প্রবন্ধ - সুরঞ্জন রায়
Posted in প্রবন্ধ
প্রাচীন কালে কবিদের বলা হত সত্যদ্রষ্টা। আসলে গভীরতম অনুভূতির সত্য উচ্চারণই তো কবিতা! মহাকাব্যে অবগাহন করেই মানুষ খুঁজে পায় জীবনের তাৎপর্য— কবিতা হয়ে ওঠে বাণীবহ। কিন্তু প্রগল্ভতার আচ্ছাদনে আবৃত আমাদের আধুনিক জীবন হারিয়ে বসে আছে কবিতার পথ। নিত্য অভ্যাসের যাপনায় বিনষ্ট মানুষ তাই কবিতাকেই ভাবে এক শৌখিন প্রগল্ভতা। ছন্দোময় নবীন উচ্চারণকে অনভ্যস্ত মানুষ কিছুতেই বরণ করে নিতে পারে না জীবনের গভীরে। মহাকালের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের যে নিয়ত দ্বন্দ্ব, তার গভীর সুষমাকে সচেতন আহ্বান জানাতেই ভুলে বসে আছে আজকের ভ্রষ্টপথ মানুষ। এ ছাড়াও আছে চিত্রকল্পের স্বর্গীয় বিস্তার, অন্য দিকে, গল্প শোনার আগ্রহে অধীর মন কবিতায় অবগাহনে অসম্মত, অপারগ!
তবুও তো সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে কবিতাই জীবনকে দান করে চলেছে এক অপার মহিমা! প্রকৃতির সঙ্গে ছন্দোময় অভিযোজনের মধ্যে দিয়েই ক্রমবিকশিত হয়ে উঠতে থাকে মানুষ। টিকে থাকার রণকৌশলের আগাম ছায়াপাতে এক দিন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আদিম মানুষের জীবনচর্যা। ছন্দিত বন্দনায় অভিব্যক্ত হতে থাকে তার ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ। শিল্পীর তুলির ছন্দে তাই মূর্ত হয়ে ওঠে আলতামিরা গুহার বাইসন। ছন্দের ঘেরাটোপের মধ্যেই বিকশিত হতে থাকে মানুষিক অস্তিত্ব। নিদ্রায়-জাগরণে, নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে, বুকের ঢিপঢিপ শব্দের ছন্দিত স্পন্দনে ঘেরা জীবনটাকে আবৃত করে আছে আরও কত-না ছন্দের উপকরণ— চাঁদের কলার হ্রাসবৃদ্ধি, জোয়ার-ভাটা, দিনরাত্রি আর ঋতুরঙ্গের মধুময় আশ্বাসে আত্মহারা মানুষ বিশ্ববিধাতাকে প্রণতি জানিয়ে এক দিন গেয়ে উঠেছিল ‘মধুবাতা ঋতায়তে...’। প্রেম-ভালবাসা, রাগ-ঘৃণা, জীবন-মৃত্যুর প্রতিটি পদক্ষেপেই সে দিন মানুষ খুঁজে পেয়েছিল আনন্দময় এক ছন্দকে।
প্রকৃতির সঙ্গে অভিযোজনের এই প্রক্রিয়া তার স্বাক্ষর এঁকে দেয় মানুষের অবচেতনে। তা ছাড়া স্নায়ুতন্ত্রের যে বিশেষ প্রস্ফুটন মানুষকে এক আগাম জল্পনায় অনুপ্রাণিত করে, সেই বৈশিষ্ট্যই মানুষকে সাহায্য করে স্বপ্নের রামধনু-রাজ্যে পৌঁছে যেতে। শিল্পের সঙ্গে স্বপ্নের ঘনিষ্ঠতা তাই এত নিবিড়। অবশ্য উভয়ের মধ্যে একটা প্রভেদ সতর্ক রাখে আমাদের অনুক্ষণই। স্বপ্ন যেখানে ছুঁয়ে থাকে ব্যক্তিকালকে, অবচেতনের দ্বারা যা সীমায়িত, সেখানে ‘ইন্দ্রধনু ধরিবার’ আয়োজনকে ছুঁয়েই শিল্পের যাত্রা মহাকাল অভিমুখে।
এক দিকে কবিতার মধ্যে আমরা শুনতে পাই কালচেতনার সুগভীর অনুরণন, অন্য দিকে সিনেমা মানুষের সামনে খুলে দেয় স্বপ্নের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কবিতার অনন্ত যাত্রাপথে তাই চলচ্চিত্রশিল্পের অবগাহন একান্তই জরুরি।
মহাকাব্য আর পুরাকাহিনিগুলোর ইন্ধনেই গোড়ার যুগের ছায়াছবিগুলো ঝলমল করে উঠেছিল নানান সম্ভাবনায়। তবু বহু কাল ধরেই চলচ্চিত্রে উপেক্ষিতা ছিল কবিতা। বাংলা সিনেমা যদিও সবাক হয়ে উঠেছিল নাচ-গানের সোনায় মোড়া পথ ধরেই, তবু চলচ্চিত্রের নিজস্ব ভাষা আবিষ্কারের জন্য প্রতীক্ষা করে থাকতে হল আরও বেশ কিছু দিন। শরৎচন্দ্রের প্রভাবমুক্তির প্রথম সংবাদ পাওয়া গিয়েছিল ‘উদয়ের পথে’ ছবিতেই— নামের মধ্যেই ধ্বনিত হয়েছিল কবিতার এক আভাস। আর ‘রাত্রির তপস্যা’ ছবির উপান্তে পরিচালক সুশীল মজুমদার অভিনেতা বিকাশ রায়কে দিয়ে আবৃত্তি করিয়ে উন্মুক্ত করলেন নতুন সম্ভাবনাময় এক দিগন্তের। এর পর হঠাৎ এক দিন আমাদের সিনেমা দেখার অভ্যেসটাই গেল পাল্টে। ‘পথের পাঁচালী’র ইংরেজি নাম ‘সং অব দ্য লিটল রোড’ না হয়ে হতে পারত ‘পোয়েট্রি অব দ্য লিটল রোড’। ‘অপরাজিত’-তে অপু একটা গোটা কবিতাই শুনিয়ে দিল— ‘...সে আমাদের বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলা রে’-র সুর ভাবলে রোমাঞ্চ জাগে এখনও। আর কলেজের ক্লাস না করে পুলুর সঙ্গে গঙ্গার ধারে বসে যে কবিতা সে ঘনিয়ে তুলল, সেও তো ভোলার নয়। কবিতা ব্যবহার না করেও সিনেমাকে যে কত দূর কবিতার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যায়, তারই এক আভাস প্রত্যক্ষ হয়ে উঠল ‘অপরাজিত’র ছ’বছর পরে তোলা ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবিতে। ও দিকে ‘শেষের কবিতা’র হাত ধরে বাংলা সিনেমায় তখন কবিতা খুঁজে চলেছিল দাঁড়াবার একটা জায়গা। আর তাই এর কিছু পর ‘সপ্তপদী’ ছবিতে যখন উৎপল দত্তের কণ্ঠে আমরা শুনতে পেলাম ‘ওথেলো’র অন্তিম কিছু লাইন, তখন গানের পরিবর্তে কবিতার সম্ভাবনার কথা উঁকি দিয়েছিল কারও কারও মনে। এখানে মনে পড়ে যাচ্ছে ‘অপুর সংসার’ ছবির সেই দৃশ্যটির কথা— ঘনায়মান অন্ধকারে টালা ব্রিজের ধারে দুই বন্ধুর আবেগ-উচ্ছ্বাসের ফুলঝুরি-আলো, আর তারই শেষ পর্বে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অস্তিত্ব-কাঁপানো আবৃত্তি— সব মিলিয়ে গড়ে ওঠে একটা কবিতাই। এতটা না-হলেও গানের বদলে কবিতাকে নিয়ে আসার একটা চেষ্টা লক্ষ করা গিয়েছিল হরিসাধন দাশগুপ্তের মধ্যেও। ‘একই অঙ্গে এতরূপ’ ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘শাশ্বতী’ প্রথম পর্বে, আর শেষ পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষ বসন্ত’। কিছু দিন পরে ‘কমললতা’য় উত্তমকুমারের মুখে শেলির লাইন চমকে দিয়েছিল আমাদের। এরই পাশে পাশে কেউ কেউ একটা গোটা কবিতাকেই নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন সিনেমার শরীরে। ‘শিশুতীর্থ’র কথা মনে পড়ে গিয়েছিল হয়তো বা কারও। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে বড় রকমের তফাত তাদের সরিয়ে নিয়ে এল সে পথ থেকে। ও দিকে ‘কিনু গোয়ালার গলি’, ‘বিপাশা’ বা ‘লাল পাথর’-এর মতো বাণিজ্যিক সিনেমাতেও কবিতা ধীরে ধীরে তার জায়গা করে নিচ্ছিল। কবিতাকে ভাললাগার চেহারাটা ধরা পড়েছিল তপন সিংহের ছবিতেও— রবীন্দ্রনাথের গল্পগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ার হয়তো সেও একটা কারণ।
কবিতা নিয়ে ভেবেছিলেন ঋত্বিক ঘটকও। ভাবাটাই তো স্বাভাবিক— ‘মেঘদূত’ যাঁর প্রিয় কাব্য, ‘আকাশগঙ্গার স্রোত ধরে’ বেরোয় যাঁর কলম থেকে, তিনি যে সিনেমার শরীরে কী ভাবে নিয়ে আসবেন কবিতাকে, সে ভাবনায় অস্থির থাকবেন সে তো বোঝাই যায়! কিন্তু গানের পরিবর্তে কবিতাকে ব্যবহার না করে তিনি কবিতাকে সাজালেন রণসাজে— জীবনের সর্বব্যাপ্ত লড়াইয়ের আয়োজনকে সম্পূর্ণ করতে আহ্বান জানালেন কবিতাকে। বিভিন্ন ছবিতে বিজন ভট্টাচার্যকে দিয়ে এমন ভাবে কবিতার লাইন বলানো হল যাতে তা বর্শার ফলার মতো আমাদের অসাড় চৈতন্যকে বিদ্ধ করতে পারে। বিশেষত ‘সুবর্ণরেখা’ ছবিতে সেই ভয়ঙ্কর উচ্চারণ ‘রাত কত হইল? উত্তর ম্যালে না...’ এখনও নাড়া দেয় আমাদের।
ও দিকে রুপোলি পর্দা সাজাতে কবিতার ডালি নিয়ে এগিয়ে এলেন পূর্ণেন্দু পত্রী। এমনকি তাঁর ‘ছেঁড়া তমসুক’-এ কবিতা পাঠ করতে শরৎ মুখোপাধ্যায়-শক্তি চট্টোপাধ্যায়দেরই সরাসরি নিয়ে এলেন পর্দায়।
ষাটের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় বাংলা ছায়াছবির জগৎ এ ভাবেই ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়ছিল কবিতার দিকে। সত্যজিৎ-ঋত্বিক তাঁদের ছবিতে তখন আত্মস্থ করতে চাইছিলেন কবিতার এক চাপকে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তখনও পর্যন্ত বাংলা সিনেমায় জীবনানন্দ ছিলেন একেবারেই অনুচ্চারিত। ‘কিন্তু কী এমন পেয়েছি আমরা জীবনানন্দের কবিতায়, যাতে তিনি দান্তের পাশে ও-রকম একটা উল্লেখের মর্যাদা পেতে পারেন?’ ঋত্বিক ঘটকের উত্তেজিত জিজ্ঞাসাটা ছিল এ রকম। সে-প্রবন্ধে বিষ্ণু দে’রও নামোল্লেখ ছিল, তাতে অবশ্য তাঁর আপত্তি হয়নি। ঋত্বিক ঘটকের মতো মানুষের বুদ্ধির দীপ্তি, পাঠের পরিধি, কবিতায় আগ্রহ আর জীবনে লগ্নতার বিষয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না আমার, শ্রদ্ধার সঙ্গে এও জানতাম যে রাজনৈতিক সমাজনৈতিক বিশ্বাসে তিনি আদ্যন্ত মার্ক্সপন্থী। এক হিসেবে তাই, তাঁর ওই উত্তেজনায় আমার বিস্মিত হওয়ার কথা নয়, কেননা তারও এক যুগ আগে শান্তিনিকেতনের সাহিত্যমেলায় অথবা ‘পরিচয়’-এর পৃষ্ঠায় জীবনানন্দের কবিতার বিরুদ্ধে প্রগতিশীলদের প্রত্যাখ্যান তো জানা হয়ে গেছে আমাদের। তাই হয়তো সে দিন বাংলা সিনেমা জীবনানন্দকে বরণ করে নিতে পারল না।
ইতিহাসপুরুষের নির্দেশে এর পরই আমাদের সমাজকে মথিত করে আবির্ভূত হয় এক নিদারুণ সঙ্কটকাল। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় বুক ব্যথিয়ে ওঠে। এমনই এক ঝোড়ো সময়ে কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করে মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’ (১৯৬৯)। এ ছবিতে শিল্পী অনবদ্য নৈসর্গিক শোভার মধ্যেই স্থাপন করলেন ভারতীয় গ্রামজীবনের অনাবিল সৌন্দর্যকে, যেখানে জীবন চলে গরুর গাড়ির গতিতে, নাগরিক নীতিহীনতার প্রশ্নগুলো যেখানে অজানা অচেনা। কিন্তু আরও ভাল মানবসমাজের স্বপ্নে বিভোর শিল্পী সে দিন গ্লানিময় নগরজীবনের উল্লেখ টেনে টেনে সিনেমার মধ্যে সৃষ্টি করেছিলেন কবিতার এক আবহ।
এর পর আমাদের দেশের পেশাদারি রাজনীতির আকাশে দেখা দিল এক অতিবিস্তারী অস্থিরতার মেঘ। সাধারণ মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে শুরু হল মুদ্রাস্ফীতির ভয়ঙ্কর দাপট। রাজশক্তির অঙ্গুলিহেলনে স্বপ্ন দেখার অভ্যেসটাই বিপর্যস্ত হতে থাকল বারবার। এই সময়ের অভিজ্ঞতাকে সত্যজিৎ রায় ধরে রাখতে চাইলেন তাঁর ছবিতে। ‘হীরক রাজার দেশে’র রাজপুরুষদের মুখে অন্ত্যমিল দেওয়া সংলাপ বসিয়ে শ্রেণিদ্বন্দ্বের চেহারাটাকে তিনি ফুটিয়ে তুললেন তাঁর স্বাভাবিক দক্ষতায়।
আশির দশকে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত তাঁর ‘ফেরা’ ছবিতে মেলে ধরলেন কবিতার সম্ভাবনার এক দিক, যার পরিণত রূপ ধরা দিল ‘লাল দরজা’ ছবিতে। সময়টা আশির দশকের মাঝামাঝি, খুব আশ্চর্যজনক ভাবে হিন্দি ছবি ‘অর্ধসত্য’-তেই আমরা প্রথম পেলাম জীবনানন্দের কবিতার অব্যর্থ প্রয়োগ। এর আগে তপন সিংহ ‘আপনজন’ ছবিতে এবং তার পর ‘আকালের সন্ধানে’ ছবিতে মৃণাল সেন চকিতে এক-আধ বার ছুঁয়ে গেলেন ‘বনলতা সেন’-এর একটি-দুটি লাইন। নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরশুরামের কুঠার’ অথবা পিনাকী চৌধুরীর ‘চেনা অচেনা’তেও প্রায় একই রকম ভাবে দেখা গেল ‘বনলতা সেন’কে অস্পষ্ট ভাবে ছুঁয়ে যাওয়ার প্রয়াস।
নব্বইয়ের দশকে রূপান্তরিত ‘চার অধ্যায়’কে পাওয়া গেল হিন্দি সিনেমার পর্দায়। সেখানে কিন্তু বাংলা কবিতাকে কুমার সাহনি পরিবেশন করলেন বাংলা উচ্চারণেই। বাংলা ছায়াছবির জগৎ তখন আলোড়িত তথ্যচিত্রের সমারোহে। সেই স্রোত ধরেই আমরা দেখা পেয়ে গেলাম জীবনানন্দ দাশের। ‘কবিতার অনন্ত যাত্রাপথে’ ছবিতে সনৎ দাশগুপ্ত জোর দিয়েছেন তথ্যের ওপর, তাই অধরাই থেকে গেল কবিতার অনন্ত যাত্রাপথ!
শুরু থেকেই অপর্ণা সেন হাঁটছিলেন কবিতার নিঃসঙ্গ রাস্তায়। ‘৩৬ চৌরঙ্গি লেন’-এ শেক্সপিয়রের উচ্চারণ যেমন অমোঘ, ‘পরমা’তে বিদ্যাসাগর সেতুর ওপর নায়িকার মুখে প্রেমেন্দ্র মিত্রের কবিতাও তেমনই অনবদ্য। কিন্তু এই সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন শিল্পী তাঁর ‘যুগান্ত’ ছবিতে। অনেক বিচ্ছিন্নতার পর অনুকে নিয়ে দীপু ফিরে পেতে চায় হারানো সেই সময়টাকে, আবারও। সমুদ্র-আবাসে পৌঁছে দীপুর স্বপ্নের নৌকো ধরা দিতে চায় না আর—
পৃথিবীর পুরোনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়,
হয় না কি?
ধীরে ধীরে জীবনানন্দের কবিতা মূর্তি পেতে থাকে অপর্ণা সেনের ছবিতে। ‘যুগান্ত’ হয়ে ওঠে চলচ্চিত্রের কবিতা।
0 comments: