বইঘর - গ্রন্থকীট
Posted in বইঘর
বইঘর
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্য়াসাগর
সম্পাদক ও অনুবাদক—অমিত ভট্টাচার্য
উনিশ শতকের তৃতীয় দশক। সমস্ত বঙ্গদেশ এক দোলাচলের মধ্যে। সমাচারচন্দ্রিকা ইংরিজি শিক্ষার কুফল সম্বন্ধে মন্তব্য করছেন। হিন্দুকলেজ ও মিশনারিদের অন্যান্য পাঠশালায় পাঠরত চার পাঁচশ হিন্দু পড়ুয়ার মধ্যে ত্রিশ চল্লিশ জন নাস্তিক হয়েছে। অভিযোগ উঠছে ইংরিজি শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দু সন্তানরা বিপথগামী ও কদাচারী হচ্ছে। প্রতিবাদীস্বরও মুখর। চন্দ্রিকাকারকে প্রশ্ন করা হচ্ছে যে হিন্দুকলেজ প্রতিষ্ঠার আগে বুঝি কোন কদাচার হিন্দুকুলপ্রদীপরা করতেন না? মদ্যপান, যবনীগমন ইত্যাদি অবৈধ কর্মে কোনও অপরাধ নেই, অপরাধ হ'ল শুধু কষ্ট করে লেখাপড়া শেখায়? রেভারেণ্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেছেন The Persecuted যাতে সমসাময়িক হিন্দু সমাজের চিত্র সুন্দর ভাবে ফুটে উঠছে।
একদিকে গোঁড়ামি, ভণ্ডামি অন্যদিকে ইংরিজি শিক্ষার অভিঘাত। সমাজ জুড়ে স্বাতন্ত্র্য ও সত্যের মর্যাদা বোধ আর ঐতিহ্যবোধ ও লোকাচারের দ্বন্দ্ব। সন ১৮৩৮। স্থাপিত হ'ল সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভা। আর সে বছরই সংস্কৃত কলেজের সচিব মিয়র পদার্থবিদ্যা বিষয়ে একশ শ্লোক রচনার বিনিময়ে একশ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেন। কিছুদিন পর আবার ঘোষণা করা হ'ল পুরাণ, সূর্যর্সিদ্ধান্ত ও ইওরোপীয় মতের অনুযায়ী ভূগোল ও খগোল বিষয়ে যে ছাত্রের রচনা সর্বোৎকৃষ্ট হবে সেও একই পরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসেবে লাভ করবে।
১৮৩৯ সনে সংস্কৃত কলেজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র রচনা করলেন ৪০৮ টি সংস্কৃত শ্লোকের এক সম্ভার। নাম তার ভূগোলখগোলবর্ণনম। ভারতীয় পুরাণ, প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ইওরোপীয় মত অনুসারে ভূগোল যা তার এক অপূর্ব মেলবন্ধন। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয়টি হ'ল এই যে সংস্কৃত কলেজে শিক্ষালাভ করলেও রচয়িতা বুঝেছেন যে কেবল দেশজ মৃত্তিকা রসসিঞ্চিত উপাদান বর্তমানে ভূগোল/খগোল রচনার একমাত্র উপাদান হতে পারে না। তিনি এও বুঝছেন যে পশ্চিমে ভূগোল চর্চা নানা বিবর্তনের পর যে রূপে অধুনা ভারতীয় শিক্ষার্থীদের অধিগম্য তার সঙ্গে প্রাচীন ভারতের চিন্তনের সাদৃশ্য তথা বৈশাদৃশ্যের এক তুলনামূলক বিচারের মাধ্যমেই একমাত্র বিশ্বজনীন ধারাবাহিক ভূগোল চর্চাকে এক সংহত রূপে একক কাঠামোয় সংযুক্ত করা যেতে পারে। আরও অবাক করার বিষয় রচয়িতার বয়স তখন মাত্র আঠারো বা উনিশ বছর। তরুণ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথম রচনা করলেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার মেলবন্ধনে সৃষ্ট চিন্তন প্রক্রিয়ার এক আশ্চর্য নথি। এক অর্থে সূচনা হ'ল তুলনামূলক জ্ঞানচর্যার।
বিনয় ঘোষ রচিত বিদ্যাসাগর ও বাঙালীসমাজ গ্রন্থের পরিশিষ্ট অংশে বিদ্যাসাগর প্রণীত গ্রন্থগুলির বর্ণনা দিতে গিয়ে ২৭ নম্বর ক্রমাঙ্কে ভূগোলখগোলবর্ণম এর উল্লেখ করে লেখক জানিয়েছেন যে এই গ্রন্থ ১৮৯৩ সালে বিদ্যাসাগরের প্রয়াণের পর তাঁর পুত্র নারায়ণ বিদ্যারত্ন প্রকাশ করেন। লক্ষণীয় এই গ্রন্থ বিদ্যাসাগর রচিত সংস্কৃত রচনাগুলির অন্যতম বলে অভিহিত হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ২০১৬ এর পূর্বে এই গ্রন্থটির কোনও বঙ্গানুবাদ ছিলই না। আনন্দের বিষয় এই যে অতি সম্প্রতি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অমিত ভট্টাচার্য এই অতি মূল্যবান গ্রন্থটি সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় অনুবাদ ও সম্পাদনা করে বঙ্গীয় জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রটিকে সমৃদ্ধতর করেছেন। এ গ্রন্থের প্রকাশনার দায়িত্বভার নিয়েছেন পারুল প্রকাশনী। মূল সংস্কৃত শ্লোক গুলির পাশাপাশি সুললিত বঙ্গানুবাদ এই প্রথম এই পুস্তককে সর্বসাধারণের পাঠযোগ্য করে তুলল। সংস্কৃত ভাষা না জেনেও এখন এই গ্রন্থের রসাস্বাদন সম্ভব।
রস কথাটি আমরা সজ্ঞানে ব্যবহার করছি। অনুবাদক তাঁর ভূমিকায় আমাদের জানিয়েছেন যে "কাব্যরচনায় সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞানকে টানলে কাব্যরস বিঘ্নিত হয়। তরুণ ঈশ্বরচন্দ্র যখন এই গ্রন্থ রচনা করেন তখন ওঁর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে অধীত বিদ্যার জারক রসে সিঞ্চিত করা, যা জ্ঞান ও বোধকে আলোকিত করবে" (পৃঃ ও)। বস্তত, অধ্যাপক অমিত ভট্টাচার্যের অতি সুলিখিত কথামুখটি তাঁর অনূদিত গ্রন্থটিকে এক ভিন্ন মাত্রা দান করে। তিনি আমাদের জানান পুরাণে উল্লিখিত 'চতুর্দ্বীপা বসুমতী' ও 'সপ্তদ্বীপা বসুমতী' এর মধ্যে বিদ্যাসাগর বায়ুপুরাণে বর্ণিত দ্বিতীয় মতটি গ্রহণ করেছেন। এই দ্বীপগুলি হ'ল যথাক্রমে জম্বুদ্বীপ, প্লক্ষদ্বীপ, শাল্মলি দ্বীপ, কুশদ্বীপ, ক্রৌঞ্চদ্বীপ, শাকদ্বীপ এবং পুষ্করদ্বীপ।
আমাদের অনুবাদক জানিয়ে দেন যে ২৬১ ও ২৬২ নং শ্লোকে যখন রচয়িতা বলেন যে সূর্য থেকে ১৫৮৭০০০০০ ক্রোশ দূরে জর্জীয় গ্রহ বিদ্যমান এবং যাকে শীতাংশুবসুসপ্তেন্দু বর্ষে অর্থাৎ ১৭৮১ সালে হর্ষেলসাহবঃ/দূরবীক্ষণযন্ত্রেণ প্রাগিমং সমালোকয়ৎ অর্থাৎ হর্ষেল সাহেব দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে আবিষ্কার করেন ; যে গ্রহ হর্ষেলসংজ্ঞয়া : হর্ষেল নামে পরিচিত; তখন তিনি বলছেন জার্মান বংশোদ্ভব বৃটিশ জ্যোতির্বিদ Fridrich Wilhelm Herschel বা Fredrik Willam Herschel ( 1738 - 1822) কর্তৃক আবিষ্কৃত ইউরেনাস গ্রহের কথা। এছাড়া, আমরা এও জানি যে বিদ্যাসাগর নেপচুন এর উল্লেখ করেন নি কারণ Johann Gottfried Galle ( 1812 - 1910) ১৮৪৬ এ যে গ্রহ আবিষ্কার করবেন তার কথা ১৮৩৮ এ বসে বিদ্যাসাগরের জানার কথা নয়।
অনুবাদক আমাদের জানান যে, বিদ্যাসাগরই প্রথম "যিনি পুরাতন ভূগোলের উপকরণের সঙ্গে ইওরোপীয় মতের উপস্থাপনা করে আধুনিক চেতনার উন্মেষে সহায়ক হলেন"(পৃঃ চ)। এই কথামুখ আমাদের পরিচিত করায় সেই চিন্তন ক্রিয়ার সঙ্গে যা বঙ্গীয় নবজাগরণের দ্যোতক।
এই গ্রন্থ আরম্ভ হয় শাস্ত্রীয় মত অনুসারে মঙ্গলাচরণের মধ্য দিয়ে: যৎক্রীড়াভাণ্ডবদভাতি ব্রহ্মাণ্ডমিদমদ্ভুতম।/ অসীমমহিমানং তং প্রণমামি মহেশ্বরম।। এরপর পুরাণানু্যায়ী ধরিত্রী বর্ণনা। প্রস্ফুটিত পদ্মের আকার বিশিষ্টা ধরিত্রী শেষনাগের ফণামণ্ডলাসীনা; তাই তিনি অধঃপতিতা হন না : দর্ব্বীকরেশ্বরো ভাতি ভূপদ্মস্যাস্য নালবৎ।/ যৎফণামণ্ডলাসীনা নাধঃ পততি মেদিনী।। (শ্লোক ৭)।
যুক্তিবাদ নয় মিথের প্রত্নপ্রতিমাসমাচ্ছন্ন কল্পবাস্তববিশ্বে অবস্থান এ বর্ণনার। বিজ্ঞান নয়, এ কাব্য। তাই willing suspension of disbelief এর উপজীব্য। এরপর ভারতবর্ণনায় ঈশ্বরচন্দ্র অকৃপণ : অথ ভারতবর্ষস্য সংক্ষেপাৎ কিঞ্চিদুচ্যতে।/ কর্মভূমিতয়া যদ্ধি শর্ম্মদং ধর্ম্মকর্ম্মিণাম।। (শ্লোক ৫৫)
এরপর সংক্ষেপে ভারতবর্ষের কথাপ্রসঙ্গে কিছু বলছি, যে ভারতবর্ষ কর্মভূমি রূপে ধার্মিকদের কাছে সুখপ্রদ। এরপর অনুষ্টুভ ছন্দে রচিত শ্লোকের পর শ্লোক গরিমামণ্ডিত ভারতীয় সংস্কৃতির এক মনোরম চিত্র অঙ্কণ করে। ১৪৩ নং শ্লোকে এসে পুরাণস্মমত ভূগোল বর্ণনা শেষ হয়। এরপর থেকে ১৭৭ নং শ্লোক পর্যন্ত পুরাণস্মমত খগোলবৃত্তান্ত; ২২৯ নং শ্লোক পর্যন্ত সূর্যসিদ্ধান্তের মতবর্ণন। রচয়িতা তাঁর আকরগ্রন্থের শ্লোকগুলি নিষ্ঠাভরে অনুসরণ করেছেন, স্থানে স্থানে বচনবিন্যাসের স্থানান্তর ঘটিয়েছেন।
ভারতীয় জ্যোতির্মণ্ডল চর্চার মান্যগ্রন্থ সূর্যসিদ্ধান্ত যে সব জ্যোতির্বিদ রচনা করেছিলেন দূরবীক্ষণ আবিষ্কারের বহু পূর্বে তাঁরা কতদূর অগ্রসর হয়েছিলেন তা ভাবলে বিস্মিত হতে হয় : "পৃথ্বীচ্ছায়াং সমাশ্রিত্য চন্দ্রং তচ্ছায়য়া রবিম।/ আচ্ছাদয়তি রাহুর্যত্তত্তয়োগ্রহণং মতম।। (শ্লোক ২২৯) : রাহু (তন্নামক অন্ধকার) পৃথিবীর ছায়াকে আশ্রয় করে চন্দ্রকে যখন আচ্ছাদিত করেন তখন তাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়; অপর পক্ষে রাহু চন্দ্রচ্ছায়াকে আশ্রয় করে রবিকে আচ্ছাদন করলে তাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এ তো প্রায় আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীর কন্ঠস্বর!
এরপর ২৩০ থেকে ৪০৮ নং শ্লোক পর্যন্ত ইওরোপীয়মতে ভূগোল খগোল বর্ণনা। Heliocentric Universe ও গ্রহাদির বর্ণনার পর চারটি মহাদেশের বর্ণনা আরম্ভ। আসিয়াভিধমাদ্যন্তু য়ুরোপাখ্যং দ্বিতীয়কম।/ আফ্রিকাখ্যাং তৃতীয়ঞ্চামেরিকাখ্যং চতুর্থকং।। লক্ষণীয় বিদ্যাসাগর য়ুরোপ আর এসিয়া লিখছেন। তাঁর স্মরণে আছে তাঁর পাঠককুলের কথা। বঙ্গজ জিহ্বা শ, ষ আর স এর পৃথক উচ্চারণে অক্ষম। সবই স তার উচ্চারণে। তার ভাষামাতৃকা পল্লীদুহিতা পালিতে সবই তাই স!
এরপর মহাদেশ অনু্যায়ী দেশের বর্ণনা। অবিভক্ত ভারত, তার উত্তরপূর্বে মহাদেশসমতুল চীন (অস্তি চীন ইতি খ্যাতো মহাদেশোহতিশোভিতঃ। শ্লোক ৩০৩), জাপান, তিব্বত, পারস্য, আরব, রুসিয়া প্রভৃতির উল্লেখে এশিয়া মহাদেশের রূপরেখা আঁকেন রচয়িতা। অতঃপর, ইওরোপের চোদ্দটি দেশের বর্ণনা যার মধ্যে ঔপনিবেশিক বয়ানের অমোঘতায় স্বভাবতই প্রধান 'প্রজানন্দপ্রদায়িনী' ইংলণ্ড।
এরপর আফ্রিকা যার বর্ণনায় ৩৯০ নং শ্লোকে ছন্দের আনুকূল্যে কায়রো হয় কেরো এবং আমেরিকা যার প্রধান বাসিন্টন বা ওয়াশিংটন। তাঁর কথামুখে অনুবাদক এক সেকাল একাল মেলানো বিচিত্র অনুপ্রাসে এই নগরীর কথা বলেন: "এই বাসিন্টনের বাসিন্দারা বিন্দাস জীবন কাটান" (পৃঃ ঙ)! কে বলে পণ্ডিতদের সেন্স অফ হিউমার থাকে না?
আগে একবার উল্লেখ করা হয়েছে যে এই গ্রন্থের শ্লোকগুলি অনুষ্টুভ ছন্দে রচিত। ব্যতিক্রম শুধু ১৮০ ক্রমাঙ্কের শ্লোক যেটি রচিত উপজাতি ছন্দে। এই ছন্দ সংক্রান্ত এক মনোগ্রাহী আলোচনা আমরা কথামুখটিতে পাই। আমরা বেশ বুঝতে পারছি যে আমরা আসলে দুটি টেক্সট নিয়ে কথা বলে চলেছি। কিন্তু আমরা নিরুপায়। এই গ্রন্থের এটাই বৈশিষ্ট্য। দুটি টেক্সটের সংলাপ জাত এক পূর্ণতা।
এই গ্রন্থের মুদ্রণ পারিপাট্য বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে। মূল্যও মধ্যবিত্তের আয়ত্তাধীন। ১৮৩৮ সালের ভারত তথা পশ্চিমি দেশগুলির মানচিত্রগুলি বাড়তি পাওনা।
Comparative Literature : Theory and Practice গ্রন্থের Muses in Isolation প্রবন্ধে শিশিরকুমার দাশ লিখেছিলেন, "We want Comparative Literature, which is basically a study of literature in relation to one another, as an alternative to all kinds of exclusiveness..."।
এই গ্রন্থপাঠের শেষে আমরা বুঝি যে কী অসাধারণ এক ধীশক্তি সেই ১৮৩৯ এ বুঝেছিল যে প্রাচ্যবিদ্যাচর্চা বনাম পাশ্চাত্যবিদ্যাচর্চা; দেশীয় বনাম ম্লেচ্ছ ভাষা এই জাতীয় দলাদলি জ্ঞানচর্চাক্ষেত্রে নিরর্থক। পারস্পরিক তুলনা ছাড়া কোনও বিষয়কেই পুরোপুরি উপলব্ধি করা যায় না। শুধু এই কারণের জন্যই এই গ্রন্থ অপ্রমেয়। আর, একে আমাদের মত অদীক্ষিত পাঠকের সঙ্গে পরিচিত করানোর কারণে এরপর থেকে বিদ্যাসাগর নামটির সঙ্গে অন্তত এই একটি ক্ষেত্রে অধ্যাপক অমিত ভট্টাচার্যের নাম এক নিঃশ্বাসে উচ্চারণ করবে পরবর্তী প্রজন্ম।
গ্রন্থকীট
বইটি বিদ্যাসাগরের কোনো রচনাবলী বা সনহকলনে সংকলিত হতে দেখা যায়নি... বস্তুত এই প্রথমবার হয়ত বাঙালি পাঠক বিদ্যাসাগরকৃত এমন একটি গ্রন্থের সন্ধান জানবেন এবং পড়বেন... ধন্যবাদ উদ্যোক্তা এবং প্রকাশককে...
ReplyDelete