someপ্রতীক - সুমিকমল
Posted in someপ্রতীকঋতুপর্ণ ঘোষ এমন একজন মানুষ যে তাঁর সম্পর্কে লেখা খুব সহজ কাজ নয়, আমি জানিনা আমি ওনাকে নিয়ে লেখার জন্য যোগ্য মানুষ কিনা, যখন ঋতবাকের তরফ থেকে আমাকে লিখতে বলা হয় মনে মনে একটু দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে ছিলাম কিন্তু এই প্রিয় পরিচালক নিয়ে লিখতে হবে মনে করে বেশ খুশিও হয়েছিলাম। গত 31st আগস্ট তার জন্মদিন ছিল সুতরাং সেই কথা মাথায় রেখেই ঋতবাকের সবিনয় শ্রদ্ধার্ঘ রইল এই মহান পরিচালকের প্রতি। 1963 31st আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ ঋতুপর্ণ ঘোষ। মাত্র 49 বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। হীরের আংটি নামক চলচ্চিত্র টি তিনি প্রথম পরিচালনা করেন, ছবি করার ক্ষেত্রে তার অনুপ্রেরণা হলেন বিশ্ববরেণ্য পরিচালক স্রী সত্যজিৎ রায়।এই কথা তিনি অকপটে বলেছেন ও লিখে গেছেন অনেক পত্র পত্রিকায়।
খ্যাতির মধ্যগগনে থাকতে থাকতেই হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতন উনি আমাদের ছেড়ে চলে যান।
এক অদ্ভুত শূন্যতার সৃষ্টি হলো আজকের সিনেমা জগতে। যাত্রা শুরু হীরের আংটি দিয়ে এবং শেষ হলো তা চিত্রাঙ্গদায়।
টলিউড ও বলিউডের অনেক নামি দামি শিল্পীদের নিয়ে উনি কাজ করেছেন,খুব অনায়াস ভাবে।
ঋতুপর্ণ ঘোষ কে ঘিরে মানুষের ছিল অনেক কৌতূহল ,কিন্তু তিনি ছিলেন অসম্ভব স্বাধীন ও দৃঢ়চেতার মানুষ,
যে কোনো সাক্ষাৎকারে তিনি ছিলেন একেবারেঅকপট।যা বলতেন তা তার অন্তরের বিশ্বাস থেকে বলতেন। তিনি বাঙালি সাবেকি রান্না খেতে খুবই পছন্দ করতেন।
একবার সৌভাগ্যবশত আমার ওনার বাড়ি যাওয়ার সুযোগ ঘটেছিল,সে ই বাড়িতে যেমন ছিল অজস্র বই, আর ছিল অজস্র সিনেমার ডিভিডি,
এম এল এ ফাটা কেষ্ট থেকে শুরু করে স্টিফেন স্পিলবার্গ এর ছবি কিছুই বাদ নেই।
এমন কাব্যময় গৃহ আমি আগে কখনো দেখিনি।উনি তেমন মানুষের সাথেই আড্ডা দিতে ভালোবাসতেন যাদের সঙ্গে তার সুক্ষবোধ মেলে।
কাজের বিষয় ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও শ্রদ্ধাশীল।তার অধিকাংশ ছবি নয় জাতীয় না হয় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।
বড় অসময় চলে গেলেন এই প্রতিভাধর মানুষ টি ,না জানি তার ঝুলিতে আরো কত পুরস্কার জড়ো হতে,আর আমরা বাঙালিরা গর্বে ভয়ে উঠতাম।
তিনি এই সময়ের মধ্যে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন উচ্চমানের এগারটি ছবি। আর তার কোনো ছবির শুভমহরত হবেনা কিন্তু আবহমান ধরে চলবে তার হিরের আংটি থেকে চিত্রাঙ্গদা কে নিয়ে এই সফরের কাহিনী নিয়ে আলোচনা।
আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তোমাকে অকুন্ঠ শ্রদ্ধা জানাই ,আর চাই দীর্ঘায়ু নিয়ে আবার ফিরে এসো এই বাংলায় আমরা সমৃদ্ধ হই তোমার সৃষ্ঠ শিল্প কে চাক্ষুষ দেখে।
ভারী সুন্দর লেখা۔
ReplyDelete