কবিতা - শুভঙ্কর দাশ
Posted in কবিতাকবিতা
সবুজ পরী ও অন্যান্য
শুভঙ্কর দাশ
সবুজ পরী
কেউ আবসাঁত খেয়ে দেখে
তার কানের ফুটো বেয়ে
মগজেরা বেরিয়ে আসছে টলমল
বেহেড মাতাল হয়ে
সবুজ পরীর সাথে হাত ধরে।
আমি অবশ্য কখনও এই সবুজ অমৃত
চেখে দেখিনি তাই
কানের ফুটো চেপে ধরার প্রয়োজন
হয়নি আমার।
লোকে বলে আবসাঁত খেলে
শরীর নয়
টলমল করে ওঠে মগজেরা।
একটা লম্বা গ্লাসে বরফের পাথরের উপর
একভাগ আবসাঁত আর চারভাগ জল
আমাকে বেড়ে দেয়নি কেউ
যে আমার হৃদয় ফুলে উঠবে
আরও প্রেমে।
অথবা ছুরির খেলা নিয়ে মেতে উঠবো
ফুলের বাগানে যা কিছু না বলেই
হঠাৎ আজ ফুটে উঠেছে
এই দশ বাই দশ ঘরে।
সেই মিষ্টি ফুলের গন্ধ ঢেকে দিচ্ছে
রোজকার সমস্ত অবহেলা গুলো।
নৌকো
বাচ্চাটা সমানে কাঁদছে নৌকো ভাসাবে
অথচ এ বৃষ্টিতে অত জল জমবে
বলে মনে তো হচ্ছে না আমার।
কত বললাম-‘যে লাল বড় গামলাটাকে
বাথটাব বানিয়ে চান করিস
সেটাতে ভাসা’।
কিন্তু সে একটুও রাজি নয়।
ওভাবে তো
নৌকোটা যেতে পারবে না কোথাও
শুধু গোল গোল ঘুরে মরবে।
সে ঠিক টের পেয়েছিল।
বৃষ্টি কী আর আমার কথা শুনবে?
আমাদের কথা?
অল্প আলো
গতকাল আধো ঘুমের ভেতর
একটা গোটা কবিতা ফেলে এসেছি
আজ রাতে খুঁজতে যাবো ফের,
না পেলে বড্ড মন খারাপ হবে।
আধো ঘুমের সেই ঘন কালো অন্ধকার
যেখানে এক ফোঁটাও আলো নেই বলে
নিঃশ্বাস আঁটকে আসছিল আমার।
অন্ধকার ঘরের ভেতর আরও একটা
অন্ধকার যেন নড়ছে চড়ছে।
জমাট বাঁধা কালো ঘন ছাইয়ের মত কিছু
ছেয়ে আছে চারদিকে।
যার ভেতর আঁতকে উঠে
পথ খোঁজা
আরও খানিকটা শ্বাসের জন্য ছটফট।
এর ভেতর কোথায় যে ফেললাম
অতগুলো লাইন তা তো মনেই পড়ছে না।
একান্ত আটপৌরে লাইন সব
যা অন্তত উপর উপর আতঙ্ক চিহ্নিত নয়।
হয়ত অল্প আলো দেখাবে তারা
জোনাকির মত এই অন্ধকারে।
মোবাইল আর জ্বালতে হবে না।
0 comments: