0

প্রবন্ধ - ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

Posted in


প্রবন্ধ


সুহারির 'কালু রায়' ও তার মন্ত্র
ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়


বর্ধমান থেকে অনতিদূরে গ্রাম-সুহারি। মূলতঃ উগ্রক্ষত্রিয়দের বসবাস, অন্যান্য জাতিও যে নেই তা নয়, তবে মূল অধিবাসী উগ্রক্ষত্রিয় বা বর্ধমানের ভাষায় ‘আগুরী’ দের বাস। কয়েকটি টেরাকোটার মন্দির আছে। টেরাকোটার ফলকগুলি খুবই সুন্দর তবে অনেকাংশেই বিনষ্ট হতে চলেছে। নিজের অতীত গৌরব ও ঐতিহ্তয সম্ববন্ধে অজ্ঞতার ফল। গ্রামের লোকেদের এবং পরিবারগুলির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কিছু প্রতিরোধ করার চেষ্টা চলছে।
দুর্গাপূজা,কালিপূজা ইত্যাদি বড় পূজার প্রচলন থাকলেও গ্রামের অন্যতম প্রধান উৎসব হল ধর্মরাজের পুজো। এই গ্রামে ধর্মরাজের পুজো একটি আলাদা মাত্রা পেয়েছে। ধর্মরাজ মূলতঃ অন্ত্যজ শ্রেণীর দেবতা।

‘অমলেন্দু চক্রবর্তীর ‘রাঢের সংষ্কৃতি ও ধর্মঠাকুর’ বইতে দেখছি, ধর্মঠাকুর বা ধর্মরাজ হলেন রূপান্তরিত বুদ্ধদেব। বাহন সাদা ঘোড়া। সুতরাং অনেকের মতে তিনি সূর্যদেব। তিনিই আদি দেবতা, নিরঞ্জন। আদিম জনজাতির সঙ্গে যুক্ত। কোন পাকা ঘরে তিনি থাকেন না। বাগদী, বাউরি, ডোম, কোটাল জাতীয় জনজাতিদের সঙ্গে এই পূজা জড়িত। ধর্মরাজের পূজায় ভাঁড়াল নাচানো হয়। ভাঁড়াল-ভাণ্ড-ভাঁড়। পচাই মদ থাকত ভাঁড়ে, সেটা সারা গ্রাম ঘুরিয়ে বেড়ানো হত, তাকেই বলে ভাঁড়াল নাচানো।

ধর্মঠাকুর নানা নামে পূজিত। কালু রায়, বসন্ত রায়, দক্ষিণ রায় ইত্যাদি নানা নাম দেবতাটির। যদিও সুন্দরবনের দক্ষিণ রায় ও রাঢের দক্ষিণ রায় এক নন। ধর্মঠাকুর কেবলমাত্র রাঢের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্রশ্ন জাগে, সে কি তবে রাঢ অঞ্চল আদিবাসী ও নিম্নবর্গ জাতি অধ্যূষিত অঞ্চল বলে?

সুহারি গ্রামের ধর্মঠাকুর কালাচাঁদ বা কালু রায় নামে পরিচিত। পারিবারিক এক বন্ধুর বাড়ি সুহারিতে। সেই সুবাদেই ঐ গ্রামের ধর্মরাজের পুজো দেখার সুযোগ হয়েছিল।

মূর্তি কূর্মের। বাহন-সাদা ঘোড়া। জনসাধারণের পূজার পর দুটি পালকিতে সারা গ্রাম এবং আশেপাশের গ্রামে ঘোরানো হয়। কিন্তু কূর্ম মূর্তি যেহেতু গ্রামের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় না, তাই প্রতীকি কালাচাঁদকে পালকি করে অন্যান্য গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ম হল, যেখানে যেখানে কালাচাঁদের পালকি বাহকরা গ্রামের বাইরে পালকি নামান, সেখানে সেই পালকিকে আটকানো হয়। সেই সব গ্রামের লোকেরা নানারকম প্রশ্ন করেন। এ যেন সেই আদিকালের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া আটকানো। তখন যুদ্ধ হত, যুদ্ধে পরাস্ত করতে পারলে ঘোড়া মুক্তি পেত। এখানে হয় প্রশ্নোত্তরের খেলা। যারা দেবতার পালকিকে আটকে দেন তারা প্রশ্ন করেন। আর সন্ন্যাসীরা, যারা সঙ্গে থাকেন তাদের এর উত্তর দিতে হয়। গ্রাম্য জীবনের এও এক আনন্দের উৎস। প্রথাগতভাবে সেগুলি যে খুব উচ্চমানের, তা হয়ত নয়। কিন্তু মন্দ লাগে না। গ্রাম্য জীবন, পুরাণ, ইতিহাস, মহাকাব্য অনেক কিছু মিশে আছে এগুলির সঙ্গে। ধর্মরাজের পূজার অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে গ্রামের মানুষের গীত কয়েকটি প্রশ্নোত্তর এখানে উল্লেখ করা যেতেই পারে।

প্রশ্ন—

ফুল সপাটে খেলিরে ভাই ফুলের কর নাম
কোন ফুলেতে তুষ্ট তোমাদের ভোলা মহেশ্বর
কোন ফুলেতে তুষ্ট তোমাদের কৃষ্ণ বলরাম
কোন ফুলেতে তুষ্ট তোমাদের ধর্ম নিরঞ্জন

উত্তর—

ফুল সপাটে খেলি আমরা ফুলের করি নাম
ধুতরো ফুলে তুষ্ট মহেশ্বর
আর কদম ফুলে তুষ্ট কৃষ্ণ বলরাম
আর আকন্দ ফুলে তুষ্ট ধর্ম নিরঞ্জন

প্রশ্ন---

ঢাকি ভাই ঢাক বাজাও ঘন ঘন নাড়ো মাথা
সত্যি করে বলতো ভাই
ঢাকের জন্ম কোথা?
যদি না বলিতে পারো ঢাক রাখো হেথা
সকলে মিলে চলে যাও নিজ নিজ স্থানে

উত্তর---

নমঃ নমঃ নমঃ চন্ডী নম নারায়ণ
অযোধ্যাতে জন্মেছিলেন রাম নারায়ণ
পিতৃসত্য পালনের জন্য
গেলেন পঞ্চবটী বনে
পঞ্চবটী বনে সীতায় ধরিল রাবণে
সীতা অণ্বেষণে যখন পবন নন্দন
অশোক বনেতে পবন আম্রবৃক্ষে চড়ে
সেই আম্র খেয়ে পবন পৃথিবীতে ফেলে
সেথায় হইল আম্রগাছ পরে কামারে কাটিল
ছুতারে গড়িল ঢাক নয়টি লোহারি
রুইদাস ছাইল ঢাক হইল হইল শুদ্ধ
বাজাও রে ঢাকি ভাই মনের আনন্দিত।।

প্রশ্ন---

ঢাক বাজে ঢোল বাজে আর বাজে কাঁসি
অকস্মাৎ পথমধ্যে এক সন্ন্যাসী ত্যজিল পরাণি
অশৌচ হইল দেখো সন্ন্যাসী ভকতা
আগে মরার জীবদাস পরে অন্যকথা

উত্তর---

শিব শিব বলি ভকতা ডাকিতে লাগিল
কৈলাসেতে মহাদেবের আসন টলিল
আইলেন মহাদেব পবনে করি ভর
ভকতা একজন পড়ে আছে পথের উপর
অমৃত কুম্ভের জল ছড়াইল মড়ায়
মড়া জীবিত হইল দেখো বিদ্যমান
গাজন সহিত হইল এখন শুদ্ধমান।

আপাততঃ এই কয়খানি প্রশ্নোত্তর দেওয়া গেল। একটা কথা অনায়াসেই বলা যায়, এই গান কিংবা প্রশ্ন-উত্তর যাই বলি না কেন, এগুলি মিশ্র আকার ধারণ করেছে। ভাষার মিশ্রণ, শব্দের মিশ্রণ, সাধু ও চলিতের প্রয়োগ এমন কি ছড়াগুলিতে ঠিকমত বাক্য ব্যবহারও কোথাও কোথাও অসংলগ্ন...কিন্তু একটি গ্রাম্য দেবতার পূজা উপলক্ষে প্রাচীন একটি ধারণার আমরা সম্মুখীন হতে পারি যেখানে অনায়াসেই বলা যায় এই পূজার গান বা ছড়াগুলিতে প্রাচীন যুগের পাশাপাশি আশ্চর্যরকমভাবে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া আছে তাদের মন্ত্রগুলিতেও। আমাদের আলোচ্য বিষয়ও সেটিই। কিভাবে সংষ্কৃত মন্ত্রের সঙ্গে একেবারে ঘরোয়া কথাবার্তা মিশে এই দেবতার পূজায় মন্ত্রপাঠ করা হয়, না দেখলে বা শুনলে তা বিশ্বাস করা করা যায় না। আরো অবাক করা ঘটনা, অন্ত্যজ জাতি, নিম্নবর্গ মানুষগুলির ব্যবহৃত যে ছড়া আমরা এখানে পাই, তাতেও আছে রামায়ণের উল্লেখ। রামায়ণ যে কিভাবে সমগ্র জাতিকে প্রভাবিত করেছে,এও তার একটি বড় প্রমাণ। আপামর ভারতবাসী রামায়ণে মুগ্ধ।

কিন্তু যাইই ঘটুক না কেন, অভাব হয় না, বিশ্বাসের,ভক্তির আর উৎসবের আনন্দের।

একটা কথা মনে রাখা দরকার, এই পূজা ছড়িয়ে আছে অন্ত্যজ জাতিগুলির মধ্যে এবং এই পূজার অধিকারীও তারাই। সুহারি গ্রামের যিনি পুরোহিত, তাঁর নাম নন্দ পন্ডিত। জাতিতে নমঃশূদ্র। তিনিই নিত্যসেবার অধিকারী। পূজা করার জন্য পন্ডিত উপাধি পেয়েছেন। তাঁর কাছে গল্প যা শুনেছি, এ গল্প চলে আসছে বহু বছর ধরে আরো আরো অনেক দেবতার পূজার কাহিনিতে। এখানেও সেই এক গল্প---এক বাগদী মেয়ে পুকুরে চান করতে গিয়ে গুগুলি ভাঙ্গার সময়ে পায়ে ঠেকে এক পাথর। যা নিয়ে আসা হয় এবং সেটিকে পুজো করা হয়। সেই থেকে চলে আসছে এই পূজা।

সুহারি গ্রামের নন্দ পণ্ডিত এই পূজার নিত্যসেবার অধিকারী। তিনি সেবাইতও বটে। সেবাইতকে গুরুকরণ, দেহশুদ্ধির জন্য কুলগুরুর কাছে গুরুকরণ করতে হয় বলে জানিয়েছেন। তা নইলে সেবাইত হওয়া যায় না। যেহেতু কচ্ছপ বা কূর্ম দেবতার রূপ, তাই কচ্ছপ, মুরগী (বলি দেওয়া হয়)র মাংস খাওয়া যায় না পূজার কদিন।

পূজাপদ্ধতি এবং তার মন্ত্রগুলি ঠিক কেমন? জেনে নেওয়া যাক...

সকালে মন্দির পরিষ্কার করা হয়। স্নান করে মন্দিরে শুদ্ধ কাপড় ( পাটের অথবা তসরের, গ্রাম্য কোথায় ছালের কাপড়) পরে মন্দিরে দেবতাকে ঘুম থেকে তোলা হয়( শয়ান থেকে)। সেটি করারা জন্য আগে দেহশুদ্ধি। তার মন্ত্র শুধু একবার ‘ নম বিষ্ণু,নম বিষ্ণু’ই যথেষ্ট।

দেহশুদ্ধির পর জাগরণ। তার মন্ত্র---

'যোগনিদ্রা করুন এবার ভঙ্গ, শিব করছে দেখুন রঙ্গ
হরিহর আপনার চরণে বাহন সহিত নিদ্রা যাচ্ছে

নিদ্রা যাচ্ছেন সব দেবদেবীরা
প্রণাম জানাই কেমনে?

উঠুন সব দেবদেবীরা এবার...'

এরপর সিংহাসন থেকে পুরনো বাসী পুষ্প সব সরিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর সিঁদুর মাখানো হয় মূর্তিকে। সিঁদুর মাখানো হয়ে গেলে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয়। প্রথমে পুষ্পশুদ্ধি---

'নম পুষ্পে নম পুষ্পে মহাপুষ্পে
সপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে
পুষ্পচৈব কীটনাশকে, কীট নাশ করলেন...

এরপর স্নানের মন্ত্র---

'নমঃ গঙ্গা চ যমুনে চৈব গোদাবরী সিন্ধু সর্ব দেব নর্মদা
জমতোস্মনিন সন্নিধং কুরু

ঠাকুর এবার চান করেছেন
ঠাকুর চান করলেন...নম ধর্মরাজ ঠাকুর কালু রায় নমঃ'

এরপর ঠাকুরকে গামছায় মোছানো হবে। মুছিয়ে চন্দনের টিকা পরানো হবে। টিকা পরানোর মন্ত্র আছে---

'নম টিকায়, টীকার ফোঁটা রূপার ভাঁড়
জয়যাত্রী মালাকার
সব সন্ন্যাসীরা শুনুন শাত্রের বচন কি বলেছেন

চতুর্বেদে গাইলেন রমাই পণ্ডিত

কি বলেছেন নম নমঃ

সখা পরন্তায় টিকার ফোঁটা পরিলেন কালু রায়

তিনি দেবতায় নমঃ।'

এরপর আছে তুলসীপাতা দেবার মন্ত্র—

'নমঃ তুলস্ববিতরং মাসি মাসি
সদাতাং কেশবপ্রিয়া
কেশবার্থে তৃণমি ত্বং বরদাভব শোভনে

ঠাকুর মালাটিকা পরিছেন, দেখো সবাই। কালুরায় সচন্দন পুষ্প পরিলেন।
ওঁ সন্নিধাং কুরু।

সচন্দন ধর্মরাজ কালু রায় নমঃ। এইবারে দেবতা সিংহাসনে চড়িবেন। ও নমঃ সচন্দন দেবতায় নমঃ। কালু রায় দেবতায় নমঃ।'

এরপর ঠাকুরকে থালা থেকে তুলে সিংহাসনে রাখা হয়। রাখার আগে ফুল দিয়ে সিংহাসন সাজান হয়। পাশে কালাচাঁদ, মহাদেব, দুর্গা ইত্যদিও থাকেন। এরপর নৈবেদ্য সাজিয়ে ধূপ-ধুনো দিয়ে পূজো শুরু। পুজোর মন্ত্র (হাতে আতপচাল নিয়ে)......

'নমঃ কর্তব্য অস্মিন গণপত্রাদি সর্বদেবতা, দেবী গণের পূজা পূর্বকো কালু রায়ের পূজা কর্বানি। ওঁ পূজা করিষ্যামি। নমঃ পূণ্যাহং...নমঃ পূণ্যাহং... নমঃ পূণ্যাহং
নমঃ পূণ্যাহং স্বস্তি স্বস্তি স্বস্তি
নমঃ পূণ্যাহং ঋদ্ধিং ভবন্তি ধি ভবন্তু ভবন্তু...'

উপরোক্ত মন্ত্রগুলি যদি আমরা পড়ি, তাহলে দেখতে পাবো কিভাবে সংষ্কৃত মন্ত্রের সঙ্গে সাধারণ কথোপকথন, দৈনন্দিন যাপনের কথাবার্তা,স্বগতোক্তির মত ব্যবহৃত হয়েছে । সবকিছু মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে পূজার মন্ত্রে।

দুটি কথা মনে হয় এখানে। প্রথমতঃ, নিম্নবর্গ পরিবারের মানুষগুলি দেবতার পূজা,পৌরহিত্য ইত্যাদি থেকে দূরে ছিল বহুদিন, বহুযুগ ধরে। ব্রাহ্মণ্য সংষ্কৃতির চাপে সমাজে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব একরকম ঢাকা ছিল। যখন তারা সেই আস্তরণ সরিয়ে সেই অধিকার আবার ফিরে পেতে শুরু করল, ব্রাহ্মণ্য পূজার রীতিগুলিকে নিজেদের করায়ত্ত করার চেষ্টা করল। কিংবা বলা ভালো, এই রীতিগুলির প্রতি তাদেরও লোভ জন্মাল। কিন্তু দীর্ঘদিনের অশিক্ষা, ভাষাজ্ঞানের অভাব ইত্যাদি নানাকারণে তা রপ্ত করতে পারল না। ফলও হল মারাত্মক! এগুলি শুনতে, পড়তে আনন্দদায়ক মনে হলেও অজস্র ভুলভ্রান্তিতে ভরা, অনুকরণের অক্ষম প্রচেষ্টা। ভাষা এবং উচ্চারণ দুয়েরই ভুল। মাঝে মাঝেই মন্ত্র ভুলেগিয়ে দৈনন্দিন যাপনের কথা কখনও বা স্বগতোক্তির মত মন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও জনগনকে বোঝানোর জন্য কথ্যভাষার ব্যবহারও করতে হয়েছে পূজার ক্রম ও রীতিগুলি বোঝানোর জন্য। এর পরিণাম হল এই মন্ত্রগুলি।

দ্বিতীয় যে কথাটি মাঝে মাঝে মনে হয় সেটি হল-- এই অন্ত্যজ, নিম্নবর্গ মানুষগুলি যার মধ্যে মিশে আছে কিছু জনগোষ্ঠী সমাজের মানুষও যাদের আমরা বলি আদিম অধিবাসী, হয়তো এই পূজাগুলি একদিন ছিল তাদেরই অধিকারে। বহুযুগ পরে তাদের ফিরে পেয়ে আর মনে করতে পারেন না সেই মন্ত্রগুলিকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভুলে থাকা সেই অতীতকে মনে করতে পারে না। কারণ ঘটে গেছে অনেক সংযুক্তি, অনেক বিযুক্তি। ফলে তাদের বোঝানো জন্য যা স্মরণে আসে, সেগুলির সঙ্গে তাই জোড়াতালি দিয়ে, গোঁজামিল দিয়ে নিজেদের উন্নত, উচ্চ পর্যায়ে উঠবার অভিপ্রায়। কে বলে দেবে কোনটা সত্য!

কিন্তু পূজার মন্ত্র যেমনই হোক, ঠিক অথবা ভুলে ভরা, মানুষগুলির বিশ্বাস, ভালবাসা আর ভক্তির কোন অভাব ঘটে না তাতে। খোলামেলা অন্তরে তারা আরাধনা করে দেবতার, আনন্দে মেতে ওঠে, আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
সুহারির কালু রায়কে আমারও প্রণাম...।

0 comments: