প্রবন্ধ - নিলয় সরকার
Posted in প্রবন্ধ
প্রবন্ধ
নদীয়া জেলার পুতুলনাচের ইতিকথা
নিলয় সরকার
নদীয়া জেলার আপাত উপেক্ষিত পুতুলনাচ-ই একেবারে খাঁটি লোকশিল্প। নদীয়া জেলার পুতুলনাচ পাড়া বা গ্রাম বলতে বোঝায়, শিয়ালদা থেকে একশো কি.মি দূরে নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার --মূড়াগাছা, মিলননগর, ভবানীপুর, বগুলা বা তার আশেপাশের গ্রামগুলো। পূর্ব রেলে শিয়ালদা থেকে বগুলার দূরত্ব ৯৮ কিলো মিটার। অর্থাৎ লোকাল ট্রেনে প্রায় দু-ঘন্টার পথ, সেখান থেকে দু মাইলের মধ্যেই মুড়াগাছা গ্রাম, এই গ্রাম ঘিরেই আশেপাশে গড়ে উঠেছে নানান নয়াবসতি। বগুলার অ-পৌর অঞ্চলের এই বসতি ঘিরেই গড়ে উঠেছে বাংলার পুতুলনাচের লোকশিল্প একমাত্র এই এলাকাতেই বিচিত্র সুন্দর সুন্দর নামে রয়েছে কম বেশী বাষট্টি-টা পুতুল নাচের দল। এ ছাড়া রানাঘাট থানার বড়ো বেরিয়া,নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, কৃষ্ণগঞ্জ, তেহট্ট থানার আরও পঞ্চাশটি দল মিলে প্রায় দেড়শতাধিক পুতুলনাচের দল রয়েছে এই জেলায়। এই দলগুলি প্রায় ষাটটা রকমারি পালাগান বিবিধ উৎসবে তারা নিয়মিত দেখিয়ে বেড়ায়। পুতুলনাচের আঙ্গিক অনুসারে লোকশিল্পীরা নিজেরাই পালারূপ তৈরী করেন এবং পাণ্ডুলিপি আকারে সেগুলো-ই সমস্থ দল তা সংরক্ষণ করেন। এ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ পালারূপ ছাপা আকারে প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা নেই। এই সব পালার আখ্যানবস্তু মূলতঃ পুরান। রামায়ণ ও মহাভারত থেকে সংগৃহীত হলেও গ্রাম বাংলার চিরপরিচিত অমর গাথাগুলিও এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান জুড়ে রয়েছে। এছাড়াও দেখা যায় কোনও হালফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক ঘটনাও পুতুলনাচ পালার উপজীব্য বিষয় হয়ে উঠেছে। পৌরাণিক পালার মধ্যে রয়েছে রাম সীতার বিবাহ, সীতাহরণ, রাবণবধ, অশ্বমেধ যজ্ঞ, ভক্ত-প্রহ্লাদ, দাতাকর্ণ, রাজা-হরিশচন্দ্র, সাবিত্রী-সত্যবান, সতী-বেহুলা, শকুন্তলা-দুষমন্ত প্রভৃতি। গাথামূলক পালার মধ্যেও রয়েছে সতী-রূপবান, সোনাই দীঘি, মলয়ার প্রেম, রাখালবন্ধু জামাল-জরিনা, লায়লা-মজনু, এই লোকপালাগুলির ও যথেষ্ঠ চাহিদা রয়েছে পুতুলনাচের মাঠ ময়দানে। এদেশীয় প্রথায় কিছু সামাজিক পালা ও রচনা হয়েছে যেমন সরলার সংসার, কপালকুণ্ডলা, নটী-বিনোদিণী, দেবদাস, বিন্দুরছেলে, ইত্যাদি। এছাড়াও ঐতিহাসিক পালা রয়েছে, সিরাজদ্দৌলা, প্রতাপাদিত্য, সাজাহান, নিমাইসন্যাস, চণ্ডীদাস, সাধক রামপ্রসাদ, সন্তোষী-মা, প্রমুখ।
এইসব পুতুলনাচ পালার দের ঘন্টা থেকে দু-ঘণ্টার অভিনয় থাকে। নেপথ্যে গাওয়া হয় পদ্য ও গদ্যের সংলাপ, ও কথায় কথায় কণ্ঠসঙ্গীত যা এই পালার মূল লোকগান, ব্যাপারটার সাথে গীতিনাট্য-র বেশ মিল আছে। সঙ্গে থাকে বিবিধ যন্ত্রশিল্পী ও যন্ত্রসঙ্গীত, পালার মধ্যে স্বছন্দ লোকগীতির সরল প্রয়োগ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে লোকগীতির ঢঙে নানান ধরণের পল্লীগীতির চলন। হাল আমলের চটুল হিন্দি ছায়াছবির গানের কথাসুর ও শোনা যায়। পালার নাটকীয় বিন্যাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাণী চয়ন ও সঙ্গীত নির্বাচন করা হয়ে থাকে। পুতুলনাচের এই সব অখ্যাত অবজ্ঞাত গ্রামীণ গীতিকার, সুরকার, পালাকার--দের নীরব সাধনা আর প্রতিভা এই অবক্ষয়ী সমাজে আজও যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হননি। ফলতঃ কালক্রমে হয়তো হারিয়েই যাবে লোকসংস্কৃতির এই ক্ষয়িষ্ণু ধারা। চলচিত্রের হয়ত জাতীয় সংরক্ষণ সম্ভব, কিন্তু লোকনাট্য-সংস্কৃতির সংরক্ষণ কিভাবে সম্ভব, সেটাই আজ ভাববার বিষয় হয়ে উঠেছে।
এক একটি দলে নানান ধরণের কাজের জন্য ১৮--২০ জন কর্মী নিয়োজিত হন। এই শিল্প আগাগোড়াই একটা টোটাল টিম ওয়ার্ক বা যৌথ-সমন্বিত শিল্প। এর মধ্যে একজন 'মাস্টার'--ইনি মূল পালার ও সঙ্গীতাংশগুলির পরিচালক ও সুরকার গীতিকার ও হারমোনিয়াম বাদক। কখনো কখনো পালার রূপ-রচয়িতা ও সর্বপোরি একমাত্র নেপথ্য অভিনেতা। এই 'মাস্টার' মশাইরা সব সময় ২৫-৩০ টি পালা মুখস্থ রাখেন, নাট্য প্রয়োগে এঁর দামই সবচেয়ে বেশী। আর একজন থাকেন তাদের বলাহয় দোয়ারকি ---অর্থাত্ তিনি গানের ধুয়ো ধরেন বা গাওয়া প্রতিটি কলির পুনরুক্তি করেন। এই সঙ্গে থাকেন একজন সঙ্গতকার তবলা, ঢোলক, নাল, এসবের জন্য আর একজন জুরিদার। এরপরে দলের সামর্থ অনুসারে থাকে ক্লারিয়নেট, বেহালা, দোতারা, আড়বাঁশি, থেকে আধুনিক কালের সিনথেসাইজার পর্যন্ত।
'মাস্টার'-এর পরেই মুখ্য ভূমিকায় থাকেন সূত্রধর অর্থাত্ নানান কৌশলে পুতুলগুলিকে সাজিয়ে,নাচিয়ে, জনসাধারণের মনোরঞ্জন করেন। কাজটা কিন্তু একার নয় মঞ্চের নীচে থেকে কখনো বাখারির চটা, তার, বা কখনো সুতোর সাহায্যে মনোরঞ্জনের কাজটি করে থাকেন। বিবিধ ব্যবস্থার জন্য থাকেন এরেঞ্জর, ম্যানেজার, সহ আরও কিছু সহকর্মী। এসব সুষ্ঠ ভাবে করার জন্য মঞ্চ হয় সাধারণতঃ একটু উঁচুতে, মঞ্চের নীচের কাজগুলি সাধারণের দৃষ্টির অন্তরালে করার জন্য অনেক ঘেরাটোপ থাকে। জনসাধারণ অনুষ্ঠানটি দেখার সময় একটু মাথা উঁচু করেই দেখতে অভ্যস্থ হয়ে ওঠেন। এই ভাবেই লোকনাট্য এগিয়ে চলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।
পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, উড়িষ্যা, ত্রিপুরার গ্রাম গঞ্জে ও শহরে ঘুরে বেড়ায় দল এক এক রকম লোকনাট্য পালা নিয়ে। বাংলার তথা নদীয়ার পুতুলনাচ আর ভিনদেশীয় পুতুলনাচের আঙ্গিক কিন্তু একদমই আলাদা। বছরে আট মাস কাজ থাকে এই দল গুলির বাঁকি চারমাস ঘরে বসে থাকতে হয়। কারণ দেশ দেশান্তরে তখন বর্ষা। যে বছর আগে বর্ষা নামে তখন আগেই তাদের ছুটি। মাস মাইনের চুক্তিতে সবাই কাজ করেন, কাজের গুরুত্ব ও দায়িত্বের ভিত্তিতে তাদের মাইনে নির্ধারিত হয়। চার মাস কাজ না থাকলে মাইনেও নেই, তবে একটা বোনাস দিয়ে তাদের সেবারের মতো বিদায় দিতে হয়। বর্ষা অতিক্রান্ত হয় তারপর সবাই একেএকে ফিরে আসেন পালা দলে ...একটু শহর অঞ্চলে অবশ্য আজকাল রথযাত্রার মেলাতেও পুতুলনাচের দল বসছে ছোটো করে। এই সব স্বভাব শিল্পীদের পারিবারিক অবস্থা মোটেই স্বচ্ছল নয়। কারো কারো সামান্য জমি আছে, অধিকাংশ জন-ই ভূমিহীন। ফলতঃ এই পুরষানুক্রমিক পেশা বা বৃত্তি কেউই আর অন্তর থেকে গ্রহণ করেন না। যদিও এই জেলায় এই পেশায় নির্ভরশীল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ, দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীর সংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার। প্রসঙ্গতঃ একটা বৈশিষ্টের কথা না বললেই নয়, তা হলো এইসব দলের প্রযোজক, পালাকার, শিল্পী ও কর্মচারীদের প্রায় সবাই তপশীল জাতিভুক্ত। দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ ও ভারতে এই পেশা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফরিদপুর, যশোর, বরিশাল ছেড়ে এই গোষ্ঠি নদীয়া জেলায় বসতি গেঁড়ে নদীয়ার প্রাচীন পুতুলনাচের সম্প্রদায়গুলোর সাথে মিশেগিয়ে এক বৃহত্তর শিল্পী সম্প্রদায় গড়ে তুলেছে। জনান্তিকে বলা ভালো এই পেশায় আছে দল ভাঙানোর খেলা। শিল্পীর দক্ষতা অনুসারে চলে দরকষাকষির খেলা, তাই দল ভাঙাভাঙি, দল ছাড়াছাড়ি নিত্ত-নৈমিত্তিক ঘটনা। গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের জীবনে এ এক জীর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
নদীয়ার পুতুলনাচ ইংরেজি ম্যারিয়নেট ( Marionette) গোত্রের, অর্থাত্ ওপর থেকে বিশেষভাবে নির্মিত নিজস্ব আঙ্গিকের পুতুলগুলো সুতোর নিয়ন্ত্রণে নাচানোর এক প্রথা। দেশের বিভিন্ন স্থানে 'পাপেট শো '--যেমন হয়, তাদের থেকে এই বাংলা প্রথার পুতুলনাচ সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের। নদীয়ার পুতুলনাচ এই জন্যই লোকনাট্যের অন্তর্ভুক্ত অর্থাত্ লোকশিল্প। এই লোকনাট্য গাঁ-ঘরের সাধারণ মানুষের একান্তই আদরের ধন, আবার লোকশিক্ষার ও বাহন।
এ প্রসঙ্গে বলি দীর্ঘ কাহিনী নির্ভর পুতুলনাচের গীতিনাট্য সংগ্রহকরা সম্ভব হয়নি। পুতুলনাচের ছোটো ছোটো মনোরঞ্জনের যে লোকশিল্প রয়েছে এবার সেখান থেকে কিছু বর্ণনা দিই। পুতুলনাচের প্রকৃতি ও বিষয় অনুসারে পটভূমিও বিবিধ প্রকার হয়, সুতরাং সঙ্গীত ও পুতুলের আঙ্গিক ও হয় বিবিধ। নানারকমের পুতুল হলে গান গুলোও হয় খণ্ড খণ্ড, সাধারণতঃ আসর বন্দনা দিয়েই শুরুহয়, এক্ষেত্রে প্রথমেই একটা কৃষ্ণের পুতুল দেখানো হয়। এবার গান :--
" আমার এই বাসনা পুরাও, সাঁই
একবার হয়ে বাঁকা, দাও হে দেখা, গুণধাম,
কোথায় আছো, দয়াময়, তরাও গো আমায়,
জ্ঞান চোক্ষে হেরে, আমার পূর্ণ করো, মনস্কাম,
আমার এই বাসনা পুরাও, সাঁই। "
[এবার একটা বন-মানুষের পুতুল দেখিয়ে, সূত্রধর বলছেন মনে হচ্ছে এখানে একটা বনমানুষ পুতুল হয়ে এসেছে ]
" আমাদের বুন মানুষের হাড়ে কত গুণ,
জলে লাগায় আগুন ;
ডিঙ্গলাকে কাঁচকলা বলে, পটল কা বেগুন,
জলে লাগায় আগুন।
উসতাজের গুণ জাহির করি,
নূন কে করি চুন, জলে লাগায় আগুন।
আমাদের বুন মানুষের হাড়ে কত গুণ,
জলে লাগায় আগুন। "
[এবার ঝোলা থেকে বেরোয় একটা পেত্নীর পুতুল ..এরপর গাওয়া হয় ...]
"এবার মোরে হবই এক প্রাণ পিপেশী,
শাওড়া তলায় করবো বাসা রাশি রাশি।
কালোরে কালো বরণী, কালো রূপে করবো আলোনী,
কালো মেঘের কোলে দেখি, অতি কালো,
ছুঁ'লে পরেই রঙ, হবে কালো।"
[পুতুলনাচের মধ্যে দিয়েই দাম্পত্য জীবনের একটা সরল চিত্রও দেখা যায়,যেমন :-- ]
"ও লো সুন্দরী। কার কথায় করাছো তুমি মন ভারি,
আমি যেখানে, সেখানে থাকি অনুগত তোমারই,
কার কথায় করাছো তুমি মুন ভারি।
তুমি আমার বালাম চাল, যেমন অড়হরের ডাল,
গোলআলু, চিংড়িভাজা, আলু পটল চচ্চড়ি,
কার কথায় করাচ্ছ তুমি মুন ভারি
তুমি আমার রৌদ্রের ছাতা, শীতের কাঁথা, মশার মশারি,
তুমি আমার রসে ভরা রসগোল্লা,তুমি আমার ডালপুরী,
কার কথায় করাছো তুমি মন ভারি।"
[...এই দেখো ...ঝাড়ুদারের ...পুতুল ...নাসতেছে ...]
"ঝাড়ুদারী কর্ম করি, করিবো না আর এ চাকুরী
খিদের জ্বালায় জ্বলে মরি, রাজা হলো মোদের খুবই বুরি।
ঝাড়ুদারী কর্ম করে, খেতে পায় না পেটটা ভরে,
ক্ষিদের জ্বালায় জ্বলে মরি, করিবো না আর এ চাকুরী।"
[ঝাড়ুদার-রা সাধারণতঃ পশ্চিম দেশীয় লোক ...সেই জন্য লোকচিত্রে যথাযথ রূপ দেবার জন্য ...হিন্দী শব্দের পদও রয়েছে পুতুলনাচের লোকনাট্যে ]
"ম্যায় তু ঝাড়ু দে, চুকা ফজর মে হো,
কাহে বুলাবে আদমি
না মিলে ছুটি, গম কা রোটি
লেড়কা বালা, ভূখ মে মারা হো,
কাহে বুলাবে আদমি "
[এইবার ফরাসদারের পুতুল, আসছে ...]
"বারেবারে ফরাসদারে, ডেকো না হে আর,
যাচ্ছি ফিরে রাজদরবারে, আমি ফরাসদার।
আমি ফরাসদার কি হে, তুমি ফরাসদার,
বারেবারে ফরাসদারে, ডেকোনা হে আর।"
[এবার ভিস্তিওয়ালার পুতুলনাচ দেখা যাবে ...]
"ক'হে ভিস্তীবালা, একেলা ভবানীপুর কা মেলা
রাজার হুজুরেতে যায় মোরে পানি দিতে,
আসতে হইলো মোর, দু'দণ্ড বেলা, ভবানীপুর কা মেলা,
মিঠা পানি আনতে বাবু বলেন আমারে l
মিঠা পানি মিলিলো না এ ত্রি-সংসারে।
মৌর, দারকা, দামুদর নদী, কানা, কুয়া, গঙ্গা, বাঁকি
লাগাত পদ্মার ধার অবধি,
গেলছিলাম, মোরে মিঠা পানি মিলিলো না, মোর এ ত্রি-সংসারে "
[এবার বেদের পুতুলের নাচ হবে ...কেউ যাবেন নি ...]
"মহারাজের বেদে আমি, আমি বেদে বড়ো গুণী,
সাপ ধরি গো, জোড়া জোড়া, হলহোলা, ঢ্যামনা, ঢোঁড়া,
আরো দেখি পানি বুরা, বেছে বেছে ধরি ইনি।
মহারাজের বেদে আমি, আমি বেদে বড়ো গুণী।
[এবার কোনো নায়িকা পুতুল এ অবসরে নেচে নেবে ...]
"ডুব মারি ভাই, ডুব মারি,
ঝপ ঝপাঝপ প্রেম-সরোবরে,
আর কিছু নয়, আর কিছু নয়,
দুনিয়া আকুল, যাক তরে যাক তরে।
ফুলের মালোয় আয়, ফুলের মালোয় বায়
ডাকছে কত রঙ বিলাসে,
আয়, আয়, আয়।
আয় কে নিবি আয়, হৃদয় নিয়ে মাখামাখি,
আয় কে যাবি আয়।"
এইভাবেই বিবিধ লোকরঞ্জনে পুতুলনাচের আঙ্গিক পালা শেষ হয়। কিন্তু আগেই বলেছি পুতুলনাচের মঞ্চপালা একটু দীর্ঘ আঙ্গিকের। পটভূমিকায় থাকে সাধারণতঃ পাঁচালী, কীর্তন, মালসী, ও ঝুমুর আঙ্গিকের গান। মাঝে মাঝে থাকে পাদপূরক দীর্ঘ সংলাপ, লোকনাট্য এগিয়ে চলে মফঃস্বল থেকে গ্রাম গ্রামান্তর। সারা বছর ধরে বিবিধ নির্ম্মাণ ও নির্ম্মিতির উন্মুক্ত তেপান্তর।
0 comments: