ছোটগল্প : সুদেব ভট্টাচার্য
Posted in ছোটগল্প
ছোটগল্প
একটা অন্য সকাল
সুদেব ভট্টাচার্য
রঞ্জিত বিরক্ত হল। ফোনটা আবার বেজে বেজে কেটে গেল। আভেরী ফোনটা ধরছে না কেন? আজ তিনদিন হয়ে গেল সমানে কল করে যাচ্ছে। এমনিতে তো ব্যস্ত থাকলে পরে রিং ব্যাক করেই। কিন্তু এতগুলো দিন হয়ে গেল! হোয়াট ইস রং উইথ হার?
আভেরীর বাড়ির সামনে এসে গাড়িটা পার্ক করল রঞ্জিত।
কতদিন পরে বাধ্য হয়েই এই বাড়িতে আসতে হল রঞ্জিতকে। চিরকাল কেয়ারলেস এই আভেরী। কলেজে লাইফে এইজন্য ওদের প্রেমটা টেঁকেনি। চিরকাল ইন্সিকিওরিটিতে ভুগত মেয়েটা। হ্যাঁ, ওর জীবনে যে একটা ট্রাজিক ইন্সিডেন্ট ছিল সেটা অস্বীকার করা যায় না। রঞ্জিতও করেনি। কিন্তু তাই বলে এরকম ঘটনা তো আরও অনেকের সাথেই হয়। আভেরীর বাবা খুব ছোটবেলাতেই মারা গিয়েছিলেন। বাবা ছিলেন আভেরীর খুব কাছের মানুষ। সমস্ত আবদার, অভিযোগ সব ছিল বাবার ওপরেই। তাই হঠাৎ করে অ্যাডোলেসেন্স পিরিয়ডে এসে বাবাকে হারিয়ে জীবনের খেই হারিয়ে ফেলেছিল মেয়েটা। তাই কাউকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিল। সেই সময়ে রঞ্জিত এসেছিল ওর জীবনে। কিন্তু কথায় কথায় আভেরী ওর কাছে জানতে চাইত - আমাকে ছেড়ে যাবি না তো? এই 'আমায় ছেড়ে যাবি না তো' শুনতে শুনতে ফেড আপ হয়ে গিয়েছিল রঞ্জিত। তাই ছেড়ে যেতেই একপ্রকার বাধ্য হল সে। তার মনে হয়েছিল, আভেরী মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আর এই প্রৌঢ় বয়সে এসে এখনও একই রয়ে গেল আভেরী। তারপর দুজনেই বিয়ে করেছে, সংসার হয়েছে আলাদা আলাদা। শুধু নিয়মিত ফোন আসে আভেরীর। নানা সমস্যার কথা বলে রঞ্জিতকে। রঞ্জিতের শুনতে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে হ্যাঁ হুঁ বলে রেখে দেয়। ইন্টারেস্ট দেখায় না তত। আসলে আভেরী খুব একা হয়ে গেছে। ওর স্বামী বিয়ের বছর কয়েকের মধ্যেই মারা যায়। নিজের বলতে একটামাত্র ছেলে - সেও এখন বিদেশে থাকে। আভেরী এখন পুরো একা।
রঞ্জিত কলিং বেল বাজাল। কোনো সাড়া নেই। আবার বাজালো। বার দশেক বেল বাজাতেও কেউ দরজা খুলল না। গেটের কাছে তিনটে পুরোনো খবরের কাগজ পড়ে আছে। দুটো দুধের প্যাকেট। আভেরী বাড়ি নেই? রঞ্জিত আবার ফোন লাগাল। এবার কিন্তু রিংটোনটা বেশ জোরালো শোনাচ্ছে। অর্থাৎ ফোনটা বাড়ির মধ্যেই আছে। বাইরে থেকে শোনা যাচ্ছে। আভেরী ফোন নিয়ে যায়নি? সে কি!
রঞ্জিত ঠিক বুঝতে পারছিল না কি করা উচিত এখন তার। এদিকে দরজার বাইরে তালাও লাগানো নেই। তবে গোদরেজের অটোমেটিক লক রয়েছে তাতে। তবে কি আভেরীর কিছু হয়েছে? ও ঘরের ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে নেই তো?
রঞ্জিত দুচারজন লোককে ডেকে আনলো রাস্তা থেকে। তারা সবাই মিলে দরজা ভেঙ্গে ফেলল। ভিতরে ঢুকে রঞ্জিত দেখল ঘরদোর পরিপাটি করেই গোছানো। কিন্তু ঘরে কেউ নেই। খুব সদ্যই ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র পরিপাটি করে গোছানো হয়েছে। বাসনকোসন রান্নাঘরে থাকে থাকে গোছানো। ঝা চকচক করছে মেঝে। সবকিছু একেবারে পার্ফেক্ট! কিন্তু আভেরী কোথায়? বিছানার ওপর স্মার্টফোনটা পড়ে আছে। তার পাশে একটা রাইটিং প্যাড। রঞ্জিত সেটা হাতে নিয়ে উলটে পালটে দেখল। মামুলি ফোন নম্বরের ডাইরী। জনা দশেকের ফোন নম্বর লেখা তাতে। রঞ্জিতেরও নম্বর আছে। রঞ্জিতের মনে পড়ল মাস দুয়েক আগে আভেরী তাকে বলেছিল তার ছেলে তাকে নতুন স্মার্টফোন কিনে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না কি করে সেটা অপারেট করতে হয়। একে টাচ স্ক্রীন ফোন, তার ওপর নম্বর সেভ করা, ফোন করা - সবেতেই ভীষণ গজঘট ব্যাপার। কিছুতেই মনে রাখতে পারছিল না আভেরী, সব গুলিয়ে যাচ্ছিল নাকি তার। তাই সে সব নম্বর প্রাচীন উপায়ে টুকে রেখেছিল খাতায়। আভেরীর মাত্র দশজন চেনা পৃথিবীতে? আর কোনো নম্বর নেই?
না না, দশজনই বা কোথায়? এর মধ্যে শুধু রঞ্জিত, ওর ছেলে সুমন, মৃত স্বামী আর একজন পরিচিত আত্মীয় ছাড়া সব তো ধোপা, দুধওয়ালা আর ওষুধের দোকানের নম্বর। কি অদ্ভুত ব্যাপার! আভেরী একা কি করে বাড়িতে বসে তাহলে? প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই বয়স তার এখন। রঞ্জিতেরও তাই। তবু তার চেনা মানুষের পরিধি এতটাই কম? এমনকি প্রায় ত্রিশবছর আগের মৃত স্বামীর নাম এবং নামের পাশে তার অফিসের একটি ল্যান্ডলাইন নম্বরও টুকে রেখেছে? নাহ, নিশ্চই আভেরীর মধ্যে বিকার দেখা দিয়েছিল। নাহলে এমন কাজ করত না কখনোই! রঞ্জিতকে প্রায়ই ফোন করত ঘন ঘন। ইদানীং রঞ্জিত একই কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছিল। ছেলে আর সমস্যা ছাড়া আভেরীর কোনো কথা নেই। ছেলের কথা খুব বলত। ছেলে নাকি বদলে গেছে তার। তাকে দেখে না, খোঁজখবর নেয় না। ফোন করলে বিরক্ত হয়। সত্যি কথা বলতে রঞ্জিত নিজেও তো হত। কাঁহাতক একজন মানুষের একই সমস্যার কথা রোজ শোনা যায়?
রঞ্জিত বেরিয়ে এলো বাড়ি থেকে। পাশের ওষুধের দোকান থেকেই আভেরী ওষুধ কিনত। সেখানে একবার খোঁজ নিলে কেমন হয়? দোকানের কর্মচারী বসে কাগজ পড়ছিল, এখন তেমন ভিড় নেই।
রঞ্জিত গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘‘দাদা, আভেরী ম্যাডাম কে চেনেন তো? আপনাদের দোকানের উল্টোদিকের সাদা দোতলা বাড়ির যিনি মালকিন...’’
‘‘হ্যাঁ হ্যাঁ স্যার, ওনাকে চিনবো না? কবে থেকে মাসিমা আমাদের দোকানের কাস্টমার!’’
‘‘হ্যাঁ, আসলে ওনার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পেলাম না। ফোনও ঘরে রয়েছে। আজ তিনদিন হয়ে গেল কোনো খোঁজ নেই। আপনি কিছু জানেন?’’
‘‘না স্যার, আমি তো সে সব কিছু জানিনা। তবে উনি লাস্ট উইকেও এসেছিলেন ওষুধ নিতে।’’
‘‘তাই নাকি?’’
‘‘হ্যাঁ। উনি তো চলতে পারতেন না, পায়ে খুব বাত। ঘর থেকেই বেরোতে পারতেন না। এমনও হয়েছে নাকি, অনেকদিন শুধু ম্যাগি খেয়ে ছিলেন। কেউ নেই দেখাশুনো করার। রান্না বাজার কে করে দেবে? আমার দোকান থেকেই তো ম্যাগি নিয়ে যেতেন মাসিমা। লাস্ট উইকে একদিন এসেছিলেন অনেক কষ্ট করে হেঁটে হেঁটে। একসাথে তিনপাতা ঘুমের ওষুধ চাইতে।’’
‘‘সে কি! ঘুমের ওষুধ? উনি কি নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতেন নাকি?’’
‘‘না না। সেটাই তো! আমিও অবাক হয়েছিলাম। এতদিন ওষুধ নিয়েছেন, কিন্তু ঘুমের ওষুধ নেননি কোনোদিন। আমার সেদিন একটু খটকা লাগল। আমি প্রেস্ক্রিপশন দেখতে চাইলাম। কিন্তু উনি বললেন নেই। তাই আমিও দিইনি। উনি অনেক করে বললেন। তাও আমি দিইনি। শেষে উনি চলে গেলেন। আর আসেননি।’’
‘‘হুঁ। ধন্যবাদ দাদা। আমি দেখি কি করা যায়।’’
রঞ্জিত আবার আভেরীর বাড়িতে এসে সোফায় বসে একটা সিগারেট ধরাল। তারপর আভেরীর ছেলেকে একটা ফোন লাগাল।
‘‘হ্যালো, সুমন বলছ? আমি রঞ্জিত আঙ্কল।’’
ওপার থেকে ভেসে এল কন্ঠস্বর... ‘‘হ্যাঁ আঙ্কল, বলুন।’’
‘‘তোমার মায়ের খবর কিছু জানো?’’
‘‘না তো! অনেকদিন কথা হয়নি। সেদিন ফোন করেছিল আমাকে। আসলে মাকে স্মার্টফোন পাঠিয়েছিলাম একটা। সেটা কিছুতেই ব্যাবহার করতে পারছিল না। আমাকে বলল ইন্ডিয়া চলে আসতে। পায়ে নাকি খুব ব্যাথা। আচ্ছা, কেন বলুন তো? এভ্রিথিং অল রাইট?’’
‘‘আর কিছু বলেছিল?’’
‘‘না, আসলে আমার সেদিন খুব কাজের প্রেশার ছিল। আমি মাথা গরম করে কেটে দিয়েছিলাম। আর রিংব্যাক করা হয়নি।’’
‘‘হুঁ!’’
‘‘আঙ্কেল, সব ঠিক আছে তো?’’
‘‘সুমন, তোমার মায়ের সঙ্গে আমিও বেশ কিছুদিন যোগাযোগ করতে পারিনি। তাই তোমাকে ফোন করলাম। যদি কিছু জানতে পারি তোমাকে জানাব।’’
রঞ্জিত ফোনটা কেটে দিয়ে রাগে গজগজ করতে লাগল। অপদার্থ ছেলে একটা! মাকে রিং ব্যাক করার সময়টাও পায়নি? রঞ্জিত আরেকটা সিগারেট ধরাল। এই ব্যাথা পা নিয়ে আভেরী গেল কোথায়? ও কি কোনো হাসপাতালে অ্যাডমিট হয়েছে নিজে থেকেই? পাছে রঞ্জিত বিরক্ত হয় তাই ওকে আর ফোন করেনি?
রঞ্জিতের মাথা কাজ করছে না আর। আভেরীর বেডরুমে ঢুকে সে তার ড্রয়ারগুলো টেনে বের করে দেখতে লাগল যদি কোনো ক্লু পাওয়া যায়। একটা ড্রয়ার খুলে সে থমকে দাঁড়াল কিছুক্ষণ। এতে শুধু চিঠি ভর্তি। কত মানুষকে লেখা কত চিঠিতে ঠাসা রয়েছে এই ড্রয়ার।
রঞ্জিত প্রতিটা চিঠি এক এক করে পড়তে লাগল।
অনেক কটা তার ছেলেকে লেখা। তাতে বেশির ভাগের বক্তব্যই এরকম – ‘‘বাবু ফিরে আয়। আমার সময় কাটে না। আমি এতটা স্মার্ট হতে পারিনি।’’
কিছু চিঠি তার মৃত স্বামীকে লেখা – ‘‘তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছ কেন? তুমি স্বার্থপর। "তুমি আমাকে ভালো বাসোনি কখনও, তুমি অপরাজিতাকে ভালোবাস, আমি জানি...’’ ইত্যাদি। সেগুলো রঞ্জিত ইচ্ছে করেই পড়তে চাইল না আর।
সে শুধু মন দিয়ে দেখছে তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা কতগুলি চিঠি। এগুলই সবই তার জন্মদিনে লেখা। কিন্তু একটাও পোস্ট করেনি আভেরী।
সব চিঠিই শুরু হয়েছে ‘‘শুভ জন্মদিন’’ দিয়ে। তারপর কত অভিযোগ, অনুযোগ, আবদার যে রয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। বাবার কথা মনে পড়লে তাকে চিঠি লিখেছে আভেরী। বা মন খারাপ হলেই একা একা কথা বলেছে রঞ্জিতের সঙ্গে। একান্ত ব্যক্তিগত ভাল লাগা, দুঃখ পাওয়ার অনুভূতিগুলোই রয়েছে রঞ্জিতকে লেখা চিঠিগুলোতে। তাতে নির্ভেজাল স্বীকারোক্তি, ব্যথিত প্রত্যাখান প্রতি লাইনে ঝরে পড়েছে। আর প্রতিটা চিঠিই শেষ করেছে আভেরী এইভাবে – ‘‘এখন আমি হারিয়ে যেতে চাই। একদিন সকালবেলা হুট করে আমি নেই হয়ে যাব। আমাকে কেউ খুঁজে পাবে না। আমি কারোর নই। দেখিস, আমি ঠিক হারিয়ে যাব। একা একাই।’’
রঞ্জিত আর পড়তে পারছে না। তার মাথা এখন সম্পূর্ণ অসাড়। তবে কি আভেরী সুইসাইড করল? একাকিত্ব আর অবহেলা - সেই ছোটবেলার ইন্সিকিওরিটি? এখনও?
রঞ্জিত সাঁ করে বেরিয়ে গেল বাড়ি থেকে। আশে পাশে খোঁজ খবর করে যদি কিছু পাওয়া যায়। কেন জানি, নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছে তার। আভেরীর বাড়ি থেকে বেরোতেই সে দেখল রাস্তার উল্টোদিকের রিক্সাস্ট্যান্ড থেকে একজন রিক্সাচালক তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। রঞ্জিত সেদিকে এগিয়ে গেল।
রিক্সাওয়ালা রিক্সা থেকে নেমে তাকে বলল, ‘‘বাবু, আপনাকে সকাল থেকেই অনেকবার দেখলাম ওই বাড়িতে ঢুকতে আর বেরোতে। আপনি কি ঐ মাসিমা কে খুজছেন?’’
‘‘হ্যাঁ হ্যাঁ ভাই। তুমি চেন ওনাকে? তুমি কিছু জানো উনি কোথায়?’’
‘‘আজ্ঞে, দু’দিন আগের ঘটনা, তখন ভোর পাঁচটা বাজে। আমি তখন সবে রিক্সা নিয়ে বেরিয়েছি বাজারের মাল আনব বলে। আমি খুব ভোরে মলয় মাছওয়ালার জন্য বরফ আনতে যাই। তখন রাস্তায় লোকজন খুব কম। দেখি মাসিমা আমাকে ডাকছেন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে। পায়ে খুব ব্যাথা তো, হাঁটতে পারেন না ভাল করে।’’
‘‘তারপর?’’
‘‘আমি ওনার কাছে যেতেই উনি বলল, ভাই, আমাকে একটু নিয়ে চল না। আমি বললাম, কোথায় যাবেন? মাসিমা আমার হাতে পাঁচশো টাকার একটা নোট দিয়ে বলল, তুমি যতদূর চেনো আমাকে ততদূর নিয়ে চল। আমি বললাম, এতটাকা দিচ্ছেন কেন? আমার কাছে ভাঙানি হবে না। উনি বললেন, তুমি চলই না, তোমাকে দিতে হবে না। ওটা তুমিই রাখো।’’
‘‘তুমি ওনাকে কোথায় নিয়ে গেলে?’’
‘‘আজ্ঞে বাবু, ওনাকে আমি এখান থেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্টেশনের কাছে ছেড়ে দিলাম। উনি নেমে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বসলেন। আমি আর দাঁড়াইনি। চলে এসেছিলাম।’’
‘‘সে কি! ওনার সঙ্গে কোনো মালপত্র ছিল?’’
‘‘আজ্ঞে না , কিচ্ছু না!’’
‘‘হুঁ!’’
‘‘কেন বাবু, কি হয়েছে? মাসিমার কিছু হয়েছে নাকি?’’
‘‘না না। কিছু খবর এখনও পাইনি। ঠিক আছে, তোমার কাছে আবার পরে আসতে হতে পারে, বুঝলে? এখানেই তোমার স্ট্যান্ড তো?’’
‘‘হ্যাঁ বাবু।’’
রঞ্জিত মাথা নেড়ে চলে আসে আভেরীর বাড়ির গেটে। একটা সিগারেট বের করে ধোঁয়া ছেড়ে দেয় আকাশের দিকে। আভেরী গেল কোথায়? আভেরীকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে? খুঁজে তো তাকে পাওয়া যায় যে হারিয়ে যায়। আর যে নিজেই হারাতে চায়, তাকে? রঞ্জিত নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকে মনে মনে। সে জানে, কেউ কথা রাখেনি আভেরীর জীবনে। আভেরী কিন্তু রেখেছে। এই না যুঝতে পারা জীবন থেকে সে অবসর নিয়েছে নীরবে।
তার ইচ্ছে মতই ওয়ান ফাইন মর্নিং আভেরী ভ্যানিশ হয়ে গেছে।
0 comments: