গল্প - সৌরভ হাওলাদার
Posted in গল্পঘুম ভেঙে যায় চিরন্তনের। এখনও রাত ভাঙতে দেরী। জানালায় ভারী পর্দা, তার ওপর দিয়ে শৌখিন সাদা ওড়নার আচ্ছাদন। আচ্ছাদন, পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকায়। শেষরাতের আঁধারে সামনে ছড়ানো এক অপূর্ব মায়াময় প্রান্তর। আকাশে চাঁদ নেই, এলোমেলো কিছু তারা, শহুরে ঔজ্জ্বল্যে বোধহয় দলছুট। ওদের দিকেই তাকিয়ে থাকে। কোথাও সামান্য উঁচুনিচু, মাঝখান দিয়ে একঢালা রাস্তা। একেঁবেকেঁ বহুদূর। চিরন্তনের দেশে? সে তো পৃথিবীর অন্যপাশে। সেখানে এখন খটখটে দিন। পরিচিত ব্যস্ততা। ডাক্তার বন্ধু অনিরুদ্ধ কে ফোন করে। বন্ধুর ফোন পেয়ে অনিরুদ্ধ অবাক। “কীরে? কীখবর? কোথায় আছিস?”
আমি ইউএস থেকে বলছি।
অনিরুদ্ধ, বন্ধুর এদেশ ওদেশ ছুটে বেড়ানো বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। হাতের কাজ সরিয়ে বলে, “হ্যাঁ বল, তোর ওখানে তো মাঝরাত। তো এতো রাতে কী মনে করে? শরীর খারাপ?”
হ্যাঁরে, মনে হচ্ছে প্রেশারটা ফ্লাকচুয়েট করছে।
দেশে ফিরবি কবে?
সামনের মাসে হতে পারে।
বেশ, একটা থরো চেকাপ করিয়ে যাস। আর খুব কষ্ট হলে, ওখানকার হাসপাতালে চলে যাস। চেপে রাখিসনা।
হুঁ
হুঁ কী? তোর এই রোগ কর্পোরেট সিন্ড্রোম। তোকে একটা কথা বলব?
বল
তুই চাকরিটা ছাড়। অনেক রোজগার করলি
তুই তো বলেই খালাস, চাইলে ছাড়া যায়?
তাহলে স্টার্ট আ হবি
হবি?
যা তোর ভালো লাগে। তোর এই কাজের বাইরে।
সময় কোথায়?
তা বললে হবে? চয়েস ইজ ইওরস। স্কুলে থাকতে কত কী করতি, মনে আছে? আবার শুরু কর। দেখবি ভালো লাগবে।
অনিরুদ্ধ ব্যস্ত ডাক্তার, দুপুরের এই সময়ে ওকে আর বেশি না জ্বালানোই ভালো। কয়েকদিন যাবদ শরীরটা ঠিক যুতে নেই। পঞ্চান্ন বছর বয়স হল। একটু ভয়ে ভয়ে থাকে। ফোন খুলে ক্যলেন্ডারে চোখ বোলায়। সকাল থেকে পরপর ব্যস্ততার খতিয়ান। কলকাতা আপিসে তার ব্যক্তিগত সচিব কমলিকার তিনটে বার্তা। আজ সন্ধ্যায় নৈশভোজ, এক ধনকুবের সম্ভাব্য খদ্দেরের সাথে। তারপর আগামীকাল এবং তারপরের কয়েকদিন। কিছু মিটিং আমেরিকার অন্য প্রান্ত হয়ে ইওরোপ ঘুরে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত। সেই মতো উড়োজাহাজের বোর্ডিংপাস ইমেল-র সাথে এসে পড়ে আছে।
গোলার্ধের অন্যদিকে কমলিকা লক্ষ্য করে, চিরন্তনকে অনলাইন দেখাচ্ছে। আজ প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেল, চিরন্তনের সাথে আছে। বুঝতে পারেনা, লোকটা কখন ঘুমোয়! যে কোন ইমেল দশমিনিটের মধ্যে উত্তর করে। নামের পাশে সবুজ আলো জ্বলতে দেখে, জিজ্ঞেস করে "এখনও জেগে?"
চিরন্তন ফোনে উত্তর টাইপ করে, "হুঁ"
কাল সকালে, মানে আপনার সন্ধ্যায় জর্জ তিমোরের সাথে ডিনার আছে।
হুঁ
এখানে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির আপিস থেকে আপনাকে চাইছিল। আমি বলেছি এমাসে সম্ভব নয়। প্রয়োজন হলে, ভিডিও কনফারেন্স করতে পারি। উনি জানাবেন বলেছেন।
হুঁ
কমলিকা বুঝতে পারে, ওর ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাছ থেকে এখন 'হুঁ'-র বেশি উত্তর আসবেনা। এর অর্থ, চিরন্তনের মস্তিষ্ক অন্য কিছু ভাবনায় বিভোর। তাই আর কথা না বাড়িয়ে, চ্যাট উইন্ডো বন্ধ করে দেয়।
চিরন্তন সত্যিই বিভোর। সামনের নৈসর্গিক দৃশ্যও কে যেন এক অন্য জন্মের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে, বাবার হাত ধরে নদীর পাড়ে, বাণ দেখতে যাওয়া। নতুন চোখ দিয়ে প্রকৃতির পাঠ নেওয়া, ঘাসের ছোট ছোট পাতার ওপর গঙ্গাফড়িংএর চলন। খপ করে একটা বড় পতঙ্গের পিছনের পা-দুটো চেপে ধরে ফেলে, চোখের খুব কাছে নিয়ে এসে দেখা। আবার ওকে আঘাত না করে ছেড়ে দেওয়া। একদিন সেই নদীর ঘাটে ভোরবেলা আবিস্কার করে, একটা কাক ঘুড়ির সুতোয় বাঁধা পড়ে গাছের ডাল থেকে ঝুলছে। বাবা কোথা থেকে একটা লম্বা আঁকশি নিয়ে আসে। তারপর খানিক গাছে চড়ে, ফাঁদে পড়া পাখিটাকে মুক্ত করে। কোথাও কি ও নিজেও অমন ফাঁদে আটকে আকাশ আর মাটির মাঝামাঝি ঝুলছে?
ঘুম না এলে, কাজে বসে চিরন্তন। ব্যাগ খুলে ল্যাপটপ বার করতে গিয়ে একটা বাংলা কাগজ বেরিয়ে আসে। মনে পড়ল গত সপ্তাহে এদেশে আসার সময় এয়ারপোর্ট থেকে কাগজটা পেয়েছিল। যদিও পুরোনো, তাও বাংলা হরফ দেখে পড়ার উৎসাহ হয়। ল্যাপটপ না খুলে কাগজটাই দেখতে থাকে। এর মধ্যে বোর্ড মেম্বারদের পক্ষ থেকে ইমেল এসছে, গত কোয়ার্টারে কোম্পানির বৃদ্ধি নিম্নমুখী। সে বিষয়ে চিরন্তন কী ভাবছে জানতে চেয়েছে। এইসব ইমেল আসার অর্থ, চিরন্তনের ঘুম চলে যায়, ঘাড়ে যন্ত্রণা বেড়ে বিপি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ব্যবসা না বাড়লে, জোগান আসবেনা আর জোগান কমলে, অস্তিত্বর সঙ্কট। নিচের তলায় অতটা না হলেও, সবার ওপর চিরন্তন, ওর মাথা সর্বপ্রথম কাটা পড়বে, বলাই বাহুল্য। চিরন্তন আর কিছু চিন্তা করতে চায়না। আপাততঃ একটা ফুরনো পুরোনো বাংলা কাগজে মন দেয়। এই কাগজে বিশ্ব বাজারের ওঠা পড়ার সংবাদ নেই, না আছে কোন ধনকুবের আরও কত কোটি উচ্চতায় ঘর বসালো সে সব খবর। স্থানীয় আটপৌরে খবরে মন দেয়।
দুপুরের আদান প্রদান থেকে কমলিকার কাছে পরিস্কার যে, ওর বস আজ তেমন কাজ দেবে না। চিরন্তন মাসের ভেতর তিন সপ্তাহ শহরের বাইরে থাকে, তার মধ্যে দুসপ্তাহ আমেরিকায়। আজ একটু তাড়াতাড়িই বেরিয়ে পড়ে, মা-র কাছে, চন্দননগরে যাবে। অনেকদিন যাওয়া হয়নি।
কমলিকাদের বাড়ি একটু সেকেলে ছাঁদে গড়া। মাঝখানে উঠোন আর চারিদিক দিয়ে ঘর, সেখানেই কাকা জ্যাঠাদের সাথে ওর মা শঙ্করী-ও থাকে। বাবা চলে যাওয়ার পর শঙ্করী হঠাৎই যেন বৃদ্ধা হয়ে পড়ল। নিজের ঘরে, একা একা থাকে আর সারাদিন লেখালেখি করে। কমলিকা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, "এতসব কী লিখছো মা?" শঙ্করী শিশুর মতো জবাব দেয়, "কী আর লিখব? এই ঘরের জানালা দিয়ে যা দেখি, তাই লিখে রাখি।" কমলিকা হাতে করে কিছু খাবার নিয়ে ঘরে ঢোকে। শঙ্করী নিজের খাটে বসে, জলচৌকির ওপর মনযোগ দিয়ে লিখেই চলেছে। কমলিকার দিকে না তাকিয়েই বলে, "কমল এলি? ফ্রিজে একটু ঘুঘনি রাখা আছে, সকালেকরেছিলাম। খেয়ে নিস।"
মা, সিঁড়ির বাতিটা কেটে গেছে, পাল্টাওনি কেন?
বাবলুকে বলেছিলাম, ওর এখন বসিরহাট না টাকি যেন কোথায় কাজ চলছে, সময়ই পাচ্ছেনা।
বাবলু ছাড়া আর কেউ নেই? ছোটকাকে তো বলতে পারো?
না রে, এসব ফাইফরমাস খাটার জন্য ওদের বলা যায়?
সত্যি মা, তুমি পারোও। নিজেকে এমন একা করে রাখো।
একা কেন? এই যে ঘর ভরা তোর আর তোর বাবার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। আমার তো সেই সময়ের গন্ধেই মন ভরে থাকে। একা থাকার ফুরসত কখন পাবো বল?
তাই বলে, সিঁড়ি অন্ধকার হয়ে থাকবে?
আচ্ছা সন্ধের পর সিঁড়ি আমার কোন কাজে লাগে? তুই এত চিন্তা করিসনা, যা হাতমুখ ধুয়ে হাল্কা হয়ে বোস।
কমলিকা, স্নান ঘরে চলে যায়। আজ প্রায় পনেরো বছর এ বাড়ি থেকে চলে গেছে, অথচ প্রতিবার এলেই মনে হয়, ঠিক যেন গতকালের কথা! তার প্রধান কারণ, কমলিকার মা। মেয়ের আর মেয়ের বাবার প্রতিটা জিনিস ঠিক যেমন রেখে গিয়েছিল, তেমন ভাবেই রয়েছে। একচুল এদিক ওদিক হয়নি। নিয়মিত ঝাঁড়পোছ করে সাজিয়ে রাখে। কমলিকা ভাবে, সত্যি মা কেমন নিজের কোটরে ঢুকে গেছে। যাই করুক, যেন সুস্থ থাকে। এর বেশি আর কিছু চায়না।
মা, তুমি তো আমার কাছে গিয়ে থাকতেই পারো, তাহলে আমায় অত দূর থেকে ছুটেছুটে আসতে হয়না।
দূরে থাকি বলেই টান আছে, জামাইএর সংসারে থাকা যায়? না থাকা উচিত?
তোমার জামাই কি আর সে রকম?
সেই জন্যই তো আমার আরও সাবধানে থাকা উচিত, যাতে ও ঠিকঠাক থাকে।
সারাদিন এই ঘর বন্দী হয়ে, ভালো লাগে? বাবা চলে যাওয়ার পর আরও যেন বেশি করে নিজেকে আটকে ফেললে।
তোর বাবা থাকাকালীন কত যেন বেড়িয়েছি?এই সংসারেই আমার বেঁচে থাকা, বেড়ানো, সব।
তাও, আমি চাই তোমায় নিয়ে বেড়াতে যেতে।
বেশ, তাই যাবি। এই রোববারের পরের রোববার।
কোথায়?
শিয়ালদা
শিয়ালদা?
কমলিকা চমকে ওঠে। শঙ্করী নিজের জলচৌকির ঢাকনা সরিয়ে একটা ভাঁজ করা খবরের কাগজ বার করে। শীর্ণ হাতে কাগজটা এগিয়ে দেয়। কমলিকা কাগজটা হাতে নিয়ে অবাক হয়ে দেখে। একটা টেলিভিশন চ্যানেল থেকে বিজ্ঞাপন, গল্পকার চায়। ওদিন ওরা একটা লিখিত পরীক্ষা নেবে, তারপর বাছাই হবে। কমলিকা বিজ্ঞাপনটা পড়ে, মায়ের দিকে তাকায়। বলিরেখায় দীর্ণ মায়ের মুখে, কেমন একটা সলাজ হাসি, "ওদেরকে ফোন করেছিলাম, আমার নাম ঠিকানা নিয়েছে। ওইদিন যেতে বলেছে।" কমলিকা মাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে বলে, "নিশ্চই নিয়ে যাব। তুমি প্রস্তুত থেকো।" ফিরে আসার সময়, এক অন্য রকম ভালোলাগায় ঘিরে থাকে। মা-কে এমন ভাবে কিছু চাইতে দেখেনি। এই প্রথম নিজেকে প্রকাশ করার একটা ইচ্ছে জেগে উঠেছে। সারাজীবন মা, নির্বিবাদে সংসারের নানা কাজে নিজেকে নিঃশেষ করেছে। আজ এই পরিণত বয়সে নিজের জন্য কিছু চাইছে, ভেবেই কমলিকার চোখ ভরে আসে।
আপিসে যোগ দিয়ে, কর্মব্যস্ততার ঘেরাটোপে ডুবে যায়। সেখানে ওর কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কবে কোথায় কার সাথে মিটিং? কোন হোটেল, কোন ফ্লাইট? এই ছাড়া আর কিছু নেই। আমেরিকা থেকে জার্মানি হয়ে, চিরন্তন দুদিনের জন্য দুবাই এসেছে। এখান থেকে আবার পাশ্চাত্তে ফিরবার কথা। হঠাৎই কমলিকাকে ফোন করে চিরন্তন। "দুবাই থেকে রিটার্নটা কলকাতা হয়ে কোরো। ওখানে পরের উইকেন্ডটা থাকব।" নির্দেশ শুনে কমলিকা একটু দমে যায়, পরের উইকেন্ড মানে, মায়ের সাথে শিয়ালদা যাওয়ার কথা। আগেরদিন, মাকে নিজের ফ্ল্যাটে এনে রাখবে, ঠিক করে রেখেছে। এরমধ্যে, চিরন্তন যদি কোন দাপ্তরিক কাজ রাখে, ওকেও সাথে যেতে হবে। বহুদিন পর মা নিজের মুখে কিছু চাইল, আর ওদের পৈতৃক বাড়ির বাইরে পা দিতেও রাজি হয়েছে। এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায়না। ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকল। তবে শুক্রবার অবধি, চিরন্তন কোনো উইকেন্ড মিটিংএর কথা বলেনা। কমলিকা আপিসের পর সোজা চন্দননগর চলে আসে, শঙ্করীকে নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে এনে রাখে। রবিবার সক্কাল সক্কাল শঙ্করী তৈরী হয়ে নেয়। কমলিকা নিজের মেয়ের মতো শঙ্করীকে প্রস্তুত করে।
শিয়ালদার কাছে এক পুরোনো স্কুল বাড়িতে পরীক্ষার আয়োজন। চারিদিকে ভীড় করে আছে বিভিন্ন বয়সী অজস্র পরীক্ষার্থী। তাদের দেখে, শঙ্করী একটু ভয় পেয়ে গেল। কমলিকাকে বলে, "হ্যাঁরে, কত সব লোক এসেছে। চল ফিরে যাই। আমি পারব না।"
আঃ মা, কী যে বল না? তোমার তো পারার কিছু নেই। ওরা ডেকেছে, তাই এসেছো। এখন ভালো করে লেখো, সেটা তুমি খুব ভালো পারবে।
বুঝিয়ে সুঝিয়ে, দেওয়ালে টাঙানো ঘর-আর-ক্রমিক-সংখ্যার তালিকা দেখে মা-কে ভেতরে পাঠিয়ে বাইরে এসে বসে। অবাক চোখে লক্ষ্য করে, কত রকম মানুষ এসেছেন! অল্পবয়সী কলেজের ছেলেমেয়ে, কমলিকার বয়সী গৃহবধূ থেকে শঙ্করীর মতো মানুষও কম নেই। এতজন গল্পকার? তারা কি লেখেন? কাদের কথা লেখেন? এসব লিখে কী হয়? আর কারা পড়ে? ওর মা-র লেখাই তো কখনও পড়ে উঠলনা। ‘মায়ের খেয়াল’ ভেবে এড়িয়ে গেছে। মনে মনে ঠিক করে, এবার গিয়ে শুনতে চাইবে।
সকলে ভেতরে ঢুকে গেলে, ফটকের সামনেটা খালি হয়ে যায়। শুধু ওর মতো কয়েকজন দাঁড়িয়ে, যারা সাথে করে কাউকে এনেছেন। বহুদিন পর এদিকটায় এসেছে কমলিকা। কলেজ বেলার দিন মনে পড়ে। হঠাৎ লক্ষ্য করে, ফুটপাথ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে একটা পরিচিত ঘোর কৃষ্ণবর্ণ মার্সিডিজ বেঞ্জ। এটা চিরন্তনের গাড়ি। কাছে এগোতে আরও নিশ্চিত হয়, কাচের একপাশে ওদের কোম্পানির লোগো আর একটু দূরে, চিরন্তনের ড্রাইভার লালমোহন, ভাঁড়ে চা খাচ্ছে। কমলিকাকে দেখে একগাল হাসে, "ম্যাডাম, চা খাবেন?" কমলিকা এগিয়ে আসে, "হ্যাঁ, চা বলো। তা, তুমি এখানে? বস এসেছেনা কি?"
হ্যাঁ, এসেছে তো। কী পরীক্ষা আছে বলল, ওই ইস্কুলে।
দারুণ দাদা 🌼
ReplyDeleteবাহ। বেশ লাগলো ভাই। প্রতিটি মানুষই এইভাবে কখনো না কখনো নিজের মনের আয়নার সামনে দাঁড়াতে চায়... মুখোশের মুখোমুখি, শুধু মুখ নিয়ে। তোমার লেখনীর গুণে সেই অসদবিম্ব মন ছুঁয়ে গেল।
ReplyDeleteবাহ। বেশ লাগলো ভাই। প্রতিটি মানুষই এইভাবে কখনো না কখনো নিজের মনের আয়নার সামনে দাঁড়াতে চায়... মুখোশের মুখোমুখি, শুধু মুখ নিয়ে। তোমার লেখনীর গুণে সেই অসদবিম্ব মন ছুঁয়ে গেল।
ReplyDelete