ধারাবাহিকঃ সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
Posted in ধারাবাহিক
ধারাবাহিক
বানরায়ণ - পর্ব ১১
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
একটার পর একটা ঢেউ এসে ক্রোধে আছড়ে পড়ছিলো পাথর গুলোর উপর। যেন প্রবল আপত্তি জানাচ্ছিলো এই সেতুবন্ধনের বিরূদ্ধে।
সারাটা রাত এমন চলতে থাকে। নিরন্তর ঢেউয়ের প্রতিবাদ। ভোরের দিকটা শান্ত হয়ে আসে। আমি আজকাল প্রায়ই রাতে সবাই শুয়ে পড়ার পর এসে এখানে বসে থাকি। রাতের অশান্ত সমুদ্র আমার ভালো লাগে। মনে হয় যেন অনেক কিছু বলতে চায়। মানুষের ইতিহাস... তারও আগের ইতিহাস... হয়তো এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সম্পূর্ণ ইতিহাস লুকনো রয়েছে ওর গভীরে। সে সব বলতে চায়। কিন্তু ওর ভাষা বুঝি না আমরা। তাই নিষ্ফল অক্রোশে ফোঁসে শুধু...
আমরা কিষ্কিন্ধ্যা থেকে রওনা হওয়ার পর প্রায় দু’ মাস কেটে গেছে। এই ক’দিনে অনেক কিছু জেনেছি, বুঝেছি, শিখেছি। কিষ্কিন্ধ্যা থেকে কুমারিকা অবধি দশ দিনের পথটুকু প্রায় পুরোটাই করন্দর সঙ্গে সঙ্গে কাটিয়েছি। আমার কৌতূহল আর শেখার আগ্রহ হয়তো কখনও কখনও ওর বিরক্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কিন্তু আমি লেগে থেকেছি। করন্দরও এই ক’দিনে আমার উপর কেমন একটা টানের মতন তৈরি হয়ে গেছে। তাই যতটা নিষ্ঠা ওর পক্ষে সম্ভব, ততখানি নিয়ে আমাকে হরফ চিনিয়েছে, পড়তে শিখিয়েছে। সংখ্যা চিনিয়ে যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের সহজ অঙ্কও কষতে শিখিয়েছে। আর বলেছে গল্প। নানা দেশের, নানান রকম মানুষজনের গল্প।
করন্দর অনেক জায়গায় গেছে। এমনকি রামচন্দ্র যে অযোধ্যার রাজপুত্র, সেই অযোধ্যাতেও গেছে। কিন্তু রামচন্দ্রকে দেখেনি কখনও। ও যখন গেছে, তখন রামচন্দ্র নেহাতই শিশু। করন্দরও তখন বয়স কুড়ির কোঠা পার হয়নি। আসলে ও খুব অল্প বয়স থেকেই বাউণ্ডুলে গোছের লোক। কবেরু গাঁয়ে বাস ছিলো। জীবনকাহিনী প্রায় আমারই মতন। জ্ঞান হওয়ার আগেই মা মারা যায়। বাবা কে, কোনওদিন জানতেই পারেনি। গাঁয়ের সর্দারের দয়ায় তারই বাড়িতে মানুষ। ছোটবেলা থেকেই বাইরে বাইরে মন। চোদ্দ-পনেরো বছর বয়সে একদল বেদে জাতীয় লোকের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। সেই থেকে ওর ভ্রাম্যমান জীবনের শুরু। মাঝে মাঝে ফিরেছে কবেরু গাঁয়ে। কিন্তু বেশিদিন টিঁকতে পারেনি। আবার ছিটকে বেরিয়ে পড়েছে পথের টানে। এই ভাবেই কাটিয়ে দিয়েছে জীবনের চল্লিশটা বছর। তারপর এই কয়েক মাস আগে কুমারিকায় সেতুবন্ধনের খবর পেয়ে এসে জুটেছে কিষ্কিন্ধ্যার সেনা নিয়োগ শিবিরে। এর আগেও যুদ্ধ দেখেছে করন্দ, করেওছে। কিন্তু সে সব ছোটখাট যুদ্ধ। এই প্রথম বড় যুদ্ধের অংশীদার হতে আসা ওর।
ওর মতন আরও কয়েকজন ছিলো আমাদের দলে। অনেক ঘোরা, অনেক দেখা, অনেক অভিজ্ঞতাওয়ালা লোক। কিন্তু করন্দর মতন করে গল্প তারা কেউ বলতে পারে না। সে গল্প শোনার লোকও অনেক ছিলো। কিন্তু আমার মতন ওর পিছু পিছু আর কেউ ঘুরতো না।
করন্দর কাছেই সমুদ্রের গল্প শুনেছিলাম। কিন্ত তবু যেদিন প্রথম দেখলাম সমুদ্র, সেদিন প্রথমটা আমার বাকরোধ হয়ে গিয়েছিলো। জল যে এত বিশাল, এমন ঘণ সবুজ, এমন অন্তহীন হতে পারে, আমার ধারনা ছিলো না। লক্ষ লক্ষ লোক কাজ করছে। তৈরি হচ্ছে সেতু... আর সেই সেতুর উপর এসে আছড়ে পড়ছে ক্রুদ্ধ সমুদ্রের ঢেউ! আমি আর আমার মতন আরও কয়েকজন ‘জংলী ভূত’ পথশ্রমের ক্লান্তি ভুলে কতক্ষণ যে হাঁ করে দাঁড়িয়েছিলাম সেদিকে তাকিয়ে, মনে নেই। শুধু মনে আছে, সম্বিৎ ফিরেছিলো শিবিরে যাওয়ার ডাকে।
কুমারিকার সৈন্যশিবির এক বিস্ময়কর ব্যাপার! অগুন্তি, অসংখ্য মানুষ একসঙ্গে কাজ করছে, অনুশীলন করছে, খাচ্ছে, ঘুমোচ্ছে, গান-বাজনা করে অবসর বিনোদন করছে, কখনও কখনও নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করছে, আবার পরমুহূর্তে গলাগলি করছে... এ এক আশ্চর্য মিলনক্ষেত্র! বোধহয় সব সৈন্যশিবিরই তাই। অদূর ভবিষ্যতের চরম অনিশ্চয়তাই বোধহয় মানুষের এই অবস্থানকে এমন নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত, এত ঘণসংবদ্ধ করে তোলে...
সেই নিবিড়তার চরম দেখেছিলাম রামচন্দ্রের মুখে। উফ্! মানুষ এত সুন্দরও হয়! কি অসাধারণ দীর্ঘ, বলিষ্ঠ দেহ। দুধের সঙ্গে কচি পাতার রং মেশালে যেমন হয়, তেমনি দেহবর্ণ। কিন্তু সে দেহের দিকেও চোখ পড়ে না আর...একবার তাঁর মুখের দিকে তাকালে। দু’চোখে কাঠিন্য আর কারুন্যের এমন নিবিড় সংমিশ্রণ আমি আর দেখিনি কখনও। ত্রিভুবনের স্বপ্ন, প্রেম আর প্রতিজ্ঞা যেন একত্রে সমাবিষ্ট নীল পদ্মের মতন সেই দুই চোখে। দেখলেই মনে হয়, এঁর জন্য বোধহয় প্রাণও দিয়ে দেওয়া যায়...
লক্ষ্মণও প্রায় তাঁরই অনুরূপ। রূপ ও শক্তির অপূর্ব সংমিশ্রণ। সুগ্রীবের সঙ্গে সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে দুই ভাই তত্ত্বাবধান করছিলেন সেতুবন্ধনের। বিশালদেহী সুগ্রীব যেন দুই সিংহের পাশে মূর্তিমান গজরাজ। মেঘমন্দ্র স্বরে কর্মীমুখ্যদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন।
অতি দ্রুত গতিতে চলছে সেতুবন্ধনের কাজ। দশ লক্ষের উপর লোক কাজ করছে ভোর থেকে রাত অবধি। বিশাল বিশাল গাছের কাণ্ড আর পাথর টেনে নিয়ে আসছে হাজার হাজার হাতির দল। হাতি আমাদের অপরিচিত নয়। বিন্ধ্যারণ্যে প্রচুর হাতির বাস। কিন্তু এভাবে পোষ মানিয়ে তাদের দিয়ে যে এই জাতীয় কাজ করানো যায়, এটা আমরা কোনওদিন ভাবিনি। ভাবার প্রয়োজন হয়নি।
বালি, চুনাপাথরের গুঁড়ো, গাছের রস এবং আরও নানান উপাদান মিশিয়ে একরকমের আঠা তৈরি করা হচ্ছে, এবং সেই আঠা দিয়ে গাছের গুঁড়ি, পাথর, ইত্যাদি জুড়ে জুড়ে তৈরি হচ্ছে সেতু। মাঝসমুদ্র ছাড়িয়ে গেছে সেতুর দৈর্ঘ্য। প্রস্থে খুব বেশি নয়। পাশাপাশি জনা দশ-বারো মানুষ, বা দু’টো হাতি চলার মতন চওড়া। এবড়োখেবড়ো, বন্ধুর জমি। কিন্তু মজবুত, পোক্ত। শুনেছিলাম, প্রায় পঁচিশ লক্ষ সৈন্য নিযুক্ত হয়েছে এই শিবিরে। তারা সবাই যাবে ওর উপর দিয়ে।
এত সৈন্যের অস্ত্রশস্ত্র, বর্মচর্ম, খাদ্য, পানীয়, বস্ত্র এবং সর্বোপরি এতজনের বেতনের ব্যবস্থা করতে যে কত মুদ্রা ব্যয় হতে পারে, তার কোনও ধারনা করন্দরও নেই। মুদ্রার হিসাবটা এই ক’দিনে যতখানি বুঝেছিলাম, তাতে আমার একটা সন্দেহ হচ্ছিলো... কিষ্কিন্ধ্যাকে যেরকম দেখেছি, সে রাজ্য এই বিপুল ব্যয়ভার বহন করার মতন যথেষ্ট সমৃদ্ধ কি? রামচন্দ্র তো যতদূর জানি পিতৃরাজ্য থেকে নির্বাসিত, সহায়সম্বলহীন...
সেতুনির্মাণের প্রধান কারিগর নলকে দেখতাম রাম, লক্ষ্মণ, সুগ্রীবের সঙ্গে আলোচনা করতে। মানুষের গায়ের রং এমন হতে পারে, আমার ধারনা ছিলো না। নদীচরের বালির মতন, দুপুরের সূর্যের আলোর মতন রং। দীর্ঘ, ঋজু দেহ। শুধু যে প্রযুক্তিবিদ নন, প্রয়োজনে অস্ত্রও ধারণ করতে পারেন, সেটা দেখেই বোঝা যায়। আর যেটা বোঝা যায়, সেটা হলো, ইনি এখানে উপস্থিত বাদবাকি সবার থেকে আলাদা। শুধু আকৃতিতে নয়, প্রকৃতিতেও। কৌতূহলের বশে একটু কাছাকাছি গিয়ে ওঁদের কথা শোনার চেষ্টা করতাম। রামচন্দ্র, সুগ্রীবের ভাষা সহজ, বোধগম্য। নলের উচ্চারণে কোনও এক বিজাতীয় ভাষার মূর্ছনা। তাঁর সৌজন্য প্রদর্শনও যেন অন্যরকম। প্রতিবারের সাক্ষাতে একটু সামনে ঝুঁকে রামচন্দ্র, লক্ষ্মণ বা সুগ্রীবের ডান হাত নিজের দু’হাতে ধরে অল্প ঝাঁকুনি দিতেন। ভঙ্গীটি একটু অদ্ভূত হলেও চিত্তাকর্ষক।
ততদিনে আমাদের, অর্থাৎ কিষ্কিন্ধ্যাবাহিনীর শেষতম নিযুক্ত সৈনিকদের দায়িত্ব বিভাজন হয়ে গেছে। বেশির ভাগই সাধারণ সৈনিক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে। আপাতত এদের কাজ নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া এবং সেতুবন্ধনের কাজে সাহায্য করা। যারা রান্না করতে পারে সেরকম কয়েকজন রাঁধুনিদের দলে যোগ দিয়েছে। কাঠের বা পাথরের কাজ জানা দু’একজন সূত্রধার-খোদাইকরদের দলেও গেছে। অনুশীলন সবাইকেই করতে হয়। বাকি সময়ে যার যার কাজ।
আমাদেরও তাই। তবে সাধারণ সৈনিকদের থেকে আমাদের মর্যাদা একটু বেশি। কারণ, আমরা চিকিৎসাদলের সদস্য। দায়িত্ব বিভাজনের সময় পাহান, মোহকরা ওষুধপত্র বিষয়ে আমার একটু আধটু জ্ঞানের কথা বলেছিলো কর্মকর্তাদের। তাই এই ব্যবস্থা। চিকিৎসকদলের প্রধান সুষেণ। কিষ্কিন্ধ্যার অদূরে অবস্থিত একটি ছোট্ট রাজ্যের শাসক এক শান্ত, ধীর, স্থির, বিচক্ষণ প্রৌঢ়। প্রথমে জানতাম না, কয়েকদিন পরে জেনেছিলাম, ইনি রাজশ্বশুর। মহারাণী তারার পিতা।
সুষেণের অধীনে কর্মরত আমাদের ছোট্ট চিকিৎসাদলটির জনা তিরিশেক সদস্য। তাম্বলি গ্রাম থেকে শুধু আমি, এবং আমিই বয়সে সব থেকে ছোট। বেশির ভাগই নানান গ্রাম থেকে আসা ওঝা-গুণীন পরিবারের লোক। সুষেণের নিজের লোক জনা পাঁচ-ছয়। তাদের কাজ করার ভঙ্গী দেখেই বোঝা যায়, তাদের প্রশিক্ষণ বাকিদের তুলনায় উন্নততর। অনুশীলনের সময় যে সব ছোটখাট আঘাত পেত সৈনিকরা, সেগুলির পরিচর্যা করতো অতি দ্রুতগতিতে এবং অত্যন্ত দক্ষ হাতে।
সেই রকমই এক মুহূর্তে দেখেছিলাম তাঁকে। যুবরাজ অঙ্গদ এসেছিলেন মাতামহ সুষেণের কাছে, মল্লযুদ্ধ অভ্যাসের সময় হাতে প্রাপ্ত একটি আঘাতের সুশ্রূষা করাতে। কতই বা বয়স রাজপুত্রের? কুড়ির কোঠা পেরিয়েছেন সবে। কিন্তু বিশাল বলিষ্ঠ শরীর দেখে সে কথা কে বলবে? পিতৃব্য সুগ্রীবের সঙ্গে সাদৃশ্য দেখে বোঝা যায়, এ আকৃতি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত।
কিন্তু কিষ্কিন্ধ্যার যুবরাজকে দেখা সেই আমার প্রথম নয়। তাঁকে আমি আগেও দেখেছি, রামের সঙ্গে, সুগ্রীবের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে সেদিন এসেছিলেন তিনি। বস্তুত, তাঁর সঙ্গে মল্লযুদ্ধ অনুশীলনের সময়েই আঘাত পেয়েছিলেন অঙ্গদ। শিবিরে যোগদান করার পর শুনেছিলাম, তিনি সেই মুহূর্তে অনুপস্থিত। কোনও গুরুতর কাজে অন্য কোথাও গেছেন। যুবরাজের আঘাত পাওয়া তার সপ্তাহখানেক পরের ঘটনা। আগের দিন রাতেই তিনি ফিরেছেন, শুনেছিলাম। সেদিন প্রথম দেখলাম।
তাঁর আকৃতি আমাদের মতন মানুষের ধারনার বাইরে। অত দীর্ঘকায় ও বিশালদেহী যে মানুষ হতে পারে, আমাদের জন্য তা অকল্পনীয়। গায়ের রং প্রায় নলেরই মতন... যেন মধ্যাহ্নের সূর্য রশ্মি বিচ্ছ্বুরণ করছে। কিন্তু সে শুধু ত্বকের রং। বহির্বর্ণ। তার ভিতরে অস্তগামী সূর্যের লোহিতাভা যেন অটুট স্বাস্থ্য ও অমিত শক্তির আস্ফালন! সুগ্রীব, অঙ্গদ, রাম, লক্ষ্মণ, প্রত্যেকেই বিশালদেহী, শক্তিশালী পুরুষ। কিন্তু এঁর তুলনায় তাঁরা সবাই নিতান্তই মধ্যমাকৃতি।
অঙ্গদের সঙ্গে চিকিৎসাশিবিরে প্রবেশ করলেন তিনি। দেখলাম, তাঁকে দেখেই সুষেণের মুখ উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। তিনিও সহাস্যে এগিয়ে এসে ঠিক নলের মতন করেই সুষেণের ডান হাতটি নিজের দু’হাতে ধরে সামনে ঝুঁকে অল্প ঝাঁকুনি দিলেন। তারপর জলদগম্ভীর অথচ হাস্যতরল স্বরে বললেন, ‘‘আপনার দৌহিত্রকে একটু আঘাত দিয়ে ফেলেছি। মল্লযুদ্ধ অনুশীলন করছিলাম। যুবরাজের বাঁ হাতের কফোণিসন্ধিতে একটু মোচড় লেগেছে।’’
অঙ্গদের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে, বেশ যন্ত্রণা হচ্ছে। কনুইয়ের কাছটা ফুলে উঠেছে। হাতটা ঠিক করে নাড়তে পারছেন না। সুষেণ তাঁর হাত পরীক্ষা করে নিশ্চিন্ত হলেন। ভাঙেনি। মোচড়ই লেগেছে। আমি পাশেই ছিলাম। আমাকে বললেন, ‘‘একটু চূণ আর হলুদ গরম করে নিয়ে এসো তো। সঙ্গে দু’টো পানপাতা এনো।’’
আমি দ্রুত আদেশপালন করতে যেতে যেতে দেখলাম, তিনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। শুনতে পেলাম সুষেণ অঙ্গদকে পরিহাসের স্বরে বলছেন, ‘‘তোমার সাহস তো কম নয় হে! হনুমানের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করতে গেছো!’’
আমার গা টা কেমন শিরশির করে উঠলো...
এলেম আছে !! এই ধরণের বিষয় নিয়ে এইভাবে লেখাটা চাট্টিখানি ব্যাপার নয় !! আগের বেশ কয়েক টি পর্ব মিস করেছি। কিন্তু তাতে নিজেকে নবাগত বলে মনে হলনা !!
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ...
ReplyDelete