0

ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত

Posted in




















২৩ 

আল্পসের উপত্যকার আকাশের চেহারাটা তখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছিল, যখন ফ্রান্সেস্কো এবং আগাথা গির্জা থেকে বেরিয়ে এসেছিলো। তারা গ্রামের পেছনের দিকের রাস্তা ধরলো, যেখানে মালবেরির জঙ্গল এবং আঙুরক্ষেতের মধ্য দিয়ে রাস্তাটা ধাপে ধাপে পাহাড়ের দিকে উঠে গেছে। পেছনের দিকে তাকিয়ে ফ্রান্সেস্কো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছিল যে ঠিক কোনখানে সে সীমানা লঙ্ঘন করেছে; কিন্তু তার মনে কোনো খেদ ছিল না। সে বদলে গেছে। অন্যরকম এক উত্তরণ ঘটেছে তার; সে মুক্ত! 

আসন্ন রাতের শরীরে অদ্ভুত এক নেশা লেগে রয়েছে। সম্ভবত লোম্বার্ডির দিক থেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ো বাতাস বইছে। পাহাড়ের ছায়াময় অন্ধকার সিলুয়েটের পেছনে মাঝে মাঝে খেলে যাওয়া বিদ্যুতের আঁকাবাঁকা রেখা ঠিক যেন একটা পাখার মত দেখতে লাগছে। লাইলাকের বিশালাকার ঝোপজঙ্গল থেকে ছড়িয়ে পড়া সুগন্ধ শুধু নাতিশীতোষ্ণ বাতাসেই ভেসে বেড়াচ্ছে এমন নয়, মিশে গেছে পাহাড়ী ঝর্ণার জলধারাগুলিতে। এই পরিবেশে হেঁটে চলা দুটি মানুষের মধ্যেও সঞ্চার হয়েছিল অদ্ভুত নেশা। যদিও তারা কেউ কোনো কথা বলছিল না। পাহাড়ি উঁচুনিচু সুঁড়িপথে মাঝে মাঝে ফ্রান্সেস্কো আগাথার হাত ধরে তাকে আগলে রাখছিল। আগাথার হৃদপিণ্ড ধকধক করে উঠছিল তার শরীরের ছোঁয়ায়। ফ্রান্সেস্কোর তৃষ্ণার্ত ঠোঁট তার মুখের কাছাকাছি আসছিল বারেবারে। তারা সম্ভবত বুঝে উঠতে পারছিলো না তারা ঠিক কীভাবে কোন পথ ধরবে! কারণ সাভাগ্লিয়া গিরিখাতের দিক থেকে আল্পসের উপত্যকায় উঠে যাওয়ার সরাসরি কোনো রাস্তা ছিল না। তবে একটা ব্যাপারে দুজনেই একমত ছিল যে গ্রামের ভেতর দিয়ে কোনোমতেই যাওয়া সম্ভব নয়। আসলে গন্তব্য নিয়ে সেভাবে হয়তো তাদের দুজনের কেউই ভাবছিল না; তারা তাদের পরস্পরের সঙ্গ এবং সান্নিধ্যের যাত্রাপথ উপভোগ করছিল। 

এতদিন পৃথিবী একদম শূন্য, নিষ্প্রাণ ছিল তার কাছে। আগাথাকে দেখার পর থেকে জীবনের অর্থ বদলে গেছে তার কাছে। তার এতদিনের ভাবনা, শিক্ষা, স্মৃতি সবকিছু তুচ্ছ হয়ে গেছে, তার পৌরোহিত্য, ধর্মভাবনা সব অসাড় বলে মনে হচ্ছে। তার শিকড়, তার পিতামাতা, শিক্ষক– সবকিছু পেছনে পড়ে রইলো- পুরনো, পরিত্যক্ত জীবনে ধুলো-পোকামাকড়ের স্তর যেভাবে পড়ে থাকে। সে ঈশ্বরের আদি পুত্র, আদম, স্বর্গের পারিজাতবনের দুয়ার উন্মুক্ত হয়ে গেছে তার সামনে এখন। এই স্বর্গে সে প্রতি পদক্ষেপে অনুভব করছে এক আনন্দদায়ক সুখ, সময় একেবারে থমকে দাঁড়িয়ে আছে এখানে। সে জানে না সে কোন সময়ে দাঁড়িয়ে আছে; সে ভুলে গেছে তার বয়স কত। যে নৈশ প্রকৃতি তাকে ঘিরে রয়েছে তা যেন শাশ্বত, অনন্ত। যে মুহূর্তে সে পেছনের সব কিছু পরিত্যাগ করে চলে এসেছে, তার সামনে এখন প্রাথমিক পাপে জড়িত এক অন্তরিন জীবন অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার জন্য সে বিন্দুমাত্র ভীত নয়। স্বর্গের নিষিদ্ধ ফল আস্বাদনে তাকে কেউ বাধা দিতে পারেনা। কেউ তার ক্ষতি করতে পারবে না। তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কেউ, কিম্বা স্বয়ং পোপও নন। তার সামনে স্বর্গীয় আনন্দ অপেক্ষা করে আছে। তার গুরুজনেরা, উর্ধতন পুরোহিতেরা এখন আর কেউ তার গুরু নন। তারা পৃথিবীতে বেঁচেছেন, কিন্তু পৃথিবী তাদের ভুলে গেছে। দিনগত পাপক্ষয় করে, দাঁতে দাঁত চিপে, নীতিকথা আউড়ে এক অদ্ভুত জীবন যাপন করে গিয়েছেন তারা। ফ্রান্সেস্কো আর ফ্রান্সেস্কো নয়, সে স্বর্গীয় প্রশ্বাসে জেগে ওঠা আদম, ইডেন উদ্যানের প্রভু। নিষ্পাপ সৃষ্টির পূর্ণতায় তার মত করে কে বাঁচতে পারে? তারারা কেঁপে উঠলো, স্বর্গীয় আনন্দের শিহরণ উঠলো চারিদিকে। 

বিশাল উপত্যকায় বিলাসী ভঙ্গিতে বিচরণ করে বেড়ানো গাভীর মত আদুরে স্বরে মেঘ ডেকে উঠলো। সুপক্ক রসালো বেগুনি ফল সতেজতা আর মিষ্টত্ব ঢেলে দিতে প্রস্তুত হল। মহীরুহের কাণ্ডে দেখা দিল সুগন্ধি সর্জরসের স্বেদ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফুটে থাকা ফুলে ফুলে জেগে উঠল কেশরের সৌরভ। কিন্তু এই সব শিহরণ প্রস্তুত হয়ে ছিল, সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে ছিল ইভের উপরে, কারণ সে নিজেই সব ফলের নির্যাসে জারিত, সব কেশরের সৌরভে সুরভিত। সবকিছু মিলেমিশে সে নিজেই এক অলৌকিক সৃষ্টি। সব ফলের সতেজতা, সব ফুলের পরাগরেণু এবং কেশরের সুগন্ধ- তাদের সর্বোত্তম সংমিশ্রণ দিয়ে সৃষ্টিকর্তা ইভের কেশ, ত্বক এবং শরীর নির্মাণ করেছিলেন এবং তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য, গড়ন সবকিছুই অতুলনীয়; এইসব কিছুই সৃষ্টিকর্তার কর্মের রহস্য। ইভের দেহাংশ লিলি গাছের পাতা এবং গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি এবং এক অদ্ভুত দ্যুতি বের হয় শরীর থেকে। শরীর একই সঙ্গে সূক্ষ্ম অথচ দৃঢ়। ইভ যে ফল নিয়ে আসবে তার চারিদিকে এক জীবন্ত স্পন্দিত আবরণ আছে, এই ফল অতি সুস্বাদু, তার গুণ, স্বাদ, বর্ণ সর্বদা অক্ষুণ্ন।এই নিষিদ্ধ ফলের স্বাদ গ্রহণ করার অর্থই হল সৃষ্টিকর্তার যে ক্ষমতা, তার শক্তিকে অনুভব করা, তারই কাছাকাছি যাওয়া। ঈশ্বর তার কাজ এখানেই শেষ করেছেন, এমন নয়। সৃষ্টি অসমাপ্ত রেখে তিনি বিশ্রাম করেন নি, কিম্বা সৃষ্টিকে একা ছেড়ে দেন নি। বরং তার সৃজনশীল হাত, চেতনা এবং শক্তির আরও বিকাশ ঘটেছে এবং তা সদা কর্মরত অবস্থায় রয়েছে। ফ্রান্সেস্কো যেন আদম -সবে সৃষ্টিকর্তার কর্মশালা থেকে সৃষ্ট হয়ে আবির্ভূত হয়েছে এই স্বর্গে। সে বুঝতে পারছে যে তাকে ঘিরে নিয়ত চলছে কর্মের খেলা, সৃষ্টির যজ্ঞ। জাগতিক ভাবনার অনেক উর্ধে, অন্য এক স্তরে ঈশ্বরের সৃষ্ট এই কন্যকা, ইভের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা যে প্রেমের মধ্য দিয়ে তাকে রচেছেন, সেই পবিত্র প্রেমের পরশ এখনো রয়েছে তাকে ঘিরে। বিভিন্ন পবিত্র উপাদান দিয়ে তার রচনা, তার শরীরে এখনো জাগতিক ধূলিকণার লেশমাত্র লাগেনি। কিন্তু এই সৃষ্টি এখন কেঁপে উঠছে, উতলা হয়ে উঠছে, তাকে ঘিরে রয়েছে এক স্বর্গীয় জ্যোতির্বলয় যা এক সৃজনশীল শক্তির আকর; সেই বলয়ের মধ্যে ইভ মিলিত হতে চায় আদমের সঙ্গে। 

ফ্রান্সেস্কো এবং আগাথা, আগাথা এবং ফ্রান্সেস্কো, যাজক, সম্ভ্রান্ত অভিজাত পরিবার থেকে আগত এক তরুণ এবং অভিশপ্ত, ভাগ্যহীন, একঘরে করে দেওয়া দরিদ্র মেষপালকের পরিবারের কন্যা – এরা যেন আদিম মনুষ্যদম্পতি যারা উপত্যকার রহস্যময় পথে রাতের অন্ধকারে হাতে হাত রেখে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের গভীর গোপনীয়তা প্রয়োজন। তাদের নীরব আত্মা এক অদ্ভুত আনন্দময় ঔৎসুক্যে ভরে উঠছিল, আন্দোলিত হচ্ছিল তাদের হৃদয়, বিশ্বকালের গভীর গোপন যাত্রার পথে পা বাড়িয়েছিল তারা। 

তারা উতলা হয়ে উঠেছিল। তাদের পরস্পরের দেখা হওয়ার যে সংযোগ, তা তাদের ঐশ্বরিক আশীর্বাদ বলে মনে হয়েছিল। অন্তরে অন্তরে এক অদ্ভুত সুখে ভেসে যাচ্ছিল তারা। তাদের মনে হয়েছিল যে তাদের শরীর, মন সবকিছুই যেন এক চুম্বনের দ্বারা সংযুক্ত হয়ে গিয়েছে। এখন তারা এক অজানা গন্তব্যের দিকে ভেসে যাচ্ছে। এ এক রহস্যময় যাত্রা। এই রহস্যের কারণেই ঈশ্বর এই প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীতে মৃত্যুর আবির্ভাব ঘটেছে। 

ধীরে ধীরে এই মানব মানবী নেমে এলো সাভাগ্লিয়া নদীর গভীর গিরিখাতের কাছে। জলধারার কিনারা দিয়ে সরু পায়ে চলা পথ চলে গিয়েছে সেই অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত নদীখাতের কাছে, যেখানে পাহাড়ের বিশাল উচ্চতা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জলপ্রপাত। জলপ্রপাত থেকে কিছু দূরে নদীটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে, আবার মিলে গিয়েছে কিছু দূরে; মাঝে তৈরি হয়েছে এক ছোট সবুজ দ্বীপ। ফ্রান্সেস্কোর অত্যন্ত প্রিয় এই স্থানটি। বেশ কিছু তরুণ আপেল গাছ আছে এই দ্বীপে। পায়ের জুতো খুলে আদম তার ইভকে কোলে তুলে নেয়। তারপর জলধারা পেরিয়ে চলে যায় সেই দ্বীপে।... ‘এসো, নাহলে আমি মরে যাবো!’ ফিসফিস করে সে বেশ কয়েকবার এ কথা বলে আগাথাকে। প্রেমাস্পদ যুগলের মত্ত পদক্ষেপে দলে যায় ড্যাফোডিল আর ইস্টার লিলির গুল্ম। 

গ্রীষ্ম যথেষ্ট উষ্ণ এই গিরিখাতের মধ্যেও। তবে এই দ্বীপটি অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা, কারণ শীতল জলধারা একে ঘিরে রেখেছে। কীভাবে এত শীঘ্র এমন মুহূর্ত এলো এই যুগলের জীবনে? কীভাবে সময় এত দ্রুত এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়ালো? এই দ্বীপের মালিক যে কৃষক, সে খুব সুন্দর একটা কুটির বেঁধে রেখেছে এই দ্বীপে। গ্রাম থেকে অনেক দূরে এই দ্বীপ; আবহাওয়ার ওঠাপড়ায়, হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি এলে যাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে, সেইজন্য পাথর, মাটি আর কাঠকুটো দিয়ে বাঁধা হয়েছে এই ঘর। শুকনো পাতা বিছিয়ে পুরু শয্যার মত তৈরি করা আছে এই কুটিরে। হয়ত নিজের অজান্তে আদমের মনে এসেছিল এই কুটিরের কথা, তাই সে ইভকে নিয়ে আল্পসের পাহাড়ি চড়াইয়ের উঁচু পথে যাওয়ার বদলে নেমে এসেছে গিরিখাতের উপত্যকায়। কুটির যেন এই যুগলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। প্রকৃতির অদৃশ্য হাত সাজিয়ে রেখেছে তাদের মিলনের উৎসবস্থল। কুটিরটিকে ঘিরে আছে এক অদ্ভুত আলোর মেঘপুঞ্জ। জোনাকির গুচ্ছ ঝাঁক বেঁধে জ্বলছে, নিভছে। তৈরি হয়েছে আলোর বলয়। মনে হচ্ছে মহাকাশ থেকে নক্ষত্রখচিত ছায়াপথ নেমে এসেছে এই কুটিরের সামনে। 

অপূর্ব এই নীরব ঐন্দ্রজালিক দৃশ্যপটের সামনে ফ্রান্সেস্কো এবং আগাথা বিস্মিত হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। ফ্রান্সেস্কো ভাবছিল যে এই স্থান কি এই বিশেষ কারণে তাকে এইভাবে আকর্ষণ করতো? একদিন এই বিশেষ জায়গাটির গুরুত্ব এমনভাবে বদলে গিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়াবে, একথা কে জানতো? তার মনে হত যে এইখানে জগতসংসার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে সে ঈশ্বরের একান্ত সাধনায় সময় কাটাতে পারবে। এই দ্বীপ যেন বাইবেলে বর্ণিত ফ্রাত অথবা হীদেকেল নদীর মাঝের এক দ্বীপ, স্বর্গের অন্তরমহলে একান্ত গোপনীয় এক আনন্দময় স্থান। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক রূপ এখন যেন সম্পূর্ণ বদলে গেছে, এত সুন্দর এর আগে তার লাগেনি এই স্থান। রহস্যময় আলো তৈরি করেছিল জোনাকির ঝাঁক, কী সেই আলো? আত্মদানের আগুন, নাকি বিবাহের সাক্ষী হিসেবে জ্বলে ওঠা এক পূতাগ্নি? এই পরিবেশ তাকে বহির্জগতের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দিলো। সে যদি জগত ভুলে না যেত, তাহলে সে জানে যে স্বর্গের পারিজাতবনের দরজা সে পেরিয়ে আসতে পারতো না। সেই দরজায় সমুদ্র থেকে উঠে আসা সাত মাথাওয়ালা জন্তু, এক ভয়ানক ড্রাগন পাহারা দেয়। যারা ড্রাগনের পূজারী, তাদের সঙ্গে সে কীভাবে যুঝে উঠতো? তারা কী করে? কী আবার, ঈশ্বরের নিন্দা করে। যদিও তাদের ভুলভাল বুকনি ঈশ্বরের কানে পৌঁছায় না। এখন, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ফ্রান্সেস্কোর নিজেকে ঈশ্বরের সবচেয়ে কাছের মানুষ বলে মনে হতে লাগলো। এক অদ্ভুত বলয়ের মধ্যে সুরক্ষিত মনে হল নিজেকে। আপন ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ বিস্মৃত হল সে। পাহাড়ের মাঝে জলপ্রপাতের ধ্বনিতে সে অদ্ভুত স্বর্গীয় সুর শুনতে পেলো। উঁচু নিচু পাহাড়ি প্রান্তর যেন বাজিয়ে চলেছে এক শাশ্বত অর্গান। আকাশের অগণিত তারা সুর মিলিয়ে তান তুলছে সোনার হার্পে (বীণা)। দেবদূত, স্বর্গের কিন্নরদল গেয়ে চলেছে অসীম এক সমবেত সঙ্গীত। বেজে উঠছে ঘণ্টা। এ যেন উদ্বাহবন্ধনের উৎসবের ঘণ্টাধ্বনি; আকাশে, বাতাসে বেজে উঠছে, ছোট, বড়, গভীর, উঁচু, শক্তিশালী, মৃদু নানা ধরণের ঘণ্টা। পঞ্চভূতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো এক অপ্রতিরোধ্য আনন্দনিষ্যন্দ সমারোহ এবং তারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধীরে ধীরে ডুবে যেতে লাগলো পাতার বিছানায়। 

-------------- 

(চলবে) 

গেরহার্ট হাউপ্টমান রচিত ‘ড্যের কেৎজার ফন সোয়ানা’ অবলম্বনে লেখা 



0 comments: