0

বইঘর - চয়ন

Posted in


বইঘর


কবিতা ভয় ও শিশু
চয়ন 



নমস্কার। তসলিম। গুড ডে। বেশ কিছুদিন পর বইঘরে আড্ডা বসছে। আপনাদের অদর্শনে সত্যিই বড় ব্যথিত ছিলুম।

সচরাচর আমরা একটা বই নিয়ে আড্ডা দি। আজ তা থেকে আমরা একটু সরে যাব। আচ্ছা, আপনারা ছোটদের জন্য লেখা ছন্দোবদ্ধ রচনা ভালবেসে পড়েন? বিন্নির খই লাল বাতাসা, সব কিছুতেই খেলনা হয়, মিষ্টি কথায় বিষ্টিতে নয়.... এই বইগুলো ভাল লাগে পড়তে? খুকুমণির ছড়া? ও আচ্ছা এগুলো বাচ্চাদের জন্য লেখা? তাতে কি? কি বললেন বুড়ো বয়সে খোকাপনা? আপনাদের ইচ্ছে করে না ছোট বেলায় যেগুলোতে আনন্দ পেতেন সেগুলো এখন আবার করতে? ও আচ্ছা ছেলেমানুষিতে লজ্জা করে? অস্বস্তি হয় একটা তাই না? এর কারণ কি জানেন? খুব ভেতরে ভেতরে আপনারা শৈশবকে ভয় পান। 

আত্মগত আশিসবাবু স্পষ্ট করে বলেন, "Childhood has become a major dystopia for the modern world. The fear of being childish dogs the steps of every psychologically insecure adult and culture....Perfect adulthood like hyper masculinity and ultra normality has become the goal of most over socialized human beings and modern societies have begun to produce a large number of individuals whose ego ideal includes the concept of adult maturity as defined by the dominant norms of the society." 

আপনারাও তাই শিশু হতে ভয় পান। এবং একই সঙ্গে আপনারা ভাবেন শৈশব বড় আনন্দের সময় ছিল! ব্যাপারটা বুঝছেন কি? যে শৈশবকে আপনি আনন্দময় ভাবেন সেখানে শিশুর লাখ অপমান, লজ্জা, স্বাধীনতার অভাব আর দ্রুত বড় হতে চাওয়াটা অনুপস্থিত থাকে। যে রক্তমাংসের শিশুটি নির্ভয়ে দূরদর্শনের এক (আন) রিয়ালিটি শো এ জানিয়েছিল যে সে বড় হয়ে, চাকরি করে খুন্তি কিনে মাকে মারবে, আপনাদের শৈশব জগতে তার ঠাঁই নেই! সে এক ইওটোপিয়া। কল্পরাজ্য। এবং শিশু বা শৈশব এক কল্প প্রতিমা। এই 'শিশু' নামক নির্মাণটিকে নিয়ে বা তাকে উদ্দেশ্য করেই কবিতা রচনা করেন কবিকুল বিগত শ তিনেক বছর। বঙ্গভূমে না হোক অন্তত সাগর পারের শ্বেত দ্বীপে।

আর কিছু বলার আগে আপনাদের চোখে মুখে ফুটে ওঠা অবিশ্বাসটার একটা কিছু করা দরকার। শিশু ভোলানাথের শিশুর জীবন কবিতাটার কথা একবারটি ভাবুন। আমি এতক্ষণ যা যা বলে গেলাম তার সব আছে এখানে। আমার ঠাকুর তত্ত্ব বিশ্বের থোড়াই কেয়ার করে তাঁর দিব্যদৃষ্টিতে শৈশব নির্মাণ বিষয়টির কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন। প্রথমেই এক সংশয় দীর্ণ ঘোষণা: "ছোট ছেলে হওয়ার সাহস/ আছে কি এক ফোঁটা/ তাই তো এমন বুড়ো হয়েই মরি।"(নজরটান আমার)। এরপর প্রাপ্তবয়সের সাবধানী ভাব, সঞ্চয়ী বৃত্তি, কল্পনা ছেড়ে বুদ্ধির আলোয় সত্যকে খোঁজার বর্ণনা শেষে কবিতা আবার শৈশবে ফিরতে চায়: "শিশু হওয়ার ভরসা আবার/ জাগুক আমার প্রাণে/ লাগুক হাওয়া নির্ভাবনার পালে/ ভবিষ্যতের মুখোশখানা/ খসাব একটানে,/ দেখব তারই বর্তমানের কালে"। 

কিন্তু কবি জানেন এ ফেরা একমাত্র কল্পনার পথেই সম্ভব। এবং তিনি সেখানেই ফিরতে চান যা তাঁর প্রকৃত শৈশবে তিনি ঠিক মত বুঝে উঠতে পারেন নি। তিনি তাই তাঁর কথাবিশ্বে এক বিকল্প শৈশব গড়তে চান: "তোমার ধূলো তোমার আলো/ আমার মনে লাগত ভালো/ শুনেছিলেম উদাস করা বাঁশি।/ বুঝেছিলে সে ফাল্গুনে/ আমার সে গান শুনে শুনে/ তোমারো গান আমি ভালবাসি/......./ এবার ওগো শিশুর সাথী/ শিশুর ভুবন দাও তো পাতি/ করব খেলা তোমায় আমায় একা/ চেয়ে তোমার মুখের দিকে/ তোমায় তোমার জগৎটিকে/ সহজ চোখে দেখব সহজ দেখা।" এই কথামুখ মাথায় রেখে এবার পর পর পড়ে যান, তালগাছ, পুতুল খেলা, মনে পড়া...দেখবেন সবই আসলে কাব্যদেবী কল্পনার প্রসাদে এক নির্মিত শৈশব উদযাপন। কি বলছেন? তাহলে কি ছোটরা এ বই পড়বে না? 

তা কেন? তারা পড়বে, মুগ্ধ হবে বাণী আর ধ্বনি সৌন্দর্যে ঠিক যেমন আপনি আর আমি পাঠ্যপুস্তকে তালগাছ পড়ে হয়েছিলাম। আরেকজনের কথা মনে আসছে আমার। বুদ্ধদেব বসু। দশ বছর বয়সে কিশলয়ে বাবার চিঠির শেষ লাইন দুটো চোখে জল আনত। পুরো কাব্য রস উপভোগ না করতে পারলেও। "মনে জানি মিথ্যে এসব ভাবা/ ভাগ্যে তবু এ মিথ্যেটা আছে/ অতি কষ্টে তাই তো জীবন বাঁচে/ ইতি তোমার হাত পা বাঁধা বাবা"। এটা পড়লেই মন কেমন। হাপিত্যেশ করে থাকতাম কতক্ষণে বাবা আপিস থেকে বাড়ি ফিরবেন তার জন্য। 

ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ থাক। আমার যেটা বলার সেটা হলো এই কবিতা যে বই এর সেই বারোমাসের ছড়ার একদম প্রথমে বু.ব. দুটি লেখা লেখেন। দুটিই ১৯৩০ এ রচনা। যথাক্রমে ৮ই মে ও ৩০শে জুন। প্রথমটায় তিনি বলছেন : "তোমরা কি কেউ আমার এ বই পড়বে?" তারপর নিজেই উত্তর দিচ্ছেন : "মেঘের মত অনেক রঙে রং চড়ানো/ চাঁদের আলো, রোদের আলো/ ঘুমের মত মোমের আলো/ স্বপ্নে ভরা আবছা আলো চোখ জড়ানো ---/ দেখবে তারা,যারা এ বই পড়বে।" দ্বিতীয়টিতে প্রাণের বন্ধু অর্থনীতিবিদ পরিমল রায়কে উদ্দেশ্য করে কবি বলছেন: "এখন মোরা যেথায় আছি দিনরাত/ আটকে আছি সেখানেই/ চাঁদের আলোয় আর নাচে না পরীরা/ ভূত পেরেতের দেখা নেই।/ কিন্তু তোমার সঙ্গে থেকে, পরিমল,/ ফিরল মনে সেই সব/ মনে হ'ল রাখবো বেঁধে কবিতায়/ তোমার আমার শৈশব।" সেই পাঠক নির্মাণ এবং শৈশব নির্মাণ! এ শৈশব গল্প কথা কল্পনা দিয়ে গড়া। তোতলামির জন্য লজ্জা নেই, খেলায় উৎসাহ না থাকায় সমবয়সীদের টিটকিরি নেই। 

১৯৫৬ সালে এম.সি. সরকার থেকে প্রকাশিত বারোমাসের ছড়ার মুখবন্ধে বুদ্ধদেব লেখেন: "মনোযোগী পাঠক লক্ষ্য করবেন যে এই কবিতাগুলির সুর ক্রমশ গম্ভীর হয়ে উঠছে; বয়স অনুযায়ী মানসিক ঋতু বদলেরই লক্ষণ এটা; কোনও কোনও কবিতাকে বয়স্ক পাঠ্য আখ্যা দিলেও খুব বেশি আপত্তি হওয়ার কথা নয়। ছোটদের কবিতায় এটা হয়তো দুর্লক্ষণ বলে মনে হতে পারে; কিন্তু আমার ধারণা ছোটদের সাধারণত যেমন ভাবি তেমন ছোট তারা নয়, এবং সাবালক মানুষের মধ্যেও শৈশব স্মৃতি অনবরত কাজ করে যায়। অর্থাৎ, এই রচনাগুলির আবেদন, সব বয়সের কবিতা পাঠকের কাছেই গ্রাহ্য হওয়া সম্ভব।" (নজরটান আমার।) কি দাঁড়াল ব্যাপারটা? অনেকগুলো ধরে নেওয়া আর গড়ে নেওয়ার ওপর দাঁড়িয়ে আছে আপাত ভাবে ছোটদের জন্য লেখা কবিতাগুলো। এক তো শিশুর সংজ্ঞা গড়ছেন কবি তাঁর ধারণানু্যায়ী, তায় আবার তাকে কবিতা পাঠক হতে হবে! যা খুবই বিরল এক বস্তু। আবার সেই প্রশ্ন আসে। কোনও রক্তমাংসের শিশু এই কবিতা পড়ে কি পাবে তবে? 

ঐ জন্যই শিশু চয়নের পাঠ প্রতিক্রিয়ার কথা বলছিলাম কারণ একমাত্র তারই আঁতের খবর রাখি আমি। আপনারা বলবেন আপনাদের কথা। যত শিশু, তত পাঠ! খুকুমণির ছড়া কাদের কথা ভেবে লেখা? নিশ্চিত ভাবে বাঙালী বাপ মাএর যাঁরা এই ছড়াগুলো তাঁদের আত্মজ- আত্মজাকে পড়ে শোনাবেন কচি বয়সে। কানে ঢুকবে মাতৃভাষার মধুর ঝংকার। মুখে ফুটবে কথা। এইবারে আমি আমার বক্তব্য পেশ করতে পারি। আমার মতে শিশুদের কাব্য বিশ্ব শব্দ ও ধ্বনি সৃজিত।

আমি বই ঘরের এক আড্ডায় বোধহয় বলেছিলাম প্রাচীন গ্রীক ও ল্যাটিনে শিশু বোঝাতে ব্যবহৃত Nepios আর Infans এই দুটি শব্দেরই অর্থ হলো যার মুখে ভাষা নেই। এদের মুখে ভাষা ফোটানোর জন্য প্রয়োগ হতো কবিতার। হোমারের, ভার্জিলের, হোরেসের। অর্থ নয়, ধ্বনি, ব্যাঞ্জনা, গীতলতা এই ছিল বাঙ্ময় জগতের গোত্র চিহ্ন। আমাদের দেশও বিশ্বাস করেছে আবৃত্তি সর্বশাস্ত্রাণাং বোধদপি গরীয়সী। অর্থ বোঝা বা না বোঝায় বিশেষ কোনও ইতর বিশেষ নেই। কল্পনা করাই যেতে পারে বৈদিক সুক্ত গুলির ধ্বনি মাধুর্যই আবেদন রাখত শিক্ষার্থীর কাছে কারণ গুরুগৃহে সে উপনীত হতো মাত্র পাঁচ বছর বয়সে! 

অষ্টাদশ আর ঊনবিংশ শতকের ছোটদের জন্য লেখা ইংরিজি কবিতাগুলোর বক্তব্য বিষয়ের মধ্যে আক্ষরিক অর্থে স্বর্গ মর্ত্যের ব্যবধান ছিল। একদিকে জন বানিয়ান, আইজ্যাক ওয়াটস প্রমুখের শিশুদের অমর আত্মাকে পরলোকের পাথেয় প্রদান চেষ্টা আর অন্যদিকে মের হাউইট এবং Twinkle twinkle little star এর মত কালজয়ী রচনার জন্মদাত্রী টেইলর ভগিনীদ্বয়ের গড়া আদর ও প্রশ্রয়ের কথা বিশ্ব। 

বোঝাই যাচ্ছে যে এঁরাও নিজেদের মত করে শিশু পাঠক গড়ে নিয়েছিলেন। মজাটা হ'ল ওয়াটসের ডিভাইন সংস এবং Twinkle twinkle শিশুদের কাছে সমান আদরে গৃহীত হয়। তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে সাহেব বাচ্চারা ছোট্ট বেলা থেকেই মরে কোথায় যাবে তাই নিয়ে ভাবত? সে তো হতে পারে না। তারা আকৃষ্ট হতো ভাষার ধ্বনি ও অলংকারে গড়া আনন্দময় আবহের প্রতি। 

আমি বলতে চাই যে, যারা পড়ছে আর যা পড়ছে দুইই শব্দে গড়া। ভাষার অনন্ত সম্ভাবনা। বহুস্তরে সংলাপ গড়ে তোলে সে। একদিকে যেমন শিশু পাঠক বস্তুটা গড়ে নিচ্ছে ধারণা আর কল্পনা যার সবটাই ভাষা নির্ধারিত ; অন্যদিকে তেমনি ভাষার নিজস্ব বহুমাত্রিক ব্যাঞ্জনা বিভিন্ন রক্ত মাংসের শিশু বা কিশোর কিশোরী মনকে স্পর্শ করছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। এটা একটা ভাষা খেলার প্রভাব। নিজেরাই দেখুন : "কথায় ভেজে চিঁড়ে মুড়ি/ খই বাতাসা/ সেই টুকুনি দেখতে আসা/ জল ভেজাতে পারল কিছু?/ হাঁসের পালক, মুখটি নীচু/ রাণার গায়ে গুগলি গেঁড়ি/ জল ভেজাতে পারল কিছু?" আবার "টিকটিকি তিনবার হেঁচে দিলে টিক টিক/ শুনি নাকি সব কিছু ফলে যায় ঠিক ঠিক/ তাই ভাই খেটেখুটে সম্মান বাঁচাতে/ ছ হাজার টিকটিকি পুষে রাখি খাঁচাতে।" 

আজও মনে আছে শক্তি চট্টোপাধ্যায় আর ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের লেখা এই পংক্তিগুলি আমি মোটামুটি একই সময়ে পড়ি। আর দুটিই মন ছুঁয়ে যায়। অবশ্যই দ্বিতীয়টি অধিকতর অর্থবহ ছিল। কিন্তু, প্রথমটির অর্থ স্পষ্ট না হলেও ভাষার গোল্লাছুট আমায় মাতিয়ে দিত। এ ঘর থেকে ও ঘর জোড়া পায়ে লাফিয়ে চলার সময়./ জল ভেজাতে/ পারল কিছু./...এমনি ভাবে বলে দেখেছি ভাষা আমার সাথে, আমায় নিয়ে খেলে চলেছে। 

আর ভাষা খেলার মডেল সাহিত্যের যে বিভাগ সবচেয়ে বেশী মেনে চলে তা হ'ল ননসেন্স। দেখা যায় শিশু কিশোর মনের কাছে এর আবেদন দেশ কাল উত্তীর্ণ। প্রাপ্তবয়স্কদের দল একে নাবালক পাঠ্য বলতে কসুরও করেন না। আর মজাটাও ঠিক এইখানে। কারণ ননসেন্স শুরু থেকেই ধরে নেয় যে তার সমকালীন সেন্স কারও না কারও স্বার্থ রক্ষার জন্য কথা দিয়ে গড়া। তাই সে কথা দিয়ে কথাকে আঘাত করে। নিয়ম বেনিয়মের দ্বন্দ্ব, অর্থ নিরর্থের দ্বন্দ্ব, প্রচলিত নিয়মতান্ত্রিকতার বিরূদ্ধে শ্লেষ সাহিত্যের আর কোনও শাখায় দেখা যায় না। এই সেই কবিতা যেখানে শব্দের নানান কোণ থেকে বিচ্ছুরিত হয় বোধ আর অর্থের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা। তথাকথিত শৃঙ্খলা বোধকে তছনছ ওলোট পালট করেন ওখানে লীয়র, ক্যারল, বুশ আর এখানে সুকুমার রায়। এঁদের কাব্যদেহ গড়ে ওঠে নিরর্থ, নৈঃশব্দ আর বৈপরীত্যের অনুভবের নিবিড় বুনোটে। 

এই কাব্য থেকে শিশু কিশোরদের পাওয়া আনন্দকে নিয়ে কিন্তু নিয়মতান্ত্রিকতার রক্ষকরা বেশ বিচলিত। তারা বিভিন্ন বয়ানে অপ্রাপ্তবয়স্কদের এই কাব্য পাঠ থেকে নিরস্ত করতে চান। সজনীকান্ত দাশ তাঁর আত্মজীবনীতে বাঙালী শিশুদের রামায়ণ মহাভারত ছেড়ে সুকুমার পড়ার জন্য বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। সুকুমার বাচ্চাদের মাথা খেয়েছেন বলতেও ছাড়েন নি। কিছু মনে পড়ছে? আজ্ঞে হ্যাঁ, এঁরই মতে রবি ঠাকুর বাঙালী তরুণদের ন্যাকা বানিয়েছেন, বুদ্ধদেব বসু তাদের নৈতিক মেরুদণ্ডে ঘূণ ধরিয়েছেন! দেখা মিলল "psychologically insecure, hyper masculine adult" এর?

কি জানেন? প্রতিক্রিয়াশীলরা ভাষাকে সব সময় ভয় করে চলে। ভাষা অর্থ দিয়ে চারিধারে বদ্ধ থাকতে প্রায়ই অস্বীকার করে কি না! ভাষার এই শক্তির সঙ্গে পরিচিতি লাভের ফলে ক্ষমতাকে আগামীতে প্রশ্ন করার প্রবণতার বীজ কবিতার মারফৎ শৈশবেই মনের কোণে বোনা হয়ে যেতে পারে বলে কি সুভদ্র, সুশীল, নাগরিক নির্মাণ প্রকল্প শঙ্কিত থাকে? কি জানি! আপনারা কি বলেন? 





ঋণস্বীকার : 
১) Reconstructing Childhood --Ashis Nandy.
২) The Fear of Poetry --- Richard Flynn.
৩) From the Garden to the Street : The History of Poetry for Children --- Morag Styles.
৪) Children's Literature: A Reader's History from Aesop to Harry Potter --- Seth Lerer.

0 comments: