0

ধারাবাহিক - গার্গী বসু

Posted in






চোখ (পর্ব ১) 


জন্মদিন মানেই খুব খারাপ একটা দিন
 বিলির অন্তত তাই ধারণা মা বলত, যে বছর ও জন্মেছিলো সেবার জানুয়ারী মাসের কনকনে শীতেও আকাশ বাতাস কালো করে এসেছিল খুব। দুর্যোগ হয়েছিল সারা শহর জুড়ে। বৃষ্টি হয়েছিল কিনা সেটা অবশ্য জানেনা বিলি। মা কেমন অন্যমনস্ক হয়ে পড়ত ওর জন্মদিনের কথা বলতে বলতে। তখন কতটুকুই বা বয়েস! মায়ের কাছে প্রশ্ন ছিল অনেক। সব প্রশ্নের উত্তর আজও পায়নি। তার আগেই তো মা কোথায় যেন নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। তার আগে পর্যন্ত সারাটা দিন মায়ের সাথেই কাটত। বাবাকে খুব ভাল মনে নেই বিলির। কিন্তু একটা সন্ধ্যের স্মৃতি এক্কেবারে স্পষ্ট ভাসে চোখে। সেদিন বাড়ি ফিরতে অনেক রাত করেছিল বাবা। মা দুশ্চিন্তায় একবার ঘরে একবার বারান্দায় আসা যাওয়া করছিল। অনেক রাতে টলতে টলতে এসে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মায়ের নাম ধরে বাবা ডাকছিল জোরে জোরে। চমকে ঘুম থেকে জেগে উঠেছিল বিলি। তারপর জানলার আড়াল থেকে দেখেছিল বাবা কে ধরে ধরে মা নিয়ে যাচ্ছে ঘরের ভেতরে। তার দিন কয়েকের মধ্যেই বাবা আর মা কোথায় যেন নিরুদ্দেশ হয়ে গেল।সেটা ছিল বিলির দশ বছরের জন্মদিন। রাতারাতি জীবন বদল যাওয়া বোধহয় একেই বলে। এক রাতেই জীবনটা পুরোপুরি ভোল পাল্টে ফেলল যেন। প্রথমবার ভয় আর কষ্ট মিশিয়ে গলার কাছে একটা দলা পাকানো ব্যথা হলো। ভয় ব্যাপারটা এর আগে অনুভব হয়নি কখনও। মা-বাবা একসাথে হারিয়ে যাওয়াতে প্রথমে ভয় হলো খুব। ক্রমে ভয় কেটে গিয়ে রাগ হলো। আর রাগ পড়ে যাওয়ার পর মন খারাপ। এই বিশাল পৃথিবীতে একেবারে একা হয়ে গেল সে। 

পাশের বাড়িতে থাকতেন মিসেস ইভাঙ্কা নিনিবে। মোটাসোটা হাসি-খুশি মানুষটি এলাকায় পরিচিত ছিলেন মিসেস নিনিবে নামে। সবাই ওঁকে চেনে। সকলের বিপদে পাশে এসে দাঁড়ান। সবার খবর নেন। তিনি এসে পুলিশি তদন্ত চলাকালীন বিলিকে আগলে রাখলেন। পুঙ্খানুপুঙ্খ জেরা চলতে থাকল। কেন যেন বিলির মনে হয়েছিল মা বাবার সাথে আর দেখা হবে না। হলোও তাই। অনেক খুঁজেও তাদের পাওয়া গেল না। বাড়িতে পুলিশি পাহারা বসল। মিসেস নিনিবে তাকে নিয়ে গেলেন নিজের বাড়িতে। সেখানে ঘটে গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। এক রাত্রে ঘুমন্ত বিলিকে দেখে প্রচণ্ড ভয় পেলেন মিসেস নিনিবে। ছোট্ট একটা মেয়েকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে কেউ ভয় পেতে পারে? কি আশ্চর্য! সবাই বলাবলি করতে লাগল মিসেস নিনিবের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আসল কারণটা কিন্তু জানা গেল না। 

ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় গীর্জার ধর্মগুরুকে ডেকে আনা হলো। তিনি এসে সস্নেহে বিলির মাথায় হাত রাখলেন। সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন এক ক্যাথলিক গীর্জার অনাথ আশ্রমে। 

অনাথ আশ্রমে বিলি কয়েকজন বন্ধু পেল। এমন ছেলে-মেয়েরা সেখানে ছিল যাদের বাবা যুদ্ধে মারা গেছেন এবং মা একা তার সন্তানের দায়িত্ব নিতে অপারগ। কিছু ছেলে মেয়েরা এমন ছিল যারা কুমারী মায়ের সন্তান। হয়ত মা নিজেই তার সন্তানকে অনাথ আশ্রমে বা গীর্জায় এসে রেখে দিয়ে গেছেন। থাকার জায়াগাটা আসলে গীর্জা লাগোয়া একটা বিরাট বাড়ি। প্রকাণ্ড হলঘরে সার দিয়ে পাতা বিছানা। হলের একপ্রান্তে বেদীর ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন মাতা মেরি। মায়ের মতো করে তাকিয়ে আছেন অনাথ শিশুদের দিকে। ছেলে আর মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। গীর্জার ঘণ্টার সাথে সাথে প্রার্থনা করতে হয় এখানে। ফাদার নিজে খোঁজ রাখেন বাচ্চাদের। এক একটি বাচ্চার এ্রক একরকম ইতিহাস। তারা নিজেদের মধ্যে বেশ স্বতস্ফূর্ত, সুখ-দুঃখের কথা তারা ভাগ করে নেয় একে অপরের সাথে। বিলিও চট করে তাদের একজন হয়ে গেল। বন্ধুত্ব হলো মার্থা, জন, ক্যাথি, ডেভিড, সুসান, মাইকেল, জেনিফারদের সাথে। কিছুদিন পরে একটি নতুন মেয়ে এলো সেখানে। শার্লি মেরিউইক। শার্লিও একা। তারও মা বাবা কেউ নেই। বিলির সাথে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেল। শার্লি যেন বিলির ছায়াসঙ্গী হয়ে গেল। দুজনকে একসঙ্গে দেখা যেতে লাগল সব জায়গায়। 

কিন্তু এখানেও খুব বেশদিন থাকা হলো না। বিলির খোঁজ করতে করতে একদিন দুজন এলেন যারা নিজেদের বিলির দাদু ও দিদা বলে পরিচয় দিলেন। বিলি তো জানতই না তার দাদু আর দিদা বলে দুজন আছে এই পৃথিবীতে। চেনা তো অনেক দূরের কথা। মা কখনও উল্লেখই করেনি। প্রথমবার তাদের দেখা হলো গীর্জার ফাদারের অফিসে। দিদার চেহারা ভারির দিকে। ছোট ছোট চোখ। খাড়া নাক। ডান চোখের জায়গায় একটা কালো গর্ত। এই অবধি ঠিকই আছে, কিন্তু কথা বললেই বিপদ। মানুষের গলার স্বর এত কর্কশ হতে পারে? না শুনলে বিশ্বাস করা যায় না। দিদা কম কথার লোক। হয়ত গলার আওয়াজকে চাপা দেওয়ার জন্যই কথা কম বলেন। বিলির বন্ধুরা তো ভয়ই পেয়ে গেল দিদার চেহারা দেখে। পরনে কালো হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা পোষাক। আর হাঁটু অবধি কালো কাঠের জৌলুসহীন জুতো। দিদার পায়ে কোন সমস্যা আছে বোধহয়। ঈষৎ খুঁড়িয়ে হাঁটেন। 

বিলি ঘরে ঢুকতে তাকে কাছে ডাকলেন তিনি। বিলি খেয়াল করল দিদা হাসলেন না। বিলি এগিয়ে গেল পায়ে পায়ে। উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে বিলির গায়ের কাছে মুখ নামিয়ে গন্ধ শোঁকার ভঙ্গি করলেন দিদা। তারপর বললেন, “আমার আর কোন সংশয় নেই ফাদার। এই সেই বিলিন্ডা গ্রিন যাকে আমি খুঁজছি।“ বিলির কিন্তু ভালই লাগল দিদাকে। মনে মনে একটা যুক্তি খাড়া করল ও। দিদার বয়েস হয়েছে। তায় আবার একটা চোখ নেই। চোখে কম দেখেন বলেই হয়ত গন্ধ শুঁকে ঠাহর করেন। তাতে আর ভয়ের কি? 

সামান্য যেটুকু জিনিষপত্র ছিল, একটা বাক্সে গুছিয়ে নিল বিলি। গরম জামা পরে তৈরি হয়ে নিল। যাওয়ার আগে সকলের সাথে দেখা করল সে। 

শার্লি খুব কাঁদল। বেচারি। সে আরও একবার একা হয়ে গেল কিনা। 

ফাদার বিলিকে গীর্জার ঠিকানা লিখে দিলেন কাগজে। 

বললেন, “যোগাযোগ রাখতে চাইলে, কোন বন্ধুকে চিঠি লিখতে চাইলে এই ঠিকানা কাজে আসবে।“ 

একটু থেমে গলা নামিয়ে বললেন, “তুমি কি জান কি দেখে মিসেস নিনিবে ভয় পেয়েছিলেন?” 

বিলি মাথা নাড়ল। হ্যাঁ, সে জানে। 

ফাদার বিলির মাথায় হাত রাখলেন। বললেন, “সাবধানে থাকবে। কোন বিপদে পড়লে মনের কথা শুনবে। অতীত তোমায় পথ দেখাবে। খেয়াল রেখো। বিদায়।“ 

ঠিকানা বদলে গেল আবার। 

বিলিকে নিয়ে আসা হলো দিদার বাড়িতে। দিদা বিলিকে যত্ন করেন। তাদের অবস্থা খুব স্বচ্ছল না হলেও ভালভাবে চলে যায়। বাড়িতে তিন সদস্য। দাদু, দিদা আর বিলি মিলে তিনজনের সংসার। ওহ! হ্যাঁ আর একজন আছে সাথে। দিদার পোষা বেড়াল ডার্বি। চোখধাঁধানো সোনালী রঙের উলের বল ডার্বি | দিদা তার গলায় বেঁধেছেন একটা লাল রিবন আর তাতে ঝোলে একটা ক্রিস্টালের লকেট। ডার্বির সাথে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেল বিলির। 

সালেম শহর ছাড়িয়ে একটু ভেতরের দিকে ওরা থাকে। বাগান ঘেরা পুরোনো দিনের বেশ বড়োসড়ো বাড়িটার দরজা জানলা বন্ধ থাকে বেশিরভাগ সময়ে। একতলার একটা ঘরে দাদু জুতো তৈরী করেন সারাদিন। আধুনিক সময়ের উপযোগী হাল ফ্যাশনের জুতো নয়, কালো গাবদা মধ্যযুগীয় জুতো। স্কুল পালানো অবাধ্য ছেলে মেয়েদের মা বাবারা সেই জুতো কিনে একপ্রকার শাস্তিই দিতো বাড়ির ছোট সদস্যদের
 সেই একই জুতো বাড়ির সবার জন্যে দাদু তৈরী করে দেন| দিদার পায়ের সমস্যা আড়াল করার জন্য শক্তপোক্ত বেল্ট দেওয়া জুতো দাদু নিজের হাতে বানান মা বাবার যে ভালোবাসা বিলি চোখে দেখতে পায়নি সেটা ও দ্যাখে দাদু দিদার মধ্যে। দাদু অবসরে ম্যান্ডোলিন বাজান। দুজনে মিলে গাছ লাগান। গাছের যত্ন করেন। বিলি পড়াশোনার ফাঁকে দাদু-দিদাকে সাহায্য করে। এইভাবে চলছিল। 
হঠাৎ একদিন ওদের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো কালো কাঁচে ঢাকা একটা লম্বা গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে এলেন ম্যাডাম ভার্জিনিয়া কেন্ট মিলার। বিলি শুনেছিলো তার পিসি থাকেন নিউইয়র্ক শহরে। তাকে দেখার সুযোগ মিললো দ্বাদশ জন্মদিনে। সেই দিনটা বিলি কখনো ভুলবে না। সোনালী চুল আর নীল চোখের ভার্জিনিয়াকে সুন্দরী বললে কম বলা হয়। ওঁর পাশে ঝাঁকড়া কালো চুল আর ঢোলা জামা পরে বিলি নিজেই কি ভীষণ বেমানান। সবথেকে বেশি যেটা দৃষ্টি আকর্ষণ করলো সেটা হলো ভার্জিনিয়ার জুতো। টকটকে লাল পেন্সিলের মতো চকচকে জুতোজোড়া। কি তার আওয়াজ। মশমশ করে যেন কথা বলতে বলতে চলেছে। এই জুতোটা দাদুর বানানো জুতোগুলোর মত নয়। দাদুর বানানো কালো গাবদা জুতোগুলো কি বিশ্রী ওই একজোড়া জুতোর পাশে। বিলি হাঁ করে তাকিয়ে থাকল। ভার্জিনিয়া পিসি বিলির সাথে আলাপ করে খুশি হলেন কিনা ঠিক বোঝা গেল না। বিলির কিন্তু মনটা ভিজে থাকলো ভালোলাগায়। 

পিসি সেইদিন শুধু দিদার সাথে কথা বলতেই এসেছিলেন। দরজা বন্ধ করে দিদা আর ভার্জিনিয়া পিসি অনেক কথা বলেছিলো
 বিলি পুরোটা শুনতে পায়নি কিন্তু টুকরো টুকরো কথা কানে এসেছিল। এখন অবশ্য সে বুঝতে পারে। পিসি তাকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চান। নিউইয়র্কে। সেখানে বিলি নতুন স্কুল পাবে। বন্ধু পাবে। পছন্দের বিষয়গুলি শেখার সুযোগ পাবে এবং হয়তো পরবর্তী কালে কোনো পুরুষ বন্ধুকে পছন্দ করে সংসার পাততে চাইবে। মোটকথা একটা স্বাভাবিক জীবন পাবে। বিলি পড়াশোনার দিক দিয়ে ভালই। ওর স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল মিস্টার ফীপ্স ওকে বিশেষ স্নেহ করেন। বিলি খুব সুন্দর ছবি আঁকে। পিসি চান নিউইয়র্কে গিয়ে বিলি কোনও ছবি আঁকা শেখার স্কুলে ভর্তি হোক। আসল পড়াশোনার পাশাপাশি শখের পড়াশোনার চর্চাও চলতে থাকুক। হয়তো এই ভাবেই তার জীবনের দিক নির্দেশ হবে। চাকরির সুযোগও জুটে যেতে পারে। এখনকার মেয়েরা কেবল স্কুলে পড়ানো বা চার্চে পিয়ানো বাজানোর মতো কাজের মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখে না। অন্যরকম চাকরিও করে। খবরের কাগজের অফিসে বা টেলিফোনের অফিসেও এখন অনেক মেয়েরা চাকরি করে। বিলিও পছন্দমতো জীবন বেছে নেবে। সালেমে এত সব সুযোগ কোথায়? কিন্তু পিসির এত সব ভাবনাকে এক কথায় নাকচ করে দেন দিদা। কিছুতেই বিলিকে ছাড়তে চান না উনি। দিদার ভয়, অনেক বড় শহরে গিয়ে পড়লে হয়ত বিলির উদ্দেশ্য ব্যহত হতে পারে। নানারকম হাতছানিতে ভুলে আসল উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে যেতে পারে সে। তাছাড়া অনেক দূরে চলে গেলে ফিরে আসা কঠিন হয়ে যায়। মানুষ শিকড়ের স্বাদ ভুলে যায়। 


সময়টা ১৯৬০ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও কোথাও কোথাও তার রেশ তখনও লেগে আছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা যেমন সবকিছু গ্রাস করে ফেলেছিল তেমনই আবার ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে চারপাশ। না, সবটুকু বোধহয় না। ভিয়েতনামে কিছু বিচ্ছিন্ন অস্বস্তিজনক ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে যা আগামী দিনে গিয়ে আর একটা যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। এইসময়ে নিউইয়র্কের বেশ কিছু জায়গায় অন্য এক লড়াই জন্ম নিচ্ছিল। মেয়েরা জোট বেঁধে পথে নামছিল দলে দলে। এমন একটা সময় তখন, নিউইয়র্ক টালমাটাল। সমানাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই দানা বাঁধছে। নারীসুলভ বলে দাগিয়ে দেওয়া সবকিছুকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চায় তারা। নিউয়র্কের রাস্তায় অন্তর্বাস জ্বালিয়ে দিয়ে এক অভিনব বিপ্লব গড়ে তুলছে মেয়েরা। নারীশক্তিকে জাগানোর ব্রতে পথে নেমেছে অনেক মানুষ। কিন্তু ভার্জিনিয়া কেন্ট মিলারের মতো নারীর গায়ে তার আঁচ লাগেনা। উনি একার লড়াই পছন্দ করেন। সমবেতভাবে নয়। স্বার্থ তাঁর পাখির চোখ। আর বিত্ত এবং ক্ষমতার ব্যবহার করার মতো একটা কারণ যখন রয়েইছে তখন তিন পিছপা হবেন না। বিলিকে নিয়ে আসতে হবে নিউইয়র্কে। সে কথা তিনি বারবার বোঝান বিলির পরিবারকে। কিন্তু বিলির দিদা শক্তপোক্ত মহিলা। কিছুতেই উনি নাতনিকে কাছছাড়া করতে চান না। ভার্জিনিয়া ঠিক করলেন সোজা পথে কাজ হাসিল না হলে আইনি পথ ধরবেন। যে কোনও মূল্যে বিলিকে তাঁর চাই। 

(ক্রমশ)

0 comments: