বিশেষ প্রবন্ধঃ ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
Posted in বিশেষ প্রবন্ধ
বিশেষ প্রবন্ধ
বাংলা চলচ্চিত্রের এক মর্যাদাময় ব্যক্তিত্ব
কানন দেবী : শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
দশ বছরের এক বালিকা আর তার মা । পিতা বলে যাকে আশৈশব জেনে এসেছে, মা তার বিবাহিত স্ত্রী নন, রক্ষিতা । দশ বছর বয়সে, সেই জন্মদাতার মৃত্যুতে অতল অন্ধকারে পড়ে গেলো সেই মেয়ে । বুঝে গেল শূন্য থেকে শুরু করতে হবে । মাথার ওপর একটুকরো ছাদের সন্ধান পেতে মাকে নিয়ে আশ্রিতা হ’ল এক আত্মীয়ের, দুজনের শ্রমের বিনিময়ে । মা পাচিকা, মেয়ে বাসন মাজার কাজ । সেখানে লাঞ্ছনা, অপমান, দৈহিক পীড়ন অসহনীয় হয়ে ওঠায় বাধ্য হ’ল মাকে নিয়ে অনিশ্চিতের পথে পা বাড়াতে । সেদিনের সেই বালিকা তেইশ বছর পরে টালিগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সমভ্রান্ত গুনিজনদের মধ্যে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করলেন আর উদবোধক রাজ্যপাল কৈলাশনাথ কাটজুকে অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন । পীড়িত, নিঃসম্বল সেই কিশোরীই তার তন্ময় সাধনা, সততা আর সমাজ-মনস্কতায় হয়ে উঠলেন অতি সম্মানিত মহিয়সী নারী । অমৃতবাজার পত্রিকার সম্পাদক তুষারকান্তি ঘোষ যাকে বলেছিলেন ‘ফার্স্ট লেডি অফ ইন্ডিয়ান স্ক্রীণ’ । এ এক বিস্ময়কর ঘটনাক্রম । অবহেলার অন্ধকার থেকে দীপ্তিময়ী ব্যক্তিত্বে উত্তরণ । তিনি কানন দেবী, বাংলা চলচ্চিত্রের নির্বাক ও সবাক যুগের সন্ধি লগ্নের সাধারণ অভিনেত্রী থেকে চলচ্চিত্র শিল্পের অভিভাবিকা হয়ে ওঠা কানন দেবী । বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম ‘সুপার স্টার’ কানন দেবী পা রাখলেন শত বর্ষে ।
কানন দেবীকে নিয়ে লেখা কম হয়নি, তাঁর জীবনকালে ও মৃত্যুর পরেও । যার বেশির ভাগই তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের নানান রঙ চড়ানো কাহিনী । তিনি ছিলেন ‘হার্টথ্রব’ নায়িকা, অপরূপ সুন্দরী কাননকে স্পর্শ করতে কোন এক যুবক নাকি সিনেমাগৃহের পর্দার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন, কিভাবে কাননকে চিত্র পরিচালকেরা শরীর প্রদর্শন করাতেন তার নানান গল্প কথা, ইত্যাদি । এমনকি লন্ডনে তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার ভি.কে.কৃষ্ণ মেনন কিংবা নজরুল ইশলামকে জড়িয়েও তাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছে । সেইসব গল্পকথায় রুচিশীল কারো আগ্রহ থাকার কথা নয়, আমারও নেই । আমি বুঝতে চেয়েছি একদা সমাজের চোখে অবাঞ্ছিত এক বালিকা কি অসীম নিষ্ঠা আর প্রত্যয় সম্বল করে অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণ সম্ভব করেছিলেন । কি করে সম্ভব হয়েছিল ? জীবনকে চেনা, জানার আগ্রহই এটা সম্ভব করেছিল । আত্মকথা ‘সবারে আমি নমি’ গ্রন্থে কানন সে কথা জানিয়েছেন । লিখেছেন “ চিত্রজগতের বাইরের বিরাট জগৎকে জানার, দেখবার, বিভিন্ন চরিত্রের, অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে আসবার সুযোগ ও সৌভাগ্য আমার হয়েছে । ভালো-মন্দ, সম্পূর্ণতা, অসম্পূর্ণতা, দোষগুণে মেশানো মানুষের সংস্পর্শ আমার জীবনে অন্তত সেটুকু প্রসারতা এনে দিয়েছে যেটুকু প্রসারতা থাকলে জীবনকে যথার্থ পরিপ্রেক্ষিতে দেখবার আগ্রহ জন্মায়” । জীবনের আশ্চর্য বোধই একদা নিঃসহায় বালিকার বাংলা চলচ্চিত্র শিল্প ও সংস্কৃতিতে এক সম্ভ্রমযোগ্য ব্যক্তিত্বে উত্তরণ ঘটিয়েছিল ।
কাননবালা থেকে কাননদেবী । তখন ভারতীয় চলচ্চিত্রের নিতান্তই শৈশব । কাননের জন্মের তিন বছর আগে সবে ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথচলা শুরু হয়েছে, ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথিকৃত দাদা সাহেব ফালকের ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’এর মুক্তির মধ্য দিয়ে ১৯১৩তে । কলকাতায় পার্শি ব্যবসায়ী জে.এফ.ম্যাডান গঠন করেছেন চলচ্চিত্রের ব্যবসায়িক প্রদর্শনের পথিকৃত প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাডান থিয়েটার’ । এক সহৃদয় ব্যক্তির হাত ধরে দশ বছরের কিশোরী কানন পা রাখলেন ম্যাডান থিয়েটারের স্টুডিওতে, সংস্পর্শে এলেন পরিচালক জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যা-এর। সেটা ১৯২৬ সালের কথা, তখনো চলচ্চিত্র শব্দহীন। দশ বছরের কিশোরী কানন-এর প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত নির্বাক ছবি ‘জয়দেব’ এ ‘রাধা’ চরিত্রে । পারিশ্রমিক পেলেন পাঁচ টাকা । চলচ্চিত্রজীবনে কাননের প্রথম উপার্জন । এর পর ‘শঙ্করাচার্য’তে অভিনয় করলেন কানন, সেটিও নির্বাক ছবি । ১৯৩১এ বাংলা ছায়াছবি কথা বলতে শুরু করলো, ১৯৩১এ ১১ই এপ্রিল সবাক কাহিনিচিত্র অমর চৌধুরী পরিচালিত ‘জামাই ষষ্টি’ মুক্তি পেল । ঐ বছরেই কানন-এর প্রথম সবাক চিত্রে অভিনয় ম্যাডান থিয়েটারের ‘জোর বরাত’ ছবির নায়িকা চরিত্রে । মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩১এর ২৭শে জুন । ১৯৩৩এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শ্রী গৌরাঙ্গ’ চলচ্চিত্রে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ চরিত্রে অভিনয় ও গানে কানন শিল্পীর সম্মান ও প্রতিষ্ঠা পেলেন । ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ মুক্তি পাওয়ার পর কাননের গানের খ্যাতিও বিস্তৃত হল, ডাক পেলেন গ্রামোফোন কোম্পানী থেকে । কাননদেবী তাঁর আত্মকথায় লিখেছেন “ এই সময় স্টুডিও থেকে ক্রমশ গ্রামোফোন কোম্পানী অবধি কর্মক্ষেত্র প্রসারিত হোল ...গান এসে আমার অভিনয়ের পাশে দাঁড়াতেই মনে হোল আমার জীবনের এক পরম পাওয়ার সঙ্গে শুভদৃষ্টি ঘটল । ...নিজেকে যেন নতুন করে চিনলাম”( ‘সবারে আমি নমি’) ।
তারপর কত ছবি, কত গান – কানন হয়ে উঠলেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম সুপারস্টার – ‘মহা নায়িকা’ । চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রের বাইরে গ্রামোফোন রেকর্ডে কানন দেবীর কন্ঠের কিছু গান তো ‘লিজেন্ড’ হয়ে আছে স্রোতাদের কাছে । ‘আমি বনফুল গো, ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে...’, ‘সাপুড়ে’ ছবিতে নজরুল ইসলামের সুরে ‘আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ’, ‘সাথী’ ছবিতে সায়গলের সঙ্গে দ্বৈতকন্ঠে ‘বাবুল মোরা নৈহর ছুটল যায়’ এখনও তন্ময় সঙ্গীতপ্রেমীদের মুগ্ধ করে । কাননের আর একটি গান ‘লিজেন্ডে’র মর্যাদা পেয়েছে । ১৯৪৭এর অগস্ট মাসে লন্ডনের ‘ইন্ডিয়া হাউস’এ তাঁর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে । ভি.কে.কৃষ্ণ মেনন তখন লন্ডনে ভারতের হাই কমিশনার । সেখানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কানন গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের ‘আমাদের যাত্রা হল শুরু, এখন ওগো কর্ণধার তোমারে করি নমস্কার’
১৯৩৬এ রবীন্দ্র-কাহিনী নয় এমন চলচ্চিত্রে রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রয়োগ করলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। ‘মুক্তি’ ছায়াছবিতে রবীন্দ্রনাথের অনুমোদন নিয়ে কানন দেবী গাইলেন ‘আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে’ এবং ‘আজ বিদায় বেলার মালাখানি’ । এই সুবাদে কানন হয়ে গেলেন শান্তিনিকেতন ঘরাণার বাইরে রবীন্দ্র-গানের প্রথম মহিলা-কন্ঠ । তারপর অজস্র ছায়াছবি ও গ্রামফোন রেকর্ডে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছেন কানন । সেকালে রবীন্দ্রনাথের গানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে পঙ্কজকুমার মল্লিকের মত কানন দেবীরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে ।
সংগীতপ্রধান ছবি ‘বিদ্যাপতি’(১৯৩৮)তে অভিনয় ও গায়িকা রূপে কানন খ্যাতির শিখর স্পর্শ করেছিলেন । চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কানন না সঙ্গীত শিল্পী কানন – কে বড় সে প্রশ্নের মীমাংশা হবার নয় । কাননের নিজের কথায় “আজ আমার অভিনেত্রী পরিচয়টাই সকলের কাছে বড় । কিন্তু আমার নিজের কাছে সবচেয়ে বেশী দামী আমার গানের মহল ...” (‘সবারে আমি নমি’) । পন্ডিত আল্লারাখার কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন । গান শিখেছেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, নজরুল ইসলাম ও পঙ্কজকুমার মল্লিকের কাছে ।
তেইশের তরুণী কানন চেয়েছিলেন জীবনকে শুদ্ধ, সুন্দর করে গড়ে তুলতে । তখনকার সমাজ নিদারুণ আঘাত করেছিল কাননের প্রথম প্রেমকে । সেই পরম পাওয়ার আনন্দসুধা অঞ্জলি ভরে পান করতে পারেন নি তিনি । ১৯৩৯এ তেইশ বছরের তরুণী কানন বিবাহ করেন প্রখ্যাত ব্রাহ্মসমাজী শিক্ষাবিদ হেরম্বচন্দ্র মৈত্রের পুত্র অশোক মৈত্রকে । কানন লিখেছেন “ সমাজ আমাদের মিলনকে স্বীকৃতি দিয়েছে । কিন্তু সম্ভ্রমের বরণডালা দিয়ে বরণ করেনি । ... আমাদের দুঃসাহসের সাক্ষী হয়েছে, কিন্তু উৎসবের আলো জ্বালিয়ে একে অভিনন্দিত করেনি ...। আজও মনে পড়ে, বারান্দায় দাঁড়াতে সাহস করতাম না, পাছে কারো কোন বিরূপ মন্তব্য কানে আসে । নানান কুরুচিপূর্ণ কদর্য ভাষার প্যামফ্লেট ছাপিয়ে উঁচু স্বরে হেঁকে বিক্রী হ’ত আমারই বাড়ির সামনে ...। নিঃসম্বল অসহায় একটা মেয়ে । কত ঝড় তুফান পেরিয়ে ছুটছে আর ছুটছে । কিন্তু তার সেই বিরামহীন চলা, গ্রন্থিহীন তপস্যার এতটুকু মূল্য কেউ কোনদিন দেয়নি । চেয়েছে তাকে ব্যর্থতার সমাধিতে নিশ্চিহ্ন করে দিতে” (‘সবারে আমি নমি’) । সে বিবাহ স্থায়ী হয়নি । সেকালীন রক্ষণশীল সমাজ প্রবল নিন্দাবাদ করেছিল বংশগৌরবহীন একজন চিত্রাভিনেত্রীর সঙ্গে এক সমভ্রান্ত পরিবারের বিবাহে । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নাকি তাঁদের বিবাহে আশির্বাণী ও প্রীতি উপহার স্বরূপ একটি ছবি পাঠিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন । এক চিত্রভিনেত্রী রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরকরা ছবি পাবে কেন !
কাননের কাছে সর্ত ছিল বিবাহের পর চিত্রাভিনয় ত্যাগ করতে হবে । ব্যক্তিত্বময়ী কানন সম্মত হননি । ১৯৪৫এ কানন তাঁর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ নেন । বিবাহ-বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সত্বেও প্রথম স্বামীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন, অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা তাঁকে প্রথম সামাজিক মর্যাদা দেওয়ার জন্য । পরবর্তী কালে, অশোকের দিদি রানী মহলানবিশ, তাঁর স্বামী প্রখ্যাত প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ কিংবা অশোকের মা কুসুমকুমারী দেবীর সঙ্গে কাননের অন্তরঙ্গতা ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিন্দুমাত্র ঘাটতি ছিলনা ।
ইতিমধ্যে দশটা বছর কেটে গেছে । ১৯৪৯এ ততকালীন রাজ্যপালের সঙ্গে আলাপের সূত্রে পরিচয় হয় রাজ্যপালের নেভাল এ.ডি.সি হরিদাস ভট্টাচার্যর সঙ্গে । পরিচয় থেকে প্রণয় এবং বিবাহ ঐ বছরেই । ১৯৪৯এই চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নামেন কানন, গঠন করেন শ্রীমতী পিকচার্স । প্রথম ছবি ‘অনন্যা’ । তারপর একের পর এক শরৎচন্দ্রের ‘মেজদিদি’, দর্পচূর্ণ’, নববিধান’, ‘দেবত্র’, ‘অন্নদা দিদি, ইন্দ্রনাথ ও শ্রীকান্ত’ প্রভৃতি, প্রযোজনা কানন দেবীর শ্রীমতী পিকচার্স আর পরিচালনায় স্বামী হরিদাস ভট্টাচার্য । অন্নদা দিদির ভূমিকায় অভিনয়ের পর কানন আর কোন ছায়াছবিতে অভিনয় করেননি ।
অভিনয় করেননি, কিন্তু সিনেমা শিল্পের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন আমৃত্যু । ১৯২৬ থেকে ১৯৯২ সুদীর্ঘ ছেষট্টি বছর এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে বিজড়িত ছিল একটা নাম কানন দেবী । বলতে গেলে ভারতে চলচ্চিত্র নির্মাণের একশো বছরের ইতিহাসের প্রথম পৃষ্ঠা থেকেই লেখা আছে তাঁর নাম । শুধু অভিনয় ও সঙ্গীত শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন এমন নয় প্রযোজনা, পরিচালনা, বিচারক মন্ডলী, ডিরেক্টর বোর্ড – সিনেমা শিল্পের প্রতিটি বিভাগের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন সুদীর্ঘ সময় । দুঃস্থ মহিলা শিল্পীদের সাহায্যার্থে গঠন করেছিলেন ‘মহিলা শিল্পীমহল’। যুক্ত ছিলেন সামাজিক নানান কল্যানকর সংগঠনের সঙ্গে ।
তার সময়ে পুরস্কারের ঘনঘটা ছিলনা এখনকার মত । ১৯৬৪তে ভারত সরকার ‘পদ্মশ্রী’ উপাধীতে সম্মানিত করেন। তারপর ১৯৭৬ পান চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার । ২০১১র ফেব্রুয়ারীতে ভারতের ডাক বিভাগ কানন দেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে । আলোহীন জগৎ থেকে উঠে আসা এক নারী আপন প্রতিভা ও তন্ময় সাধনায়, অনেক অবহেলা, লাঞ্ছনা, চিত্র জগতের ক্লেদ, আর গ্লানি অতিক্রম করে দীপ্তিময়ী হয়ে উঠেছিলেন । সে এক বিস্ময়কর আলোয় ফেরার কাহিনী । ১৯৯২এ কলকাতায় মৃত্যু হয় কানন দেবীর ছিয়াত্তর বছর বয়সে ।
আত্মকথা ‘সবারে আমি নমি’ গ্রন্থে কানন দেবী লিখেছেন ‘মরণ পন করে যে জীবন সৃষ্টি করতে চেয়েছি তাকে নিয়ে আর যাই হোক ছেলেখেলা করা যায় না । ... জীবনের কাছে আমি চেয়েছি মধুর শান্তিনিলয় । স্বপ্নভরা আরামকুঞ্জ, উদার আকাশ” । সংশয় নেই, জীবন বোধে উজ্বল ছিল তাঁর দীর্ঘ শিল্পী ও সামাজিক জীবন । কানন দেবীর শতবর্ষে আমাদের বিনম্র প্রণাম ।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল কানন দেবী সম্পর্কিত এই বিশেষ প্রবন্ধটি পড়ে...
ReplyDelete