ধারাবাহিক - ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়
Posted in ধারাবাহিক
ধারাবাহিক
দিনমণি - ১১
ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়
পূর্বকথা--
দেশে তখন ইংরাজ রাজত্ব চলিতেছে, তৎসত্বেও নানা স্থানে স্বাধীন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজা ও জমিদারেরা বসবাস করিতেছিলেন, তাঁহারা নিজেদের মতো করিয়া রাজ্য শাসন করিতেন, রাজন্য প্রথার বিলুপ্তি ঘটে নাই। যদিও দেশের সর্বত্র স্বাধীনতার আগুন জ্বলিয়া উঠিয়াছিল।
সেই সময়ে অখ্যাত এক গ্রামের সম্পন্ন গৃহস্থ হইতে এক বালক গৃহত্যাগ করে। এই গৃহত্যাগের সাক্ষী ও সহায়ক ছিলেন ওই পরিবারেরই আশ্রিতা, অনাথা এক বৃদ্ধা রমণী। বালকটির পিতামাতা অপেক্ষাও তিনি ছিলেন তাহার আপন। বালকটী আর কেহ নহে, সেই সম্পন্ন পরিবারের গৃহকর্তার চতুর্থ ও কনিষ্ঠ সন্তান, জ্ঞানতোষ। একই দিনে বালকের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার কারণে গৃহে পুলিশের পদার্পণ ঘটে, যুবকটি ফেরার হয়, কোনও সন্ধান পাওয়া যায় না। ভ্রাতাটির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাহায্য করার এবং স্থানীয় রেললাইনে বোমা রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়।
কিন্তু গৃহসুখে প্রতিপালিত বালকটির গৃহত্যাগের কারণ কি? তবে কি সেও ভ্রাতার ন্যায় স্বদেশী সংগ্রামে লিপ্ত?
গৃহত্যাগী বালকের সংবাদ বেলা বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে বাটীস্থ সকলের কর্ণে প্রবেশ করিয়াছে,গৃহকর্তা পারুলবালা নামক বধূটিকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিতে বধূটি ভয়ে সংজ্ঞা লুপ্ত হইয়াছেন। বালকের সংবাদ এখনও পাওয়া যায় নাই, কিন্তু যে বৃদ্ধার সহিত বালকটির এত অন্তরঙ্গতা, সেই দিনমণি ভয়ে, দুশ্চিন্তায় দুর্বল শরীরে সংজ্ঞা লুপ্ত হইলেন।
অন্দর মহলেও ভারি ঝড় উঠিল। শিবতোষ দারুণ রোষে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করিবার জন্য ডাকাডাকি করিলেও পারুলবালার কাণ্ড-কারখানা দেখিয়া ভীত হইলেন, পরে বিস্তর চ্যাঁচামেচি করিতে লাগিলেন। বাটিস্থ সকলে তাঁহার ব্যবহারে ভীত সন্ত্রস্ত হইল। বাস্তবিক সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলেও দিনমণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নাই। সেকথা মনে পড়িতেই শিবতোষ বহির্বাটিতে যাইয়াও ক্রোধে অগ্নিশর্মা হইয়া পুনরায় অন্দরে প্রবেশ করিলেন।
মালতীকে ডাকাইয়া বিস্তর চীৎকার চেঁচামেচি করিলে ফল হইল এই যে মালতী নিজ ভুল বুঝিতে পারিয়া দিনমণিকে খুঁজিয়া পাইল এবং তাঁহাকে নিজ কুঠুরীতে অচৈতন্য অবস্থায় দেখিতে পাইল। গৃহত্যাগী বালকটিও ইস্কুলের বোর্ডিং হলে স্থান পাইয়াছে এবং দুই একটি বালকের সহিত পরিচিতি হইয়াছে, যদিচ সেই সংবাদ এখনও গৃহে আসিয়া পৌঁছায় নাই। গৃহস্থ সকলে দিনমণির জন্য উদ্বিগ্ন, গৃহে অশান্তি ও ভয়ের ছায়া।
অতঃপর...
অপরাহ্ন বেলায় ভট্টাচার্য্য পরিবারে এক এক ঘরে এক এক রকমের দৃশ্য দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ দাবার ছক লইয়া বসিয়া থাকে, কেহ বৈষয়িক কথাবার্তায় ব্যস্ত থাকেন। দ্বিতলে কর্তা- গিন্নি বসিয়া আগামী দিনে গৃহের কোন উৎসব, কীর্তন সভা ইত্যাদির কথা কহেন। পুত্র, পুত্রবধূগণের কথাও হইয়া থাকে। তাহাতে বধূগণের পিতামাতার কথাও যেমন থাকে, বধূদিগকে পিত্রালয়ে কোন কোন সময় পাঠানো উচিত, কোন সময় নহে...তাহাও আলোচনা হয়। বধূরা দিনের আলোয় স্বামীর সহিত একঘরে বড় একটা থাকে না বটে, তবে শিবতোষের গৃহে এই লইয়া বাড়াবাড়ি বিশেষ নাই। গৃহকর্তা-গৃহিণী অপেক্ষা অন্যান্যদের বাক্যচ্ছটাই বেশি শুনিতে পাওয়া যায়। তাহা গ্রাহ্য না করিলেও চলে, তবে বধূরা একেবারে তাহা উপেক্ষা করিতে পারে না। সেই কারণেই কিছুটা নিয়ম মানিয়াই চলে। অনেক সময়ই দেখা যায় যে দুই বধূ একত্র হইয়া দ্বিপ্রহরে গল্পগাছা করিতেছে, তাহাতে পিত্রালয়ের কথা যেমন থাকে, নতুন ডিজাইনের গহনার কথাও থাকে। কখনও বা টুনি বইখাতা লইয়া পারুলবালার একপাশে বসিয়া হাতের লেখা মকশো করে। আবার ক্কচিৎ-কদাচিৎ একতলার বাসিন্দাদের সম্বন্ধেও আলোচনা হইয়া থাকে। মধ্যমা কেশবতী কন্যা, তাহার কেশচর্চাও চলে এই সময়েই। পারুলবালা নিত্য নতুন ভাবে টুনির কেশবন্ধন করিতে ভালবাসে। তাহার নিজের কেশ অত দীর্ঘ নহে, তাই টুনির কেশ লইয়া নাড়াচাড়া করিতে সে ভালবাসে। অদ্য বাড়ির আবহাওয়া অন্যরকম। বেলা পড়িয়া আসিতেছে, কিন্তু বধূরা এখনও মুখে অন্ন তুলে নাই। ফলে, গৃহের অন্যান্যরাও কেউ অন্ন গ্রহণ করিয়াছেন, কেহ করেন নাই। একটা ভারি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হইয়াছে।
মালতীর চিৎকারে দিনমণির অবস্থার কথা সকলেই জানিয়াছে। কিঞ্চিত বিলম্ব ঘটিলেও বাটিতে কবিরাজ মহাশয়কে ডাকাইয়া আনা হইয়াছিল, তাঁহার হাতের গুণেই হউক অথবা ঔষধের গুণেই হউক দিনমণি এখন সম্পূর্ণরূপে সুস্থ না হইলেও নিদ্রা যাইতেছেন। কবিরাজ মহাশয় তাঁহার সহিত কাহাকেও কথা কহিতে নিষেধ করিয়াছেন। গৃহিণীও দিনমণিকে দেখিতে একবার একতলার ঘরে গিয়াছিলেন। দিনমণি সুস্থ না হইলে তাঁহার নিকট জ্ঞানতোষের খবর পাওয়া যাইবে না বুঝিয়া শিবতোষ তাঁহার তৃতীয় পুত্র মনোতোষকে দিনমণির দেখাশোনা করিবার ভার দিয়াছেন। মনোতোষ মধ্যে মধ্যে দিনমণির খবর লইতেছেন। দুই ভ্রাতা গৃহত্যাগী, মধ্যম পুত্রটিও বেলা বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে বাহিরে গিয়াছেন, এখনও ফিরিলেন না। এমন দুর্বিপাকে শিবতোষ আর কখনও পড়েন নাই। যদিও পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক চাষী আসিয়া জানাইয়া গিয়াছে মধ্যম পুত্রের কথা, কাজ সারিয়া ফিরিবেন, এই সংবাদ বাটিতে দিতে বলিয়াছেন। কিন্তু কিসের কাজ, কোথায় কাজ তাহা জানান নাই। বধূরা তাঁহারই অপেক্ষায় রহিয়াছে।
সকালে বেলার দিকে দিনমণিকে কবিরাজ দেখিতে আসিলে সুন্দরি শিবতোষের কাছে নিম্নস্বরে পারুলবালাকে একবার দেখিবার কথা বলিয়াছিলেন বটে, শিবতোষ ভাল করিয়া বুঝেন নাই। কিন্তু সুন্দরির কথা কহিবার জন্য এইরূপ আগাইয়া আসাতে অত্যন্ত বিরক্ত হইয়াছিলেন, শিবতোষের মুখের চেহারা দেখিয়া পুনর্বার বলিবার জন্য সুন্দরি আর অগ্রসর হয়েন নাই। এক্ষণে শিবতোষের সেই কথা মনে পড়িলে গৃহিণীকে তাহা বলিলে গৃহিণী বিস্ময় প্রকাশ করিলেন। তিনি থাকিতে সুন্দরি এতসকল মেয়েলী কথা কর্তাকে বলিতে সাহস করেন কি প্রকারে? শিবতোষও অসন্তুষ্ট হইলেন। সুন্দরিকে ডাকিয়া সাবধান করার প্রয়োজন আছে বুঝিলেন। আগাছা বেশি বাড়িবার পূর্বেই ছাঁটিতে হইবে, নহিলে তাহা শ্রী’র অন্তরায়। আশ্রিতজন সীমারখা অতিক্রম করিলে তাহার ফল ভোগ করিতে হইবে বৈকি!
দ্বিপ্রহর শেষে এইবার আড়মোড়া ভাঙ্গিয়া কর্তা উঠিলেন। একবার দিনমণির সংবাদ লইতে হইবে। সন্ধ্যাবেলায় কবিরাজ মহাশয় দুই ক্রোশ রাস্তা অতিক্রম করিয়া আসিতে পারিবেন না, কিন্তু দিনমণির অবস্থা তেমন বুঝিলে বৈকাল থাকিতে থাকিতেই কবিরাজকে আনাইতে হইবে। শিবতোষ মনে মনে সুন্দরির জামাতা সদানন্দের কথা ভাবিয়া রাখিয়াছিলেন। কিন্তু এক্ষণে বিরক্ত বোধ করিলেন। সুন্দরি নিজের ভাগ্য নিজেই বিপথে চালনা করিতেছে, তিনি আর কি করিবেন! প্রয়োজনে অন্য কেহ যাইবে।
সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে দীপ জ্বলিল। দেবতার মন্দিরে আরতি শুরু হইল। ভট্টাচার্য্য পরিবারেও আলো জ্বলিয়া উঠিল। দেবগ্রামে বিজলী বাতির তখনও চল হয় নাই। প্রতি সন্ধ্যায় দালানে, বারান্দায়, বৈঠকখানায় হ্যাজাকের আলো জ্বালানো হয়। আজ ক্ষেত্রনাথ আসেন নাই, সে কারণে বালকদিগের পড়িবার ঘরটিতে আলো জ্বলে নাই। এই বাতিটিকে ভট্টাচার্য্য পরিবারের লোকেরা বলে—ডে লাইট। দেখাদেখি গ্রামের লোকেরাও। রাজা যাহা বলেন, প্রজা তাহারই পুনরুক্তি করে। দিনের আলোর মতো ঝলমলে সাদা আলো বলিয়াই বোধ করি এইরূপ নামকরণ। আলো জ্বলিল, কিন্তু গৃহে কাহারও মনে আলো নাই, কি এক দুঃখে, চিন্তায় সকলে নিমগ্ন হইয়া রহিয়াছে। সুন্দরি অদ্য বৈকালে কন্যার গৃহে যাইবার সময় পান নাই। দিনমণিকে সন্ধ্যালগ্নে একবার দেখিতে আসিয়া সেই কথাই দুই-একজনের সহিত কহিতেছিলেন। এমন সময়ে শিবতোষের মধ্যম পুত্র প্রিয়তোষ দিনমণির ঘরে প্রবেশ করিলেন। সকলে তটস্থ হইল, অসুস্থ মানুষের ঘরে এতজন মিলিয়া গালগল্প করিতেছে বলিয়া ভীত হইল, কেহ কেহ ঘর ছাড়িয়া প্রস্থান করিল। অকস্মাৎ তাঁহাকে দেখিয়া সুন্দরি জোর গলায় বলিয়া উঠিল-- কোথায় ছিলে বাবা, সারাদিন নাওয়া-খাওয়া নেই, বাড়িসুদ্ধ লোক না খেয়ে রয়েছে...’ সুন্দরির কথা শেষ হইবার পুর্বেই প্রিয়তোষ বিরক্ত এবং গম্ভীর স্বরে বলিয়া উঠিলেন—একদিন না খেলে কেউ মরে না। আপনি যান, আমার কিছু কথা আছে।’
সুন্দরি বেগতিক দেখিয়া সরিয়া পড়িলেন কিন্তু বার্তা রটিল প্রিয়তোষ ঘরে ফিরিয়াছেন। কেহ কেহ তাঁহাকে দেখিবার জন্য উঁকি ঝুঁকি মারিবার চেষ্টা করিল কিন্তু প্রিয়তোষ ঘরের দ্বার রূদ্ধ করিয়া দিনমণির সহিত কথা বলিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। দেখিলেন, বৃদ্ধার জ্ঞান আছে, কিন্তু বড়ই দুর্বল নাড়ি। বুঝি বা ক্ষীণ স্বরে কিছু বলিবার চেষ্টাও করিতেছেন। সারাদিনে দিনমণি একবারও কথা কহা তো দূরের কথা চক্ষু চাহিয়াও দেখেন নাই। তবে কি তিনি বুঝিতে পারিয়াছেন, কেহ তাঁহার নিকটে আসিয়া বসিয়াছে? প্রিয়তোষ গম্ভীর স্বভাবের, কম কথা বলেন। কথা বলার ভঙ্গীটিও নরম, মিষ্ট। সুমিষ্ট স্বরে জ্ঞানতোষের কথা জানিতে চাহিলে, বৃদ্ধার চক্ষু দিয়া জল গড়াইয়া পড়িল। প্রিয়তোষ সারাদিন ধরিয়া ক্ষেত্রনাথের সংবাদ লইতে চেষ্টা করিয়াছেন, তাঁহার আস্তানায় গিয়া তাঁহাকে ধরিতে পারেন নাই, কিন্তু কয়েকটি বালককে লইয়া অতি প্রত্যুষেই তিনি কোথাও গিয়াছেন, তাহা জানিয়া আসিয়াছেন। বৃদ্ধা দিনমণিকে পুনর্বার ভ্রাতার কথা জিজ্ঞাসিলে অস্ফুটে বলিতে চেষ্টা করিলেন –ইস্...কুল...।‘ চমকিয়া উঠিলেন প্রিয়তোষ। দিনমণি কি তাঁহাকে চিনিতে পারিতেছেন, নতুবা ইস্কুলের কথা বলিলেন কি প্রকারে? দিনমণি চক্ষু খুলেন নাই, তাহা মুদ্রিত আছে, তবে কি গলার স্বরে চিনিলেন? বিস্মিত হইলেন প্রিয়তোষ, কিন্তু যাহা জানিবার তাহা জানা হইল। দিনমণির ইঙ্গিত এবং ক্ষেত্রনাথের বালকদিগকে লইয়া যাওয়ার ঘটনায় তাহা বুঝিতে বিশেষ বেগ পাইতে হইল না। আর কিছু না বলিয়া দিনমণিকে বিশ্রামের কথা বলিতে গেলে বৃদ্ধা তাঁহার হাতখানি চাপিয়া ধরিলেন। অতি কষ্টে কহিলেন---‘মার...বোকো...’ তাহার পর মাথা নাড়িলেন, আর কিছু বলিতে পারিলেন না...।প্রিয়তোষ পুনরায় বিস্মিত হইলেন। জ্ঞানতোষকে যেন কিছু না বলা হয়, তাহাই বুঝাইতেছেন। এই অনাথা বিধবার জ্ঞানতোষের প্রতি স্নেহ তাঁহার অন্তরেও আসিয়া লাগিল। দিনমণি এ যাত্রা বাঁচিয়া উঠুন, ঈশ্বরের নিকট মনে মনে প্রার্থনা জানাইলেন। দিনমণিকে প্রিয়তোষও ভালবাসিতেন। বৃদ্ধার হাত দুখানি ধীরে ধীরে দুই পার্শ্বে রাখিয়া দিয়া প্রিয়তোষ ঘরের বাহিরে আসিলেন। কোনওদিকে দৃক্পাত না করিয়া দ্বিতলে আপনার কক্ষে প্রবেশ করিলেন। সারাদিন ধকল গিয়াছে, কিঞ্চিৎ বিশ্রাম প্রয়োজন।
ঘর আবছা অন্ধকার, মৃদু একটি আলো জ্বলিতেছে, কেহ কোথাও নাই। টুনটুনিকে দেখিতে না পাইয়া প্রিয়তোষ বিস্মিত হইল। সন্ধ্যাকালে তাহার তো ঘরেই থাকা উচিত ছিল। তবে কি সে মাতার নিকটে বসিয়া আছে? তাহার সন্ধানে ঘর হইতে বাহিরে যাইবার উপক্রম করিতেই টুনটুনি একেবারে আচমকা আসিয়া বক্ষে ঝাঁপাইয়া পড়িল। টুনি ঘরের ভিতরেই ছিল, অন্ধকারে ঠিক বুঝিতে পারা যায় নাই। প্রিয়তোষ ইহার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। বুঝিলেন, ছোট্ট টুনটুনি পাখিটি সারাদিনের দুশ্চিন্তায় কষ্ট পাইয়াছে, এক্ষণে আর নিজেকে ধরিয়া রাখিতে পারে নাই। পাখিটি আবেগে থরথর করিয়া কাঁপিতেছে, অঝোরে কাঁদিতেছে। মৃদু হাসিয়া বলিলেন--- ‘এই নাকি খুব সাহস, বেশ যাহোক’ বলিয়া টুনিকে বক্ষের ভিতরে জড়াইয়া ধরিলেন...।
(ক্রমশঃ)
0 comments: