0

সম্পাদকীয়

Posted in


সম্পাদকীয়




সময় স্থির নয়। ঘটনা পরম্পরাও অ্যাবসার্ড নাটককে মনে পড়াচ্ছে মাঝে মাঝে। যেমন সদ্য ঘটে যাওয়া কালা ধন সফেদ করার কর্মকাণ্ড। একটা বিষয় লক্ষ্য ক'রে অবাক না হয়ে পারিনি। চূড়ান্ত অসুবিধের মধ্যে পড়েও মানুষ দিব্যি ঠাট্টা, তামাসা করছে তা নিয়ে। লিখছে চুটকি, আঁকছে কার্টুন। রবীন্দ্রনাথের কথা মনে এল। পঞ্চভূত প্রবন্ধাবলীতে তিনি বলেছেন, কৌতুক সুখের আতিশয্য নয়। হঠাৎ অসঙ্গতি, বিড়ম্বনা বা লজ্জার পীড়া থেকেই উঠে আসে কৌতুক। হাসির আড়ালে একরকম নিয়মভাঙার আমোদ থাকে। লুকোনো থাকে নিয়মতান্ত্রিকতাকে পরিহাস। কৌতুকরস রসাভাস থেকে সৃষ্ট। আমরা দন কিহোতের হাওয়াকলের দিকে বর্শা তুলে ঘোড়া ছোটানো দেখে হাসি। কারণ, বীররসাভাস। কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না ক'রে নিরন্নের দুঃখে চোখের জল ফেলা দেখে আমরা হাসি। কারণ, করুণ রসাভাস। ‘আমি প্রণত - আমি ভক্ত’ ব'লে ভৈরব হুংকারে আমরা হাসি। কারণ শান্ত রসাভাস। আমরা হাসি। হেসে চলি। আর সেই মানুষটিকে স্মরণ করি এই গত মাসের তিরিশ তারিখে যাঁর জন্মদিন গেল। ইচ্ছে হয় ডেকে ব'লি, "মশাই গো, নেমে আসুন। ঋতবাককে উপহার দিন আর একটা আবোলতাবোল বা হযবরল। আপনাকে বড় দরকার এখন।" 

ঋতবাক সত্যকথা বলে। সত্যপথে চলে। আর সত্য আর ঘটে চলা ঘটনাবলীর অসংগতি দেখে হাসে। হাসছে। ভবিষ্যতেও হাসবে। আপনারাও থাকুন হাস্যমুখে, হাস্যসুখে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর

0 comments: