ধারাবাহিক - সায়ন্তন ঠাকুর
Posted in ধারাবাহিক
১
আমাদের আবাসনের কালীপুজোয় যে ছেলেটি এসেছে ঢাক বাজাতে তার বাড়ি ডুয়ার্সে। অল্প বয়স। চকচকে কালো রঙ। পঁচিশ কি ছাব্বিশ বছর হবে। পুজোর ক’দিন এখানেই আছে। খুব কম কথা বলে। সিঁড়ির তলায় আপাদমস্তক চাদর মুড়ি দিয়ে কাল রাতে শুয়েছিল। পাশে ঢাকটিও শোয়ানো। অসংখ্য মশা রক্তের লোভে ছেঁকে ধরেছে। পুজোর খাওয়া দাওয়াও শেষ। মাংসের ঝোল, কাঁচা পেঁয়াজের গন্ধ আর বড় উজ্জ্বল সাদা বাল্বের আলো জেগে আছে প্যান্ডেলে। একাকী কৃষ্ণ বর্ণের দেবী প্রতিমা দাঁড়িয়ে আছেন। গতদিনের বাসি জবা,বেলপাতা আর গাঁদা ফুলের স্তূপ তাঁর চারপাশে। কার্ত্তিক মাসের রাত কিন্তু ধোঁয়া আর মেঘে ঘোলাটে আকাশ।
মৃদু স্বরে ছেলেটিকে ডাকলাম। অঘোরে ঘুমাচ্ছে সে। ধুলোয় ভরা মেঝে। দোতলা তিনতলা চারতলার যারা থাকে তাদের জুতোর ধুলো। ঘুমন্ত মানুষকে ডাকতে বড় মায়া হয়। হয়তো কোনও নিবিড় স্বপ্ন দেখছে। মানুষের ডাকে নষ্ট হয়ে যায় অন্য সেই জগত।
আজ সকালে কথা বলছিলাম ছেলেটার সঙ্গে। মিঠুন টুডু ।কোন দূর ডুয়ার্সে চাপড়ামারি জঙ্গলের ভেতর রামসাই গ্রামে তার বাড়ি। কোর এরিয়ার ধারে দু চার ঘর মানুষের বাস। মেটে দেওয়াল। শাল গামহার শিরীষ গাছ সারবেঁধে দৃষ্টিপথ আটকে রাখে সেখানে। শ্বাস নিলে ভেসে আসে বুনো জংলা পাতার গন্ধ। সরু রাস্তা নিজের মনেই রওনা দিয়েছে আরও গভীরে। মিঠুন মা,বউকে নিয়ে থাকে। পাতা কুড়োতে গিয়ে তিনবছর আগে হাতি পিষে দিয়েছিল তার বাপকে। বলছিল আমাকে এসব গল্প। নীচু স্বরে। একটা সিগারেট দিলাম। লজ্জা মুখে নিয়ে পকেটে রেখে দিল। সদ্য বিয়ে করেছে। নতুন বউএর আদর আর তেলের গন্ধ যেন লেগে আছে তার সার মুখে! এই পুজোর মরশুমে দুটো টাকার লোভে ঢাক বাজায়। তারপর আবার পাতা কুড়োনো, রেঞ্জারবাবু-বিট অফিসারদের লুকিয়ে কাঠ কাটা। মহাজনের লোক এসে সামান্য টাকায় সেসব কিনে নিয়ে যায়। এসবের মাঝেই অরণ্যে শীতকাল আসে। শুকনো পাতায় ছেয়ে যায় বনতলী। হলুদ রোদ্দুরে ভর করে উড়ে বেড়ায় বাতাস। বলছিল আমাকে মিঠুন। বউএর জন্য একবাক্স পাউডার আর ঠোঁটের রঙ কেনার খুব ইচ্ছে তার।
আমি স্পষ্ট দেখছিলাম আমার রুক্ষ সংসারের প্রান্তে আলো হয়ে ফুটে উঠেছে নীল আকাশ। চালসা বাজার পার হয়ে ঢাক কাঁধে বাড়ি ফিরছে মিঠুন। কত হেমন্তকাল লুটোপুটি খাচ্ছে ওর পায়ে। শাল গাছের পাতা থেকে ছুটে আসছে বাতাস। খড়ি-ওঠা ত্বক, খসখসে মাথার চুল, পুরু ঠোঁট আর থ্যাবড়া নাকের মিঠুন টুডুর সামনে সরু সুঁড়িপথ। শুকনো শালপাতা মুকুটের মতো লেগে আছে মাথায়। আরও দূরে উঁচু গাছের ডাল থেকে তাকেই অনুসরণ করে উড়ে যাচ্ছে একাকী ধণেশ। হাতিদের ডাক শোনা যাচ্ছে মাঝে মাঝে। পিঠের ব্যাগে কি আছে সেই পাউডার, ঠোঁটের রঙ? অল্প একটু শুয়োরের মাংস কিনেছে নাকি চালসা বাজার থেকে? সর্ষের তেল? লঙ্কা? কতদিন পর আজ আবার রান্না হবে মাংস। রাতে নতুন বউ আদর করবে বিছানায়। চাঁদ উঠবে? নরম কুয়াশা ভেদ করে অরণ্য চরাচর মৃদু আলোর ওড়না দিয়ে ঢেকে দেওয়া কার্ত্তিকের নীল চাঁদ? কে জানে!
মিঠুন টুডুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে চাপরামারির গেট পার হলেই বড় পিচের রাস্তা। সন্ধের পর অতিকায় সরীসৃপের মতো এলিয়ে পড়ে থাকে। দুপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে শাল আর ইউক্যালিপটাস। দু একটা খয়ের আর অর্জুন গাছও আছে। এ ওর গায়ে তারা নিজেদের শরীরের পাতা ঠেকিয়ে আদর করে। কষাটে সুবাস বাতাসে। তার সঙ্গে হাতির গায়ের বুনো গন্ধ মিলেমিশে মাথা ভারী হয়ে আসে। এমন কার্ত্তিকের সন্ধেয় টুপটাপ হিম খসে পড়ে যেন কোন অনন্তলোক থেকে। সঙ্গে দু চারটে শুকনো মরে যাওয়া পাতা। রাস্তার ওপর নেমে আসে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে। কোনও সাফারি জিপের আলো আর ভারী চাকা তাদের পিষে দিয়ে চলে যায়। জিপে বসে থাকে হয়তো সদ্য বিবাহিত যুবক যুবতি। যুবতির গোলাপ-সুগন্ধি-গন্ধ ছড়িয়ে যায় বাতাসে। মানুষের তৈরি করা সেই গোলাপের সুবাস তছনছ করে দেয় মুহূর্তের জন্য সবকিছু।
মিঠুন বারবার করে সাবধান করে দিয়েছিল আপনাকে আলো থাকতে থাকতে এই রাস্তা পার হয়ে যেতে। কিন্তু হেমন্তের স্বল্পায়ু বিকেল ফুরিয়ে যায় চোখের পলকেই। মিঠুন আর তার বউ কুসুম টুডু হাত নেড়ে একমুখ ঝলমলে হাসি নিয়ে বিদায় জানাচ্ছে আপনাকে। বনান্ত লাল হলুদ রঙে মাখামাখি। অস্ত সূর্যের আলো সাক্ষী রেখে ফিরে আসছে পাখির দল। কোটরা হরিণের অতর্কিত ডাক সূচীত করছে আসন্ন সন্ধ্যার প্রহর। আপনিও ফিরছেন। একটি পুরনো সাইকেল নিয়ে। দুপাশে হাতির ভয়। সাইকেলের কেরিয়ারে বাঁধা আছে গামছার পুঁটলি। তার ভেতর কাঁচা শালপাতায় দুপুরে রাঁধা শুয়োরের মাংস ভরে দিয়েছে যত্ন করে কুসুম টুডু।
উজানে আরও কিছুটা দূরে মূর্তি নদীর রোগা জলধারা। দুপাশে পাথর বিছানো। সদ্য পূর্ণিমা পেরোনো চাঁদ উঠেছে। চরাচরে দুধের ঘন সরের মতো লেগে আছে আলো। সে-আলো রঙ গাছপালার শরীরে পথ হারিয়ে কালচে সবুজ। পিচ রাস্তার ওপর কাটাকুটি খেলছে পাতার ছায়ায়। সাইকেলের চাকা পার হয়ে যাচ্ছে দ্রুত সেইসব ছায়া শরীর। সাইকেল চালানোর অনভ্যাসে হাঁফ ধরে যাচ্ছে আপনার। একটু আগে ঘরে-ফেরা পাখিদের বিচিত্র কোলাহল স্তিমিত এখন। ঝিঁ ঝিঁর একটানা ডাক শুধু। শিরশিরে বাতাস ছুটে আসছে। গম্ভীর গলায় ডেকে উঠল কোনও দাঁতাল। ওই দূরে চিকচিক করছে মূর্তি নদী। ওপরে পাতলা শাঁসের মতো কুয়াশা। কেমন যেন ঠাণ্ডা নীল রঙ। একটা সম্বর জল খাচ্ছে মুখ ডুবিয়ে। ভীত চাউনি তার। চলে এসেছেন প্রায় আপনি। ক্ষীণ ব্রিজ পার হলেই বাঁদিকে মূর্তি বনবাড়ি। লালজীর হাতি শিবির। বুড়ো চৌকিদার ভীম রংপুরি আরও রাত ঘন হলে বাংলোর হাতায় জ্বালানো আগুনে কাঠ গুঁজে দেবে। গুঁড়ো গুঁড়ো আগুনের ফুলকি ভাসবে বাতাসে। দূর আকাশ থেকে ঝরে পড়বে নক্ষত্রের আলো। চাঁদের আলো ধীরে ধীরে হেলতে থাকবে পশ্চিমে। শুরু হবে ভীমের হাতি খেদানোর গান। ভাঙা গলার গান। সুরটি ভারী মিঠে। ছোটবেলায় নাকি লালজীর কাছে শিখেছিল।
চরাচর ছাড়িয়ে বনান্ত ছাড়িয়ে একখণ্ড সবুজ ভালোবাসাও অতিক্রম সে-গান ভেসে যায় কোন দূর উর্দ্ধলোকে। কোন নিঃসীম নক্ষত্রের দেশে। মায়াদেবী সবার অলক্ষ্যে ভারী প্রসন্না হয়ে ওঠেন।
বাড়ি ফেরো মিঠুন। আমার আর বাড়ি ফেরা হয় না। তুমি যাও। এই দুঃখী সময়ে তোমার মতো, বলি ভাতরার মতো মানুষদের হেঁটে চলার ওই রোগা সুঁড়িপথই আমার আশ্রয়।
২
কাকসা ওঁরাও। লাতেহার থেকে যে বড় পিচ রাস্তা কেঁচকির দিকে চলে গেল, সেটা ধরে অনেকটা এগিয়ে পাটকি পার হলেই গোটাং অরণ্য খুব কাছে চলে আসবে। রাস্তা থেকে একটু দূরেই একটা নদী ঘোড়ার ক্ষুরের মতো জঙ্গলকে ঘিরে ধরেছে। সে নদীর নাম ঔরঙ্গা। তারপর আবার সোজা হয়ে কোয়েলের দিকে রওনা দিয়েছে। টলটলে পরিস্কার জল। কার্ত্তিকের শেষ সকালে মৃদু নীল কুয়াশা জড়িয়ে ধরে তাকে। শুকনো পাতা খসে পড়ে জলস্রোতে। আপনমনে ভেসে ভেসে কোথায় যেন যায়! ওদিকেই কাকসা ওঁরাওএর ঘর।
ঔরঙ্গার পাশে পাশে চলা সরু বনপথ ধরে হেঁটে যেতে হবে। লাওগারা ঢোকার আগে তেমাথা, আরও একটু সোজা এগোলেই দুটো প্রকাণ্ড মহুয়াগাছ ওই বনপথের দুপাশে পাহারাদারের মতো দাঁড়িয়ে আছে। চৈত মাসে গাছের তলা ফুলে ফুলে সাদা। পা জড়িয়ে ধরবে তারা। যেন আদর করে কুরুখ ভাষায় জিজ্ঞেস করে, “নিঘাই ইন্দার নিমে হিকে ?”—কী নাম তোমার?
তখন প্যাস্টেল রঙ-বাক্সের সেই ছেলেবেলার ড্রয়িং খাতার নীলরঙে ছাওয়া আকাশ। নিশ্চুপ হয়ে কোনও উঁচু গাছের ডালে হয়তো বসে আছে একাকী ঈগল। ডানায় সকালের নরম আলো। ঘন দমবন্ধ শালগাছ, বাঁশের ঝোঁপ, তারই মাঝে বয়ে গেছে সরু একফালি পথ। দিনের আলো পাতার ফাঁক দিয়ে এসে পড়েছে তার ওপর। সবুজ ছায়া। যেন কোনও অতিকায় মঞ্চ। কোন অদেখা আলোকশিল্পী তৈরি করেছেন এই অপরূপ আলোর অপেরা। বয়ে যাচ্ছে বাতাস। বারবার জিজ্ঞেস করছে, “ইকইয়া কালগাদিন?” —কোথায় যাচ্ছ তুমি?
আমি রাতে বাড়ি ফেরার সময় রিক্সা করি একেকদিন। কদিন আগে দেখি শক্তপোক্ত এক বুড়ো রিক্সা নিয়ে বসে আছে স্ট্যান্ডে। ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোয়, ধোঁয়া আর ফ্যাকাশে রাতের আকাশের নীচে তাকে দেখেই ধক্ করে ওঠে বুকের ভেতর। কে এ ? সেই অবুঝমারের জঙ্গল থেকে কার ছদ্মবেশে উঠে এলো ওই বুড়ো ? এ তো আমাদের লোক নয়! সেই একইরকম মেহগনি কাঠরঙা শরীর, সাদা চুল, মুখে হাসি যেন আমার কতদিনের আপনজন। যেন আমাকে দেখবে বলেই হাজার মাইল পার করে ডোঙ্গরদেহীর থান থেকে, উরাসগুট্টার গায়ে খোদাই করা অলৌকিক ছবি থেকে এই কার্ত্তিকের সন্ধেয় ছুটে এসেছে। আমার সব সাজানো গেরস্থালির বুকে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে ওই অপার্থিব সরল হাসি। ভয় পেয়ে আমূল কেঁপে উঠি। দেখি জিজ্ঞেস করছে
—যাবেন লাকি?
কোনওরকমে ফ্যাসফেসে গলায় বলে উঠি
—তাঁতকল যাবে?
—আসেন।
উঠে বসি রিক্সায়। একটু এগোতেই নিজেকে আটকাতে পারি না। ফের জিজ্ঞেস করি
—তুমি তো এখানকার নও! কী নাম তোমার?
—কাকসা। কাকসা ওঁরাও।
যাক! আশ্বস্ত হই আমি! যদিও জানি এসব ওর ছদ্মবেশ।
—ঘর কোথায় তোমার
—লাতেহার!
নির্বিকার স্বরে উত্তর দেয় কাকসা।
—লাতেহার?! ঔরঙ্গা নদী! কোথায় লাতেহারের ? কেঁচকির দিকে ?
এবার রিক্সা থামায় কাকসা। পেছনে ঘুরে তাকায়। আলো-আঁধারি মফস্বলের ক্লান্ত গলি, ছায়া ছায়া আলো, অস্পষ্ট মাধবীলতার গন্ধ, ভাঙা প্যান্ডেল। ধকধক জ্বলে ওঠে কাকসার দুটো চোখ। কী মায়া জড়ানো গলায় বলে ওঠে
—তু চিনিস?
—চিনি তো!
—তাইলে বুল দেখি, কোনঠি আমার ঘর?
—কেঁচকি?
—লাই লাই, পারলি লাই, কিছু চিনিস লাই তু!
খলখল করে হেসে ওঠে কাকসা ওঁরাও। সে হাসির শব্দে মহুয়া ফুল খসে পড়ে আমার গায়ে। বুনো শালপাতার গন্ধ ভেসে আসে। এক অচেনা বাজ ডানা ঝাপটে উড়ে এসে বসে ভাঙা রিক্সার মাস্তুলে।তারপর কত গল্প আমাদের! দুই উদ্বাস্তু চিনতে পারে নিজেদের। মহুয়ার গল্প, শিকারের গল্প, নদীর গল্প! শেষ হতেই চায় না তারা। রিকশা চালিয়ে যে কটা টাকা পায় সেসব নিয়ে কাকসা বছরে দুবার ঘর যায়। পেটের দায়ে পড়ে থাকে অচেনা দেশে। নোংরা বস্তির একফালি ঘরে শুয়ে থাকে রাতে।তখন কি আমারই মতো সে স্বপ্ন দ্যাখে? আমি যেমন সেই ভাঙা দালান, ক্ষেত ভরা নবান্নর হলুদ ধান, আগাছাময় বাগান, বুড়ো জামরুলগাছ, গিরিধারীর পাটবাড়ি ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি! তারপর আবার প্রতি সকালে অর্থের চিন্তায় শুরু হয় নতুন দিন। শেষও হয় একসময়।
কাকসা ওঁরাও কি তেমনই প্রতি রাতে ফিরে যায়?
ওই তো দেখা যাচ্ছে ক’টা মেটে ঘরের আভাস। মহুয়া, শাল আর বাঁশ ঝোঁপে ঘেরা। মরুডিহা গ্রাম। কাকসা ওঁরাওএর বাড়ি। উঠোনে খেলা করছে কাকসার নাতি নাতনি। একপাশে বড় অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িতে সেদ্ধ হচ্ছে চাল। ঘুরে বেড়াচ্ছে লাল-কালো মোরগ। বাতাসে ভাতের গন্ধ। সব জংলা কষাটে গন্ধ ভেদ করে উঠে আসছে মানুষের ক্ষুধার অন্নের ঘ্রাণ। বাড়ি ফিরছে কাকসা। অনেকদিন পর কলকাতার গায়ে লাগা এক মফস্বল থেকে সে ফিরছে নিজের জগতে। একমুখ হাসি।তামার সরু তারের মতো সাদা চুল। থ্যাবড়া নাক। টানটান বুড়ো শরীর। মাথায় খসে পড়ছে দুএকটা শুকনো শালপাতা, মহুয়াপাতা! যেন অভিবাদন! কতদিন পর আমাদের মনে পড়েছে তোমার, তুমি এসো! তোমার জন্যই তো আগলে রেখেছি সব! পাশেই কলকলে ঔরঙ্গা, যেন এক উজ্জ্বল যুবতী। কাকসা স্নান করবে তার শরীরে নেমে! কী আনন্দ চারপাশে। নরম আলোর বন্যা আজ বনপাহাড়ে।
0 comments: