ব্যক্তিগত গদ্য - রাজা ভট্টাচার্য
Posted in ব্যক্তিগত গদ্য
ব্যক্তিগত গদ্য
চলাচল
রাজা ভট্টাচার্য
আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন হলো - চাকরিতে জয়েন করার দিনটা। এস.এস.সি. পাশ করে গেছি, ফাইনাল লিস্টে নাম আছে - স্বচক্ষে দেখে এসেছি। সুতরাং আগের ছোট্ট চাকরিটা সদর্পে ছেড়ে এসেছি। বিয়ে করলাম সম্পূর্ণ বেকার অবস্থায়। এদিকে চিঠি আর আসে না। বৌ নিজের চাকরিতে জয়েন করে গেল, আমি বসে আছি বাড়িতে। সাধু ভাষায় যাকে বলে -"মরমে মরে আছি"! হেনকালে এক শনিবার দেবদূত - অর্থাৎ পিওন এসে সেই বহু-আকাঙ্ক্ষিত চিঠিটি দিয়ে গেল। কোনোক্রমে রোববারটা পার করে সোমবার রওনা দিলাম। তার আগে অবশ্য এক আত্মীয়র কাছ থেকে জেনে নিতে হলো - জে.এম.এভিনিউ কোথায়।
বহু কষ্টে, এক পুলিশ ভদ্রলোকের সাহায্যে খুঁজে পেলাম সেই স্কুল। এটা স্কুল! চেহারা আর আশপাশ দেখে চোখ কপালে উঠে গেল। একটা প্রকাণ্ড ভাঙাচোরা প্রাসাদ; দেখলে মনে হয় - এক্ষুনি ভেঙে পড়বে হুড়মুড়িয়ে। তারই বারবাড়িতে, বারান্দা আর অন্ধকার তিন-চারটে ঘর নিয়ে স্কুল বসে। ছাত্রদের সংখ্যা দেখলে কান্না পায়। আমার বিরাট মফস্বলী স্কুলে পড়ত বারো-শো ছেলে। এখানে কোনোদিন একশো ছেলে চলে এলে সবার জায়গা হবে না। অবিশ্যি সে দুর্দৈব কখনও ঘটে না, এই যা। ছেলেদের চেহারাও তেমনি - অধিকাংশ ছেলেই অসম্ভব গরিব, খেতে পায় না ভাল করে। বাইরের চেহারা আরও খারাপ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে রং-মাখা স্বল্পবেশী মেয়েরা, এক কাপ চা খেতে যাওয়ারও সাহস হয় না আমার। টিপিক্যাল মধ্যবিত্ত মফস্বলী মন সংকুচিত হয়ে থাকে ভয়ে আর লজ্জায় - এই বুঝি আমায় কেউ দেখে ফেলল এই ‘খারাপ’ পাড়ায় - আর ভুল বুঝল। চাকরির দ্বিতীয় দিনেই দালালের খপ্পরে পড়ে গেলাম আমি - একা ফিরছিলাম - হাত ধরে টানাটানি করতে লাগল তাদেরই একজন -"চলিয়ে বাবু - ক্যায়সি লেড়কি চাহিয়ে - নেপাল কি লেড়কি-ভি মিলেগি বাবু"! আমি ভয়ে আর ঘেন্নায় কেঁচো হয়ে গেলাম। বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেললাম ভীত শিশুর মতন। মা আর গিন্নি মিলে সান্ত্বনা দিতে লাগল আমায় - আর আমি ভাবতে লাগলাম - আমায় কী সম্ভাব্য ‘খদ্দেরের’ মতন দেখতে ?
কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য যাথারীতি কেটে গেল এসব মেকী আত্মগ্লানি। দ্রুত বুঝতে পারছিলাম - রাস্তায় যে মেয়েদের আমি দেখতে পাচ্ছি - তাদের অধিকাংশই অসম্ভব গরিব। আর তাদেরই ছেলেপুলেরা পড়ে আমার কাছে। আবার - কী আশ্চর্য - দর্জিপাড়া বা বাগবাজারের গৃহস্থবাড়ির ছেলেরাও দিব্যি তাদের পাশে বসেই পড়ে, একসাথেই খেলে, টিফিন খায়। ক্রমে ভাব হয়ে গেল বাচ্চাগুলোর সঙ্গেও। বুঝতে শিখলাম এদের। হ্যাঁ, এরা আলাদা - আর তাইই তো হওয়ার কথা! এরা তো আমার বা আমাদের মতন করে বড় হয় নি! অকাতরে মুখ-খারাপ করে বাচ্চাগুলো ; জানেই না - এটা খারাপ কিছু। ক্লাস ফাইভের ছোট্ট ছেলেও অম্লান কণ্ঠে বলে -"ওর কথা বিশ্বাস করবেন না স্যার, ও খুব হারামি আছে! " অনেকেই সকালে স্কুলে আসে না-খেয়ে ; পথে কিনে নেয় চিপস্ বা অমন কিছু। টিফিনে বাড়ি থেকে মা বা অন্য কেউ এসে দিয়ে যায় খাবার - ভাত বা রুটি। কেউ-বা গেটের ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে কেনে ঝালমুড়ি, নইলে দারোয়ান বীরেনদার দাদার দোকান থেকে কচুরি। কারো বা পয়সা নেই, খাবারও আসে নি। কাঁদে সিঁড়িতে বসে। কোনও শিক্ষকের চোখে পড়ে গেলে খুব ধমক দিয়ে তার হাতে গুঁজে দেওয়া হয় পয়সা। চোখ মুছে লজ্জিত মুখে কচুরি কিনতে যায় সে ধীর পায়ে। ক্লাসে এসে ঢুলতে থাকে অনেকেই। জেরা করলে জানা যায় - রাত্তিরটা সে কাটায় ক্লাবে ; ঘরে থাকার জায়গা নেই। কেন নেই - তা বোঝার জন্য জিজ্ঞেসবাদ করতে হয় না। ভাল লেগে গেল স্কুলটাকে, আর এই অসহায় বাচ্চাগুলোকে। রাস্তায় দাঁড়ানো মেয়েগুলোও চিনে ফেলল নতুন মাস্টারকে - তাদেরও চোখের ভাষা এল নম্র হয়ে।
মাস-খানেক পরে একদিন হেড মাস্টারমশাই ডেকে পাঠিয়ে বললেন -"রাজা, সামনেই তো রবীন্দ্রজয়ন্তী। শুনলাম তুমি গান-টান গাও। তা এবার তাহলে ক’টা রবীন্দ্রসঙ্গীত তুলে দাও না বাচ্চাদের! গাইবে সব - যে ক’জন পারে।" এইসব অকাজে আমার অনন্ত উৎসাহ। কোমর বেঁধে নেমে পড়লাম ওমনি। আলমারি থেকে বেরলো ভাঙা হারমনিয়াম - বহুকাল তাতে হাত দেয় নি কেউ। আর আমাদের ভাঙা স্কুলবাড়িতে বহুদিন পর - বেজে উঠল সুর। বাচ্চাদের চোখ কপালে উঠে গেল। রাজাবাবু-স্যার (হ্যাঁ, এইটিই এই স্কুলের সরকারি আবাহন-বিধি) কী না পারেন, মায় হারমোনিয়াম বাজালে সুর বেরোয় - ভাবা যায়!! টিপে দেখা হলো সাদা-কালো রিড। তারপর গান বাছাই, লিখে নেওয়া, এবং রিহার্সাল শুরু।
প্রথমেই ধাক্কা লেগে গেল এদের গলা শুনে। সুর নেই যে কারোর গলায়! সুর আমার আজন্মের সংস্কার, এর মধ্যেই বড় হয়েছি। বেসুর বড় কষ্ট দেয় তাই। আর এরা গান বলতে বোঝে কুমার শানু আর বাবা সায়গল - তখন এদের গানই বাজত প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ শুনে এরা তাই তাকিয়ে থাকে হাঁ করে। শব্দ, সুর - সবই ওদের অচেনা ঠেকে। সব্বাই মিলে গান গাওয়ার ব্যাপারটা অন্য স্যারদেরও খুব একটা পছন্দ হয় নি। একজন তো সরাসরি বলেই দিলেন -"ওরে বাবা, সব কিছু কি আর সবার জন্য? " তা নয় অবশ্য, জানি সে কথা। এও জানি, ওদের মধ্যে যে-কজনের গলায় অল্পস্বল্প সুর আছে, তাদের আলাদা করে নিলেই গানগুলো একটু শোনার যুগ্যি হতো। কিন্তু যেই গানের রিহার্সাল শুরু হয় - অমনি ওদের পাকাটে মুখ আর চোরা চাউনি বদলে যায় যে! যেন আলো জ্বলে ওঠে অন্ধকার ঘরে, ওদের মুখগুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মাথা নেড়ে, বেঞ্চি থাবড়ে ওরা গাইতে থাকে -"মম চিত্তে নিতি নৃত্যে" - আর অমনি আমার আর ওদের ভাল, মন্দ, জন্ম, মৃত্যু - সব নেচে ওঠে তালে তালে - বুড়ো নোনাধরা দেওয়াল নেচে ওঠে - তা তা থৈ থৈ। আদ্যিকালের বাড়ির কড়ি-বরগা নড়ে ওঠে ওদের কচি গলার আধো-বেসুরো চিৎকারে -"কী আনন্দ, কী আনন্দ, কী আনন্দ!" কেমন করে বলি -"না রে, তোর গলায় সুর নেই, আর গাইতে হবে না। তুই বাদ!" কল্পনাই করতে পারি না - উৎসাহে জ্বলজ্বলে মুখটার কি দশা হবে এই কথাটা শুনলে। অসম্ভব। বরং আমার বেসুর সইবে, ওই মুখটা নয়। কাজেই চলতে লাগল আমাদের বিচিত্র মহড়া, জানলায় উঁকি মারতে লাগল অচেনা কৌতূহলী মুখ।
অবশেষে এল পঁচিশে বৈশাখ। সেই তিনটে দিনের একটা - যেদিন আমরা বাংলায় তারিখ বলি। হৈ হৈ করে হয়ে গেল অনুষ্ঠান। এরা অনেকেই পুজোর সাজ বানায়, রোজগারের একটা প্রধান উপায় সেটা। কাজেই ইশকুলের সাজগোজের ঘটা দেখে তাক লেগে গেল সবার। বিচিত্র পোষাকের গার্জিয়ানরা ভিতু ভিতু মুখে দেখতে এল অনুষ্ঠান, আর ছেলের গান বা আবৃত্তি শুনে গদগদ মুখে ফিরে গেল সগর্বে। ছেলেরাও খুশ, আম্মো তর। শুধু পরের দিন থেকেই ক্লাস শুরু হয়ে গেল পুরোদমে - এই যা এক দুঃখ।
মাস-খানেক পরে একটা কর্মশালা শুরু হলো ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুলে। আমি আবার কিচ্ছু চিনি না কলকাতার পথঘাট। পুরনো মাস্টারমশাইদের জিজ্ঞেস করে চলে তো গেলাম। ফেরার পথে চিত্তির কাণ্ড ঘটল। বেরিয়েই এক ছাত্রের সঙ্গে দেখা। পেন্নাম করে, দু-এক কথার পর শুধলো - কোথায় যাব আমি। শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে যাবো শুনে বলল -"তাইলে আবার বিডন স্ট্রিট ধরতে যাবেন কেন স্যার? এই গলিটা দিয়ে সোজা চলে যান, বড় রাস্তায় উঠে যাবেন একবারে।" তা বেশ। ভাল করে বুঝে নিয়ে, ওর মাথায় একটু হাত বুলিয়ে ঢুকে পড়লাম সেই গলিতেই। বড্ড সরু গলি, দু’পাশে মাথা তুলে রয়েছে আদ্যিকালের সব বাড়ি। দিনেমানেই যেন অন্ধকার। তা হোক, একবার বড়রাস্তায় উঠে গেলেই নিশ্চিন্ত।
মিনিট পাঁচেক হাঁটার পরেই বুঝলাম - কিছু একটা গোলমাল করেছি। রাস্তা এখানে একটু চওড়া হয়েছে। দু-পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই রং-মাখা মিনি-স্কার্ট পরা মেয়েরা ; অকারণ হাসিতে ঢলে পড়ছে একে অপরের গায়ে। টলমল পায়ে দিনের বেলায় হেঁটে যাচ্ছে মাতাল, দালালের দল ভিড় জমিয়েছে মদের দোকানে - ডাক দিচ্ছে আমায় গলা ছেড়ে। কেউ কেউ সেই প্রথম দিনের মতন উঠে আসছে কাছে, হাঁটছে পাশে পাশে, মৃদু গলায় দর বলছে ঘন্টা-পিছু। হঠাৎ ফিরে এল সেই দ্বিতীয় দিনের স্মৃতি ; আমার সর্বাঙ্গ কাঠ হয়ে গেল, মাথা নীচু করে, কোনওদিকে না তাকিয়ে অন্ধের মতন হেঁটে চললাম আমি। আমার অবস্থা বুঝে খিলখিল করে হাসতে লাগল পথে-দাঁড়ান মেয়েরা।
এমন সময় হঠাৎ কানে এল সুর। না, সিনেমায় দেখা সেই বাইজির মুজরার সুর নয়। সেই ভয়ানক অবস্থাতেও আমার চিনতে ভুল হলো না - কোনও একটা বাড়ি থেকে ভেসে আসছে আমার খুব চেনা একটা গান -"প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে..."! সুর-টুর হচ্ছে না মোটেই, কিন্তু খুব উৎসাহের সাথে, ফুর্তি করে গাইছে কয়েকটা বাচ্চা-গলা। ইচ্ছের বিরুদ্ধেই গতি কমে এল আমার। আর তক্ষুনি, সেই বাড়ির জানলা থেকে ভেসে এল চিল-চিৎকার -"ও স্যার, ও রাজাবাবু-স্যার! " আর সেই ডাকের পিছন পিছন, সামনে দাঁড়ান মেয়েদের ছত্রভঙ্গ করে ছুটে এল একদল বাচ্চা! আমাদেরই ইশকুলের ছেলে সব। অন্য পোষাকে এখন কেমন অন্যরকম দেখাচ্ছে তাদের, কিন্তু হাসি-ভরা মুখ আর চকচকে চোখ দেখলেই বোঝা যায় - যেমন অবাক, তেমনি খুশি হয়েছে তারা। পলকে ঘিরে ফেলে তারা প্রশ্ন করে চলল প্রাণভরে - এখানে কেন, কোত্থেকে ফিরছি ইত্যাদি। যখন বললাম - বড় রাস্তায় যেতে গিয়ে পথ গুলিয়ে গেছে - তখন তাদের খুশি দেখে কে! এহে, স্যার কিচ্ছু চেনেন না - এ এক ভারি মজার কথা। আমি জিজ্ঞেস করলাম -"তা তোরা এই বিকেলবেলায় মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে গান গাইছিলি যে ?" সমবেত উত্তর এল -"আমরা তো স্যার রাত্তিরে খেলি, আলো জ্বললে। তাই এখন সবাই মিলে..."
উত্তেজিত গলায় আমার সঙ্গে গল্প করতে করতে চলল ওরা - পথ চিনিয়ে দিতে। দু’ পা হেঁটেই একজন বলল -"স্যার, ওই ‘আরও বেদনা, আরও বেদনা’ জায়গাটায় সুর ভুল হচ্ছিল, তাই না? " এই রে, অতটা তো তখন বোঝার অবস্থা ছিল না আমার। কিন্তু সে কথা তো আর স্বীকার করা যায় না ; কাজেই বললাম -"তাই বুঝি ? কই, গা দেখি আর একবার।"
বলতে যা দেরি, গলা খুলে সব ক’টা মিলে চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তুলে গান ধরল ফের -"আরও বেদনা, আরও বেদনা, প্রভু দাও মোরে আরও চেতনা...."
বুড়ো কলকাতার নিষিদ্ধ রাস্তায় হাঁটছিলাম আমরা; মফস্বল থেকে আসা এক শিক্ষক, আর জনাকয় শিশু-কিশোর। প্রায়ান্ধকার গলির বাতাস কেঁপে কেঁপে উঠছিল সুরের টানে টানে -"আরও আলো, আরও আলো, এই নয়নে প্রভু ঢালো..."
আমার আর ভয় করছিল না। সামনে তাকিয়ে দেখি - আমাদের অদ্ভূত দলটার সামনে সামনে হেঁটে চলেছেন এক লম্বা-পানা বুড়ো মানুষ। বদ্ধ গলিতেও সুরের হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ছে তাঁর পাকা দাড়ি আর পরণের জোব্বা। কোনও জোড়াসাঁকো, কোনও শান্তিনিকেতন যাকে বাঁধতে পারে নি কোনও মতেই - তিনি এখন হাঁটছেন আমাদের আগে আগে। বরাবরের মতন আজও, নিশ্চিন্তে তাঁকে অনুসরণ করে হাঁটতে লাগলাম আমি। দূরে দেখা যাচ্ছিল বড়োরাস্তা।
আর বাচ্চাগুলো তখন গাইছিল সমস্বরে - ভুলভাল সুরে - "আমারে বাঁধবি তোরা, সেই বাঁধন কী তোদের আছে?"
কী ভালো যে লিখেছো রাজাবাবু!!তোমার সুর সারাজীবন পাথর ছড়ানো অন্ধকার পথে আলো জ্বেলে যাক। জ্যোতির্গময়।
ReplyDeleteকী ভালো যে লিখেছো রাজাবাবু!!তোমার সুর সারাজীবন পাথর ছড়ানো অন্ধকার পথে আলো জ্বেলে যাক। জ্যোতির্গময়।
ReplyDeleteকি করে যে পারো রাজাবাবুস্যার সেটাই বুঝতে পারি না, একটা রবীন্দ্র জয়ন্তী আর একটা রাস্তা হারিয়ে যাবার ঘটনা দিয়েও মন কে নাড়িয়ে দিতে ......
ReplyDeleteএই লেখার কোন পাঠ প্রতিক্রিয়া হয় না। পড়ার পর চোখ ভেজে, আর মনটা কেমন ভাল হয়ে যায়।
ReplyDeleteআমাদের সামনেও একটা দীর্ঘদেহী মহীরুহ আছে,"রাজা ভটচায"এটাও কি কম পাওনা।
ReplyDeleteঅসম্ভব সুন্দর আর বলিষ্ঠ লেখনী।ভালোবাসা।
চোখে জল এসে গেল।
ReplyDeleteসাহিত্য যখন মানবতার কথকতা হয়ে ওঠে, তখন মুখফোঁড় চালিয়াৎ-ও ভেজা ভেজা চোখে স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি কিছু বলি সাধ্য কি!!
ReplyDeleteসাহিত্য যখন মানবতার কথকতা হয়ে ওঠে, তখন মুখফোঁড় চালিয়াৎ-ও ভেজা ভেজা চোখে স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি কিছু বলি সাধ্য কি!!
ReplyDeleteএই লেখা আপনার লেখা নয়...ভগবান নিজে লিখেছেন , কলমটা আপনার বটে
ReplyDeleteবাঃ, কী ভালো কী ভালো.....
ReplyDeleteবাঃ, কী ভালো কী ভালো.....
ReplyDeleteনাঃ কোন মন্তব্য নয়। লেখাটার ভিতর বুঁদ হয়ে রইলাম।
ReplyDeleteভাবি এরকম বোকার মত কেঁদে ভাসবো না কিন্ত এই রাজাবাবুস্যার কি ভাবে যেন ঠিক গলার কাছে ব্যাথা করাবেনই
ReplyDeleteকতদিনের চেনা শহরটাকে আপনি চিনিয়ে দিলেন নতুন করে। ভরিয়ে দিলেন কত আলোয়।
ReplyDeleteবলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি স্যার।স্যালুট
ReplyDeleteবলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি স্যার।স্যালুট
ReplyDeleteaapni sotti karer raja
ReplyDeleteঅনেক অনেক ভালোবাসা ভাই। তোমাকে সেলাম।
ReplyDeleteদারুন লাগছিল , কিন্তু হঠাৎ যেন ঝপ করে শেষ হয়ে গেল ! আরও একটু বাড়ানো যায় না গল্পটা ?
ReplyDeleteখুব ভালো স্যার :)
ReplyDeleteখুব ভালো
ReplyDeleteঅসাধারন।
ReplyDeleteঅসাধারন।
ReplyDeleteঅসাধারন অনুভূতি... আজ থেকে আমিও ডাকব - রাজাবাবু-স্যার!!
ReplyDeleteঅসাধারন অনুভূতি... আজ থেকে আমিও ডাকব - রাজাবাবু-স্যার!!
ReplyDeleteএখন কি মনে হয়না... ভাগ্যিস! ভাগ্যিস এখানেই পেয়েছিলাম কাজ? হাত ধরে তার বাকীটা তাই না এলো। সবকিছু পাওনার বিধাতা দেবার জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায়। আমরা বোঝার আগেই, নেড়েঘেঁটে দেখার আগেই পালাই। ভাগ্যিস এই স্কুল, এই অন্যতর দুনিয়া আর কারু কোঁচড়ে না পড়ে আপনার কাছেই এলো... তাই তো অনুভবে জারিত এমন আত্মকথন পেলাম। হাত ধরে ঘুরে এলাম দেবশিশুদের আঙিনায়...
ReplyDeleteতোমাকে প্রনাম।
ReplyDeleteভালো
ReplyDeleteসুন্দর
ReplyDeleteজীবনের মশৃণ পথ গুলো যে আদতে কোনো কাজের না এই লেখা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। ভাগ্যিস সেদিন পথ হারিয়েছিলেন...
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteরাজাবাবু স্যার ধন্যবাদ। ওই দাড়িবুড়ো আর আপনার মত ভীতু মফস্বলীরা আছে বলেই এখনও কান্না নামক আবেগটা কাজ করে।
ReplyDeleteভীষণ মর্মস্পর্শী
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল । আরো লিখুন ।
ReplyDeleteআরো একবার অন্য ভারতবর্ষ র সন্ধান দিলেন
ReplyDeleteবড়ো স্নিগ্ধ!
ReplyDeleteMon chuye galo. Anobadyo. R o natun kre chinlam buro kolkatar andhokar goli k. Sadhu.
ReplyDeleteপ্রায় একই অভিজ্ঞতা আমার এক জুনিয়র বন্ধুর।
ReplyDeleteফলে খুব চিনতে পারছিলাম মননটা।
খুব প্রয়োজনীয় এবং হ্যাঁ বেশ ভালো লেখা
কাঁদলাম।
ReplyDeleteমন ছুয়ে গেল লেখাটা |
ReplyDeleteঅপূর্ব !
ReplyDeleteTumi aaro lekho...amra samriddha hoi...
ReplyDeleteআহা। অপূর্ব।
ReplyDeleteঅঘটন আজও ঘটে বলেই এত দৈনতার মধ্যে ও পৃথিবীটা এত সুন্দর, হতাশার মধ্যেও আশার আলো জ্বালিয়ে যায়, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ||
ReplyDeletebhishon bhalo....
ReplyDeleteSotti ki osadharon j ekta onuvuti holo pore vasay prokash kora jabena
ReplyDeleteAgeo porechi, abar porar poreo ekirokom valo laga chuye galo....
ReplyDelete