায়
তোমারই ওই দিনযাপনে
সময়কে এড়িয়ে যাবার জন্য
তুমি
নিজেকে চালিয়ে নিয়ে যাও
ইঁদুরের মতো
তোমারই অবুঝ মনের মাঝে
সে তোমাকে মনে করুক
বা
দূরে সরিয়ে দিক
তুমি একটা জঙ্গলকে
জ্বালিয়ে দিতে পারো
বা
একটা ভালুককে
হত্যা করতে পারো
তারই সামনে
সে তা ভালো করেই জানে—
তোমারই মধ্যে হৈচৈ,
উত্তেজনা
তোমারই রাগের গভীর
অন্তরালে থাকে
রাগগুলো তোমার
আলজিভ থেকে বেরিয়ে
আসে,
তোমার ঠোঁট কেঁপে উঠে
তুমি
কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়া
একটা পৃথিবী
গড়তে চেয়েছিলে
তোমার চারিপাশে
রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়া
গাড়িগুলোর
টায়ার থেকে
বাতাস বেরিয়ে আসে
চক্রাকারে
তোমারই আশেপাশে
কেউ নেই
সে তো নেই
তোমার কাছের
আর কেউ নেই
তোমার চারিদিকে
গোলাপগুলো ফুটে উঠেছে
গোপিকা ওরাই তোমার
সাথে থাকবে
তোমারই দিনযাপনে
আর কেউ নেই…।
কবিতা - অমৃতেন্দু মুখোপাধ্যায়
Posted in কবিতাহায়েনার দল হরিণীটিকে পেছন থেকে খাচ্ছিল।
তখনও বেঁচে ছিল সে—
জানান দিচ্ছিল তার অসহায় পা ছোঁড়া।
দূর থেকে চিতাকে আসতে দেখে
অনাগত ভ্রূণ চিরে বার করে নিয়ে পালাল হায়েনা।
তারপর চিতা
লাল লাল নরম মাংস দ্রুততার সঙ্গে ছিঁড়ে খেতে লাগল।
আমি পৃথিবীর কাছে এর চেয়ে বেশী কিছু আশা করেছিলাম।
যে গর্ভ থেকে জন্ম,
যে গর্ভ থেকে সৃষ্টি,
যে গর্ভকে ঈশ্বর বলি—
সেই হিরণ্যগর্ভের শিরায় শিরায় শুধু আদিমতা!
আমি কার কাছে ন্যায় ভিক্ষা করব?
কবিতা - কুমকুম বৈদ্য
Posted in কবিতাভলিউম যত বাড়ছে মাথার শব্দকোষে
হারিয়ে যাচ্ছে কথার মানে মুদ্রাদোষে
কথা যে সব দেওয়াই ছিল অনুচ্চারে
ভুলিয়ে দিচ্ছে ঝুলিয়ে রাখা অনুস্বারে
হারিয়ে গেলেও কথার মালা খুঁজতে নেই
ফুরিয়ে গেলে কথার কবর খুঁড়তে নেই
কবিতা - সুস্মিতা মজুমদার
Posted in কবিতাক্রমশ জটিল হচ্ছে দিন
আবার ইতিহাস ফুঁড়ে যেন জেগে উঠেছে গুহামানবের দল ।
দুচোখ জুড়ে রয়েছে তাদের কাঁচা মাংসের উল্লাস,
মানুষ যখন সভ্যতার চাপে
এগিয়ে চলেছে দিন প্রতিদিন
কিছু মানুষের জিহ্বায় লেগে আছে
এখনো রক্তের স্বাদ ।
সময় যেন কিছু মানুষকে পৌছেঁ দিয়েছে সেই অন্ধকার পাথুরে সভ্যতায়
যেখানে মানুষ ক্ষুধার্ত, নেশাগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত ।
ক্রমশ আবছা হতে হতে ঘণ কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে
কথোপকথনের অসমাণ সিঁড়িপথ।
সামনে এসে দাঁড়ায় কিছু উন্মাদ মানুষ
তীক্ষ্ম দহনে তাঁরা চেঁচাচ্ছে
সবকিছু থাক তাদের ইচ্ছেমতো ।
অস্থির মাতাল হাওয়ায় করে চলেছে
জাতের নামে বজ্জাতি
সমস্ত হাড়ের ভিতর আধশোয়া ঘৃণার দল !
আর্তনাদ শুনবে না কেউ
অগোচরে রক্তপাত শুধু
হৃৎপিন্ড জুড়ে নিঃশর্ত সমপর্ণে।
কবিতা - আশীষ কুমার বিশ্বাস
Posted in কবিতাএকটা কবিতা
তাঁর ভালো লাগা , মন্দ লাগা ।
তারপর প্রিন্টিং প্রেস
অচেনা প্রচ্ছদ
তাঁর জন্ম , লিটিল ম্যাগজিন ।
একটা যুদ্ধ জয়
প্রকাশিত কবিতা
বার বার তাঁর ওপর চোখ বোলানো ।
মনে কবি হওয়ার শখ জাগে
রবীন্দ্রনাথ , জীবনানন্দ , নজরুল , সুকান্ত
মনের গভীরে সুপ্ত বাসনা ।
আবার কলম-কাগজ , নির্জনে চিন্তা
ভাবনার গোড়ায় শিকড় গজানো ।
অক্ষরে অক্ষরে , শব্দে শব্দে
নতুন লাইন ।
আরো একটা কবিতার জন্ম ।
ঠিক এই ভাবেই - আরো একটা
কিম্বা অন্য ভাবে
আরো একটা ।
কবিতা - অমৃতেন্দু মুখোপাধ্যায়
Posted in কবিতাঈশ্বরে গভীর আস্থা তাদের।
ক্ষিদে নত হতে শেখায়।
আস্থার পরাকাষ্ঠা মানুষগুলো
অলৌকিকের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করে।
কবিতা - শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
Posted in কবিতাহিজল কাশের দেশে একদিন গিয়েছি বেড়াতে
সবুজ সুপুরি ক্ষেতে জোলো হাওয়া
উদার আকাশ জুড়ে তারাদের দিয়েছে প্রশ্বাস
ধূসর জগত থেকে জেগে ওঠে স্টিমারের সুর
গোয়ালন্দ কতদূর, গোয়ালন্দ আর কত দূর...
কেন এত ব্যবধান ভাটিয়ালী বাউলের মাঝে ?
এপারে ওপারে ব্যথা
এপারে ওপারে কান্না
এপারে ওপারে বাঁশি একই কথা বলে
গোয়ালন্দ আমাদের ধূসর জগত
গোয়ালন্দ একদিন ছিল ।
হিজল কাশের দেশে ফের আমি গিয়েছি বেড়াতে
সবুজ গ্রামের সীমা পার হয়ে ঝকমকে শহরের পথে
উদার আকাশ জুড়ে আজও তারা ফোটে
মেছুয়া মাঝির দল আজও সেই এক সুর বুকে নিয়ে
ভেসে যায় জোয়ারের বুকে
তিরতিরে জোলো হাওয়া আজও ঠিকই বয়
ফিসফিস বলে যায় –
দূরে নয়, গোয়ালন্দ বেশী দূরে নয়...
কবিতা - ঝানকু সেনগুপ্ত
Posted in কবিতাএকটা নদী বুড়ো হলে
পাল্টে যেতে পারে তার বোধ
জেগে উঠতে পারে উচ্চারণের বহুত্ব
একটা নদী বুড়ো হলে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
কবিতা - রঞ্জন রায়
Posted in কবিতানিশির ডাকেৱ মত
মাঝরাতে তিনবার সমুদ্রগর্জন।
দরজায় খিল আঁটা তবু জাগে ওরা তিনজন।
বাইরে ফুঁসছে ঝড়
ফুলে ওঠে সিংহের কেশর,
সমুদ্রঘোড়ায় চড়ে চলে গেল ওরা তিনজন।
ঝড় কবে থেমে গেছে
মরা চাঁদে লেগেছে গ্রহণ।
নৌকো সব ফিরে এল
ফেরেনি তো ওরা তিনজন।
বালিতে পায়ের দাগ মুছে দিল জোয়ারের জল,
একা একা ঘরে ফিরি
হা-হা করে চন্দনের বন।।
কবিতা - ঋজু রেজওয়ান
Posted in কবিতাবিজয়ের সব মুহূর্তেই...
তার অধিকার!
কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন;
কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;
ওহমের কাছা ও কাছির অভিবাবকসুলভ
নিঃশব্দে বসে আছে... মিস না ম্যাডাম?
ক্লাশের সবাই উঠে দাঁড়াইল [ধরতে পারেন]
নত-ই হইল
কোন সমস্যা দেখি না— Monotonously.
বেহালার স্টীলপ্লেটে যে স্ট্রিং, বাঁধায় বাজে।
সিল্কের মতই টানটান— উত্তেজিত গুনগুন
যেন, প্রান্তটি ধরেই নিয়ন্ত্রণও করছে কেউ!
তবুুও করছে দাবী, ভেতরের অদৃশ্য তরঙ্গ।
হাতের ভাঁজগুলিও খুলে গেল!
কেন জানি, শুকনো ঠোঁটেও বিজয় দেখছি..
কবিতা - কুমকুম বৈদ্য
Posted in কবিতাএকচিলতে জীবন ভিজুক
রোদ বৃষ্টি জলে
আমরা সবাই নাম লেখাবো
দস্যি হওয়ার দলে
ছাদের উপর আকাশ নামুক
ফাগুন ছড়াক গাছ
লতায় পাতায় জড়িয়ে প্রেম
চোখে রোদের আঁচ
কার সাথে কার মিলবে নয়ন
কে দেবে আজ রং
ঈর্ষা আমায় রাঙিয়ে দিলো
আজকে দোলের ঢং
গাছের পাতায় বিরহ ছড়ায়
ছটাক ঢোলের বোল
চৌকাঠে আজ ফাগুন দাঁড়ায়
মনের দরজা খোল
আমরা সবাই নাম লেখাবো
দস্যি হওয়ার দলে
ছাদের উপর আকাশ নামুক
ফাগুন ছড়াক গাছ
লতায় পাতায় জড়িয়ে প্রেম
চোখে রোদের আঁচ
কার সাথে কার মিলবে নয়ন
কে দেবে আজ রং
ঈর্ষা আমায় রাঙিয়ে দিলো
আজকে দোলের ঢং
গাছের পাতায় বিরহ ছড়ায়
ছটাক ঢোলের বোল
চৌকাঠে আজ ফাগুন দাঁড়ায়
মনের দরজা খোল
কবিতা - হিন্দোল ভট্টাচার্য
Posted in কবিতাসহ্য করে সহ্য করে
লাভ কী হবে
একটি দেহ
অনেক কথা বলতে পারে
তোমরা তাকে
যতই মারো
মানুষ জানে
মৃত্যু মানে
নতুন করে চিনতে পারা
তুমি কি আর
আমায় আরও মারতে পারো?
তোমায় আমি ভয় পাই না
এই কথাটি বলতে গিয়ে
মানুষ আজও
পাশে দাঁড়ায়
তুমি যতই মারবে তত
তোমার বুকে কাঁপন হবে
ভয় তোমাকে
খুবলে খাবে
যেমন তুমি খুবলে নিলে
আজ আমাকে
সহ্য করে সহ্য করে
লাভ কী হবে?
তুমি কি আর আমায় আরও
মারতে পারো?
কবিতা - অঞ্জন বল
Posted in কবিতাপ্রতিটি ধর্ষণ পৌরুষে আমাকেও কিছু বলে
মেয়ের দিকে তাকাই
ছেলেদের চোখ নিয়ে
সভ্যতার আদিম চোখে
ধর্ষিতা হতে দেখি মেয়েকে -
তোমাকে তিলোত্তমা !
শাসক তুমি কে ?
পুরুষ না নারী ?
ধর্ষক না ধর্ষিতা ?
গভীর রাত্রে নারী যখন রাত্রির দখল নেয় ,
কড়া নারে তোমার দরজায়
কাঁপে শিরদাঁড়া তোমার -- শাসনের ।
নারী , তুমি দেখোনি
দেখতে চাওনি
পৌরুষের রাত -
এতদিন দখল নাওনি - অর্ধেক আকাশ
নক্ষত্রের নীচে বাঁচতে শেখা , ভাসমান বন্দর ,
কেমন মিছিলে মিছিলে রাত ভোর হয় ?
এত প্রতীক্ষা তোমার জন্য -
তোমার জন্য ঘুম নেই শহরের -
মৃত্যু এত জীবন্ত স্বঘোষিত প্রতিস্পর্ধি
মানুষ দেখেনি আগে ।
নিশ্চয়তার চোখ দিয়ে
ক্লিষ্ট মানুষের ভিড়ে
লাঞ্ছিত মৃত্যুর হিমঘরে
তোমার পাশে ছিলনা কেউ --
প্রতিটি নারীর রাত্রি
ধর্ষিতা হয়েছিল সেদিন ।
আজ তাই নেমে আসে রাজপথ
মানুষের ভিড়ে ---
অন্ধকার আলোকিত করে
তিলোত্তমাদের সহস্র মিছিল
রাত্রিকে অবারিত করে -- আর নারীরা
রাত্রির দখল নেয় গভীর রাতে ।
কবিতা - সুস্মিতা মজুমদার
Posted in কবিতাআমরা নারী তাই মেনে নিতে শিখেছি
নিয়ম- অনিয়ম - শৃঙ্খলা
সার্থকতা বা ব্যর্থতা- অনেক কিছুই না বলা ,
আমরা নারী মানিয়ে চলছি শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
কতো যে দূষিত চোখের আনাগোনা -
আমরা মানিয়ে চলছি প্রতিনিয়ত নারীত্বের সীমানা
কখনো জ্বলতে- জ্বলতে বা মরতে- মরতে
মানিয়ে নিতে নিতে আমরা হয়ে উঠছি
সহ্যের পরাকাষ্ঠা, জীবন্ত শব ।
ভাব - ভালোবাসা - আদর - আল্হাদ
সবই নিমিত্ত মাত্র ,
সব শেষে শুধু পড়ে থাকে পাত্রে
জীর্ণ - শীর্ণ - ক্লান্ত গাত্র ।
আজও বুঝিনি কতটুকু মোদের সীমানা ?
ক্লান্ত মনে বারবার তাই প্রশ্ন করে যাই নারী কি শুধুই ভোগ্যপণ্য ?
শুধুই কি গর্ভধারণের যন্ত্র ?
ডাক দিয়েছে তাই আজ সকল নারী পুরুষ সমাজ,
নারী তোমায় বাঁচতে হবে
বাঁচার লড়াই হোক মূলমন্ত্র ।
কখনো ডাক্তার, কখনো ইঞ্জিনিয়ার, কখনো মাঠে ঘাটে , কারখানায় কাজ করা মেয়ে
অনেক তো হোলো ,
এবার নারী ঘুরে দাঁড়াও
নিজ ত্রিনয়ন খোলো ।
কবিতা - ঝানকু সেনগুপ্ত
Posted in কবিতাএকটা 'হ্যাঁ' এর চোরা স্রোতে ডুবে যেতে যেতে,
ডুবে যেতে যেতে, হঠাৎই সেই মধ্যরাতে,
মেয়েরা চিৎকার করে 'না' বলে উঠল!
ঝড় শুরু হল
একটা স্বাধীনতার জন্য
সমস্ত আকাশ জুড়ে শুরু হল পাখিদের উড়ান!
পুড়ে যাওয়ার আগে বৃষ্টি নামল
আমরা 'না' বলতে শিখলাম !!
কবিতা - কুমকুম বৈদ্য
Posted in কবিতাশার্সির কাঁচে বৃষ্টি লিখেছে মেঘ
রোদের চাদরে আদরের মাখামাখি
আবছা শহর কুয়াশায় দিলো ডুব
আড়মোড়া ভাঙা সকালের আলসেমি
অঙ্ক খাতাতে এঁকে রাখি পাগলামি
পুরোনো বাক্সে রেখে দেওয়া বর্ষাতি
ট্রাম লাইনের গর্তে জমানো জল
পুরসভার বিকল জলের কলে
লাইন দিয়েছে দমকা হওয়ার দল
বাদবাকি যা যা লিখেছি চিঠির খামে
পিয়নের পিঠে আমার বাড়ির মেঘ
বাইলেন বেয়ে কোথায় যে পৌঁছবে
তোমার নামের বৃষ্টিরা শেষমেশ
আর যা থাকল বর্ষায় মিলেমিশে
উজ্ঝ্ঝো থাকুক সেসব ভালোবাসা
বর্ষা দিনের ধুয়ে যাওয়া সাদা পাতা
নৌকার পালে লাগুক আলগা হওয়া
আবছা শহর কুয়াশায় দিলো ডুব
আড়মোড়া ভাঙা সকালের আলসেমি
অঙ্ক খাতাতে এঁকে রাখি পাগলামি
পুরোনো বাক্সে রেখে দেওয়া বর্ষাতি
ট্রাম লাইনের গর্তে জমানো জল
পুরসভার বিকল জলের কলে
লাইন দিয়েছে দমকা হওয়ার দল
বাদবাকি যা যা লিখেছি চিঠির খামে
পিয়নের পিঠে আমার বাড়ির মেঘ
বাইলেন বেয়ে কোথায় যে পৌঁছবে
তোমার নামের বৃষ্টিরা শেষমেশ
আর যা থাকল বর্ষায় মিলেমিশে
উজ্ঝ্ঝো থাকুক সেসব ভালোবাসা
বর্ষা দিনের ধুয়ে যাওয়া সাদা পাতা
নৌকার পালে লাগুক আলগা হওয়া
কবিতা - শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
Posted in কবিতাগোপন কোন ভুলের মত তোমায় আমি লুকিয়ে রাখি মনের ঘরে
দেখেছ তো কেমন করে অঝোর ধারায় মন আকাশে বৃষ্টি ঝরে !
তোমায় আমি আগলে রাখি সঞ্চিত ধন লুকিয়ে রাখা যখের মত
দেখেছ তো জনারণ্যে ইতস্তত ঘুরে বেড়ায় মানুষ যত শ্বাপদ তত ।
তোমায় আমি ভালবাসি, কতটা তা কেমন করে বোঝাই বল
একদিন নয় ভেসে যাবো ঢেউয়ের মাথায় উথাল-পাথাল, সঙ্গে চল ।
তোমায় আমি চাই কতটা ? নাই বা বলি, সব কিছু কি বলতে আছে
তুমি কি ছাই এতই বোকা, জানো না কি সব হারালেও স্বপ্ন বাঁচে !
কবিতা - কুমকুম বৈদ্য
Posted in কবিতাটুকরো টুকরো কথার মায়াজালে
লুকিয়ে ফেলি গুছিয়ে রাখার ছলে
সেসব আড়াল সরিয়ে দেবার মতো
ইচ্ছের গাছ বাড়ুক নোনতা জলে
ছায়াবাজির এই যে লাইফ বোট
একটুখানি জায়গা পাওয়ার লোভ
ডুব সাঁতারে হাতড়ে বেড়াই ডাঙ্গা
ছড়িয়ে ফেলি ছিটিয়ে দেওয়া জীবন
মিউট করা সেলেব্রেশন মোডে
Subscribe to:
Posts (Atom)
বিধিসম্মত বিজ্ঞপ্তি
দর্শকসংখ্যা
ঋতবাক পরিচালনায়
প্রধান উপদেষ্টা - নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী ও স্বপন দেব
উপদেষ্টামণ্ডলী – সুদিন চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, চিন্ময় গুহ, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, শুভ্র ভট্টাচার্য, পল্লববরন পাল
সম্পাদনা – সুস্মিতা বসু সিংহ
কার্যনির্বাহী সম্পাদনা – শিশির রায়, সৌম্য ব্যানার্জী
কারিগরী সহায়তা – সুমিত রঞ্জন দাস
উপদেষ্টামণ্ডলী – সুদিন চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, চিন্ময় গুহ, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, শুভ্র ভট্টাচার্য, পল্লববরন পাল
সম্পাদনা – সুস্মিতা বসু সিংহ
কার্যনির্বাহী সম্পাদনা – শিশির রায়, সৌম্য ব্যানার্জী
কারিগরী সহায়তা – সুমিত রঞ্জন দাস
ব্লগ সংরক্ষণাগার
-
▼
2025
(15)
-
▼
January
(15)
- সম্পাদকীয়
- প্রচ্ছদ নিবন্ধ - রঞ্জন রায়
- প্রবন্ধ - সমরেন্দ্র বিশ্বাস
- প্রবন্ধ - অম্লান রায় চৌধুরী
- প্রবন্ধ - মনোজিৎকুমার দাস
- ধারাবাহিক - শৌনক দত্ত
- ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত
- ধারাবাহিক - সুদীপ ঘোষাল
- ধারাবাহিক - রঞ্জন রায়
- গল্প - মনোজ কর
- গল্প - আর্যা ভট্টাচার্য
- কবিতা - অমৃতেন্দু মুখোপাধ্যায়
- কবিতা - রঞ্জন রায়
- কবিতা - অমিতাভ মুখার্জী
- ঋতু ম্যাডামের রান্নাঘর থেকে - মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী
-
▼
January
(15)
জনপ্রিয় লেখাগুলি
পরবর্তী সংখ্যা প্রসঙ্গে
পরবর্তী সংখ্যা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২১/০২/২০২৫, লেখা পাঠান অভ্রতে টাইপ করে, লেখা সম্পূর্ণরূপে অপ্রকাশিত হওয়া চাই। লেখা পাঠানোর ঠিকানা - RRITOBAKB@gmail.com.