0

কবিতা - অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

Posted in

প্রথম যুগের ছাত্রী নবিনীতার কথা লিখে দিলেন অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত 



কখন লিখবে

বুক যখন ভরে উঠেছে শাঙন সজল
                  ঠিক তখুনি লিখো
আশাবাদের একটি কবিতা

লিখনভঙ্গি যেন সহজ হয়
             না হলে খুব ধমক দেবে আমার 
প্রথম যুগের ছাত্রী নবিনীতা



যন্ত্রযুগ

পুরোনো দিনের গান করি যেই ত্রিকূট পাহাড়ে
মৌনী সন্ন্যাসী যত আনন্দ ঔৎসুক্যে মাথা নাড়ে;

রোপওয়ে ধরে যত আরোহীরা ওঠে আর নামে
রজনীকান্তের গানে অবনত হয়েছে প্রণামে;

কিন্তু বিদিশার হাতে স্মার্ট ফোন ছিল না বলেই
সে বলে এসব গান একসঙ্গে আছে আর নেই 

নবনীতা বলে ওঠে : 'বিদিশা, এ এক দুর্লক্ষণ,
সেভ করা গেল না হায়, অলোকদার স্বরের স্বনন।'


সই-মেলা আর দুই সতীর্থ

এমন তো নয় দু'বন্ধু এই জীবনে প্রথম
উদ্বোধনের প্রদীপ জ্বালাতে এখানে এসেছি
--না এলে দারুণ অনর্থ হতো, বলা বাহুল্য, 
নবনীতা সবই করে দিত খুব লণ্ডভণ্ড --
তবু দু'জনেই কমবিস্তর নার্ভাস আছি,
চৌদিক থেকে সই-মেলা জুড়ে অঙ্গনা যত 
আমাদের এই অপ্রতিভতা উপভোগ করে,
আলোকচিত্রী ডেকে নিয়ে এসে
পাশে দাঁড়াচ্ছে লাবণ্যে ঘেঁষে,
তবে কি এটাই দুই বন্ধুর শেষ বসন্ত?

এমন ত নয় আমরা এখনও তারুণ্যময়,
ভুরুর দুধারে কাশফুল এসে আরেক সময়
বুনে দিয়ে গেছে যাতে মিশে আছে পুণ্য ও পাপ
-- একজন চুপ, অন্যের মুখে মদির প্রলাপ--
একই ঘরানার শরিক হয়েও সলতে জ্বালাতে
দুরুদুরু ভয়, নিউরোলজিস্ট গতকাল রাতে
বলে দিয়েছেন আমাদের দুই হাতেই এখন
সন্তর্পণে শুরু হয়ে গেছে পারকিনশন।

এবার প্রদীপ সূচনার পালা। আমার বন্ধু
এগিয়ে দিলেন দক্ষিণ হাত... হাতটা কাঁপছে
লক্ষ করেই আমি হাত রাখি হাতের উপরে
আর তক্ষুনি দেখি আমাদের দুজনের হাত
থির থির করে আকাশে উড়ছে নীল প্রজাপতি...
সই-মেলা দ্যাখে, বুঝতে পারে না, এ সন্ধ্যারতি।

0 comments: