0

ধারাবাহিক - গার্গী বসু

Posted in





পর্ব ৫ 

প্যারিস হাউসে বাস করত একান্নবর্তী পরিবার। স্যামুয়েল প্যারিসের আত্মীয় স্বজন পরিবার এবং দাস দাসী মিলিয়ে অনেক লোকজন। সাত-আট জন ছোট ছেলেয়েমেয়ে থাকত সেই বাড়িতে। এলিজাবেথ প্যারিসের দেখা-শোনার ভার ছিল তিতুবার ওপরে। সবার মাঝে থাকলেও এলিজাবেথ প্যারিস যে আলাদা যত্ন পায় তা অন্য ভাইবোনের নজর এড়াত না। এলিজাবেথ বছর নয়েকের সরল-সাদা মেয়ে। চলন-বলন বা বুদ্ধিতে তখনও শিশু। মনের সব কথা নির্দ্বিধায় সে বলে দেয় সবার সামনেই। তার কথায় সবাই হেসে উঠলে সে নিজেও হাসতে হাসতে যোগ দেয় তাদের সাথে। এলিজাবেথ নামটাই তার জন্যে বড্ড দুর্বহ। ডাক নামে সে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। সবার কাছে সে পরিচিত “বেটি প্যারিস” নামে। বেটিকে এই ছোট জনপদে চিনত সবাই। ক্ষমতাশালী বিত্তবান বাবার একমাত্র মেয়ে বলে কথা। কিন্তু তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি ছিল তার “অ্যাবি দিদি” অর্থাৎ আবিগেইল উইলিয়ামস। বেটির ছায়াসঙ্গী সে। প্যারিসদের বাড়িতে সেও থাকে। সম্পর্কে স্যামুয়েল প্যারিসের বোনের মেয়ে। কিন্তু তার পরিবারের কেউই এখন বেঁচে নেই আর। এই বাড়িতে আসার অনেক আগেই আবিগেইল অনাথ হয়ে গেছিল। মামা তাকে এখানে নিয়ে আসার আগে সে থাকত একটা গির্জার অনাথ আশ্রমে আরও কয়েকজন অনাথ ছেলেমেয়ের সাথে। সেখানে বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে রাখা হত অলৌকিক সব গল্প বলে যাতে তারা দুষ্টুমি না করে। আর সেইসব গল্প অজান্তেই ঘর করে নিত ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের মনের মধ্যে। তবে শুধু গল্প নয়, আরও অনেক সাদা-কালো অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আবিগেইলকে তার অল্প বয়সেই। এই কঠিন পৃথিবীতে একা একা থাকার কষ্ট সে জানে। তার জীবনের অভিজ্ঞতাই তাকে অনেক দামি কথা শিখিয়ে দিয়েছে। বয়সের তুলনায় সে দেখতে পায় অনেক বেশি। মামাবাড়িতে আসার পর বেটির সর্বক্ষণের সঙ্গী হয় উঠল আবিগেইল। পাশাপাশি বেড়ে উঠতে থাকা দুই বোন ছিল বন্ধুর মত। বাড়ির লোকেরা দুজনকে আলাদা করে দেখেনি কখনও। তারা পড়ত একরকম পোশাক। চুল বাঁধত একরকম ধাঁচে। যে সূক্ষ্ম প্রভেদ কারুর নজরেই পড়ত না সেটা বুঝতে পারত একমাত্র একজনই। 

বেটির থেকে বয়সে এবং বুদ্ধিতে পরিণত আবিগেইল নিজেকে একটু লুকিয়ে সরিয়ে রাখে সবার থেকে। চোখা চেহারার মেয়েটি আদর যত্ন পেলে দিনেকালে যে অপরূপ সুন্দরী হয়ে উঠতে পারে এই কথাটা কেউ খেয়াল করেনি ঠিকই, কিন্তু আবিগেইল নিজে জানে সে কথা। প্যারিস হাউসে ছেলে মেয়েদের থাকতে হত শৃঙ্খলার মধ্যে। সাজগোজ করার সুযোগ তাদের ছিল না। ঘেরাটোপে বেড়ে ওঠা আবিগেইল লুকিয়ে চুরিয়ে আয়নার সামনে নিজেকে দেখতে ভালবাসত। একদিন আয়নাতে নিজেকে দেখে মনে হল সে যেন ধীরে ধীরে পূর্নাঙ্গ নারীতে বদলে যাচ্ছে একটু একটু করে। নিতান্ত সাদামাটা পোশাকের ভেতর থেকেও ঠিকরে বেড়িয়ে আসছে গভীর নীল রঙের চোখ, পালকের মত লম্বা, খয়েরি আঁখিপল্লব আর রেশমের মত চুল। অনাথ আশ্রমে কষ্টে, আধপেটা খেয়ে থেকেও তার কমনীয়তা ক্ষীণ হয়নি এতটুকু। বড় বড় দুটো চোখে ভীষণ কৌতূহল। তাকে যত লোকে না চিনত সে চিনত অনেক বেশি লোককে। কিন্তু ওইটুকুই। কথা সে কারুর সাথেই বিশেষ বলত না। তাই তার মনের খবরও জানত না কেউ। 

বাড়ির বাইরে পা রাখার সুযোগ মিলত না বললেই চলে। তাতে কি! ঘরোয়া মেয়েলি আড্ডাতেই যে রসদ থাকত তাই হয়ে উঠত মনোরঞ্জক। মাঝে মাঝেই শোনা যেত কোন বাড়িতে কি ঘটেছে, কোন ছেলেটি কোন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বা উঠতি বয়সের কোন ছেলে-মেয়েকে কথা বলতে দেখা গেছে একে অপরের সাথে ইত্যাদি। সেইসব কথা নিয়ে আবার বাড়ির কিশোরী মেয়েদের আড্ডা হত বড়দের লুকিয়ে। তাদের মধ্যেই কোন মেয়ে কোন ছেলেকে পছন্দ করে, কার কথা ভেবে রাতে ঘুম হয়না আর কাকে চুপিচুপি পেলে তার হাতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার কথা তারা ভাবে সেসব নিয়ে চাপা হাসি, ইশারা, লঘু ঠাট্টা সবই চলত। বড়রা কিন্তু জানতে পারতেন না। আবিগেইল সেইসব কথা শুনত মন দিয়ে। শৈশব আর তারুণ্যের মাঝামাঝি একটা সময় তখন তার জীবনে। 

তিতুবা পাহারা দিয়ে রাখত বেটি কে। এর মাঝেই একদিন ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটল। এক ছুটির দিন সকালে বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গায় বেটি তার অ্যাবি দিদির হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অন্যান্য বাড়ি থেকেও কয়েকটি বাচ্চা ছেলে মেয়ে বেড়িয়ে এসে তাদের বাড়ির বাগানে, সামনের রাস্তায় খেলা করছিল। একটা ছেলেকে দেখা গেল লম্বা লাঠির মাথায় জালের টুপি পরিয়ে নিয়ে একটা ফাঁদ তৈরি করেছে। সেই লাঠিটা নিয়ে ছোটাছুটি করে প্রজাপতি ধরছে সে। ছুটে যেদিকেই যাচ্ছে, প্রজাপতিগুলো প্রাণভয়ে পালাচ্ছে। বেটির এই ব্যাপারটা ভাল লাগল না। সে ছেলেটাকে ডেকে বলল, 

“তুমি প্রজাপতি ধরছ কেন? মরে যাবে তো ওরা” 

এই প্রশ্নের উত্তরে ছেলেটি দাঁত বের করে হাসল শুধু। তারপর আবার গিয়ে প্রজাপতি ধরতে লাগল। 

একটু দুরেই দাঁড়িয়ে ছিল তিতুবা। বেটি দৌড়ে এল তার কাছে অভিযোগ জানাতে। 

“তুমি তো বল প্রকৃতির ক্ষতি করে কেউ বাঁচতে পারেনা। ও তো বন্দী করে ফেলছে ওদের! প্রকৃতি ওকে কিছু বলছে না কেন?” 

তিতুবা সবটাই দেখেছে দূর থেকে। সে শুধু বলল, “বন্দী করলেই পাওয়া যায়না।“ 

বেটি এই কথার মানে বুঝল না। আবিগেইল তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছে এমন সময়ে একটা কান্নার শব্দ পাওয়া গেল। ছেলেটা কাঁদছে। এতক্ষণ ছোটাছুটি করে যে হলুদ রঙের প্রজাপতিটাকে ধরেছিল সেটা মরে পরে আছে। আর একটা লম্বা সুঁচ আড়াআড়ি বিঁধে আছে প্রজাপতিটার শরী্রে। হলুদ ডানাগুলো তখনও ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাচ্ছে। বিষক্রিয়া? একটা সামান্য প্রজাপতিকে কে বিষ দেবে? এই সূঁচটাই বা এল কোত্থেকে? কাঁদতে কাঁদতে হতভম্ব ছেলেটি হাত থেকে ফেলে দিল তার সাধের প্রজাপতি। লাঠি-জাল ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বাড়ির দিকে ছুটল হূড়মুড়িয়ে। 

তিতুবার ভাবলেশহীন মুখে কি ছোট্ট একটা হাসি খেলে গেল? নাকি আবিগেইল ভুল দেখল? কিন্তু বাকি ঘটনা? সেটা তো চোখের ভুল নয়। অনাথ আশ্রমের সব অলৌকিক গল্পের সাথে কিসের যেন খুব মিল আছে। দু-একবার বিড়বিড় করে সে বলল ‘অলৌকিক! অলৌকিক!’ 

তিতুবা ততক্ষণে বেটি কে সঙ্গে নিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকেছে। আবিগেইলও ওদের পেছনে পেছনে গেল। কিন্তু তার মন থেকে সন্দেহ গেল না। লুকিয়ে তিতুবার ওপরে নজর রাখতে শুরু করল সে। এরই মাঝে ফতোয়া জারি হয়ে গেল রাত্রে আলো নিভিয়ে দেওয়ার। আবিগেইল কিন্তু চোখ সরাল না তিতুবার থেকে। তারপর একদিন আবিষ্কার করল তিতুবা রাতে উঠে নিঃশব্দে জঙ্গলের দিকে যায়। আলোহীন শব্দহীন ছায়ামূর্তির মত। তার পিছু পিছু গিয়ে একটা রহস্য উদ্ঘাটন করবে ভেবেছিল। সে যে এত বড় একটা ঘটনার সাক্ষী হয়ে যাবে তা নিজেও ভাবেনি। অতিকায় কাকটা তিতুবার কাঁধ ঘেঁষে বসে মাথাটা ঠেকাল তিতুবার মাথায়। তারপরেই ঝপ করে অন্ধকার হয়ে গেল চারদিক। তিতুবা কি ঐ জ্যোতির্ময়ী চোখ বন্ধ করে ফেলল? কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেটি একটা তীক্ষ্ণ চিৎকার করে পেছন ফিরে দৌড়তে শুরু করল। আবিগেইল আর কিছু ভাবার সময় পেল না। সেও দৌড়তে আরম্ভ করল বেটির পেছনে পেছনে। এক দৌড়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকেই দেখতে পেল তিতুবা একজন পরিচারিকাকে সঙ্গে করে কাঠের ছোট্ট খাঁচার মধ্যে জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে নিয়ে সবে তাদের খোঁজে বেরোচ্ছে। বেটি বিস্ফারিত চোখে তিতুবার দিকে দেখল তারপর একটা গোঙানির মত শব্দ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে সে বারবার বলতে থাকল, “চোখ… চোখ… চোখ……।“ 

বইয়ের নেশা তো ছিলই, এখন সালেমের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য খুঁজে বের করার নেশা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ভায়োলেটের। স্কুলের লাইব্রেরী ছাড়া আরও একটা পাবলিক লাইব্রেরীতে নাম লিখিয়েছে কয়েক দিন হল। ঘুম থেকে উঠেই খবরের কাগজ দিয়ে দিন শুরু হয় আর শেষ হয় লাইব্রেরী থেকে আনা বই দিয়ে। এই কদিনে অনেক তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। লাইব্রেরীর বইগুলো থেকে ছোট ছোট নোট নিয়েও রাখে সে। সত্যিই এক ঘৃণ্য ইতিহাসের সাক্ষী এই সালেম শহর। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে যাদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হল, তাদের অপরাধ কি প্রমাণ হয়েছিল শেষ পর্যন্ত? নাকি নিরপরাধ কিছু লোককে স্রেফ খুন করে ফেলা হল? নিছক ভয় নাকি আসলে কোন বড় কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? আর এখানে এসেই ইতিহাস তার দরজা বন্ধ করে দেয়। 

এই ইতিহাসের ছত্রে ছত্রে অবাক করা সব রহস্য ছড়ানো। সেই রহস্যের সুতো এসে ঠেকে যায় বর্তমানের এক স্কুল- বালিকার কাছে। কিন্তু বিলি নিজে কি এ ব্যাপারে কিছু জানে? নাকি সে শুধু তিতুবার চেহারাটাই পেয়েছে কাকতালীয় ভাবে। ‘কাকতালীয়!’ কাক ! কাকের রহস্যটাই বা কি? 

সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক ভায়োলেট স্কুলের লাইব্রেরীর সামনে চলে আসে। লাইব্রেরীর দরজায় দাঁড়িয়ে আছে তিতুবা। চমকে ওঠে ভায়োলেট। না না। বিলিন্ডাকে দেখেছে সে। তার স্কুলের ছাত্রী বিলিন্ডা গ্রিন। স্কুলের পোশাক। কাঁধে ব্যাগ। লাইব্রেরীর সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে সে ভায়োলেটের জন্য। উষ্কখুষ্ক দেখাচ্ছে মেয়েটাকে। কি হয়েছে ওর? 

ভায়োলেট কে দেখতে পেয়েই বিলি একটু ইতস্তত করে বলল, “আমি আপনার সাহায্য চাই মিস ভায়োলেট!” 

অনেকদিন আগে কোন বইতে একটা কথা পড়েছিল ভায়োলেট। 

“তুমি যাকে খুঁজছ সেও আসলে তোমাকেই খুঁজছে” 

কথাটা মনে পড়ে গেল। স্মিত হেসে ভায়োলেট কাছে ডাকল বিলিকে। লাইব্রেরীতে এখন কেউ নেই। দুজনে বসে কথা বলাই যায়। ওরা দুজনে বসল দুটো চেয়ারে। বিলি তারাহুড়ো করে যা বলল তার অর্থ হল সে পথনির্দেশ জানতে চায় নিউইয়র্কের একটা ঠিকানার। ভার্জিনিয়া কেন্ট মিলারের বাড়ি যাবে সে। ভার্জিনিয়া তার পিসি। কিভাবে যেতে হবে সেই সম্পর্কে জানতে এসেছে সে ভায়োলেটের কাছে। ভায়োলেট এর আগে নিউইয়র্কে থাকত। তাই এ ব্যাপারে ভায়োলেটের সাহায্য চায় সে। 

বিলি ব্যাগ থেকে একটা ফটো বের করে ভায়োলেটের হাতে দিল। কালো কাঁচে ঢাকা একটা লম্বা গাড়ি | ফটোতে গাড়ির পেছন দিকটা দেখা যাচ্ছে। পাশেই একজন অপূর্ব সুন্দরী মহিলা দাঁড়িয়ে হাসছেন। মাথা ঢাকা টুপির ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আছে সোনালী চুল। নীল চোখ। বিলি আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করল ফটোর দিকে। উনিই ভার্জিনিয়া পিসি। কিন্তু বিলির আঙ্গুল অনুসরণ করে ভায়োলেটের চোখ আটকে গেল গাড়ির নম্বর প্লেটে। কেন্ট মিলার (প্যারিস)। প্যারিস? সালেম শহরের ইতিহাসে বহুলচর্চিত একটা নামের সাথে কি ভীষণ মিল। কে এই ভার্জিনিয়া? ভ্রূ কুঁচকে যায় ভায়োলেটের। 

বিলির কাছে সব শুনে দোলাচলে ভুগতে শুরু করল ভায়োলেট। কেন যেন মনে হচ্ছে বিলি সম্পূর্ণ সত্যি কথা বলছে না। কত কড়া নজরদারিতে থেকে বড় হয়েছে বিলি, সেটা এই এলাকার প্রায় সবাই জানে। ওকে একা একা ছেড়ে দেওয়া যায়না। আর ভায়োলেট সত্যি সত্যি সাহায্য করতে চায় বিলিকে। ভায়োলেট ঠিক করল বিলির ফেলে আসা দিনগুলোতে যাবে। যেখানে বিলির অনেক গুলো বছর কেটেছে সেই অনাথ আশ্রমে যোগাযোগ করল সে। কিন্তু হতাশ হল সে। বিলির সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানা গেল না। যে সময়ে বিলি অনাথ আশ্রমে ছিল সেই সময়ের ভারপ্রাপ্ত ফাদার এখন অবসর নিয়েছেন। একাই থাকেন। কিছু বই লেখালিখির কাজ করছেন বলে লোকচক্ষুর অগোচরেই কেটে যায় বেশির ভাগ সময়টা। কারুর সাথে বিশেষ দেখা করতে চান না। বর্তমানে যারা অনাথ আশ্রমের দায়িত্বে আছেন তারা কেউ বিলির বিষয়ে কিছু বলতে পারলেন না। ভায়োলেট সেই আগের ফাদারের ঠিকানাটা জোগাড় করে ফেলল অনাথ আশ্রম থেকেই। ফাদারের সাথে দেখা হওয়া দরকার। নাহলে বিলির রহস্য সমাধান হবে না।

0 comments: