ধারাবাহিক - সোমঙ্কর লাহিড়ী
Posted in ধারাবাহিক
২০
সুব্রত সেনগুপ্তের সামনে বসে পরেশ সামন্ত বলল,
একটা ব্যাপারে স্যার আপনার থেকে একটু আইডিয়া নিতে চাই।
সুব্রত সেনগুপ্ত হেসে বলল,
মশাই আমি তো আপনাকেই আইডিয়ার খনি বলে মনে করছি এই দিন কয়েক ধরে। বলুন কি ব্যাপার?
স্যার এই যে তিনজন প্রোমোটার যাকে বা যাদের ভাড়া করে কাজটা করিয়েছে আমার মনে হচ্ছে সেই লোকটা বা লোকগুলো আরো একজনকেও এই ধরনের আট্যাক করেছিল। এর আগে। আমাদের তার কেসটাও একটু স্টাডি করে নেওয়া উচিত। ফর আওয়ার ওন রেফারেন্স।
কে সে?
সিঙ্গার অ্যান্ডি স্যার।
ঐ সেই নেশাখোরটা? যেটা এখন ভালো হয়েছি ভালো হয়েছি বলে খুব নাচছে? সেটার আবার কি কেস?
ওনর উপরেও দুবার দুটো অ্যাটাক হয়।শেষবারেরটায় ওনকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে বেহুঁশ করে তারপরে নাকে কোকেন ঘষে বা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
কোন থানা?
প্রথমটা রাজারহাটে আর দ্বিতীয়টা এন্টালী অঞ্চলের একটা চার্চের অরফ্যানেজের ফান্ড রেজিং প্রোগ্রামের অডিটোরিয়ামে।
দুটো ইন্সিডেন্ট রিপোর্টেড?
মনে তো হয়।
সুব্রত সেনগুপ্ত ফোন তুলে নির্দিষ্ট দুটো থানার কাছে রিপোর্ট চাইলেন। তারপরে বললেন,
আপনার এই থার্ড কেসটা আগের দুটোর সাথে লিঙ্কড এটা মনে হল কেন?
ক্লোরোফর্ম স্যার। তিনটে কেসেই যে এটা করেছে সে পালানর জন্য তার শিকারদের অজ্ঞান করে দিয়েছে ক্লোরোফর্ম দিয়ে।
মেলটা চলে আসার পড়ে সুব্রত সেনগুপ্ত প্রিন্ট আউট নিয়ে নিজে পড়ে দেখে বললেন, এই ছেলেটাকে এখন কি সিকিয়োরিটি দেওয়া হয়েছে?
সেটা জানি না, ইনফ্যাক্ট এখন কোথায় সে থাকে সেটাও আমার অজানা।
এই তো এন্টালী থানার রিপোর্টে আড্রেস আছে। ডেকে পাঠাবো? না কি আপনি যাবেন?
না গেলেই মনে হয় ভালো, কেন না, সিকিয়োরিটি ঠিক কেমন এখন সেটা জানা সম্ভব, আর থানা স্যার যেকোন লোকের পক্ষে বেশ ভয়ের জায়গা। গায়কের বাড়ী হলে অনেক নর্মাল ও ন্যাচারাল পরিবেশে ওনাকে পাওয়া যাবে। আর যদি বেশী ট্যাঁরা মো করে তখন তো স্যার আপনি আছেন।বাই দ্য ওয়ে সেই তিনজন কি সব বলে দিয়েছে?
বলে দিয়েছে বোধহয় এখনো আমার কাছে রিপোর্ট আসেনি। বোধহয় দুয়ে নিচ্ছে। প্রমোটার তো অনেক কাঁচা টাকার ব্যাপার, ভালো করে দুয়ে দিয়ে তারপরে আমাকে সব জানাবে। আর বলে দিলেও তো ছাড়ান নেই। তখন অফিশিয়ালই অ্যারেস্ট করে কোর্টে চালান করব। হয়ে যাবে চিন্তা করবেন না।
তাড়াতাড়ি করতে চাইছি কারণ ওরা যাকে বা যাদের ভাড়া করেছিল কাজ গুলোর জন্য তারাও তো আর বোকা নয়। তিন জনকে এক সাথে না পেলে যদি আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায় তখন আবার তাদের খুঁজে বার করা এক হ্যাপা।
যা বলেছেন। দাঁড়ান খোঁজ নিই।
গণেশ যখন জানতে পারল সঞ্জয় অফিসের কাজে বাইরে গেছে সন্দেহটা তখন অতটা হয়নি। বাড়িতে একটা গাঁটুয়া মার্কা নার্স খবরটা দিল। নার্সটাকে দেখে গণেশের মনে হল এই ধরনের নার্স গুলোকে কেউ নেয় না। না বর না ডাক্তার। হাসপাতাল হলে বোধহয় মর্গের ডোম গুলোর সাথে শোয়।
যাই হোক এইসব ভাবতে ভাবতে গণেশ বেরিয়েই গেছিল। দরজা বন্ধ হওয়ার একটু পরেই আবার দরজাটা ঠেলে ঢুকে পড়তেই গণেশের কানে এলো নার্সটা ফোনে বলছে,
লোকটাকে দেখে তো সুবিধের লাগছিল না, সঞ্জয়ের খোঁজ করছিল স্যার।
ওকে দেখেই চমকে উঠে ফোনে বলল,
না রে বাবা ডিউটি শেষ না হলে কি করে যাবো বল?
গণেশ বোকা নয়। বুঝল সঞ্জয়ের খবর কেউ নিলে এই নার্সটার উপরে নির্দেশ আছে সেটা জানিয়ে দেওয়ার। তার মানে সঞ্জয় এখন বড়ো কারো সাথে কাজ করছে। কে সে? মুখে সেই নার্সটাকে বলল,
মাসিমার খবর তো নিতেই ভুলে গেছি, উনি ভালো আছেন তো? শরীর টরীর?
হ্যাঁ হ্যাঁ ভালোই আছেন। তবে ঘুমচ্ছেন এখন।
আচ্ছা সঞ্জয়ের ফোন নম্বর আপনাদের কাছে নিশ্চয়ই আছে? আমি যেটায় করছি সেটায় পাচ্ছি না।
না না উনিতো আমাদের ফোন নম্বর দেননি, উনি নিজেই ফোন করে নেন আমাদের।
আপনাকে লাস্ট কখন আপনাকে ফোন করেছিল?
না মানে ... উনি রাতে ফোন করেন তো তখন আমার ডিউটি থাকে না।
আচ্ছা।
গণেশ বুঝল গোলমাল কিছু একটা আছে। এদিকে ভালুয়ার আন্টি সিন্ডিকেটের থেকে ভালূয়াকে টপকানর টাকা নেওয়া হয়ে গেছে। তারা চাপ দিচ্ছে ক্রমাগত। আর কাজটা না হলে তো হালুয়া টাইট। তবে সঞ্জয়কে ফাঁসানো যাবে না, কারণ ও তো এখনো কোনো টাকাই নেয়নি এই কেসে। কিন্তু কথায় আছে আপনি বাঁচলে বাপের নাম। দরকারে ওর নাম দিতে হবে। এই সব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে গণেশের মাথায় এলো কাজটা নিজে করলে কেমন হয়। এমন নয় যে এর আগে গণেশ কোন কাউকে টপকায়নি। কিন্তু সেখানে ব্যাক্তিগত একটা রাগ বা প্রাণ বাঁচানর তাদিগ কিছু একটা কাজ করেছে। কিন্তু এখানে গণেশ ভালুয়া কে ভালো করে চেনেও না। দুজনের কোন এলাকা দখল টখলের ব্যাপার নেই। কি আর করা শুধু টাকা নিয়েছে বলে মারতে যেতে হবে। আর টাকার পরিমাণটাও তো নেহাত কম নয়। গণেশ ডেরায় ফিরে ওর দলের এক নম্বর দীপুকে নিয়ে বসল। তাকে বলল,
মানিকতলা এলাকায় একজন ভাই আছে নাম ভালুয়া। তার খোঁজ খবর নিতে হবে পারবি?
কোন ব্যাপার নয় দাদা।
কি করে নিবি?
কেন? কাল সকালে যাবো, ওখানে কোনো মালের ঠেকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করব এখানকার সবচেয়ে বড় ডনকে। সে বলে দেবে। তখন তার ঠেকের কাছে গিয়ে দেখে চলে আসব।
গণেশ সঞ্জয়ের অভাবটা বুঝতে পারল।
গণেশ বলল,
বাদদে। পরে নিজে দেখা করে নেবো।
নিজে ভাবতে বসল কাজটা কি করে করবে। একটা ছবি ছিল সেটাও সঞ্জয় নিয়ে গেছে খুঁজে বার করবে বলে। যাই হোক টাকা নিয়ে এখন কাজ না করলে ওর নিজেরই জানের খতরা।
পরদিন গণেশ দামী প্যান্ট জামা জুতো পরে একটা ভাড়ার সুমো নিয়ে মানিকতলা এলাকায় এসে হাজির হল। একটা ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ক্লাবের ছেলেদের কাছে গিয়ে খুব ভদ্র গলায় জিজ্ঞাসা করল,
ভাই এখানে ভালুয়া ভাই বলে একজনের সাথে আমি একটু দেখা করতে চাই। একটু ব্যবসার কথা আছে, আমায় একটু সাহায্য করতে পারেন?
ছেলেগুলো তাস খেলছিল, মাথা তুলে দেখে আবার নজর তাদের দিকে ঘুরিয়ে বলল, কার কাছ থেকে আসছেন?
ডক এলাকার মাসুম ভাই বললেন এখানে কোন দরকারে যেন ভালুয়া ভাইয়ের সাহায্য চাই উনি করে দেবেন।
গণেশ এমন একজনের নাম নিল যাকে কোলকাতার অন্ধকার দুনিয়ার প্রায় সবাই একডাকে চেনে। গণেশ দেখেছে তাকে কিন্তু আলাপ পরিচয় নেই। এখন যদি এই ভালুয়া ফোন করে ভেরিফাই করে তো গণেশ গেল। তখন হয়ত জানে নাও মারতে পারে, সত্যিইএকটা ব্যবসার কথা বলতে হতে পারে নিজের জান বাঁচানর জন্য।
একটা কালো রোগা চেহারার লোক পাঠান ড্রেস পরা গালে চাপ দাড়ি সামনে এসে বলল,
আমায় খুঁজছিলে?
গণেশ প্যান্টের পিছনের দিকে হাতটা দেওয়ার সাথে সাথে দুটো মহা শক্ত হাত গণেশকে পিছমোড়া করে ধরে বলল,
চল।
কিছু বোঝার আগেই হাতের কব্জিতে পরিচিত ঠান্ডা লোহার স্পর্শটা পেল গণেশ। প্যান্টের পিছন থেকে কেউ একটা মেশিনটা বার করে নিল এক নিমেষে। ঠেলে একটা সুমোর মাঝখানে তুলে দিল গণেশকে। সুমোটা চলতে শুরু করতেই, গণেশ শুনতে পেল একজন ফোনে বলছে,
হ্যাঁ স্যার একটাকে ধরেছি। ভালুয়াকে মারতে এসেছিল। হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ আর্মস ছিল সাথে। হ্যাঁ হ্যাঁ নিয়ে আসছি স্যার হেড কোয়ার্টারে। ওকে স্যার।
গণেশ বুঝল জাল ছাড়ান ছিল অনেক আগে থেকেই। দলের কাউকে পাঠালেই ভালো হত। কিন্তু ততক্ষনে অনেক দূর গড়িয়ে গেছে জল।
সুব্রত সেনগুপ্ত ও পরেশ সামন্ত সামনা সামনি বসে এমন সময় ভালূয়াকে মারতে আসার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই খবরটা এলো। দুজনে কিছুক্ষণ বাদে স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুই এস.আই এর কাছ থেকে ঘটনার ডিটেলসটা শুনলেন। সব শুনে সামন্ত শুধু বলল,
এই লোক নয় সেনগুপ্ত সাহেব, এই লোক নয়।
এত সিয়োর হচ্ছেন কি করে?
মোডাস অপারেন্ডীটা একবার ফলো করুন। দিন দুপুরে একেবারে বাড়ির কাছে গিয়ে ক্লাবের ছেলেদের কাছে খবর দিয়ে ডাকা করিয়ে সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে বন্দুক বার করার চেষ্টা যে করে সে গোয়েন্দা লাগিয়ে মুভমেন্ট ট্যাক করতে আসে না। তাই না?
সেটা ঠিক বলেছেন। এটাকে ঐ তিনটের সামনে দাঁড় করিয়ে দিই কি বলেন?
কি দরকার? আলাদা করে তিনজনকে একে দেখান, আর বলুন যে এ কিন্তু মুখ খুলে দিয়েছে। এখন বাঁচতে চাইলে একমাত্র রাস্তা রাজসাক্ষী। একটা না একটা ব্রেক করবেই। আর উল্টোটাও করুন। এটাকে ঐ তিনটেকে দেখান আর বলুন যে ঐ তিনজনে মুখ খুলেছে এখন বাঁচতে গেলে একমাত্র পথ...
সুব্রত সেনগুপ্ত হেসে ফিলারটা দিলেন,
রাজসাক্ষী। মন্দ বলেননি। কাজ হয়েও যেতে পারে।
সুব্রত সেনগুপ্ত তাঁর অফিসারদের বুঝিয়ে দিলেন কি করতে হবে। ঐ তিন প্রোমোটারকে নিয়ে এই সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া গণেশকে নিয়ে। তারা চলে যাওয়ার পরে সামন্ত বলল,
একটা খচখচানি থেকেই যাচ্ছে আমার যদি পারমিশান দেন তো বলি।
হ্যাঁ বলুন, এত কুন্ঠার কি আছে?
সুব্রত সেনগুপ্ত কয়েক দিনের মেলামেশায় বুঝতে পেরেছেন সামন্ত প্রচুর বুদ্ধি রাখে। ফালতু বকার লোক সে নয়। পিছন থেকে যে ভাবে সে কেস গুলোকে সাজাতে সাহায্য করছে সেটা প্রেইসওয়ার্দি।
মিঃ সেনগুপ্ত ঐ থার্ড কেসটা।
হ্যাঁ, ওটা আপনি আরো ডিগ করতে চান তাইতো?
হ্যাঁ চাই কারণ ঐ অ্যান্ডি ছেলেটা কিন্তু আবার গানের জগতে ফিরে এসেছে। আর যেখানে প্রোগ্রাম করে ফেরার পরে পরেই ওর উপরে প্রথম আক্রমণটা হয় সেই “টি ভ্যালীর” মালিকের স্ত্রী সুইসাইড করেছেন, হাসব্যান্ডের একটা কেচ্ছা মিডিয়া ফাঁস করে দিয়েছে। সেই রিসর্টে ড্রাগ নেওয়ার ব্যাপারটাওফাঁস হয়ে গেছে, মানে কেচ্ছার প্যান্ডোরার বাক্স খুলেগেছে সেখানে।
তার সাথে এর কোন কানেকশান আছে বলে মনে করেন?
আমাদের তো কাজই হল ছাই দেখলে উড়িয়ে বেড়ান। তাই না?
হ্যাঁ সেটা ঠিক। তা এগিয়ে পড়ুন আপনি, অল দ্যা বেস্ট।
সেই লোকটা সঞ্জয়কে বলল,
এবারে তোমার গায়কের দিন ফুরলো। ওকে শেষ করে দেওয়ার অর্ডার এসে গেছে অনেক টাকার ব্যাপার হে। সাথে একটা মেয়েকেও শেষ করে দিতে হবে, কি পারবে না?
টাকা?
অনেক, তুমি কল্পনা করতে পারবে না।
আমার কল্পনার দৌড়টা ট্রাই করুন একবার?
কোটি
সঞ্জয় অবিচলিত ভাবে বলল,
বাড়ান।
তারমানে তুমি কি মনে কর, এর অর্ধেক টাকা অন্য কাউকে দিলে..
দিন তাদের, আমাকে শোনাচ্ছেন কেন?
তুমি নিজেকে কি মনে করেছ?
দ্য বেস্ট।
লোকটা হেসে ফেলল, বেশ সময় নিয়ে হেসে বলল,
সব খবর আমি দিয়েছিলাম, আগের বার। আর সেটা কোন মার্ডার করার ব্যাপার ও ছিল না। ছিল তোমার প্রিয় গায়ককে চমকে দেওয়ার ব্যাপার। তার পরের বারেও তাই। পালানোর রাস্তাটা অবধি আমিই করে দিয়েছিলাম। তাতেও এত তেল? দ্য বেস্ট!
শুনুন আপনার কাজটা করার আগে আমি দু জনকে উড়িয়েছি। আর তার পরেও বেশ কয়েকটা। আর একটা কেসও পুলিস সলভ করতে পারেনি। তাই যতদিন না পুলিস এই একটা কেস ও সলভ করতে পারছে তত দিন অবধি আমি নিজেকে বেস্ট বলতেই পারি। আর হ্যাঁ, আমি খুব ভালো করেই জানি এই কেসটা মেটার পরে আপনিই পুলিসকে আমার ব্যাপারে খবর দেবেন। তাই ঐ পরিমাণ টাকাটা না পেলে আমি নিজের বাঁচার ব্যবস্থা করতে পারব না। তাই কাজটা দেওয়ার আগে টাকাটা দিয়ে দিন।
আমি এখনই যদি পুলিসকে খবর দিয়ে দিই?
বোকার মতো কথা বলবেন না, কাজটার আগে আমাকে ধরালে আপনার কাট মানিটা আপনি পাবেন?
টাকাটা নিয়ে যদি কাজটা না কর?
আরে আচ্ছা লোকের পাল্লায় পড়া গেল তো। আমি এটা করব শুধু টাকার জন্য নয়। আপনি নিজেই প্রথমে বলেছিলেন যে লোকটার জন্য আমার মা এত কষ্টে জীবন কাটাচ্ছে, আমি এত বাজে একটা জীবন কাটাচ্ছি, সেই লোকটার ঠিকানা আমাকে দেবেন। টাকার গন্ধে সব ভুলে গেছেন নাকি?
লোকটা এবার আসস্ত হল খানেকটা, বলল,
তোমার কত চাই?
দুই।
দেড়।
গোড়িয়া হাটের হকারদের মতো করবেন না। ব্লাউজ কিনছেন না, দুটো মৃত্যু কিনছেন মনে রাখবেন।
কি ভাবে নেবে?
ক্যাশে তো অবশ্যই। আজ থেকে ঠিক দু দিন বাদে আপনি আমায় এখানে টাকাটা দেবেন আর অ্যান্ডির মুভমেন্ট যদি দিতে চান তো দেবেন। বা আপনার যদি কোন প্ল্যান থাকে তো সেটা বলবেন।
এই দু দিন তুমি কি করবে?
আমি আমার মতো করে ঘুঁটি সাজাবো।
0 comments: