কবিতা: শর্মিলা ঘোষ
Posted in কবিতা
কবিতা
জরাসন্ধ
শর্মিলা ঘোষ
জরাসন্ধ
শর্মিলা ঘোষ
চন্দ্রবংশীয় রাজা আমি নাম জরাসন্ধ, রাজপুত্র আমি
পিতা বৃহদ্রথ, রাজ্য মগধ গিরিব্রজপুর রাজধানী,
স্নেহে অন্ধ কাশীরাজ আমার মাতামহ।
বৃহদ্রথের দুই রানী কাশীরাজ কন্যাদ্বয় আমার জননী।
অভুতপূর্ব ঘটনা হেরিল বিশ্ববাসী আমার জন্মলগ্নে।
দুই সহদরাকে মন্ত্রপূত আম্র দিলেন ঋষি, সেই আম্র
ভাগ করে খেলেন খন্ডব্রতা দুই নারী, বসুধাকে বিস্মিত
করে আমি জন্মালাম মাতৃদ্বয়ের জঠরে দ্বিখন্ডিত হয়ে।
কুৎসিত দুই টুকরো প্রাণকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়-
ভাবলেন মহারাজ, অসম্পূর্ণ প্রসবের জন্য নিজেদের
অপরাধী করলেন মহারানী যুগল, কিন্তু সচেষ্ট হলেননা বাঁচাতে
নবজাতকের প্রাণ, ছুঁড়ে ফেললেন আস্তাকুঁড়ে।
রাক্ষুসী ব’লে যারে, সেই জরা পরম মমতায় শিশুটির প্রতি
অঙ্গ জুড়ে প্রত্যর্পন করলেন রাজাকে। প্রাণদায়িনী জরা,
আজন্মকাল তাঁরই পরিচয় বহন করে গর্বিত রাজা আমি
জরাসন্ধ। কোনো সম্মান দিলেননা বৃহদ্রথ নিম্নবর্ণের রাক্ষুসীকে,
রাজকুলের প্রতি ঘৃনা প্রতিনিয়ত আমায় দগ্ধ করেছে।
কৃষ্ণের মথুরাপুরী হস্তগত হেতু কংসের কন্যাকে
বিবাহ করলাম। আমার কারাগারে বন্দী হল কুড়ি হাজার
আটশত নৃপতি, শুধু পরাস্ত করতে পারিনি কৃষ্ণেরে।
সপ্তদশবার মথুরা করলাম আক্রমন। একবার সেনাপতি
কালযবন অবরোধ করতে পেরেছিল মথুরার প্রাসাদপুরী,
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, দূরদৃষ্ট কৃষ্ণ পরিবারবর্গকে দ্বারকায়
সুরক্ষিত রেখে কালযবনকে বিনাশ করল। আমি জানি কৃষ্ণের
হাতেই মৃত্যু আমার অনিবার্য, সে মুক্ত করবে বন্দী রাজকুল।
যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞ হেতু সুচতুর কৃষ্ণ মল্লযুদ্ধের
করে আয়োজন, অপ্রতিরোধ্য ভীম আমার প্রতিপক্ষ। ফলাফল জানা,
অশঙ্ক চিত্তে বরণ করলাম মৃত্যুকে।।
পিতা বৃহদ্রথ, রাজ্য মগধ গিরিব্রজপুর রাজধানী,
স্নেহে অন্ধ কাশীরাজ আমার মাতামহ।
বৃহদ্রথের দুই রানী কাশীরাজ কন্যাদ্বয় আমার জননী।
অভুতপূর্ব ঘটনা হেরিল বিশ্ববাসী আমার জন্মলগ্নে।
দুই সহদরাকে মন্ত্রপূত আম্র দিলেন ঋষি, সেই আম্র
ভাগ করে খেলেন খন্ডব্রতা দুই নারী, বসুধাকে বিস্মিত
করে আমি জন্মালাম মাতৃদ্বয়ের জঠরে দ্বিখন্ডিত হয়ে।
কুৎসিত দুই টুকরো প্রাণকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়-
ভাবলেন মহারাজ, অসম্পূর্ণ প্রসবের জন্য নিজেদের
অপরাধী করলেন মহারানী যুগল, কিন্তু সচেষ্ট হলেননা বাঁচাতে
নবজাতকের প্রাণ, ছুঁড়ে ফেললেন আস্তাকুঁড়ে।
রাক্ষুসী ব’লে যারে, সেই জরা পরম মমতায় শিশুটির প্রতি
অঙ্গ জুড়ে প্রত্যর্পন করলেন রাজাকে। প্রাণদায়িনী জরা,
আজন্মকাল তাঁরই পরিচয় বহন করে গর্বিত রাজা আমি
জরাসন্ধ। কোনো সম্মান দিলেননা বৃহদ্রথ নিম্নবর্ণের রাক্ষুসীকে,
রাজকুলের প্রতি ঘৃনা প্রতিনিয়ত আমায় দগ্ধ করেছে।
কৃষ্ণের মথুরাপুরী হস্তগত হেতু কংসের কন্যাকে
বিবাহ করলাম। আমার কারাগারে বন্দী হল কুড়ি হাজার
আটশত নৃপতি, শুধু পরাস্ত করতে পারিনি কৃষ্ণেরে।
সপ্তদশবার মথুরা করলাম আক্রমন। একবার সেনাপতি
কালযবন অবরোধ করতে পেরেছিল মথুরার প্রাসাদপুরী,
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, দূরদৃষ্ট কৃষ্ণ পরিবারবর্গকে দ্বারকায়
সুরক্ষিত রেখে কালযবনকে বিনাশ করল। আমি জানি কৃষ্ণের
হাতেই মৃত্যু আমার অনিবার্য, সে মুক্ত করবে বন্দী রাজকুল।
যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞ হেতু সুচতুর কৃষ্ণ মল্লযুদ্ধের
করে আয়োজন, অপ্রতিরোধ্য ভীম আমার প্রতিপক্ষ। ফলাফল জানা,
অশঙ্ক চিত্তে বরণ করলাম মৃত্যুকে।।
0 comments: