ধারাবাহিক - রঞ্জন রায়
Posted in ধারাবাহিক
১৩) বর্ষশেষের দড়ি টানাটানি
ক্রিসমাসের ছুটি আসছে। ছুরিগাঁয়ে কোন ক্রিশ্চান পরিবার নেই। তাই কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু কোরবা গেলেই অন্য ব্যাপার। আহিরণ নদীর এপারে একটি টিলার উপরে সর্বমঙ্গলা দেবীর মন্দির। আর ওপারে ক্রিশ্চান পাড়া, মূল শহরের বাইরে। মেননাইট চার্চ্ ও দুটো স্কুল; ইংলিশ ও হিন্দি মিডিয়াম। কোন কাজে ওখানে গেলেই চোখে পড়বে সাজো- সাজো রব। একমাস ধরে, বলতে গেলে দীপাবলীর পর থেকেই। অনেকগুলো বাড়ি থেকে ঝুলছে বেথেলহেমের পাঁচমুখো তারার আলোকমালা।
তাতে ব্যাংকওলাদের কী? ৩১ তারিখে বর্ষশেষ, ব্যাংকের সার্বজনিক অবকাশের দিন। দুটোই সময়মত নোটিস বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার সারকথা হলঃ
এতদ্বারা সর্বসাধারণকে এবং সমস্ত গ্রাহকগণকে সূচিত করা যাইতেছে যে ২৫শে ডিসেম্বর ক্রিসমাস এবং ৩১শে ডিসেম্বর ব্যাংকের বার্ষিক লেখাবন্দীর নিমিত্ত নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের অন্তর্গত সমস্ত লেনদেন বন্ধ থাকিবে।
ডিসেম্বরের গোড়ায় একজন ফিল্ড অফিসার ও একজন ট্রেনি অফিসার এই শাখায় জয়েন করেছে। দুজনেই বিলাসপুরের বাসিন্দে; পোস্ট গ্র্যাজুয়েট।
একজন মারাঠি ব্রাহ্মণ, শ্রীরাম চিত্তাওয়ার। আর একজন দলিত, বিপুল ডোঙ্গরে। একজন থাকে চাটাপাড়া, ট্র্যাডিশনাল মারাঠি ব্রাহ্মণদের পাড়া। অন্যজন রেলস্টেশনের কাছে।
রূপেশ চারজনকেই একসাথে মেস করে থাকতে বলেছিল। কিন্তু শ্রীরাম রাজি হয় নি। ওর পক্ষে দলিতের সঙ্গে একছাতের নিচে থাকা, একই পায়খানা ব্যবহার করা অসম্ভব।
রূপেশ নির্বিকার। বলল –ঠিক আছে, তোমার অসুবিধে হচ্ছে তো তুমি আলাদা থাক, স্বপাকে খাও। ওটা তোমার সমস্যা। শ্রীরামের মুখ কালো হয়ে গেল। কিন্তু দু’একদিনের মধ্যেই দেখা গেল ওর অন্য অসুবিধে। বাড়ির আদুরে ছেলে, নিজে হাতে রান্না করেনি কখনও। শেষে ও মোড়ের মাথায় জুগনুর দোকানে কথা বলে ওখানেই দু’বেলা পাত পাড়ার বন্দোবস্ত করে নিল। রূপেশ জানে যে এরা দু’জন হলো ‘দো দিনকা মেহমান!’ দু’মাস ওরিয়েন্টেশনের পর অন্য কোন ব্রাঞ্চে পোস্টিং হয়ে যাবে। কিন্তু সাতদিন পরে বিপুল নিজে সতনামী পাড়ায় ঘর ভাড়া করে উঠে গেল। রূপেশ জানতে চাওয়ায় দাঁত বের করে বলল- বস, জ্যাদা টেনশন নহীঁ লেনে কা। আমার কোন অসুবিধে হচ্ছে না। ওখানে ওরা বাড়িভাড়া নিচ্ছে না,শুধু দু’বেলা ভাত খাওয়ার জন্যে পঞ্চাশ টাকা নিচ্ছে। কেন জানেন? কারণ, এই গাঁয়ের দলিতসমাজে আমিই একমাত্র ব্যাংকের সাহাব। ওরা আমাকে নিয়ে গর্বিত।
রাত্তিরে ওরা তিনজন খেতে বসলে শ্রীরাম বলল-- দেখলেন তো বস, আপনি খামোখা রেগে যাচ্ছিলেন। ওরও এখানে আমাদের মধ্যে অস্বস্তি হচ্ছিল। এখন স্বজনদের মধ্যে আনন্দে আছে।
রাজন কোন কথা না বলে রূপেশের দিকে তাকিয়ে রইল।
রূপেশ বলল—একটা কথা; একই ভগবান কি তোকে আমাকে ডোঙ্গরেকে বানায় নি? একই পরমপিতা?
--বানিয়েছে, তবে এক জায়গা থেকে নয়।
--মানে?
--এই দেখুন না,আমরা সবাই মায়ের পেট থেকে জন্মেছি; কিন্তু একই জায়গা থেকে কি? কেউ নর্মাল, কেউ ফরসেপ, কেউ সিজারিয়ান।
রূপেশের গলায় ভাত আটকে গেল। আমরা নর্মাল, আর ডোঙ্গরে সিজারিয়ান? তুই কী করে জানলি?
-শাস্ত্রে আছে। ঋগবেদের পুরুষসূক্ত দেখুন। শূ্দ্র জন্মেছে সৃষ্টিকর্তার পা থেকে, ব্রাহ্মণ মাথা থেকে।
--ঠিক আছে। আমিও তো শূদ্র, কাল থেকে তুই আর আমি একজায়গায় খাব না।
-- না বস, আপনি কী করে শূদ্র হবেন?
--- আমার পৈতে হয় নি, আমি দ্বিজ নই, তাই শূদ্র।
শ্রীরাম হেসে বিগলিত হয়ে বলতে থাকে—আরে না না বস; আপনি কোটা থেকে চাকরিতে আসেন নি; মেরিটে এসেছেন। ও তো দলিত কোটায় চাকরি পেয়েছে।
রূপেশের ভিতরে কী একটা ঘটে যায়। প্রায় গর্জন করে ওঠে— বেশি বস্ বস্ করবে না বলছি।
ওরা দুজনেই চমকে ওঠে। রাজন ও শ্রীরাম, দুজনের চোখেই প্রশ্ন? কিছু ভুল বলেছি? অ্যাতো রেগে গেলেন কেন?
রূপেশ লজ্জা পায়। একটু পরে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে খানিকটা আত্মগত ভাবে বলতে থাকে—আসলে আমার বড়োবৌদি আমাকে মজা করে বস বলত, বাবা কড়া করে বারণ করে দিয়েছিলেন।
কেন?
পরে আমাকে আলাদা করে বুঝিয়েছিলেন যে ওটা আমেরিকান ফ্যাক্টরি স্ল্যাং; একটু যৌনগন্ধী।
ওরা দুজন হতভম্ব। কী করে?
বাবা ছিলেন ভিলাই প্ল্যান্টের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র। উনি বলেছিলেন যে ফ্যাক্টরিতে বা ওয়ার্কপ্লেসে নাট বল্টুকে মেল ও ফিমেল বলা হয়। তেমনি বস এসেছে এমবসিং থেকে। অর্থাৎ মার্কিন মজদুর কী নজরিয়া মেঁ ম্যানেজার মজদুরোঁ কা বজাতে হ্যাঁয়,তাই। আমিও বস্ কথাটা সহ্য করতে পারি না।
রিটায়ার করে সেক্টর সিক্সের মার্কেটে বই ও স্টেশনারির দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ছিল দিনভর মজে সে কিতাব পড়না। ওহি উনকী প্যাশন থী।
--আংকল এখনও দোকানে বসেন?
-- না,অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।
ওরা প্রত্যেক শনিবারে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার বেশ আগে বাস ধরে বেরিয়ে যায়। রাজন পারে না। ওর কাজ ক্যাশ মিলিয়ে ক্যাশবুক লিখে তবে শেষ হয়। অথচ ওরা যাবে বিলাসপুর, আর রাজন যাবে ভিলাই। আরও তিনঘন্টার জার্নি।
তবু শনিবার হলেই ওরা দুজন ছটফট করতে থাকে।
ইস,বন্দে মাতরম বাসটা চলে গেল। আরে, আলি আহমেদ ট্রান্সপোর্টও গেল। অ্যাই রাজন, এখনও ক্যাশ ক্লোজ করিস নি? তুই বড্ড স্লো, এরপর এম পি ট্রান্সপোর্ট ও ফসকাবে।
প্রত্যেক শনিবারে সন্ধ্যের মুখে বিলাসপুরে নিজের নিজের মহল্লায় গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঠেক না করলে ওদের রাত্তিরের খাওয়া হজম হবে না। তারপর রোববার সকালে ক্রিকেট খেলা!
প্রথম মাস, রূপেশ কি ওদেরএকটু বেশি প্রশ্রয় দিচ্ছে?
এক শনিবারে রিজার্ভ ব্যাংকে পাঠানোর উইকলি স্টেটমেন্ট তৈরি করতে গিয়ে লেগে গেল ফস্কা গেরো! ট্রায়াল ব্যালান্স মিলছে না। কিছুতেই না। রূপেশের কপালে অনেকগুলো ভাঁজ, এরকম হওয়ার কথা তো নয়! ব্যাপারটা কী?
ও রাজনকে বলল তুমি যাও, আমি দেখছি।
একবছরের বেশি একসঙ্গে কাজ করে ওদের সম্পর্কে একটা অন্যরকম দোমাটি লেগেছে। রাজন বলল যে ও যাবে না,লফরা নিপটানে মেঁ হাথ বটায়েঙ্গে।
--আরে একঘন্টা পরে শেষ বাসটাও বেরিয়ে যাবে।
--যাকগে, এবার নাই গেলাম। পরের শনিবারে যাবো। শুক্কুরবারে ক্রিসমাসের ছুটি, ওর সঙ্গে মিলিয়ে একসাথে নেব। তাহলে তিনদিন পাওয়া যাবে।
--পরের সপ্তাহে কাউকে ছুটি দেওয়া যাবে না। অ্যানুয়াল ক্লোজিং! সমস্ত ডিপোজিট ও লোন অ্যাকাউন্টে ইন্টারেস্ট অ্যাপ্লাই করে লম্বা জাবদা খাতায় জটিং করে টোটাল করতে হবে। ব্যালান্স করতে হবে। তারপর ইনকাম ও এক্সপেন্ডিচার হেডের, সমস্ত এন্ট্রি পাস করে জেনারেল লেজারে সব হেডে ৩১ তারিখে ক্লোজিং এন্ট্রি ও নতুন বছরের ১ জানুয়ারির তারিখে ওপেনিং এন্ট্রি। এর পরে আছে প্রফিট এন্ড লস স্টেটমেন্ট, ওপেনিং ও ক্লোজিং স্টেটমেন্ট আর ব্যালান্স শীট বানানো।
--- আরে ব্যস ব্যস! থাম্বা, থাম্বা! আপনি যে মুম্বাই মেইল চালিয়ে দিলেন। গতবছর আমার প্রথম ক্লোজিং ছিল,আপনিই রাত জেগে সব করেছিলেন, আমি খালি ইন্টারেস্ট লাগিয়েছিলাম। সে ঠিক আছে, এবার না হয় জান লড়িয়ে দেব। কিন্তু ওই দুজন অফিসার! ওদের বাড়ি যেতে দেবেন?
--বোকার মত কথা বলিস না। এবার কাজ আরও বেশি। ব্যাড লোনের প্রভিশন করে এন্ট্রি পাস করতে হবে। যত ডকুমেন্ট টাইমবার হতে যাচ্ছে সবগুলোর রি-নিউয়াল চাই। আমার আগামী বছর ট্রান্সফার হবে। তাই একটা অ্যাকাউন্টের ডকুমেন্টও তামাদি হতে দেব না। এগুলো ওরা দুজন ঘরে ঘরে গিয়ে করিয়ে আনবে। এছাড়া আছে প্রত্যেকটি ডিপোজিট ও লোন অ্যাকাউন্টের লেজারে ‘টু ব্যালান্স,বাই ব্যালান্স’ এন্ট্রি করে সামারি টোটাল নিয়ে চেক করা। সোমবার ওরা আসলে একটা স্টাফ মিটিং করে সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে ডায়েরিতে নোট করিয়ে দেব।
কিন্তু যতটা ভেবেছিল ততটা সহজ হলো না। ক্রিসমাস ও অ্যানুয়াল ক্লোজিং ও সঙ্গের রোববারের ছুটি স্টাফের জন্যে নয়, এটা নতুন ছেলে দুটো মেনে নিতে পারল না।
এর মানে আম পাবলিক ক্রিসমাসে মস্তি করবে, কেক খাবে,আমরা ছুরিতে বসে বুড়ো আঙুল চুষবো।! ৩১শে ডিসেম্বর রাতে বিলাসপুরের ছেলেরা মাল খাবে বাইকে করে রাস্তায় ঘুরবে আর আমরা? আহিরণ নদীতে সাঁতার কাটবো? একেই তো ব্যাংকে ছুটি কম, স্টেট গরমেন্টের থেকে অনেক কম। তারপর ওই দুটো ছুটি আর দুটো রোববার? ছুরির চুতিয়া পাবলিক এনজয় করবে, আর আমরা!
--বেশ, কাজের ফিরিস্তি দিয়ে দিয়েছি। এগুলো করবে কে?
--সেটা আপনার প্রবলেম! আপ হমারে সাথ জ্যাদতী কর রহে হ্যাঁয়।
-- কালকেই হেড অফিসে যাও, অন্ততঃ তোমাদের একজন। ভয়ের কিছু নেই। আমি চিঠি দিয়ে দেব। গিয়ে জেনে এস আমি কতটা মনমানী করছি। আর ঘটে বুদ্ধি থাকলে পাড়ার ব্যাঙ্কে যারা কাজ করে তাদের থেকেও জেনে এস।
সন্নাটা! সন্নাটা!
রূপেশের খারাপ লাগে।
বলে এখন কাজ শেখার সময়, এমন করলে চলে! তোমরা যদি এখন থেকে রোজ রাত্তিরে খেয়ে দেয়ে আমার সঙ্গে বসে কাজ এগিয়ে নাও, আর তিরিশ তারিখে সারারাত্তির জেগে ভোর নাগাদ ব্যাল্যান্সিং করে ৩১শে সকাল সকাল এন্ট্রি পাস করিয়ে দিতে পার তাহলে তোমাদের ছুটি। বাকি স্টেটমেন্ট আমি আর রাজন বানিয়ে নিয়ে হেড অফিসে বিকেল নাগাদ জমা করতে যাব।
আর ২৬শে জানুয়ারী ‘ঝন্ডা উত্তোলন’কে বাদ আহিরণকে উসপার ঝোরা-সিরকি গাঁও মেঁ পিকনিক। মূর্গা কে খর্চা হম দেঙ্গে।
ওরা অবাক চোখে রুপেশকে দেখে, তারপর হেসে ফেলে।
এসে গেল তিরিশ তারিখ! টেনশন! টেনশন! আনলিস্টেড কাজগুলো অনেক বেশি। যেসব লোনে অন্ততঃ একটা কিস্তি বাকি, তাদের নোটিস সার্ভ করে কার্বন কপি ডকুমেন্টে লাগাও। ডাউটফুল অ্যাসেটগুলোর ক্লাসিফিকেশন করে ব্যাড ডেট প্রভিশন কর। লোন ডকুমেন্টে কোথাও ম্যানেজারের সিগনেচার মিস হয়েছে কি? স্টক স্টেটমেন্ট? বীমা? ব্যাঙ্কের ওভারহেড এর খরচের ক্লাসিফিকেশন? ডেডস্টক রেজিস্টার? সোনার ও রূপোর গয়না বন্ধক রেখে যে লোন দেওয়া হয়েছে তার হাল-হকিকত? স্টাফ মুভমেন্ট রেজিস্টার? ডাকবুক ও পেটিক্যাশ এর ব্যালান্স ও এন্ট্রি? গত অডিট রিপোর্টের কমপ্লায়েন্স?
জানুয়ারির গোড়াতেই এসে যাবে অডিট ফার্ম আর এমন সন্দেহের চোখে সব দেখবে,বাঁকা বাঁকা কথা বলবে যেন আমরা ক্রিমিনাল আর ওরা সি আই ডি?
নতুন ছেলেদুটোর খানিকটা ভ্যাবাচাকা ভাব; এতসব আজ সারারাত জেগেও হবে তো? ম্যানেজার আমাদের বোকা বানাচ্ছেন না তো?
ওদের জন্যে আরও সারপ্রাইজ ছিল। সন্ধ্যের মুখে হাজির হলো কুড়ি কিলোমিটার দূরের গেওরা রোড ব্র্যাঞ্চ থেকে দুই শ্রীমান। রাজদূত মোটরবাইক থেকে নেমে সঙ্গের ঝোলা থেকে একটা বড়ো টিফিন ক্যারিয়ার বের করে চাপরাশি ঠুল্লুকে বলল যে দুটো বাটিতে মুরগীর মাংস,কেটে পরিষ্কার করে ধোয়া। ও যেন ওর বাবার হোটেল থেকে যত্ন করে রান্না করিয়ে আনে। আর দুটো বাটিতে আছে ওদের ওখানের স্পেশাল শুকনো মিষ্টি—খজুর ও বড়ো বড়ো গুজিয়া।
কী ব্যাপার?
আসলে ওদের শাখাটি মাত্র তিন সপ্তাহ আগে খোলা হয়েছে; ওই এলাকায় নতুন ওপেন কাস্ট কয়লাখনি শুরু হচ্ছে। টাকা হাওয়ায় উড়বে, সেগুলো ধরবার জন্যে। সামান্য ডিপোজিট আছে, কোন লোন নেই। দুজন অভিজ্ঞ স্টাফের কাছে এর ক্লোজিং কয়েক ঘন্টার ব্যাপার। তাই রূপেশ স্যার অনুরোধ করেছেন নিজেদের কাজ পুরো হলে সব রিটার্ন ও স্টেটমেন্ট নিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে ছুরিতে এসে মাংসভাত খেয়ে মস্তি কে সাথ এদের অ্যানুয়াল ক্লোজিং মেঁ থোড়া ‘জোর লগাকে হেঁইসা’ করে দিতে। তারপর ব্যাংকের টেবিলে একটু ঘুমিয়ে নিয়ে সবাই একসঙ্গেই ৩১ তারিখ হেড অফিস বিলাসপুর যাবে খ’ন। তবে নাথিং অফিসিয়াল অ্যাবাউট ইট!
ওরা দুজন চেঁচিয়ে উঠল – রূপেশ বস জিন্দাবাদ!
আবার বস!
পরদিন সকাল আটটায় সবাই রওনা দিচ্ছিল; শুধু রূপেশ তখনও টেবিলে কিছু স্টেটমেন্টের থার্ড কপি সাইন করতে ব্যস্ত। ডোঙ্গরে বলল, দশ মিনিটে বন্দে মাতরম বাস আসছে, চলুন।
রূপেশ মাথা না তুলেই বলে তোমরা যাও, আমি বিকেল নাগাদ যাব। এখন স্নান করে একটু ঘুমিয়ে নেব।
শ্রীরাম অবাক হয়। সেকী,তাহলে ভিলাই কখন যাবেন?
রাজন ওদের জানিয়ে দেয় যে স্যার শুধু বছরে একবার বাড়ি যান, দীপাবলীতে।
কেন?
ছোড়িয়ে, ইয়ে সব বাতেঁ, জলদি চলিয়েঁ, টাইম হো রহা।
0 comments: