ধারাবাহিক - স্বপন দেব
Posted in ধারাবাহিক
ধারাবাহিক
আমার বারুদবেলা—১৬
স্বপন দেব
১৯৭২ এর মার্চের প্রথম দিকেই পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান হয় এবং পশ্চিমবাংলার নির্বাচনী ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন কুখ্যাত সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। সেবারের নির্বাচনে, এমন কি জ্যোতি বসুও পরাজিত হয়েছিলেন বরানগরের এক অখ্যাত স্কুলের অখ্যাত এবং অপরিচিত স্কুল শিক্ষকের কাছে। কিন্তু, তার আগেই ১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাসে দুটি কাকতালীয় সমাপতন ঘটে। তার একটি হলো আমার শারীরিক অসুস্থতা এবং সরকারী চিকিৎসালয়ের চিকিৎসা পদ্ধতিতে উষ্মা জানিয়ে আমার পরিবারের তরফ থেকে তদানীন্তন রাজ্যপাল ডায়াসের কাছে একটি আবেদন করে আমার সু-চিকিৎসার জন্য একটি আবেদন-পত্র পেশ করা হয়। আর এই আবেদন পেশ করার দিন দশেকের মধ্যেই আমি যে নিউরো সার্জেনের অধীনে ছিলাম তিনি রুটিন বদলি হয়ে অন্য কোন এক সরকারি হাসপাতালে যোগ দিলেন আর তাঁর যায়গায় যিনি এলেন, তিনি আমার পিসতুতো দাদার খুড়তুতো ভাই এবং আমার বিশেষ পরিচিত! নাম ডাক্তার রূপেন ঘোষ। আমার পরিবারের তরফ থেকে রাজ্যপালের কাছে যে আবেদন করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে রাজ্যপালের অফিস থেকে আমার শারীরিক অবস্থা, চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং এ যাবৎ আমার চিকিৎসার জন্য কত খরচ হয়েছে এবং আরও কত খরচ হতে পারে ও আমার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা, ইত্যাদি তথ্য জানতে চেয়ে হাসপাতালের সুপারের কাছে জানতে চাওয়া হলো। সুপার আবার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, মানে আমার পিসতুতো দাদার ভাইয়ের কাছে যাবতীয় তথ্য জানতে চাইলেন। আমার সঙ্গে তাঁর পূর্ব-পরিচিতির কথা কেউই জানতোনা। তাই তিনি যখন আমার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলে লিখিত মতামত পেশ করলেন সুপারের কাছে, তখন সেটা নিছকই একজন ডাক্তারের মত হিসেবে গ্রাহ্য হলো এবং সুপার সেটির ভিত্তিতে রাজ্যপালকে কি রিপোর্ট দিয়েছিলেন, সেটি আমার জানা না থাকলেও একটি দুরাশা তো ছিলই! হাসপাতালের সুপারের দেওয়া সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৯৭২ সালের পাঁচ-ই ফেব্রুয়ারীতে হাসপাতালে আমার রিলিজ অর্ডার চলে এলো! সেদিনটি ছিল সম্ভবত মঙ্গলবার আর সপ্তাহে একদিন, শুধু বৃহস্পতিবার আমার বাড়ির লোকেদের অনুমতি দেওয়া হতো আমার সঙ্গে দেখা করার। সে একটা ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছিলাম। সরকার থেকে আমার মুক্তি ঘোষণা হওয়ার পরে হাসপাতাল কর্ত্বিপক্ষের আমাকে ডিসচার্জ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। অথচ, ঐ শারীরিক অবস্থায় কেবলমাত্র স্ব-চেষ্টায় বাড়ি ফিরে যাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল, কারণ তখনও আমি হুইল চেয়ার ছাড়া এক পা হাঁটতে পারতাম না। মনোজ নামে সেই ওয়ার্ডবয়টির কাছে আমি আজও কৃতজ্ঞ। কারণ নিজের ডিউটি অফ করে তিনি আমার কাছে বাড়ির ঠিকানা জেনে নিয়ে আমার মাকে জানিয়ে এসেছিলেন আমার মুক্তির সংবাদ। বিকেলে মা এসে আমাকে বাড়ি নিয়ে যান এবং রিক্শাখাটালের লোকেরা এবং পাড়ার কিছু ছেলে মিলে আমাকে প্রায় চ্যাংদোলা করে ঘরে এনে শুইয়ে দেন। আমার দূর সম্পর্কের সেই ডাক্তার দাদার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং তাঁর সুপারিশে এর দিন তিন চার পরেই এক বিশেষ ধরনের হুইল চেয়ার সমেৎ মা আমাকে নিয়ে বিমানে করে ভেলোরে যান এবং সেখানে সু-চিকিৎসার ফলে আমি অনেকটাই সুস্থ হই। এখন আমি কারো কাঁধে ভর করে কিংবা লাঠি ধরে হাঁটি হাঁটি পা করে টয়লেটে যেতে পারি। মে মাসের শেষের দিকে ভেলোর থেকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, বাড়ি ফিরে টানা ছ’মাস ফিজিওথেরাপি আর কিছু ওষুধ ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে। বাড়ি এসে ওই অক্ষম শরীরেও আমি মনের জোর হারাইনি। কিন্তু শারীরিক কারণে আমার পক্ষে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিলনা। তখন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিদিন সকালে খবরের কাগজে মুড়ে হকার আমার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যেত আমার পরিচিত কমরেড দের লাশ। আজ বরানগর তো কাল বেলেঘাটা, কোথাও একসঙ্গে ২৩ জন আবার কোথাও একসঙ্গে ৫৬ জন মারা গেছে গতকাল। পুলিশের হিসেবে এগুলি এনকাউন্টারে মৃত্যু। কিন্তু আমি তো জানি, অন্তত শহরে আমাদের কমরেডরা কোনও অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করতনা। আর করলেও সেগুলি খুবই মামুলি কিছু পেটো আর সকেট বোমা। যে যুবকটি আমাকে রোজ দুবেলা ফিজিওথেরাপি করতে আসতো, আমার অনুরোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে কিছু খবর এনে আমাকে দিত যেগুলি মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। তখন আমাদের অধিকাংশ নেতা, কর্মী, সমর্থক, আশ্রয়দাতাদের জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে আর যারা বাইরে আছেন তারা প্রতিদিন, প্রতি রাত প্রহর গুনছে সিদ্ধার্থ রায়ের পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার। বিদ্যাসাগর কলেজে যার বক্তৃতা শুনে আমি রাজনীতিতে আকৃষ্ট হয়েছিলাম, যাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমি বক্তৃতা করেছি, আমাকে সামনে রেখে তাঁরা নিরাপদে তখন WBCS পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন! পরবর্তীতে এদের মধ্যে অন্তত দুজন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলেন, একজন সুদূর নরওয়েতে চলে গিয়ে পরবর্তীতে একজন ধণার্ঢ্য এন আর আই হয়ে বছরে দুবার কলকাতায় এসে কবিতার বই বের করেছেন, একটি প্রকাশনী সংস্থা খুলেছেন, প্রচুর অর্থ ব্যয়ে নিজের উপর ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানিয়েছেন, কেউ অধ্যাপনা করেছেন আবার কেউ সফল ব্যবসায়ী হয়েছেন। সে কথায় পরে আসবো। কারণ এদের মুখোশগুলি খুলে দেওয়ারও প্রয়োজন আছে। এরা সবাই এখন সু-প্রতিষ্ঠিত, কেউ বা রিটায়ার করে নিউ টাউনে বিলাস-বহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। অথচ, নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে এযাবৎ যতগুলি বই এবং লেখা বেরিয়েছে তার সবকটাতেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নরওয়ে প্রবাসী এবং WBCS পরীক্ষায় বসে পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারিদের নাম রয়েছে একেবারে প্রথম সারিতেই এবং বেশ গুরুত্ব দিয়েই। এর কারণ হলো, এই সব বইগুলি যাঁরা লিখেছেন, তাঁদের কেউই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এঁরা এদের নামগুলি পেয়েছিলেন কফি হাউসের বিপ্লবীদের কাছ থেকে। আমি সব থেকে বেশি আশ্চর্য হই যখন একদিকে ওই সমস্ত বইয়ে এদের বিশাল নকশাল নেতা বলে পরিচয় দেওয়া হয় অথচ এরা কি অবলীলায় বিনা পুলিশি রিপোর্টে অথবা পুলিশি রিপোর্টে এদের সম্পর্কে কোন অভিযোগ না থাকায় সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন হন! আবার অন্য দিকে আমি তদানীন্তন CESC তে ভালো ইন্টারভিউ দিয়েও কেবলমাত্র পুলিশ রিপোর্ট বিরুদ্ধে যাওয়ায় পাওয়া চাকরি থেকে বঞ্চিত হই। অন্য দিকে ১৯৭১ এর শেষের দিক থেকে সরকার ও পুলিশের প্ররোচনায় বেশ কিছু সমাজবিরোধী বিপ্লবী সেজে ঢুকে পড়ে দলে। মূর্তি ভাঙ্গা, তোলা আদায় করা, সাধারণ ট্রাফিক পুলিশকে মারার মাধ্যমে এরা নকশালদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিতৃষ্ণা জাগিয়ে তুলতে থাকে। আবার অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই চারু মজুমদারের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। একদিকে সি পি আই এম এল এর উপর সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের প্রশাসনের চরমতম আক্রমণ, অন্যদিকে পার্টির আভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য। চিনা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে কিছুদিন ইউরোপে কাটিয়ে ২৭শে নভেম্বর, ১৯৭০ সৌরেন বসু দেশে ফিরে দেখা করেন চারু মজুমদারের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক চারু মজুমদারের কাছে তিনি চিনা নেতাদের সঙ্গে আলোচনার একটি কপি পেশ করেন। সেখান থেকে সুনীতি ঘোষ ও সরোজ দত্ত একটি করে কপি নেন। কিন্তু এই ঘটনাটি চাপা থাকলোনা। এই সংবাদ খুব দ্রুত পার্টির উচ্চতর ও মধ্যস্তরে ছড়িয়ে পড়লো যে চিনা নেতারা সি পি আই এম এল এর লাইনের সমালোচনা করেছেন। চিনা পার্টির এই সমালোচনা কেন্দ্রীয় ভাবে পার্টিতে প্রচারের আগেই প্রকাশ পেয়ে যাওয়ায় সেটা নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ১৯৭১ এর প্রথম দিক থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাংলা-বিহার-ওড়িশা সীমান্ত আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক ও পূর্বাঞ্চল জোনাল ব্যুরোর আহ্বায়ক অসীম চ্যাটার্জি পার্টির বিভিন্ন লাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন।
না, আমরা বরং আর একটু পিছিয়ে যাই। পিছিয়ে যাই সি পি আই এম এল গঠিত হওয়ার পর ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৭২ সালের জুলাই পর্যন্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়। পার্টি গঠনের পর অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ১৯৭০ সালের মার্চ মাসের ১৪/১৫ তারিখে বেহালার একটি বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় সি পি আই এম এল এর প্রথম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সন্মেলন। ওই সন্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের সংখ্যা সঠিক ভাবে জানা না গেলেও অনুমান করা হয় যে এই সংখ্যা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। সুশীতল রায়চৌধুরিকে সম্পাদক করে ১৪ জনের রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছিল। নির্বাচিত সদস্যরা হলেন, চারু মজুমদার, সুশীতল রায়চৌধুরি,সরোজ দত্ত, সৌরেন বসু, সুনীতি ঘোষ, অসীম চ্যাটার্জি, মহাদেব মুখার্জি, খোকন মজুমদার, কানু সান্যাল, জঙ্গল সাঁওতাল, সাধন সরকার, অসিত চক্রবর্তী, কালীপ্রসাদ চৌধুরি এবং শ্যামসুন্দর বোস। এই সন্মেলন থেকেই পার্টি কংগ্রেসের জন্যে প্রতিনিধি নির্বাচন ও পার্ট কংগ্রেসের জন্যে লিখিত খসড়া কর্মসূচী ও খসড়া সংবিধান নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থ্যাৎ সি পি আই এম এল তখন থেকেই এক সর্বভারতীয় আন্দোলন ও বিপ্লবের রূপরেখা প্রস্তুতিতে মগ্ন ছিল। অত্যন্ত বিশ্বাসী এবং পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত অল্প কিছু কর্মীই শুধু এই প্রস্তুতির কথা জানতেন। পুলিশের নজর এড়ানোর জন্যে গার্ডেনরিচে একটি নকল বিয়েবাড়ির আড়ালে ১৯৭০ সালের ১৫-১৬মে তে শুরু হলো সি পি আই এম এল এর প্রথম পার্টি কংগ্রেস। ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকে আসা প্রতিনিধিদের নিয়ে শুরু হলো এই পার্টি কংগ্রেস। এগারো জন সদস্য নিয়ে একটি পলিটব্যুরো গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। নকশাল বাড়ি আন্দোলন তখন অন্ধ্রেরও দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু অন্ধ্র কমরেডদের দুটি গ্রুপ তৈরি হয়ে যায় এবং সেই দুটি গ্রুপ পারস্পরিক বিবাদে জড়িয়ে পরেন। তাই ঠিক হয় যে চারুবাবু শীঘ্রই অন্ধ্রে গিয়ে দুটি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে একটি মীমাংসায় আসবেন এবং তারপরে অন্ধ্র থেকে দুজন নেতাকে পলিটব্যুরোতে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই অন্ধ্রের নেতৃত্বদানকারী কমরেডরা হয় ধরা পড়েন, না হয় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়ে যান। ফলে পলিটব্যুরোতে অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না।
এতগুলি কিস্তি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পরে আবার কেন আমাকে পেছনের দিকে তাকাতে হচ্ছে? এর কারণ হলো জেল-বন্দী থাকাকালীন এই সব খবর বা তথ্যগুলি পৌঁছায়নি আমার বা আমাদের কাছে। তাই, এই পুরোনো কাসুন্দি নতুন করে ঘাঁটা। তবে আমার বারুদ-বেলার প্রথম পর্বের সমাপ্তি রেখা টানছি এইখানেই। আরও অনেক তথ্য ও ঘটনাবলী নিয়ে খুব শীঘ্রই ফিরে আসবো বারুদবেলার দ্বিতীয় পর্বের ডালি সাজিয়ে।
এই একটিই কিস্তি পড়ার সুযোগ হল। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ReplyDeleteএই একটিই কিস্তি পড়ার সুযোগ হল। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ReplyDeleteপ্রথম পর্বের সমাপ্তিটা হতাশ করল !
ReplyDeleteলেখক কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভংগ করলেন ! যে টান টান উত্তেজনার আমেজ তিনি জিয়িয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন সেটা পরের পর্বে পাবো কিনা, পরের পর্বের সূচনা কবে হবে সেইসব প্রশ্নগুলি অমীমাংসিত রেখেই লেখকের অন্তর্ধানে হতাশ হলাম !
ReplyDeleteঋতবাক এর প্রধান আকর্ষনের এই হঠাৎ অন্তর্ধানের কারণ কি ?
ReplyDeleteওয়েবজিনেও যে পর্ব হয় জানা ছিলনা। আর যেহেতু এটি ছিল একটি ধারাবাহিক আলেখ্য তাই এর ধারাবাহিকতাটাই ক্ষুণ্ণ হল। সমাপ্তি টাও যেন হঠাৎ করে দাঁড়ি টেনে দেওয়া!
ReplyDeleteঅপেক্ষায় রইলাম। - পল্লববরন।
ReplyDeleteনকশাল আন্দোলনের মতোই হঠাৎ শেষ হয়ে গেলো। - পল্লববরন।
ReplyDeleteAmar Bhattacharya er LAL TAMSUL boi theke prochur paragraph almost hubohoo copy kore ei 16 ta porbo lekha.
ReplyDelete"গবেষণা" কথাটার মানে বোঝেন? কারোর লেখা চুরি করাটা অপরাধ সেটা জানেন? রাজনীতি করেছেন তো নিজের আত্মকথনটা নিজে লিখুন, তথ্য সংগ্রহের নামে প্রথমেই যাদের উক্তি এবং বই থেকে টুকেছেন, তাদেরেক গালাগাল দিয়ে লেখা শুরু করে লাভ?
ReplyDeleteশেষ দুটি মন্তব্যে দু'জন দু'টো কথা বলেছেন। একজন অমর ভট্টাচার্যের লাল তমসুক থেকে লেখাটি টুকেছি বলেছেন। তিনি জেনেশুনে মিথ্যে বলেছেন হয়তো বা আমার এই পর্বের লেখায় তাঁর আঁতে ঘা লেগেছে বলে! বইটির নাম লাল তমসুক, নকশাল বাড়ি আন্দোলনের প্রামাণ্য তথ্য সংকলন। এটি কোন মৌলিক সাহিত্য বা শিল্পকর্ম নয়। অমরবাবু নিজেও বিভিন্ন বইপত্র ও সংবাদপত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। লেখাটির শেষে অবশ্যই কোথা থেকে তথ্যগুলি আহরণ করা হয়েছে তার বিবরণ দেওয়া হত। লেখাটি এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু আপনাদের উদ্দেশ্য লেখাটিকে আর এগোতে না দেওয়া! আপনাদের ভয় হয়তো তাতে আবার নতুন করে কারো চিরিত্র উন্মোচিত হয়ে যেতে পারে!
ReplyDelete