রম্যরচনা - মানস চক্রবর্তী
Posted in রম্যরচনা
রম্যরচনা
একদিন তারা
মানস চক্রবর্তী
তারা বলাবলি করছিলো যেসব খবর নিয়ে তা প্রকৃত পক্ষে সময় কাটানোর ব্যবস্থা। কিন্তু এর মধ্যে কিছু বিষয়ে তারা মুখর ছিল, যেমন টাকার দাম, পুনরাধুনিক সাহিত্য, এবং উথ্থাঞ্জলী তেল যা শক্ত হাড়কে নরম করে।
তাদের একজন প্রস্তাব দিল এই বর্ষায় ভদ্দুকুরে সে পাড়ায় গেলে কেমন হয়? এবং তারা দল বেঁধে রূপোগাছীতে হাজির হলো। পথে নিজেদের যতটা সম্ভব চাগিয়ে রাখতে মোবাইলে পর্নো ছবি দেখলো।
সেখানে নানা মেয়ে, ঢং করে একেকটা ঘরে তাদের নিয়ে সেঁধিয়ে গেল।
ঘন্টাখানেক পরে সবাই পান দোকানের সামনে হাজির হয়ে দ্যাখে একজন আগেই এসে গেছে। শীঘ্রপতন নিয়ে হাসাহাসিতে সে বল্ল, নারে শালা, যার ঘরে গিসলুম তার নাম যে রহিমা, শুনে টাকা গুনে দিয়ে পেন্টুল পড়ে সোজা রাস্তায়।
তাইলে এই টিপটিপে বিষ্টিতে কি করবি বল?
বাগবাজারে পৌঁছে দ্যাখে হেব্বী ব্যাপার ... পুনরাধুনিক কবিকে সম্মান দেবে আজ। তারা আবার আলোচনা শুরু করে দিল ... নিশ্চয়ই দারুণ লেখা ... নিশ্চয়ই পুনরাধুনিক না হোক অন্তত অত্যাধুনিক কেউ পুরস্কার দেবে। তারা রূপোগাছী থেকে ফিরে হেবী খিল্লী বোধ করে হলে প্রবেশ অবাধের সুযোগে বসে পোল্ল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মঞ্চে পুনরাধুনিক কবিতা পাঠ শুরু হলো। একজন রেকর্ড কল্লো মোবাইলে।
' তোমার চোখে দেখেছি কেঁচোর উল্লাস
সুপুরি গাছ প্রেয়সী আমার এই বর্ষায়
হারামীরা সব বগোল বাজায়'
সবাই হাততালি দিল। ওব্বাবা তাপ্পর দেখা গেল পুরস্কার নিতে লম্বা লাইন... এ ওঠে সে নামে -ওঠে দলে দলে -নামে দলে দলে। সোজা হয়ে উঠছে -হামা দিয়ে নামছ। শেষকালে যে উঠলো সে নাকি এই হলের লাইট ম্যান।
মঞ্চ থেকে ঘোষণা হলো .... এবার সব শ্রোতাকেও পুরস্কার দেয়া হবে।
এই শুনে তারা দেদ্দৌড়...
0 comments: