প্রবন্ধ - রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
Posted in প্রবন্ধ
প্রবন্ধ
কীভাবে শেক্স্পিয়র পড়তে নেই
রাজা লিয়র প্রসঙ্গে এ.সি.ব্র্যাডলি ও কেনেথ মিউওর
রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
রাজা লিয়রকে অনেকেই মনে করেন শেক্স্পিয়র-এর মহত্তম রচনা, তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক। বিশিষ্ঠ সাহিত্য-সমালোচক অ্যানড্রু সিসিল ব্র্যাডলি (১৮৫১ – ১৯৩৫)-র কিন্তু মনে হয়েছিল এর প্রথম কথাটি ঠিক, দ্বিতীয়টি নয়।১. নাটক হিসেবে যখন তিনি রাজা লিয়র-এর বিচার করেন, তাঁর মনে হয় : কয়েকটি অঙ্কে দুর্ধর্ষ হলেও, সামগ্রিকভাবের হ্যামলেট, ওথেলো আর ম্যাকবেথ-এর তুলনায় এটি নিশ্চিতভাবে খাটো। কিন্তু শেক্স্পিয়র-এর মহত্তম কীর্তি হিসেবে যখন তিনি রাজা লিয়রকে দেখেন, তখন নাটকটিকে তিনি রাখেন ইস্কাইলাস-এর বদ্ধ প্রমিথিউস আর দান্তে-র দিব্যাভিসার-এর দলে; এমন কি বেটোফেন-এর মহত্তম সব সিম্ফনি আর মেদিচি উপাসনালয়ের মূর্তিগুলির পাশাপাশি।২.
ব্রাডলি-র এমন মনে করার কারণ কী? আসলে গড়নের দিক থেকে রাজা লিয়র-এর বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি তাকে বড়ই পীড়া দিয়েছিল। শেক্স্পিয়র-এর মহত্তম রচনায় সেগুলি যেন চাঁদের কলঙ্কর মতো। ব্র্যাডলি মনে করতেন : নাটক হিসেবে শেক্স্পিয়র-এর ট্র্যাজেডিগুলির মধ্যে ওথেলো-ই সবচেয়ে নিখুঁত।৩. সে তুলনায় রাজা লিয়র-এ অসঙ্গতির মাত্রা বড্ড বেশি। তার কয়েকটি নমুনাও তিনি দিয়েছেন।৪.
‘ব্র্যাডলি’-র এমন নটি ‘বিমূঢ়তা’-র সংক্ষিপ্ত উত্তর দিয়েছিলানে আরএক শেক্স্পিয়র বিশেষজ্ঞ, কেনেথ মিউওর (১৯০৭-৯৬)।৫. যেমন,(১) এডগার কেন মুখ বুজে তার বাবাকে এড়িয়ে চলে (মিউঅর-এর উত্তর : কারণ এডমন্ড তাকে বিশ্বাস করিয়ে ছেড়েছে যে তার (এডগার-এর) জীবন বিপন্ন।) (২) লিয়র বলেন পঞ্চাশজন সহচর ছাঁটাই করার কথা, যদিও গনেরিল কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেন নি। (মঞ্চ থেকে তাঁর স্বল্পকালীন অনুপস্থিতির সময় লিয়র শুনে থাকবেন যে তাঁর সঙ্গে ঐ ব্যাপারে পরামর্শ করার আগেই গনেরিল সহচরদের অর্ধেক ছাঁটাই করে দিয়েছিলেন; বা হয়তো লিয়র অতীন্দ্রিয় ভাবসংযোগ (টেলিপ্যাথি) করতে পারেন।)
এই ধরণের সওয়াল আর সেগুলির জবাব পড়তে পড়তে মনে হয়: মিউঅর কি ঠাট্টা করছেন, নাকি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই এমন জবাব দেওয়া? পরের একটি সওয়াল জবাব থেকে প্রথম সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হয়। ব্র্যাডলি-র প্রশ্ন ছিল: ভাঁড় (ফুল)-এর নিয়তি সম্পর্কে আমাদের জানাতে শেক্স্পিয়র কেন অবহেলা করলেন? মিউঅর-এর উত্তরে তাচ্ছিল্যই প্রকাশ পায় : ‘বিশেষ কোনো কারণ নেই, একমাত্র উপন্যাস-পাঠকদের অনিবারণীয় কৌতূহল ছাড়া, কেন আমাদের তা বলা উচিত। যখন তার আর কোনো দরকার নেই, পেশাদার ভাঁড় মিলিয়ে যাবে এমনটাই যথাযথ।’
তিনটি ব্যাপারে মিউঅর অবশ্য স্বীকার করেছেন : শেক্স্পিয়র কিছু কিছু তুচ্ছ অসঙ্গতির দোষে দোষী। কিন্তু তাঁর পরিস্কার বক্তব্য : মঞ্চে অভিনয়ের সময়ে কেউ এগুলো নজর করবে না। তিনি অবশ্য ব্র্যাডলি-র ঐ তিনতি প্রশ্নরও উত্তর দিয়েছিলেন, সেগুলিও কিন্তু হালকা চালে। যেমন, অঙ্ক ৪ দৃশ্য ৩-এ কর্ডেলিআ-কে পাঠানো একটি চিঠির উল্লেখ করেছেন ব্র্যাডলি, যদিও বার্তাটি মৌখিক (অঙ্ক ৩, দৃশ্য ১ দ্র.)। মিউঅর-এর জবাব : কেন্ট হয়তো একটি চিঠি ও তারই সঙ্গে মৌখিক বার্তাও পাঠিয়েছিলেন, বা শেক্স্পিয়র হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন বা আশা করেছিলেন যে তাঁর দর্শকরা ভুলে গেছেন।
আর একটি প্রশ্ন-উত্তর একই ধরণের। ঝড়ের মধ্যে রাজাকে খুঁজে পেয়ে কেন্ট কেন ‘হালূ’ বলে ওঠেননি? জবাব : অভিনেতা ‘হালূ’ আওয়াজটি যোগ করে দিতেন, অথবা রাজার দুরবস্থা দেখে কেন্ট সেই ব্যবস্থার কথা ভুলে গিয়েছিলেন।
আসলে মিউঅর যাকে বলেছেন ‘উপন্যাস পাঠকদের অনিবারণীয় কৌতূহল’ সেটিই সারকথা। ব্র্যাডলি-র মনে ঐসব প্রশ্ন উঠেছিল একই জাতের কৌতূহল থেকে। উনিশ শতকের আগের কোনো দর্শক/পাঠক নাটকে ছোটো-বড় নানা অসঙ্গতি নিয়ে বিচলিত হতেন না, এগুলো তাঁদের নজরেই পড়ত না। সাহিত্যে, শিল্পে আর সেই সঙ্গে দর্শকদের/পাঠকদের মনে বাস্তববাদ ঘাঁটি গাড়ার পরে এইসব ফ্যাচাং দেখা দিল। এখনকার দর্শক/পাঠক চান ঘটনার পরিপূর্ণ সঙ্গতি, আগের কোনো দৃশ্যে যা বলা হয়েছে পরের কোনো দৃশ্যে বিনা নোটিশে যেন তার অন্যথা না হয়। ব্র্যাডলি তাই প্রশ্ন তোলেন (প্রশ্ন নং ৯) : অঙ্ক ৩, দৃশ্য ১এ কথা দেওয়ার পরেও কর্ডেলিআ কেন জনৈক ভদ্রলোকের কাছে কেন্ট-এর পরিচয় দেন না ? মিউঅর-এর জবাবটি বেশ মজাদার : শেক্স্পিয়র বোধহয় মত বদলেছিলেন।
বাস্তববাদী নাটকে আকৈশোর অভ্যস্ত দর্শক/পাঠক যদি সেই মন নিয়েই শেক্স্পিয়র-এর নাটক দেখতে/পড়তে যান, গোড়াতেই তিনি একটি বিরাট ভুল করবেন। শেক্স্পিয়র নাটক লিখেছিলেন এমন যুগে – ষোলো শতকের শেষ আর সতেরো শতকের শুরু – যখন ‘বাস্তববাদ’ বলে কোনো ধারণার জন্মই হয় নি।৬. তখনকার নাট্যকার ও প্রযোজক আর দর্শকমন্ডলী আখ্যান (প্লট) ও সংলাপের সঙ্গতি, সাযুজ্য ইত্যাদির পরোয়া করতেন না। সফোক্লেস (--পাঁচ শতক) থেকে শেক্স্পিয়র সকলের নাটকেই কমবেশি অসঙ্গতি ও বিচ্যুতি খুঁজে বার করা সহজ।৭ কোনো কোনো দর্শক/পাঠক এই খোঁজের নেশায় মজে যান। নাটকের গুণাগুণ বিচারের চেয়ে মেতে ওঠেন ভুলচুক বার করার আনন্দে।
একা ব্র্যাডলি নন, আরও অনেকেই গল্পের অসঙ্গতিকেই বড় করে দেখেন। কারুর কাছে যদি সেই দেখাকে ‘অযথা’ মনে হয়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই ; নাটক কেন, সাহিত্য পড়ার, পড়ানোর ও সমালোচনার রীতিনীতি কয়েক দশক অন্তর বদলায়। আগে যেসব প্রশ্ন খুবই ন্যায্য ও স্বাভাবিক বলে ধরা হতো, পরে সেগুলি গণ্য হয় অবান্তর ও বেদরকারি বলে। গত শতকের প্রথম ভাগে, এমনকি দ্বিতীয় ভাগের গোড়াতেও, শেক্স্পিয়র-এর নাটকের যাবতীয় সংস্করণে ভূমিকা ও টীকার ঝোঁক ছিল একদিকে। বিশ শতকের শেষ দশকে সে ঝোঁক আর এক থাকে নি। নাটকের পাঠ-এর বদলে হালে জোর পড়েছে প্রযোজনার দিকে। রাজা লিয়র-এর তিনটি আর্ডেন সংস্করণ দেখলেই তা ধরা পড়ে।৮.
সুগঠিত নাটক, যার ঘটনায়, সংলাপে কোনো অসঙ্গতি থাকবে না, তেমন রচনা ষোলো-সতেরো শতকের নাটকে প্রত্যাশা করাই বৃথা। যে যুগে যে মাপকাঠি অচল সে যুগে সেই মাপকাঠি ব্যবহার করলে লেখা ও লেখক – দুএর প্রতিই অবিচার করা হয়,দর্শক/পাঠকও ইচ্ছে করে নিজেকে বঞ্চিত করেন। শিল্প-সাহিত্য বিচারের ক্ষেত্রে এটিও এক ধরণের কালব্যত্যয় দোষ।
আবার ব্র্যাডলি-র কথায় ফিরে আসি। ভুল প্রত্যাশার দরুন তিনি যে কী গভীর সঙ্কটে পড়েছিলেন সেটি ভেবে দেখার মতো। রাজা লিয়র পড়ে নিশ্চয়ই একবার নয়, বারবার সমস্ত অন্তর দিয়ে ব্র্যাডলি উপলব্ধি করেছিলেন : এটি শুধু এক মহানাটক নয়, বিশ্বসাহিত্যে মহত্তম শিল্পকৃতির একটি। কিন্তু সেই উপলব্ধি বাধা পাচ্ছিল এক সংস্কারের চাপে। সেটি হলো সুগঠিত নাটক-এর সংস্কার। এই সংস্কারকে গুরুত্ব দেওয়ার ফল হয় মারাত্মক। নাটকের বিষয়বস্তুর চেয়ে বড় হয়ে ওঠে তার আঙ্গিক। ব্র্যাডলি-র মতো সূক্ষ্ম সংবেদনশীল শেক্স্পিয়র অনুরাগীও আঙ্গিকের দিকটিতে এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন যে অন্তরের উপলব্ধিতেও তিনি স্বচ্ছন্দে সাড়া দিতে পারেন নি। শেক্স্পিয়র-এর যুগে নাট্যশালার সঙ্গে সংযুক্ত কেউই সুগঠিত নাটক-এর ধার ধারতেন না – এই সহজ সত্যটি তিনি মনে রাখেন নি। অথচ এইটুকু খেয়াল করলেই মনের যাবতীয়ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব তিনি এড়াতে পারতেন।
ব্যাপারটা একটু আশ্চর্য লাগে। সুগঠিত নাটক নামটি নতুন হলেও ধারণাটি প্রাচীন। আরিস্তোতলও (চার শতকে--) এমন নাটকেরই পক্ষপাতী ছিলেন। তবুও তিনি বলতে পেরেছিলেন : অন্য ব্যাপারে ঘাটতি থাকলেও ইউরিপিদেসকেই কবিদের ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে ট্রাজিক’ বলে ধরা হয়।৯. কোনো কোনো ভাষ্যকার অন্য কথা বললেও ঘটনা এই যে মঞ্চে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পরিণাম’ই নাটকের শ্রেষ্ঠত্ব বিচারের আসল মাপকাঠি। নিজে মূলত আঙ্গিকবাদী হয়েও সফোক্লেস প্রমুখের চেয়ে ইউরিপিদেসকেই এই বিচারে জয়মুকুট পরিয়েছেন আরিস্তোতল।
অন্যদিকে, ব্র্যাডলি তাঁর সমস্ত বিচার-বিবেচনাকে বাঁধা রেখেছেন নাটকের ঘটনা ও চরিত্রের সঙ্গতির কাছে। অথচ ব্র্যাডলি আদৌ কেতাবি লোক ছিলেন না। তিনি শুধু নাটক পড়তেন না, নিয়মিত থিয়েটার দেখতে যেতেন, অভিনয় ও প্রযোজনা থেকে নাটকের পাঠ (টেকস্ট্) নিয়ে সিদ্ধান্ত করতেন।১০. নিজে আঙ্গিকবাদী হওয়া সত্ত্বেও মঞ্চসাফল্যেই আরিস্তোতল নাটক বিচারের মানদন্ড বলে স্বীকার করেছিলেন। : সেইটিই ব্র্যাডলি মানতে পারেন নি। তার জন্যেই এত গোল।
টীকা :
১. ব্র্যাডলি ১৯৭৯. পৃ. ১৯৮।
২. ঐ, পৃ. ১৯৯।
৩. ঐ, পৃ. ২০০।
৪. ঐ, পৃ. ২১০-১৩।
৫. মিউঅর ১৯৫২/১৯৬৫, ভূমিকা, পৃ. পঞ্চাশ টী ৩; ১৯৭২/১৯৮৭, পৃ. পঞ্চান্ন টী.৩। ব্র্যাডলি-র যাবতীয় আপত্তির উত্তর (বা উত্তরের নামে ঠাট্টা) এই টীকাতেই রয়েছে (যথাক্রমে পৃ. পঞ্চাশ-একান্ন আর পঞ্চান্ন-ছাপ্পান্নয়)।
৬. ১৮৫০ এর দশকের আগে সাহিত্যের ক্ষেত্রে রিয়ালিজম শব্দটির চল ছিল না। হেমিংস সম্পা, পৃ. ৯, ১৬২, ১৭৯দ্র।
৭. রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ২০০২-০৩ দ্র.।
৮. এর প্রথম দুটির সম্পাদক ছিলেন কেনেথ মিউওর (১৯৫২,১৯৭২), তৃতীয় পর্বর সম্পাদক আর.এ. ফোক্স্(১৯৯৭)। শুধু আর্ডেন সংস্করণ নয়, আন্যান্য সংস্করণের ক্ষেত্রেও এমন হেরফের চোখে পড়ে।
৯. পোএটিক্স্ ১৩।৬, ১৪৫৩ক, ২৯-৩০। শিশির কুমার দাশ – অনু. পৃ.৩৬।
১০. জন রাসেল ব্রাউন-ই বোধহয় প্রথম এই ব্যাপারটি শেক্স্পিয়র পাঠকদের নজরে আনেন। (১৯৮৫, পৃ, তেরো, ২০০৭, পৃ.১)। ব্র্যাডলি-র বইটির তৃতীয় সংস্করণ নামে পালগ্রেভ থেকে যে বইটি বেরিয়েছে (১৯৯২) তাতেই ব্রাউন-এর একটি ভূমিকা আছে, কিন্তু ১৯৮৫-র ভূমিকার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই।
১১. কাব্যতত্ত্ব-র একাধিক অধ্যায়ে মঞ্চসাফল্যকেই নাটকের শেষ বিচার বলে ধরা হয়েছে। (যেমন, অধ্যায় ১৩, ১৭, ২৪ইঃ)। এছাড়া রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ১৯৯৮-৯৯ ও ২০০৮ দ্র.
রচনাপঞ্জী :
Aristotle : Poetics, Ed. D. W. Lucas. Oxford : Clarendon Press. 1988. --- ---- -Bhattacharya, Ramakrishna, Aristotle’s Attitude to Euripides : A Study, Journal of the Department of English, Calcutta University, 1998-99, pp. 7-13.
--. Aristotle’s Attitude to Spectacle and Melody, Yavanika, 2008, No. II, 95-101.
--. “Inconsistencies” in the Text of King Oedipus, Journal of the Department of English, Calcutta University, 2002-03, pp. 1-12.
Bradley, A.C. Shakespearean Tragedy (reprint of the second edition with of new introduction by John Russell Brown.) Houndmills & Longdon : Macmillan Education Limited, 1989.
Brown, John Russell. Introduction to Bradley (see above), 1985, reprinted 1989.
--. Introduction to Bradley (third edition), Houndmills & New York : Palgrave 1992.
--. A.C.Bradley on Shakespeare’s Tragedies. New York : Palgrave Macmillan,2007.
Foakes, R. A. (ed.), King Lear : Walton-on-Thames : Thomas Nelson & Sons, 1997.
Hemmings, F.W. (ed.) The Age of Realism, Harmondsworth : Penguin Books, 1974.
Muir, Kenneth (ed.) King Lear, London, Methuen, 1952/1965.
--. King Lear London: Routledge, 1972/1987.
শিশিরকুমার দাশ (অনু.)। কাব্যতত্ত্ব : আরিস্টটল। আশা প্রকাশনী, ১৯৭৭।
কৃতজ্ঞতাস্বীকার :
অমিতাভ ভট্টাচার্য, নয়না দে, সন্দীপন সেন ও সিদ্ধার্থ দত্ত।
0 comments: