undefined
undefined
undefined
গল্প - উত্তম বিশ্বাস
Posted in গল্পচৈতন্য ফকিরের সাথে অক্ষয় কুণ্ডিতে চলেছে যোগমায়া। সে সংসার তেজেছে। ওর মাটির ঘর। ওইখানে চাপ চাপ আগুন! এতো দহন আর সইতে পারেনা যোগমায়া। চৈতন্য ফকির বলেন, "অক্ষয় কুণ্ডিতে একবার ডুব দিতে পারলে ইহজগতে আর জরা ব্যাধি স্পর্শ করতে পারবে না যোগমায়াকে।" হঠাৎ পথের মাঝখানে দেখে একটা সাপ! থমকে দাঁড়ায় যোগমায়া। চৈতন্য চোখের ভ্রম সরিয়ে বলেন, "ও তো রজ্জু। ভয় কীসের!" নিমেষে রজ্জুটিকে ভস্ম করে উড়িয়ে দিলেন চৈতন্য ফকির। তিন তপস্বীর মাঠ, একটা আগুন টিলা, আর পরিখার মতো এক লবণ সমুদ্র পেরোলেই সেই অক্ষয় কুণ্ডি। এবার দেখল পথের মাঝখানে আড় হয়ে আছে তার নিজহাতে লালন করা একটি পাকুড় গাছ। ওর শোকে যোগমায়া ভূমিতে লুটিয়ে পড়ল। চৈতন্য ফকির যোগমায়াকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, "যে সংসারে তুমি নেই, সেখানে ওরাও বা দাঁড়িয়ে থাকবে কোন শক্তিতে!" এবারও চৈতন্যের চোখের অনলে পুড়ে গেল বৃক্ষের সমস্ত ডালপালা।
সবে তটের বালিতে পা দিয়েছে যোগমায়া। এমনসময় নজরে ওর এল তির বিদ্ধ তিমির মতো পড়ে আছেন স্বয়ং চৈতন্য ফকির। এবার যোগমায়া ওঁর চিবুক ছুঁয়ে কেঁদে উঠল,"তুমিও ছেড়ে গেলে?' সাথে সাথে সমুদ্র শঙ্খে ভেসে এল অর্তি, "আমাকে বাঁচাও যোগমায়া!"
একা অক্ষয় কুণ্ডিতে যাবে না যোগমায়া। সে চৈতন্য ফকিরকে কোলে নিয়ে ফিরে আসছে। যেখানে দহন ঘর... ওইখানে!
0 comments: