সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়
ছবি - পল্লববরন পাল
সম্পাদকীয়
রবিপ্রদক্ষিণপথে জন্মদিবসের আবর্তন...
তেমনভাবে ধরতে গেলে ৩০শে অগস্টই ঋতবাকের জন্মদিন। ২০১৪ সালের ওই দিনই ওয়েবের পাতায় প্রথম প্রকাশ। তৃতীয় বছরের শুরুতে একেবারে নতুন বহিরঙ্গ সজ্জায় ‘নবরূপে ঋতবাক’। বয়স বাড়ছে, সঙ্গে দায়িত্বও। ভরসা ঋতবাকের রত্নসভার সহযাত্রী বন্ধুরা, আন্তরিকতায় যাঁরা খাঁটি সোনা দিয়ে বাঁধানো। এমনই বেঁধে বেঁধে থাকি যেন চিরকাল।
গত ২৯শে জুলাই ছিলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস। মেয়েদের জন্য যে এই মানুষটি কতকিছু করেছেন, ভাবলে কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে মন। এই সংখ্যায় রইলো এই মহামানবের প্রতি ঋতবাকের বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য।
আর ছিলো সেই এক দাড়ি বুড়োকে স্মরণ করার দিনও... যাঁর কথা বলতে গিয়ে উত্তর আধুনিক কবিও বলেন –
গানের সুরের আসনখানি পাতলে পথের ধারে,
গানের ভিতর দিয়ে দেখাও জীবন আপামরে...
সুর ভুলে যেই বেড়াই ঘুরে তুচ্ছ কোন কাজে,
উধাও আকাশ, উদার ধরা হঠাৎ বুকে বাজে...
তখন ভাবি সুরেই বাজে এই অকাজের প্রাণ,
হেথায় থাকা শুধু বোধহয় গাইতে তোমার গান...
এখনও কি ভাবো তুমি, হয়নি সে গান গাওয়া,
ঢালা গানের স্বপ্নমালা বৃথাই হলো চাওয়া...
খেলার ছলে সাজালে যে ঐ গানেরই বাণী,
স্রোতের লীলায় ভাসালে যে দিনের তরীখানি...
-এই বুঝি ভালো। গঙ্গা জলেই গঙ্গা পুজো...
এরই মাঝে ‘না ফেরার দেশে’ চলে গেলেন ‘ফ্যাতারু’র মা। একটা পরিবারের তথা একটা যুগের অবসান। ভালো থেকো, তুমি অনির্বাণ উলগুলান...
ঋতবাক ৩য় বর্ষ, ২৫তম সংখ্যা থেকে শুরু হলো গ্রন্থ সমীক্ষা বিভাগ – বইঘর। আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত সাহচর্যই ঋতবাকের একমাত্র পাথেয়।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
সুস্মিতা বসু সিং
সুন্দর ঝরঝরে সম্পাদকীয় । অল্প কথায় অনেকি কিছু।
ReplyDelete