1

ধারাবাহিক - সুজিত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

Posted in


ধারাবাহিক


এক কিশোরীর রোজনামচা - ৯

সুজিত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়


Diary Entry - 06
30th. June, 1942, Tuesday.


প্রিয় কিটী

বিশ্বাস করো, গতকাল পর্যন্ত একটু বসে যে তোমায় চিঠি লিখব, তার সময়টুকুও আমার ছিল না। গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রায় গতকাল পর্যন্ত, সব কটা দিন আমার বন্ধুদের সাথেই গল্প করে কেটেছে। এরই মধ্যে শুক্রবার আবার আমাদের বাড়িতে কিছু অতিথি এসেছিলেন। আজ তাঁরা চলে গেলেন। তাঁদের যাওয়ার আগে অবধি আমার সময়টা তাঁদের সঙ্গে বেশ কাটল। জান, এই সুযোগে আমি আর হ্যারী বেশ খানিকটা কাছাকাছি আসার সুযোগও পেয়েছিলাম। আর তাতে এই কয়েকদিনে, প্রায় সপ্তাহ খানেক, আমরা পরস্পরকে আর একটু ঘনিষ্টভাবে চেনার সুযোগও পেলাম। হ্যারী তার জীবনের অনেক কথা আমায় বলল। হ্যারীর কাছে জানলাম সে তার বাবা মা ছেড়ে দাদু ঠাকুমার সাথে হল্যান্ডে এসেছে। সে এখন এখানে দাদু ঠাকুমার সাথেই থাকে। তার বাবা আর মা এখনও বেলজিয়ামেই থাকেন। 

হ্যারী অকপটে আমায় বলল, আমার সাথে আলাপ হওয়ার আগে, ফ্যানী নামে তার এক বান্ধবী ছিল। আমিও অবশ্য তাকে চিনতাম। মেয়েটার স্বভাব একটু নরম লাজুক আর শান্ত প্রকৃতির। কিন্তু হ্যারীর তাকে নিঃস্প্রভ বলে মনে হতো। আর তাই আমার সাথে আলাপ হওয়ার পর সে না’কি এখন ফ্যানীর সাথে কাটানো দিনগুলোকে ভুলে যেতে চায়। তার কাছে এখন না’কি ঐ-সব দিনগুলো অনেকটা দিবাস্বপ্নের মতো। আমি যেন ওর জীবনে বিশেষ উদ্দীপকের মতো। আমি ওকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছি। কথাটা শুনে আমার মনে হলো, আমরা সবাই আমাদের অভ্যাসের বা নিজের নিজের বিশ্বাসের দাস। যেমন হ্যারী বিশ্বাস করত ফ্যানী নিষ্প্রভ। আমরা সেই অভ্যাসের বা বিশ্বাসের দ্বারাই পরিচালিত হই। কেবল জীবনে কিছুটা নতুনত্বের জন্য মাঝে মাঝে অন্য কিছু বিচিত্র ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করি। উদ্দেশ্য, নিজেদের অভ্যাস বা বিশ্বাসের কিছু পরিবর্তন ঘটানো। 

ফ্যানী, প্রথমে এর সাথে হ্যারীর রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীকালে হ্যারীর সাথে অ্যানির ঘনিষ্ঠতা বেড়ে গেলে ফ্যানীর সাথে হ্যারীর দূরত্ব তৈরী হয়। (অনুবাদক সংযোজিত )

গত শনিবার, রাত্রে জ্যোপি (Jopie) আমাদের সঙ্গেই ছিল। আমাদের এখানেই শুয়েছিল। রবিবার সকালে সে লীসে (Lies) চলে গেল। সত্যি, জ্যোপি চলে যাওয়ার পর আমার ভীষণ মনখারাপ আর একঘেয়েমি লাগছিল। খুব বিরক্তও লাগছিল। সেদিন সন্ধ্যে বেলায় আবার হ্যারীর আসার কথা ছিল। সন্ধ্যে ছ’-টা সময়, হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। ফোনটা বাজা মাত্র আমি ছুটে গিয়ে টেলিফোনটা তুললাম। ও’প্রান্তের গলা শুনেই বুঝলাম হ্যারী কথা বলছে। বলল, “আমি হ্যারী গোল্ডবারগ বলছি। আমি কি একবার অ্যানির সাথে কথা বলতে পারি ?” 

“হ্যাঁ আমি অ্যানি বলছি।”

“অ্যানি! তুমি কেমন আছ?” 

“ধন্যবাদ, আমি ভাল আছি।”

“আমি সত্যিই দুঃখিত। আমার আজ সন্ধ্যেবেলায় তোমার ওখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি আজ আসতে পারছি না। তবে, তোমার সাথে আমার কিছু জরুরী কথা ছিল। আচ্ছা, আমি যদি মিনিট দশেকের জন্য, তোমাদের ওখানে আসি, তা’হলে তোমার কি খুব অসুবিধা হবে?” 

“না না, আমার অসুবিধা কেন হবে? আমি ত’ বাড়িতেই আছি। তুমি এস। ঠিক আছে আমি এখন ছাড়ছি। তুমি এলে তোমার সঙ্গে কথা হবে। তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করব।” 

“বিদায়। আমি এখুনি আসছি।” 

কথা শেষ করে ফোনের রিসিভারটা নামিয়ে রাখলাম। 

তাড়াতাড়ি আমার গায়ের ফ্রকটা ছেড়ে, অন্য একটা ফ্রক পড়লাম। যতই হোক হ্যারী আসছে, আমার সাথে একা কথা বলতে। মানতেই হবে ঘটনাটা একটু আলাদা। চুলে চিরুনী চালিয়ে নিজেকে একটু ফিটফাট করে নিলাম। তারপর কম্পিত লাজুক চোখে জানলার সামনে দাঁড়িয়ে, হ্যারী যে পথ দিয়ে আসবে সেই দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কিছুক্ষণ পরেই সামনের রাস্তায় দেখলাম, সে আসছে। জান, আমি আমার মধ্যে একটা আশ্চর্য বিষয় এই সময় লক্ষ্য করলাম। হ্যারীকে আসতে দেখেও, আমি ছুটে নেমে গিয়ে দরজা খুলে দেওয়ার পরিবর্তে চুপ করে জানালা ধরে দাঁড়িয়ে থাকলাম। অপেক্ষা করতে থাকলাম, কখন ডোর বেল বাজে! নীচে ডোর বেল বাজার পর, নীচে গেলাম, এবং দরজা খুলেই আবেগ আর বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম হ্যারী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি রাস্তায় নেমে এসে, হ্যারীর সাথে সাথে চলতে লাগলাম। হ্যারী হঠাৎ কেমন গম্ভীর হয়ে গেল। আমায় বলল, “অ্যানি তোমার কথা আমার ঠাকুমাকে বলেছি। শুনে, আমার ঠাকুমা বললেন, তোমার বয়স এত কম, যে তোমাকে নিয়ে আমার রোজ বেরোন ঠিক নয়। আর তুমি ত’ জানই, আমায় রোজ লীয়রে (Leurs) যেতে হবে। তা’ছাড়া, তুমি এটাও নিশ্চয় জান, আমি ফ্যানীকে নিয়ে আজকাল কোথাও যাই না।” 
Jacquelin Yvonne Meta : জ্যাক্যুলিন ইওভনা মেটা, পিতা ছিলেন ইহুদি, মা ছিলেন ডাচ। মাতৃ পরিচয়ের দৌলতে নাৎসিদের আত্যাচার থেকে রক্ষা পান। তিনি ছিলেন অ্যানির বান্ধবী। এঁকেই অ্যানি জ্যোপি নামে উল্লেখ করেছে। জন্ম ৩০-০১-১৯২৯।(অনুবাদক সংযোজিত )

কথা বলতে বলতে আমরা রাস্তায় নেমে হাঁটতে লাগলাম।

আমি বললাম, “না, তা’ কেন যাবে না ! এটাই বা করছ কেন ? তোমরা দু’জনে কি ঝগড়া করেছ?” 

হ্যারী বলল, “না ঝগড়া করি নি। তবে আমি ফ্যানীকে সরাসরি বলে দিয়েছি, যে, আমাদের মধ্যে বোঝাপাড়াটা ঠিকঠাক আর হচ্ছে না। তাই সব থেকে ভাল হয়, আমরা যদি একসাথে আর না বেরোই। তবে এরসাথে এ’কথাও বলেছি যে, সে যে কোনও সময় আমার বাড়িতে আসতেই পারে। সে’সময় আমি তার সাথে থাকব, কথা বলব। দ্যাখ, আমি ভেবেছিলাম, এরপর ফ্যানী আমার সঙ্গ এড়িয়ে, অন্যকোনও ছেলের সাথে ঘুরবে। আর তার সাথেই সে মিশবে। কিন্তু জান, অ্যানি, বাস্তবে এটা ঘটল না। ফ্যানী আর কারুর সাথেই ঘোরে না। বরং একটু চুপচাপ হয়ে গেছে। এইসব দেখে, আমার কাকা হঠাৎ একদিন আমায় ডেকে বললেন, ফ্যানীর সাথে এ’ভাবে কথা বলার জন্য, ওর কাছে আমার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কিন্তু আমি না’কি সে সব কিছু না করে, ফ্যানীকে এড়িয়ে চলতে লেগেছি, আর কার্যত ওর সঙ্গে সব সম্পর্ক প্রায় শেষ করেই দিয়েছি। কাকা কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারেন নি। কিন্তু কাকা এ’সব কথা অনেক কিছু না জেনেই বলেছিলেন। ফ্যানীর সাথে আমার সম্পর্ক শেষ করার বা যোগাযোগ না করার পিছনে আরও অনেক কারণ ছিল। আর সেটা আমি তাঁদের বলতে চাই নি। আমার ঠাকুমাও চাইতেন, আমি তোমার সাথে না বেরিয়ে, ফ্যানীকে নিয়ে বেরোই। কিন্ত আমি তা’ চাইতামও না আর তা’ নিয়ে আলোচনা করতেও চাইতাম না। তুমি ত’ জানই বয়স্করা মাঝে মাঝেই এ’রকম পুরানো পন্থী চিন্তা করেন। তাঁরা বোঝেন না নিষ্প্রভ মেয়ের সাথে কথা বলা যায় না! এ’কথা ত’ আমি তাঁদের বলতে পারি না। আসলে তাঁদের ’সব চিন্তা কি আমাদের চিন্তা আর পছন্দের সঙ্গে সব সময় মেলে বা ঠিক খাপ খায়? একদমই না। আমি আমার দাদু-ঠাকুমার সাথে থাকি; আমি জানি, তাঁদেরকে আমার দরকার। তবে, আমাকেও তাঁদের যে দরকার আছে, তা’ কি অস্বীকার করা যাবে? আমি অবশ্য আমার দাদু আর ঠাকুমাকে ভীষণ ভালবাসি, আর চাই যে তাঁরা আমার জীবনের সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকুন। আমি জানি, তাঁরাও আমাকে ভীষণভাবে চান। তবে আমার কিছু স্বাধীন মত বা পছন্দ-অপছন্দ আছে। তাকেই বা আমি বাদ দেব কি করে? আমি ঠিক করেছি এবার থেকে প্রতি বুধবারের সন্ধ্যে বেলাটা আমি আমার ইচ্ছা মত স্বাধীন ভাবে কাটাবো। জান, আমি আমার দাদু আর ঠাকুমাকে খুশী করার জন্য একটা কাঠের ওপর খোদাই-এর কাজ শেখার কোর্সে ভর্তি হয়েছি। উদ্দেশ্য হলো বাইরে থেকে তাঁদেরকে দেখানো যে আমি তাঁদের কথা মতো ঠিকঠাক চলছি। আসলে ঐ দিন আমি ইহুদিদের জাইওনিস্ট আন্দোলনের ***   (Zionist Movement ) সঙ্গে যুক্ত এক গোপন সংগঠনের সভায় কিছুটা গোপনে দাদু-ঠাকুমাকে না জানিয়ে, যোগ দিই। আমি জানি আমার এই কাজ করা ঠিক নয়। কারণ আমার দাদু আর ঠাকুমা কেউই এই জাইওনিস্ট আন্দলনকে সমর্থন করেন না। আমার অবশ্য এই বিষয়ে ওঁদের মতো অতটা গোঁড়ামি নেই। আসলে গোড়া থেকেই এই ব্যাপারে আমার জানার খুব ইচ্ছা ছিল। যেদিন এর কথা জেনেছিলাম, সেদিন থেকেই আমার এটাকে বেশ চিত্তাকর্ষক বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর দেখলাম, সংগঠনের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলা। এই পরিস্থিতিতে কখনওই কোনও ভাল কাজ করা যায় না, বা হবে বলে মনে হয় না। তাই ঠিক করেছি ওখানে যাওয়া আমি একেবারেই ছেড়ে দেব। সেই হিসাবে আগামী বুধবারটাই হবে আমার ওখানে যাওয়ার শেষ দিন। তারপর থেকে আমি প্রতি বুধবার সন্ধ্যে বেলা, শনিবার বিকাল বেলা আর রবিবার বিকাল বেলায় তোমার সাথে দেখা করতে পারব। এছাড়া অন্যকোনও দিনও তোমার সাথে আমার দেখা হতে পারে।“
ছবিতে David Ben Gurion ইস্রায়েলের স্বাধীনতার স্বপক্ষে বক্তৃতা দিচ্ছেন। ওপরে জায়োনিজম (Zionism) এর প্রতিষ্ঠাতা Tehodor Henzi-র ছবি। হ্যারী, অ্যানিকে বলেছিল, সে এখানে যায়। 
(অনুবাদক সংযোজিত ) 

আমি এতক্ষণ চুপ করে শুনছিলাম। তারপর বললাম, “কিন্তু তোমার দাদু আর ঠাকুমা এটা চান না। তাঁরা চান তুমি ফ্যানীর সাথে সময় কাটাও। তাঁদের পিছনে বা তাঁদের অমতে তুমি এ’কাজ করতে পার না। সেটা তোমার উচিৎ কাজ হবে না।“ 

হ্যারী আমার কথা শুনে বলল, “দ্যাখ, ভালবাসার পথ অন্যরকম। সেখানে অন্যের মত বা অমত একদমই খাটে না। তোমার ভাললাগাটাই আসল।“ 

আমরা এ’ভাবেই কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। রাস্তার কোনের বইয়ের দোকানটা পার হয়ে দেখলাম, দুটো অচেনা ছেলের সাথে আমার পরিচিত ওয়েসেল (Wessel) দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আমায় দেখে, আমার দিকে হাত নেড়ে “হ্যালো” বলল। এই প্রথম ওয়েসেল আমার বয়সী একটা মেয়েকে “হ্যালো” বলে সম্ভাষণ করল। বিষয়টা আদৌ আমার খারাপ লাগে নি। বরং বেশই ভাল লাগল। 
পিটার ওয়েসেলস (Peter Wessel) অ্যানির সাথে একই স্কুলে পড়তেন। ওয়েসেলস-এর সাথে অ্যানির একটি অপ্রকাশিত ভাল লাগার সম্পর্ক ছিল। তাদেরকে স্কুলে প্রায়ই একসাথে গল্প করতে বা সময় কাটাতে দেখা যেত। অ্যানি নাৎসি বাহিনীর তাড়া খেয়ে অন্তরালে যাওয়ার পর এদের সম্পর্কে ছেদ ঘটে সত্যি, কিন্তু অ্যানি ওয়েসেলসকে ভুলতে পারেনি। অন্তরাল জীবনেও তার ডাইরিতে এর কথা এসেছে। এমন কি অন্তরালবর্তী জীবনে যখন অ্যানির সাথে পিটার ভ্যান ড্যানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তখনও অ্যানি পিটার ওয়েসেলস- কে ভুলতে পারে নি। (অনুবাদক সংযোজিত ) 


যাই হোক, আমি আর হ্যারী আস্তে আস্তে হেঁটেই চললাম। শেষে ঠিক হলো আগামীকাল সন্ধ্যে সাতটা বেজে পাঁচ মিনিটে আমি ওর বাড়ির সামনে ওর সাথে দেখা করব।

ইতি, 

অ্যানি 


Zionism- এর প্রতিষ্ঠাতা Benjamin Ze’ev Herzi.
জন্ম - ২ রা মে, ১৮৬০ ; মৃত্যু - ৩ রা জুলাই, ১৯০৪। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে হারজী মারা যান। বেঞ্জামিন, ১৮৯৬তে একটি বই লেখেন। তিনিই জায়োনিস্ট বা Zionist অন্দোলন শুরু করেন। তিনিই প্রথম ইহুদিদের স্বাধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধর্ম নৈতিক জাতিস্বত্তার অন্দোলনের কথা বলেন। তিনিই প্রথম ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেন। ১৯৪৮ সালে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়। (অনুবাদক সংযোজিত) 



*** জায়োনিস্ট অন্দোলন ছিল ইহুদিদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একটি প্রধানতম অভিমুখ। আন্দোলনকারীদের অন্যতম প্রধান দাবি ও চেষ্টা ছিল ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী সকল ইহুদিদের সমবেত করে, ইহুদিদের স্বাধীনভাবে বসবাসের জন্য প্যালেস্টাইনে “ইহুদি জাতীয় রাষ্ট্রও”-Jewish National State- গঠনের দাবিকে জোরদার ও এককাট্টা করে তোলা। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই অন্দোলনের তীব্রতা ও ঘনত্ব মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে ক্রমেই বৃদ্ধি ও সংবদ্ধ হতে থাকে। তখন থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত জায়োনিষ্ট আন্দোলনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল, ইহুদিদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্টা করা। ১৯৪৮ সালে তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়। পৃথিবীর মানচিত্রে ইস্রায়েল রাষ্ট্র জন্ম নেয়। [অনুবাদক সংযোজিত] 



1 comment:

  1. লেখাটা আরও informative হয়ে উঠছে। পড়ে ভাল লাগল।

    ReplyDelete