0

প্রাচীন কথা - দোলা সেন

Posted in


প্রাচীন কথা


পঞ্চকন্যার দ্বিতীয়া - দ্রৌপদী
দোলা সেন



অহল্যা দ্রৌপদী কুন্তী তারা মন্দোদরীস্তথা।
পঞ্চকন্যা স্মরেন্নিত্যং মহাপাপম বিনাশনম॥

প্রথম দর্শনে / শ্রবণেই শ্লোকটি আমার মর্মে গাঁথা হয়ে গিয়েছিল। প্রথম যখন শুনি তখন আমার বয়েস ষোল। সর্বগ্রাসী পড়ার নেশায় ততদিনে কাশীদাসী মহাভারত, কৃত্তিবাসী রামায়ণ, পদ্মাপুরাণ ইত্যাদি গেলা হয়ে গেছে। তাই ঠাকুমার মুখে ওই স্তোত্রটা শুনে বেশ চমকে গিয়েছিলাম। ঠাকুমা সম্ভবতঃ কোন পাঠের আসর থেকে সদ্য শিখে এসেছিলেন। পাপস্খলনের নিমিত্ত রোজ সকালে আওড়াতেন। আমি আমার চিরকেলে পটপটিয়া অভিধাটি সার্থক করে জানতে চাইলাম, - “হ্যাঁ গো ঠাকুমা, বহুপতি থাকাটা বেশ পুণ্যের কাজ তাইলে, কি বলো?” ফল কি হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু অজস্র বকুনি, কানমলা ইত্যাদির পরেও আমার মাথা থেকে যে প্রশ্নটা গেল না, সেটা হল – সতীশিরোমণি সাবিত্রী নন, একপতিনিষ্ঠ সীতা নন, এমনকি নলপ্রিয়া দময়ন্তীও নন – পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রাতঃস্মরণীয়া এমন পাঁচটি নারী, যাঁদের সাধারণ সমাজচেতনায় সতী আখ্যাও দিত না কেউ। আশীর্বাণী হিসেবে সাবিত্রীসমান হও শুনেছি বহুবার। কিন্তু দ্রৌপদী হও – এ কথা বলতে শুনিনি একজনকেও! তাহলে কি, এটা যাকে বলে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ, তাই? মনে রেখ নারীকুল, গণ্ডীর বাইরে পা বাড়িয়েছ তো এদের মতোই অশেষ দুঃখ লেখা আছে কপালে! আমার পড়াশোনা খুব সীমিত, এ বিষয়ের প্রকৃত অধিকারী কেউ যদি এ বিষয়ে আলোকপাত করতে পারেন, তাহলে খুব কৃ্তজ্ঞ থাকব।

অনেক ভেবেছি, জানেন? সামান্য বইপত্র যেটুকু ঘেঁটেছি, তাতে এ প্রশ্নের উত্তর পাই নি। অবশ্য সবিনয়ে স্বীকার করব, মূল সংস্কৃতে কোন বই পড়ার বিদ্যে আমার নেই। তাই আপনাদের কাছেই প্রশ্নটা রাখলাম। আর অতি সঙ্কোচের সাথে আমার যেটুকু মনে হয়েছে তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। কোন ধর্মীয় চেতনা বা সংস্কারে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার নিজস্ব বিশ্লেষণটি তুলে ধরছি, শুধুমাত্র বহুদিন ধরে জমে থাকা একটি সংশয়ের সমাধানের জন্য। আর হ্যাঁ, আমার কাছে দ্রৌপদী বরেণ্য, তিনি একজন মানবী বলেই। তাঁর সত্ত্বাকে কোন দৈবী রূপক দিতে আমি নারাজ।

·

॥দ্রৌপদী॥

পঞ্চনারীর দ্বিতীয়া দ্রৌপদী। অযোনিসম্ভূতা, যজ্ঞ থেকে উত্থিতা, অনন্যসুন্দরী, কৃষ্ণা এক রমণী। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ধৃষ্টদ্যুম্ন বা কৃষ্ণা কেউই দ্রুপদের ঔরসজাত নন। দ্রুপদের একমাত্র ঔরসজাত পুত্র শিখণ্ডী ক্লীব ছিলেন। তাই তিনি বাল্যসখা দ্রোণের দর্পহরণের নিমিত্ত যজ্ঞের মাধ্যমে সন্তান চেয়েছিলে এই যজ্ঞের মাধ্যমে সন্তানলাভ বহুচর্চিত একটি বিতর্কিত বিষয়। তার মধ্যে আমি ঢুকতে চাই না। ধ্বংসের জন্য, ক্লান্ত পৃথিবীর ভারহরণের জন্যই নাকি দ্রৌপদীর জন্ম। দ্রৌপদীর কৃষ্ণবর্ণ কি সেদিকেই ইঙ্গিত করে? তিনি চেয়ে বা না চেয়েও বারংবার ক্রীড়নক হয়েছেন সেই অদৃশ্য মহাশক্তির। তবু এই নারী সর্বযুগের সর্বকালের বিচারে অনন্যা। তীব্র তেজস, ক্ষুরধার বুদ্ধি, যুক্তিসচেতনতা এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যে উদ্ভাসিত এক অসামান্যা রমণী।

তাঁর স্বকীয়তা বারবার আঘাত করেছে, প্রশ্ন করেছে, বিব্রত করেছে একান্ত পুরুষশাসিত সেই দ্বাপরযুগকে। নিজের স্বয়ংবরসভায় সভার নিয়ম ভেঙে তিনি ঘোষণা করেন, সূতপুত্র কর্ণের গলায় মালা দিতে তিনি অপারক। জাত্যাভিমানে তিনি ঠিক করলেন না ভুল করলেন, সেটা বড় কথা নয়, সদ্যযৌবনা – কিশোরীও হয়ত বলা যায় আজকালকার বিচারে – তার এই প্রতিবাদের সাহস আমাদের চমকিত করে। 

এইখানে আমার একটি ব্যক্তিগত সংশয় আছে। কাশীরাম দাস বলছেন, কর্ণ ধনুক ওঠাবার আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তিনি লক্ষ্যভেদ করলে এই কন্যা পাবেন তাঁর মিত্র দুর্যোধন। সেই দুর্যোধন, যিনি কিছু পূর্বে ধনুক তুলতে গিয়েই সপাটে আছাড় খেয়েছিলেন! বীরপণ্যা এই নারী নিজের এই ভবিষ্যৎ মানতে পারেন নি বলেই কি কর্ণকে থামাবার জন্য হাতের কাছে আর কিছু না পেয়ে তাৎক্ষণিক তাগিদে যা মনে এসেছিল তাই বলে কর্ণকে নিরস্ত করেছিলেন? কারণ কর্ণ সফল হলেও নিয়মানুসারে তো তাঁকে সূতপুত্রবধূ হতে হতো না। কর্ণ যদি নিজের জন্য লক্ষ্যভেদ করতে চাইতেন, তাহলেও কি দ্রৌপদী এই কথাই বলতেন? কে জানে! কারণ একটু পরেই যখন দরিদ্র ব্রাহ্মণবেশী অর্জুন মৎসচক্ষু বিদ্ধ করার জন্য ধনুকে শরযোজনা করবেন, তখন আজন্মসুখলালিতা রাজকন্যাটি কিশোরীর নরম লাজুক প্রেমে থরো থরো হয়ে প্রার্থনা করবেন, - “হে ঈশ্বর, যেন সফল হয় এই তরুণ!”

পণে জয়ী তরুণের গলায় মালা পরিয়ে দিয়েছিল সেই নারী। এরপর ক্ষত্রসমাজ নিজেদের অপারগতা ঢাকতে রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন গরীব “ব্রাহ্মণ’টিকে ‘শাস্তি’ দিতে। একবারও তাঁদের কেউ ভেবে দেখলেন না, একটু আগেই সভাতে বারবার জাতিনির্বিশেষে সমর্থ বীরকে আহ্বান করা হয়েছিল।

সবচেয়ে অবাক কথা, পরবর্তী যুগেও কাব্যে গল্পে প্রবন্ধে প্রায়-কিশোরী দ্রৌপদীর প্রত্যাখ্যান নিয়ে ঝড় উঠেছে বারবার; অথচ ঐ একই সভাতে তার কিছুক্ষণ বাদেই সভার সব নিয়ম ভেঙে, পরিণতবয়স্ক রাজন্যবর্গ একযোগে যেভাবে এক ব্রাহ্মণকে আক্রমণ করলেন, সেভাবে তার কোন সমালোচনা আমার সীমিত অধ্যয়নের নজরে আসেনি।

যাই হোক, অর্জুন এবারেও জয়ী হলেন, কিন্তু কৃষ্ণা-অর্জুনের মিলন হল না! কুন্তীর উক্তি, যুধিষ্ঠিরের অপরূপ ব্যাখ্যা, ব্যাসদেবের পূর্বজন্মের গল্পকথা – সব মিলিয়ে দ্রৌপদী পেলেন পঞ্চপতি! স্থির হল এক বছর পর পর সিনিয়রিটি অনুযায়ী পাল্টে যাবে তাঁর স্বামী পরিচয়। আর এক ভাইয়ের একান্ত অবসরের মুহূর্তে যদি উপস্থিত হন দ্বিতীয় কেউ তাহলে শাস্তিস্বরূপ তাঁকে বারো বছরের বনবাসে যেতে হবে। বরাবরের মতো অর্জুন এবারেও জ্যেষ্ঠভ্রাতার অনুগামী হয়েই রইলেন। তাতে তাঁর হৃদয়ে কতটা রক্তক্ষরণ হয়েছিল, সে খবর কারো জানা নেই। আর দ্রৌপদীর কথা বলার মতো কলমের জোর আমার নেই। তাঁর মতামত বোধহয় কেউ চায়ও নি। কারণ শোনা গেল, আগের জন্মে নাকি তিনি পাঁচজন একই রকম দেখতে দেবতাদের মধ্যে একজনকে বিশেষভাবে নির্বাচন করতে পারেন নি! অতএব প্রথম বছরে দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরপত্নী।

এই প্রথম বছরে অনেকগুলি ঘটনা ঘটবে। পাণ্ডবরা ইন্দ্রপ্রস্থের রাজত্ব পাবেন। বসতি গড়ার মুখে মুখেই সেই রাজ্যে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণের গরু চুরি হবে। গরু উদ্ধার না হলে নতুন রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তদুপরি ব্রহ্মশাপের ভয় তো আছেই। অতএব অর্জুন দৌড়োলেন অস্ত্র আনতে। অথচ সেই মুহূর্তে অস্ত্রাগারে যুধিষ্ঠির তাঁর নবপরিণীতা স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্রাম্ভালাপে ব্যস্ত। রাজমহলে এত জায়গা থাকতে যুধিষ্ঠিরের মতো নির্বোরোধী মানুষের এই ঘরটিই কেন পছন্দ হল জানা নেই, কিন্তু অর্জুন দ্বিধা করলেন না। তাঁর মতো বীরের যা কর্তব্য তিনি তাই করলেন। তিনি খবর দিয়ে অস্ত্রাগারে প্রবেশ করলেন। ব্রহ্মশাপ থেকে রাজ্যকে বাঁচালেন। তারপর বারো বছরের জন্য বনবাসে চলে গেলেন! যুধিষ্ঠির অতি দুর্বলভাষে ভাইকে বাধা দিলেন বটে, কিন্তু স্বাভিমানী অর্জুন যে সে কথা শুনবেন না, সেও তো তাঁর জানার কথাই।

বারো বছর পরে অর্জুন ফিরলেন যখন, তখন তাঁর অনেক পত্নী। উলূপী, চিত্রাঙ্গদা, সুভদ্রা --। এর মধ্যে একমাত্র সুভদ্রাই এসেছেন স্বামীর সাথে ইন্দ্রপ্রস্থে। অভিমান হলেও বুদ্ধিমতী দ্রৌপদী জানতেন এটাই অবধারিত ছিল। যে অসম্ভব আত্মমর্যাদার সাথে তিনি পরিস্থিতির সামাল দিলেন, তা দেখে স্তম্ভিত হতে হয়। সুভদ্রাকে ছোটবোনের সম্মান দিয়ে নিজের অবস্থান আর সুভদ্রার মর্যাদা দুইই রক্ষা করলেন।

এরপর তিনি অর্জুনের স্বল্পকালীন সঙ্গ পান। কিন্তু এইসময়েই আবার যুধিষ্ঠিরের বাসনা হল রাজসূয় যজ্ঞ করার। চার ভাইকে চারি দিক জয় করতে পাঠিয়ে দিলেন। নিজে থাকলেন প্রধানা মহিষী দ্রৌপদীর সাথে রাজ্যের সুরক্ষায়। রাজসূয় যজ্ঞ হল। আসমুদ্র হিমাচলে পাণ্ডবদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকৃত হলো। কিন্তু পত্নীর সমস্ত নিষেধ, ভাইদের অনুনয় সব উপেক্ষা করে বাজির পাশাখেলাতে রাজ্যসম্পদ, ভাই, স্বয়ং এবং পত্নীকেও হেরে বসলেন!

কুরুসভায় লাঞ্ছিতা রাজেন্দ্রানী বারংবার আকুল হয়ে জানতে চাইলেন এক কূটপ্রশ্নের উত্তর – “মহারাজ যুধিষ্ঠির আগে নিজেকে পণ রেখেছিলেন, নাকি আগে স্ত্রীকে?” পুরো রাজসভা. – মনে রাখতে হবে সেখানে ভীষ্ম, দ্রোণ, কৃপ, ধৃতরাষ্ট্র, বিদুর সক্কলে উপস্থিত। সবাই চুপ। চিরসত্যবাদী যুধিষ্ঠির, এমন কি যে মহাবীরের গলায় তিনি মালা দিয়েছিলেন, সেই অর্জুনও নীরব। পার্থ এবারেও অগ্রজকেই অগ্রাধিকার দিয়ে শুধু নিজেই মাথা নত করে বসে রইলেন না, ভীমকেও চেপে বসিয়ে রাখলেন। তখন, সেই কৌরবসভায় উপস্থিত একমাত্র পুরুষ - দুর্যোধনভ্রাতা বিকর্ণ ঘোষণা করলেন, - “যুধিষ্ঠির নিজে পরাজিত হবার পরে দ্রৌপদীকে পণ রেখেছেন। তাই এই পণ অসিদ্ধ।“

তা বিকর্ণের তো আর সেই সভায় বক্তব্য রাখার অধিকার ছিল না, তাই সে কথা কেউ গ্রাহ্য করলেন না। সভামধ্যে দ্রৌপদীর চূড়ান্ত লাঞ্ছনা হলো। তখন আর ভীমের সহ্য হলো না। দুর্যোধন এবং দুঃশাসনের বিনাশের ভয়ংকর প্রতিজ্ঞা করে বসলেন তিনি। এই ভীম পরে দ্রৌপদীর অনুরোধ রাখতে নিয়ে আসবেন স্বর্গের পারিজাত, স্ত্রীর অবমাননাকারী কীচককে হত্যা করবেন, করবেন দুঃশাসনের রক্তপান কিংবা দুর্যোধনের উরুভঙ্গ।

কিন্তু তবু দ্রৌপদীর জীবনে প্রথম প্রেম পার্থ, আর হয়তো বা শেষতমও। চিরজীবন যাকে চেয়ে এসেছেন, তাঁকে কতটুকু পেলেন পাঞ্চালী? বনবাসেও তো অর্জুনকে যেতে হলো হিমালয়ে তপস্যা করে দৈবী অস্ত্রের সাধনে। আর এই দীর্ঘ বনবাসে বিভিন্ন সময়ে দ্রৌপদীর কাছে ক্ষত্রিয়ের অনুপযোগী দৌর্বল্যের জন্য বারংবার তিরস্কৃত হবেন যুধিষ্ঠির। তাঁর জুয়াসক্তি, তাঁর প্রতিবাদ-অনীহা থেকে তাঁকে মুক্ত করার, এক শক্তিমান রাজপুরুষ বানাবার প্রচেষ্টায় নিরত থাকবেন পাঞ্চালী। পরাজয় স্বীকার করে ভাগ্যের কাছে নত হতে শেখেননি যে এই রাজেন্দ্রাণী।

কিন্তু এই যে জ্যেষ্ঠের শ্রেষ্ঠ ভাগ দিতে পারলেন না এই রমণী, তার জন্য নিয়তি তাঁকে ক্ষমা করেনি। এত কিছুর পরেও তাঁকে সইতে হলো ভগ্নীপতি জয়দ্রথের হাতের লাঞ্ছনা, পঞ্চপুত্রের অসহায় মৃত্যু এবং সবশেষে স্বর্গারোহণের পথে তাঁর পতন! এবং এই পতনের কারণ কি বললেন যুধিষ্ঠির? পাঁচজনের মধ্যে অর্জুনের প্রতি নাকি বেশি আসক্তা ছিলেন দ্রৌপদী!

ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির সশরীরে পৌঁছে যান স্বর্গে। এক এক করে পতিত হন বাকী ভাইয়েরা। আরে না, না, আশ্রিত পাঁচ সন্তানসহ নিষাদজননীকে জতুগৃহে পুড়িয়ে মারা, পত্নীর সম্মান রক্ষায় অসমর্থতা অথবা আপাত যুদ্ধশেষে সন্তানদের অরক্ষিত রেখে দূর নদীতীরে বিশ্রাম (পিকনিক?) নেবার মতো তুচ্ছ কারণে নয়, তাঁদের যেসব ত্রুটিতে পরিবারের জ্যেষ্ঠভ্রাতাটি স্বার্থ বা অহং বিঘ্নিত হয়েছে, সেইসব অপরাধে মানে, ভীম কেন এত পেটুক ছিলেন, অর্জুন কেন একদিনে দিব্যাস্ত্র প্রয়োগ করে যুদ্ধ শেষ করেন নি, নকুল কেন নিজেকে রূপবান ভাবতেন, সহদেব কেন আগে থেকে ভবিষ্যত গণনা করে তাঁকে বলে দেন নি - এইসব গুরুতর কারণে চার পাণ্ডবের পতন ঘটে। এমনকি কৃষ্ণার প্রতি ভীমের একমুখী প্রেম, বা হিড়িম্বার চেয়ে পাঞ্চালীকে বহুগুণ বেশী ভালোবাসা ভীমের পাপ নয়, সে পাপ একান্ত দ্রুপদনন্দিনীর! ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের দাম তাঁকে যে এ জন্মেই চুকিয়ে দিয়ে যেতে হবে।

[আত্মপ্রকাশের প্রথম সোপান (বর্ষ ১ সংখ্যা ১) পত্রিকায় পূর্ব প্রকাশিত]

0 comments: