রম্যরচনাঃ অরিন্দম চন্দ্র
Posted in রম্যরচনা
রম্যরচনা
অফিস-অ-ফিস
অরিন্দম চন্দ্র
ডালহৌসীর বুকে বিমার আপিসে কাজ করি। না না, “বিমার” নই। ২০ বচ্ছরের বিষ নিয়েও না। আধেক-জীবন পার হয়ে মগজে কার্ফু নিয়ে কারো গোয়ালে ধুনো বা ফুঁ কিচ্ছুই দিতে পারবো না। অনেকের কথা আসবে, কেউ মিল পেলে মারবেন না প্লীজ।
মিলনদা-আদরের মিলুদা। রিটায়ার করবার ঠিক মুখেই দেখা। ৫০ এর বাংলা উপন্যাসের পাতা থেকে উঠে আসা ক্ষয়াটে রোগা অবিন্যস্ত মিলুদা। এত ডাক্তার দেখাতে হয়েছে যে অনেকে ডক্টর রে বলে ডাকতো। গালেতে খোঁচা দাড়ি, তেলচিটে জামা-প্যান্ট, নাক দিয়ে গড়ানো সর্দি ও নস্যির অবিরাম ধারাপাত নিয়ে চেক হ্যান্ড-ডেলিভারী দিতেন। চেক যে বয়ে আনতো অ্যাকাউণ্টস থেকে, সেই তারককে বলেই রাখতেন সকাল সকাল চেক দিতে, আর সে দিতো প্রত্যেক দিন আপিস ভাঙ্গার ঠিক আগে। একদিন বিকেল ৪ টায় তারকের আবির্ভাব... “মিলনদা, এই যে আপনার খাবার।” এক-কাঁড়ি লোক, চারধারে তাকালেনও না, হুঙ্কার... “শোন তারক, তোমার ইয়েটা এই ভাবে ধরে ওইটা ঘ্যাঁচ করে কেটে দেবো।”
এ-হেন মিলুদাকে ম্যানেজমেন্ট মাঝেমাঝেই অপদস্থ করার চেষ্টা করতো। উনিও বিশুদ্ধ ইংরাজীতে পত্রাঘাত করতেন। কোনও এক বার চিঠির শেষে লিখেছিলেন “I wish I had thanked you.” পাঠক মাত্রই বুঝতে পারবেন এই রামচিমটির জ্বালা,আমি আর জ্বালাবো না।
ডালহৌসীর এক বিখ্যাত পাগলী আপিসে মাঝে মাঝেই জ্বালাতো। একদিন সে মহিলা ব্যাগ থেকে বোতল বের করে জল ভরছেন, পাশের টয়লেটে মিলুদা ইয়ে করছেন। এক বড়বাবু, ব্যানার্জিদা ঢুকলেন। ভরাট গলায় জানালেন, “Yes, Dr. Ray, you have a patient out there.” এক সেকেণ্ড পরেই মিলুদার পালটা, “She is not my patient, she is my prospect.”
মিলুদার আর এক নেশা ছিল জর্দাপান। খিলিতে মুড়ে দুইখান পান বেয়ারা রামখিলাড়ি এনেছে। উনি আনমনে প্রাণপনে চিবিয়ে যাচ্ছেন, রস আর আসে না। বেয়াড়া ব্যাপারটা বোঝা গেল কিছু পরে, খিলিশুদ্ধু পান মুখে দিয়েছেন, তাই পান বা জর্দা নয়, বিশুদ্ধ কলাপাতার স্বাদ আসছে।
আমার নতুন কেনা জলের বোতলের ছিপির রং লাল দেখে comment মেরেছিলেন, ‘‘It is a bit sexy.” ভাগ্যিস সে কালে Facebook ছিল না!
দুঃখিত। কিছু মনে করবেন না প্লিজ......আমার অন্ততঃ এটা পড়ে একটুও হাঁসি পেলনা !! বরং মনে হল যে, ঋতবাক এর মান এর অবনমন ঘটছে।
ReplyDelete