1

প্রবন্ধঃ মনোজিৎ কুমার দাস

Posted in


প্রবন্ধ

ভারতীয় প্রাচীন নারী কবিদের গীতিকবিতায় প্রেমকল্প
মনোজিৎ কুমার দাস 



ভারতীয় সাহিত্যে প্রাচীনকাল থেকে নারী কবিরা চান্দগ, সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার অসংখ্যক প্রেমের কবিতা রচনা করেছেন। বৈদিকযুগ থেকে খ্রীষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ভারতীয় নারী কবিদের প্রেমের কবিতার উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা এ নিবন্ধের উদ্দেশ। 

প্রাচীন ভারতীয় ভাষা সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃততে সেকালের নারী কবিরা তাঁদের কবিতায় প্রেমের যে অনুষঙ্গ তুলে ধরেছেন তা আমরা দেখার চেষ্টা করবো। প্রথমে তাঁদের লেখা লিরিকধর্মী বা গীতিধর্মী কবিতা প্রসঙ্গে দু’চারটি কথা বলে নেওয়া যেতে পারে।

প্রেমের মূলে কাম, কিন্তু কাম যে প্রেম নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রেম যে কাম নয়---- কামের উর্দ্ধায়ণ এটা স্বত:সিদ্ধ। আদিমকালেও একজন পুরুষ আর একজন নারী যুথবদ্ধ জীবন থেকে পৃথক হয়েছে পারস্পরিক মোহ চুম্বকের কারণে।

যেখানে প্রেম প্রাণধারণেরর স্থুল ক্রিয়াকলাপের সাথে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িত, সেখানে প্রেম নিছকই দেহের খাদ্য, যাকে দেহসম্ভোগ সর্বস্ব কাম বলা যেতে পারে। আবার দেহসম্ভোগ সর্বস্ব কাম যখন দেহকে ছাড়িয়ে মনের খাদ্য হয়ে ওঠে তখন তা প্রেমে পর্যবসিত হয়। সামাজিক রীতিনীতির বেড়াজালে প্রেমাসক্ত নরনারীর জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। লিরিক বা গীতিধর্মী কবিতায় প্রেম অনুরণিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার মতোই ভারতীয় প্রাচীন সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষা লিরিক বা গীতিধর্মী কবিতায় ঋদ্ধ । 

প্রাচীন সংস্কৃতসাহিত্যে কয়েকজন নারী কবির প্রাচীনতম প্রেমের কবিতার সন্ধান পাওযা যায়। এ সমস্ত নারী কবিদের কাল ও পরিচয় যথাযথভাবে নিরূপন করা কঠিন হলেও গবেষকদের মতে কারো কারো কাল খৃষ্টপূর্বাব্দে, আবার কারো কারো কাল ৬ থেকে ১৩ শতকের মধ্যে। ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যে যে সব নারী কবিদের নাম জানা যায় তারা হচ্ছেন, লোপমূদ্রা, বিজ্জিকা, বিকটনিতম্বা, শীলা ভট্টারিকা, অবন্তিসুন্দরী, প্রিয়ংবদা, ভাবকদেবী, প্রমুখ। 

ঋকবেদের বৈদিক সুক্তে (শ্লোকের সমষ্টি) অগস্ত্যের পত্নী লোপামুদ্রার দুটো ঋককে (শ্লোক) প্রেমের কবিতার মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। ঋষি কবি লোপমুদ্রা তাঁর ভোগস্পৃহাহীন, উদাসীন, তপস্বী স্বামী অগস্ত্যকে অকপট ভাষায় নিজের কামনা ব্যক্ত করেছেন। কবি, অনুবাদক ও গবেষক সুশীলকুমার দে অনূদিত লোপামুদ্রার ‘আক্ষেপ’ সূচক গীতিধর্মী দুটো কবিতা উদ্ধৃত করা যেতে পারে এখানে।

লোপামুদ্রা।।আক্ষেপ দিবস রজনী শ্রান্ত আমারে দীর্ঘ বরষ জীর্ণ করে, প্রতি ঊষা হয়ে কায়ার কান্তি, ---- আসুক পুরুষ নারীর তরে।১ দেব- সম্ভাষী সত্যপালক পূর্ব ঋষিরা, তাদের ঘরে ছিল জায়া, তবু ছিল তপস্যা --- যাক নারী আজ পুরুষ তরে।২ 

(ঋকবেদ: লোপমুদ্রা।। আক্ষেপ: অনুবাদ: সুশীলকুমার দে: হাজার বছরের কবিতা—অবন্তী সান্যাল, পৃষ্ঠা-৪১) 

লোপামুদ্রার স্বামী অগস্ত্য সুন্দরী ঋষি স্ত্রীকে নিজ গৃহে ফেলে রেখে ভাদ্রের প্রথম দিবসে নিরুদ্দেশে গমন করলে নারীঋষি লোপমুদ্রার মধ্যে বেদনাবোধ আর আক্ষেপের সুর অনুরণিত হয়েছে, যা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত হলেও তাতে নিখাদ নারীত্বের আকুতিই প্রকাশ পেয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে বেদের ভাষা সংস্কৃত নয়, ছন্দগ । 

চতুর্বেদের মধ্যে অথর্ববেদ অন্যতম। ঋকবেদের বিমূর্ত কাম অথর্ববেদের শ্লোকে বিশিষ্টরূপে প্রতিভাত হয়েছে। মনের প্রথম বীজ কাম, যা ছিল যৌন- অযৌন যে কোন কামনা, অথর্ববেদে তা সকল দেবতাদেরও বড়, কখনো কখনো আগ্নির সঙ্গে অভিন্ন; শুধু তাই নয়, অথর্ববেদে কাম মন্থন, তার তীক্ষ্ম শায়ক হৃদয় বিদ্ধ করে। এ যে পরবর্তী যুগের অতি পরিচিত পুষ্পধনু মদনের পূর্বাভাস। যে সূক্তে কামের এই বর্ণনা আছে সেটি ঈপ্সিত নারীকে আয়ত্ত করার আভিচারিক মন্ত্র । মন্ত্র মানেই প্রার্থনা যদি আন্তরিক হয়, তাহলে মন্ত্রকারের হৃদয়াবেগে তা অতি সহজেই কবিতা পদবিতে উন্নীত হয়। অথর্ববেদের এই মন্ত্রটি সম্পর্কেও এই কথাই প্রযোজ্য । অতি উচ্চাঙ্গের না হলেও এটি যে কবিতা আর তা যে প্রেমের কবিতা, অস্বীকার করার উপায় নেই। ঠিক এই ধরনের আরও একটি মন্ত্র আছে। সেটির মন্ত্রকার নারী। সেখানে কামনার তীব্রতা বিস্ময়কর। মন্ত্রটি যেন এক কামনাক্ষুব্ধ নারী হৃদয়ের তপ্ত আলোড়ন।’ (হাজার বছরের কবিতা—অবন্তী সান্যাল, পৃষ্ঠা-৯, প্রকাশক: বিশ্ববাণী, কলকাতা-৯) 

এখানে সেই অজ্ঞাত নারী কবির কবিতা উদ্ধৃত করা যেতে পারে।

বশীকরণ (পুরুষকে নারী)

মাতাও, মাতাও বায়ু তার মন; মাতাও, মরুদগণ; 
অগ্নি, আমার প্রণয়ে তাহার চিত্ত করো গো উচাটন; 

আপাদ-শীর্ষ্ আমার বিরহে তাহারে; মোর প্রেমে যেন লভে সে লয়। (অথর্ববেদে: অজ্ঞাত নারী কবি- অনুবাদ আশুতোষ ভট্টাচার্য)।

বিজ্জিকা সংস্কৃত ভাষার প্রেমধর্মী কবিতার একজন নারী কবি। তাঁর কাল সম্বন্ধে মতভেদ আছে। কারো মতে তিনি ৮ম শতাব্দীর আগের কালের কবি নন । সংস্কৃত ভাষায় লেখা বিজ্জিকার একটি কবিতার বঙ্গানুবাদ এমন: 

হে প্রাণবন্ধু, ফিরিয়ে তোমার কতদিন আর রয়েছে আর বাকী? 
চাঁদরো কিরণ দহন করিছে—এই পোড়া দেশে কেমন করে?

অনুবাদ:সুশীলকুমার দে 

এ কবিতায় যে আকুতি ব্যক্ত হয়েছে তা প্রষিতভর্তিৃকারও হতে পারে আবার দূরে থাকা প্রেমিকের প্রতি প্রেমিকারও হতে পারে। বিজ্জকা বা বিজ্জা নামে একজন মহিলা কবির ‘ কৌমুদী মহোৎসব ‘ নামে একটা নাটকের কথা জানা যায়। তিনি সম্ভবত চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর জ্যেষ্ঠপুত্র চন্দ্রাদিত্যের পত্নী বিজয় ভট্টারিকা। অনেক গবেষকের মতে বিজ্জকা ও বিজয় ভট্টারিকা একই জন । বিজ্জকার কবিতার দেহনিষ্ট প্রেমের বর্ণনা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। প্রথম স্বামী সহবাসে নববধূ অভিব্যক্তি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন নারী কবি বিজ্জতার তাঁর ‘বসন্ততিলক’ ছন্দে রচিত সংস্কৃত ভাষার এ কবিতাটিতে এভাবে উঠে এসেছে - 

ধন্যাসি যা কথায়সি প্রিয়সঙ্গমেহপি
বিশ্রব্ধচাটুকশতানি রতান্তরেষু। 
নীবীং প্রতি প্রাণিহিতে তু করে প্রিয়েণ 
সথ্য:! শপামি যদি কিঞ্চিদপি স্মরামি 

নারী কবি বিজ্জকার ‘বসন্ততিলক’ ছন্দে রচিত সংস্কৃত ভাষার এ কবিতাটির অনুবাদ বিভিন্ন ভাষায় হয়েছে বলে জানা যায়। আমরা এখানে এ কবিতার বাংলা অনুবাদ তুলে ধরব।

ধন্য তোমার সখি, তোমাদের এত কথা থাকে মনে—
পটু চাটু যত নর্মবিলাস হযেছে যা প্রিয় সনে; 
কটিবসনের বন্ধন যবে টুটালো সে প্রিয়—কর—শপথ আমার, 
সখি, যদি কিছু মনে থাকে তারপর! 

বঙ্গানুবাদ: সুশীলকুমার দে 

নারী কবি বিজ্জকার এ কবিতার ভাব, ভাষা ও রস মাধুর্য্ অপূর্ব । নববধূর বিবাহিতা বান্ধবীরা ঠাট্টাছলে তাকে নানা কথা জিজ্ঞাসা করায় সে বলল- তোরা থন্যি, তোরা এখনো বলতে পারছিস কেমন মুগ্ধ হাসিটি হেসেছিলি প্রিয়তমের সাথে কত রঙ্গরসিকতায়। তোরা সবই বলতে পারিছিস। আমারে তো ভাই কটিবন্ধ ছুঁয়েছিল, বাস! এইটুকু শপথ করে বলছি সখি, এইটুকু, আর আমার মনে কিছুই নেই। 

ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যের প্রেমের অনুষঙ্গের কবিতায় বিমূর্তভাবের পরিবর্তে পুরুষ ও নারী উভয় কবিদের লেখায় খোলামেলা ভাবে দেহনিষ্ঠ বিষয়াদি প্রকাশ করতে কুন্ঠাবোধ করেনি। সত্যি কথা বলতে সংস্কৃত সাহিত্যে নরনারীর সম্পর্কে আদিরসাত্মাক চিত্র সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। তবে নারী কবি বিজ্জকার উল্লিখিত কবিতায় বিমূর্ত ভাব না থাকলেও আছে এক বিশেষ ধরনের কাব্যিক প্রকাশ, যা নি:সন্দেহে অপূর্ব্।

বিকটনিতম্বার পরিচয় ভালভাবে জানা যায় না। কোন কোন গবেষকের মতে এটা কোন পুরুষ কবির ছদ্মনাম। তবে অন্য গবেষকরা তাঁকে নারী কবি হিসাবেই উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মতে, তিনি ৮ম থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যে কোন এক সময়ের নারী কবি। তাঁর লেখা একটি কবিতারে অনুবাদ থেকে তাঁকে নারী কবি বলেই মনে হয়।

ত্রিকোণ, পৃথিবী, তার অর্ধেক রহে নগ-নদী, 
অর্ধেক তার নারী আর শিশু, যোগী আর রোগী যদি, 
থাকে কয়জন, তা হতে মান্য ছাড়ি গুরুজন সব? 
মিছে অপবাদ— অসতীঅসতী মুখর এ মুখ—রব ।

অনুবাদ:সুশীলকুমার দে 

ভাবকদেবী একজন নারী কবি। তাঁর কাল ১০ শতাব্দীর আগে । ভাবকদেবীর কবিতায় সেকালের নারী জীবনের আক্ষেপ ও দু:খের কথা ব্যক্ত হয়েছে তাঁর লেখা থেকে অনুধাবন করতে কষ্ট হয় না। এবারও আমরা সুশীলকুমার দে’র অনুবাদে তাঁর কবিতা দেখব।

স্বামীরা স্বাধীন, তবে কেন মিছে লুটিছে আসিয়া আমার ? 
মন বসেছিল অন্য কোথাও, কিছুদিন তবে? কি দোষ তায়? 
পতির বিহনে সতী নাহি বাঁচে, এই কথা আজো সকলে কহে—
আমি বেঁচে আছি তোমার বিরহে,-- দোষ আমার, তোমার নহে।

প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা ও গবেষক নীহাররঞ্জন রায় তাঁর ‘ বাঙালীর ইতিহাস ‘ মতে ভাবকদেবী বা ভাবদেবী এবং নারায়ণ লক্ষ্মী এ দু’জন সে সময়ের নারী কবি। 

মোরিকা ত্রয়োদশ শতাব্দীর কিংবা ত্রয়োদশ শতাব্দীর আগের মহিলা কবি । প্রাচীনকাল থেকেই কবি, সাহিত্যিকরা ছদ্মনাম ব্যবহার করে আসছেন। এজন্য কে মহিলা কবি আর কে পুরুষ কবি তা জানা কষ্টকর। ভাবকদেবী ও মেরিকার কবিতায় চটুলভাব প্রকটভাবে ধরা দিলেও নারীর মর্মবেদনা প্রকাশ পেয়েছে। 

বিরহের শ্বাস কত না তাহার কাঁচুলি নিত্য ছিড়িয়া পড়েছে, একবার তুমি এস ওগো, আর সেলাইয়ের সুতা নেই যে ঘরে। (অনুবাদ:সুশীলকুমার দে ) 

সংস্কৃত ভাষার প্রাচীন নারী কবিদের মধ্যে ঋদ্ধতার নিরিখে শীলা ভট্টারিকা অন্যতম। তাঁর কাল ১০ম শতাব্দীর আগে। তিনি সে যুগের বিশিষ্ট নারী কবি হিসাবে স্বীকৃত । সংস্কৃত ভাষার লেখা শীলা ভট্টারিকার নিচের কবিতাটি থেকেই তাঁর কাব্য প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর মেলে।

য: কৌমারহর: স এব হি বরস্তা এব চৈত্রক্ষপা— 
স্তে চোন্নীলিতমালতীসুরভয়: প্রৌঢ়া: কদম্বনিলা:।
সা চৈবাস্মি তথাপি তত্র সুরতব্যাপারলীলাবিধৌ: 
রেবারোধসি বেতসীতরুতলে চেত: সমুৎকন্ঠতে। 

শীলা ভট্টারিকার এ কবিতার গৌরব অসামান্য । স্বয়ং চৈতন্যদেব শীলা ভট্টারিকার এ কবিতারটির রসাস্বাদন করে ভাবাবিষ্ট হতেন বলে জানা যায়। আমরা এই অসাধারণ সংস্কৃত এই কবিতাটির যথাক্রমে সুশীলকুমার দের বাংলা ভাষান্তর তুলে ধরব। 

কৌমার মোর হরেছিল যেই, সেই বর সেই চৈত্ররাতি;
তেমনি ফুল্ল মালতী গন্ধ , কদম্ব – বায়ু বহিছে মাতি; 
আমিও তো সেই!—তবু সেদিনের সে—সুরতলীলা কিসের তরে 
রেবাতটে সেই বেতসীর মূলে আজিও চিত্ত আকুল করে । 

সংস্কৃত ভাষার প্রেমের কবিতায় প্রেমের অঙ্কুর, বৃদ্ধি ও পরিস্ফুটন দেহকে কেন্দ্র করে হলেও তা পরিশেষে দেহাতীত হয়েছে এবং দেহগত সমস্ত অনুভূতির উর্ধ্বে তা এক আনন্দঘন উপলব্ধি জন্ম দিয়েছে।এ অনুষঙ্গের প্রকৃত প্রমাণ মেলে শীলা ভট্টারিকার য: কৌমারহর: স এব হি বরস্তা এব চৈত্রক্ষপা— এ শ্লোকে । লৌকিক বিষয় ভিত্তিক এ শ্লোকটি দেহগত সমস্ত অনুভূতির উর্ধ্বে রেখে দয়িতা স্মৃতিচারণ করছেন। 

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুবাদকৃত অজ্ঞাত একজন কবির এ কবিতাটি একজন নারী কবির রচনা বলে ধারণা করা যেতে পারে।

আসে আসুক রাতি, আসুক বা দিবা, 
যায় যদি যাক নিরবধি। 
তাহাদের যাতায়াতে আসে যায় কিবা 
প্রিয়জন নাহি আসে যদি ।

(অনুবাদ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হাজার বছরের কবিতা—অবন্তী সান্যাল, পৃষ্ঠা-৭২, প্রকাশক: বিশ্ববাণী, কলকাতা-৯) 

এছাড়াও আরো অনেক প্রাচীন নারী কবি তাঁদের গীতিধর্মী কবিতার প্রেমকে দু:খ- বেদনা, হাসি- আনন্দ, মান-অভিমান সহ নানা আঙ্গিকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, যা আজও বিশ্বসাহিত্যাঙ্গনে লোকায়ত ও চিরন্তন ।

1 comment:

  1. আপনার লেখাটি পড়ে অনেক জানলাম। নমস্কার জানবেন

    ReplyDelete