0

ধারাবাহিক - ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

Posted in


ধারাবাহিক

দিনমণি - ১০
ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়


পূর্বকথা--


দেশে তখন ইংরাজ রাজত্ব চলিতেছে, তৎসত্বেও নানা স্থানে স্বাধীন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজা ও জমিদারেরা বসবাস করিতেছিলেন, তাঁহারা নিজেদের মত করিয়া রাজ্য শাসন করিতেন, রাজন্য প্রথার বিলুপ্তি ঘটে নাই। যদিও দেশের সর্বত্র স্বাধীনতার আগুন জ্বলিয়া উঠিয়াছিল।

সেই সময়ে অখ্যাত এক গ্রামের সম্পন্ন গৃহস্থ হইতে এক বালক গৃহত্যাগ করে। এই গৃহত্যাগের সাক্ষী ও সহায়ক ছিলেন ওই পরিবারেরই আশ্রিতা,অনাথা এক বৃদ্ধা রমণী। বালকটির পিতামাতা অপেক্ষাও তিনি ছিলেন তাহার আপন। বালকটী আর কেহ নহে, সেই সম্পন্ন পরিবারের গৃহকর্তার চতুর্থ ও কনিষ্ঠ সন্তান জ্ঞানতোষ। একই দিনে বালকের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার কারণে গৃহে পুলিশের পদার্পণ ঘটে, যুবকটি ফেরার হয়, কোনও সন্ধান পাওয়া যায় না। ভ্রাতাটির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাহায্য করার এবং স্থানীয় রেললাইনে বোমা রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়।

কিন্তু গৃহসুখে প্রতিপালিত বালকটির গৃহত্যাগের কারণ কি? তবে কি সেও ভ্রাতার ন্যায় স্বদেশী সংগ্রামে লিপ্ত? 

গৃহত্যাগী বালকের সংবাদ বেলা বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে বাটীস্থ সকলের কর্ণে প্রবেশ করিয়াছে,গৃহকর্তা পারুলবালা নামক বধূটিকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিতে বধূটি ভয়ে সংজ্ঞা লুপ্ত হইয়াছেন। বালকের সংবাদ এখনও পাওয়া যায় নাই, কিন্তু যে বৃদ্ধার সহিত বালকটির এত অন্তরঙ্গতা,সেই দিনমণি ভয়ে, দুশ্চিন্তায় দুর্বল শরীরে সংজ্ঞা লুপ্ত হইলেন।

অন্দর মহলেও ভারি ঝড় উঠিল। শিবতোষ দারুণ রোষে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করিবার জন্য ডাকাডাকি করিলেও পারুলবালার কান্ড-কারখানা দেখিয়া ভীত হইলেন, পরে বিস্তর চ্যাঁচামেচি করিতে লাগিলেন। বাটিস্থ সকলে তাঁহার ব্যবহারে ভীত সন্ত্রস্ত হইল। বাস্তবিক সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলেও দিনমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নাই। সেকথা মনে পড়িতেই শিবতোষ বহির্বাটিতে যাইয়াও ক্রোধে অগ্নিশর্মা হইয়া পুনরায় অন্দরে প্রবেশ করিলেন।

মালতীকে ডাকাইয়া বিস্তর চীৎকার চেঁচামেচি করিলে ফল হইল এইক যে মালতী নিজ ভুল বুঝিতে পারিয়া দিনমনিকে খুঁজিয়া পাইল এবং তাঁহাকে নিজ কুঠুরীতে অচৈতন্য অবস্থায় দেখিতে পাইল। কিন্তু যে বালকটি গৃহত্যাগ করিয়া পলায়ন করিয়াছে,তাহার কোনও সংবাদ এখনও আসিয়া কেহ দিতেপারে নাই। কি হইল তাহার?
অতঃপর......




তখন বৈকাল হইয়াছে। আকাশে সোনালী রঙের আভা বহুদূর পর্য্যন্ত ছড়াইয়া পড়িয়াছে। জ্ঞানতোষের মনে পড়িল প্রাতে এইরূপ রক্তিম আভা সঙ্গে লইয়া সে গৃহ ছাড়িয়া আসিয়াছে। এক্ষণে আবার গন্তব্য স্থলে পৌঁছিয়া সেই আভাকে দেখিয়া উদাস চক্ষে আকাশের দিকে চাহিল। সারাদিনের মধ্যে এতক্ষণে গৃহের কথা মনে পড়িতে লাগিল। গৃহে খানিক পরেই সন্ধ্যাদীপ জ্বালানো হইবে।সন্ধ্যাদীপ জ্বালানো হইলে চণ্ডীমণ্ডপে এবং গৃহদেবতা লক্ষ্মী জনার্দনের আরতি শুরু হইবে। দেবালয়ে আরতির সময় তাহাদের সকলকে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। জ্ঞানতোষ কিঞ্চিৎ চাঞ্চল্য অনুভব করিল। তাহার অবর্তমানে গৃহে কি কিছু পরিবর্তন হইয়াছে? পিতা ঠাকুর কি ক্রুদ্ধ হইয়াছেন? মেজদাদা কি পিতাঠাকুরকে বুঝাইতে সক্ষম হইবেন? জানিতে পারিলে পিসিকে যদি পিতা ঠাকুর গৃহে আর স্থান না দেন, মেজদাদা কিংবা মাতা ঠাকুরাণী তাহাকে গৃহে স্থান দিতে পারিবেন তো! নানান চিন্তা মনে আসিতে লাগিল। কিন্তু আর ফিরিয়া যাইবার কোন ইচ্ছা নাই, সে ফিরিবে না। বিদ্যাশিক্ষা লাভ করিয়া একদিন বংশের মুখ উজ্জ্বল করিবে। জ্ঞানতোষ যে খুব ধার্মিক বালক তাহা নহে। কিন্তু বাল্যকাল হইতে দেব-দ্বিজের প্রতি ভক্তি দেখিয়াই সে বড় হইয়াছে। এখন সন্ধ্যাকালে আকাশের দিকে মুখ চাহিয়া দেবতার উদ্দেশে মনে মনে একটি প্রণাম করিল। 

সুদর্শন সেই শিক্ষক মহাশয়ের সহিত তাহারা বাটির ভিতরে আসিলে দেখিল, তথায় চারিটি ঘর রহিয়াছে, প্রতিটি ঘরে চারিটি করিয়া বালক থাকে। সুশীল স্যার তাহাদিগকে লইয়া এক একটি ঘরে প্রবেশ করিতে লাগিলেন, প্রতিটি ঘরের ভিতর দিয়াই অন্য ঘরে যাওয়া যায়। শেষে তিন নম্বর ঘরের সমুখে আসিয়া বলিলেন---এই ঘরে দুইজন থাকো, আর একজন আমার সঙ্গে এসো, তাঁর অন্য ঘরে স্থান হয়েছে।

এই প্রথম গ্রামের অন্য বালক দুইটি জ্ঞানতোষকে ছাড়িয়া নিজেরা একত্র থাকিবার মনস্থ করিল। চক্ষের ইঙ্গিতে জ্ঞানতোষকে জানাইল শিক্ষক মহাশয়কে অনুসরণ করিতে। সুশীল স্যার বালক দুইটিকে তথায় থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়াজ্ঞানতোষকে লইয়া অন্য একটি ঘরের উদ্দেশে চলিলেন। এই ঘরটিও প্রায় পাশাপাশিই বলা যায়, কিন্তু একটি বারান্দা দিয়া ঘুরিয়া যাইতে হয়। তাহাতে একটু নিরিবিলি বলিয়া মনে হয়। জ্ঞানতোষ ঘরে ঢুকিয়া দেখিল, একটি বালক খালি তক্তাপোশের উপর বসিয়া পাঠে নিমগ্ন আছে। বালকটি জ্ঞানতোষ অপেক্ষা এক-আধ বছরের বড় হইবে। শিক্ষক মহাশয় ঘরে ঢুকিয়া তাহার নাম ধরিয়া ডাকিলেন, বালকটির নাম অমিয়, অমিয়নাথ। শিক্ষকের সাড়া পাইয়া তক্তাপোশ হইতে নামিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল, কহিল—প্রণাম স্যার!

সুশীল স্যরও হাত নাড়িলেন, মস্তকটি সামান্য নত করিয়া প্রণাম গ্রহণ করিলেন। কহিলেন, --অমিয়, আজ থেকে এই ছেলেটি তোর সঙ্গে এই ঘরে থাকবে। ওকে সব বুঝিয়ে, দেখিয়ে-শুনিয়ে দে। তিন নম্বরে আরো দুটি ছেলে আজ এসেছে, রাতে সবাই মিলে খেতে যাস।‘ বলিয়া জ্ঞানতোষকে বলিলেন,-- অমিয় খুব ভাল ছেলে, ক্লাসে ফার্স্ট হয়, তুমি এঘরেই থাকো। কাল সকালে অবনীবাবু তোমাদের সঙ্গে দেখা করবেন। 

জ্ঞানতোষ সঙ্গে কিছুই আনে নাই। নিজের একখনি জামা, ধুতি, গামছা পর্য্যন্ত সঙ্গে ছিল না। লুকাইয়া একবস্ত্রে সে গৃহ ছাড়িয়াছে। সেকথা অমিয়কে কহিতেই সে বলিয়া উঠিল—আচ্ছা, আমার গামছাখানা তুমি চানের সময় পরে নিও। আর আমিও খালি তক্তাপোশে শুই, বিছানা কোথায় পাবো! তবে গায়ে একটা কাঁথা হলে ভাল হয়, সে তুমি পরে বাড়ি গিয়ে নিয়ে এসো। কিন্তু তোমার বইখাতা, সেগুলি কোথায়?

সারাদিনে এই প্রথম একজনের নিকট জ্ঞানতোষ মুখ খুলিল, তাও আবার অনাত্মীয় তাহারই মতন এক বালকের নিকট। তাহার ইস্কুলে ভর্তি হইবার জন্যগৃহত্যাগের কথাও বাদ রহিল না। তাহার পিতাঠাকুর যে তাহাদিগকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করিতে চাহেন না, তাহাও বলিল। অমিয়নাথ সব শুনিয়া হাসিল। বলিল---তোমাদের জায়গা-জমি আছে। তাই হয়ত পিতাঠাকুর চান যে তোমরা জমিজায়গা দেখা শোনা কর। জমিদার লোক, খাবার অভাব তোমাদের নেই। কিন্তু আমাকে যে লেখাপড়া শিখতেই হবে, নইলে খাব কি! অমিয়নাথের পিতা নাই, মাতাঠাকুরাণী রাজপরিবারের যে অতিথিভবন, সেখানে বাসনমাজার কাজ করেন, অর্থাৎ সহজ কথায় বলিতে গেলে ঝিয়ের কাজ করেন। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার। শুধুমাত্র মেধাবী ছাত্র হওয়ার কারণে শিক্ষকদের নজরে পড়িয়াছে এবং এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হইতে পারিয়াছে। অমিয়নাথ জ্ঞানতোষ অপেক্ষা এক শ্রেণী উপরে পড়ে।

জীবনের প্রারম্ভে রাজস্কুলের ছাত্রাবাসে প্রথম দিনটিতেই অমিয়নাথের সহিত জ্ঞানতোষের যে বন্ধুত্বের সূচনা হইল, জীবনের শেষ দিন পর্য্যন্ত তাহা অটুট ছিল। পরবর্তী জীবনে অমিয়নাথ উচ্চশিক্ষালাভ করিয়া বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য বিদেশ গমন করিয়াছিলেন। 

জ্ঞানতোষ ও গ্রামের অন্য দুইটি বালক যে রাজার বিদ্যালয়ে ভর্তি হইল, তাহা ছিল স্বাধীন এক রাজ্যের অন্তর্গত কিন্তু তৎকালীন মহামহিম ইংরাজ সরকারকে কর দিতে হইত অর্থাৎ রাজ্যটি ছিল করদ রাজ্য। বস্তুতঃ, এই রাজ্যটি প্রথমে ছিল স্থানীয় অধিবাসীদের লইয়া একটি গোষ্ঠী,পরে ধন-দৌলত, শিক্ষা-দীক্ষা বৃদ্ধি পাইলে জমিদারি এবং আরও পরে নানান সঙ্ঘর্ষ,নানান অভিজ্ঞতা, নানান অধিকার লাভে রাজত্বে পরিণত হইয়াছিল। যদিও তাহা শুনিতে এমন হইলেও, সেদিনের মাত্র কথা নয়। রাজপরিবারটির প্রায় হাজার বছরের বংশ তালিকা পাওয়া যায়। পরিবারটির কপালে ইংরাজের রাজত্বকালে ইংরাজ-বিরোধী তকমা লাগিয়াছিল। কথিত আছে, এই রাজবংশের কোন এক রাজা কর সম্পূর্ণ দিতে না পারায় ইংরাজ সরকার রাজাকে কারাগারে বন্দী করিতে পারে নাই, কিন্তু নগ্নপদে সভাতে আসিতে বাধ্য করিয়াছিল। সেই অপমান তাঁহারা কোনদিন ভুলেন নাই। পরবর্তীকালে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় পর্য্যন্ত রাজপরিবারে ইংরাজ বিরোধিতা অটুট ছিল, পরিবারের সকল রাজার সময়েই তাহা লক্ষ্য করা যায়। একসময় সেই বিরোধিতা চরমে উঠিয়াছিল। রাজার আনুকূল্যে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্রদিগের মধ্যেও সেই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যদিও, ইংরাজি শিক্ষায় অনাগ্রহ বা অসহযোগিতা ছিল না। বুঝি বা তাহা ইংরাজ সরকারের বিরুদ্ধে আরও বেশি প্রয়োজনে লাগিবে এইরূপ একটি ভাবনাচিন্তা থাকিলেও থাকিতে পারে। কিন্তু ইংরাজি শিক্ষায় যতই আগ্রহ বা প্রয়োজন থাকুক না কেন, ইংরাজের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সকলে যথেষ্ট সচেষ্ট ছিলেন। অবনী মাষ্টার ছিলেন তাহার অন্যতম এবং প্রধান। পরবর্তীকালে তাঁহার নাম হইয়াছিল সেই বিদ্যালয়ের সুর্য্য সেন। স্বাধীনতার আন্দোলনে এইরকম কত শত সুর্য সেনের দল যে দেশের জন্য কাজ করিয়া ছিলেন, তাহার খবর কে রাখে? 

অমিয়নাথ স্থানীয় বালক। শিশুবেলা হইতে এইস্থানে রাজার রাজধানীর মধ্যেইবাড়িয়া উঠিয়াছে, জ্ঞানতোষের ন্যায় দূর হইতে রাজার কাহিনি শুনে নাই, যদিও জ্ঞানতোষের পরিবার রাজ অনুগ্রহ লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু সে বহু আগে, জ্ঞানতোষের পিতা নহেন; পিতার ঠাকুরদাদা, তাঁহারও পূর্বপুরুষ। সেই অনুগ্রহের বাড়-বাড়ন্ত বর্তমানে ভোগ করিতেছেন পরিবারটি। অমিয়নাথের তাহা জানা নাই। সে নিজ অবস্থা, মাতা ঠাকুরাণীর কথা, তাহার নিজের কথা বলিতে লাগিল।

অমিয়নাথের পিতা ছিলেন সামান্য এক মোট বহনকারী । রাজাদের আলয়ে কিংবা রাজাদের এলাকায় জিনিসপত্র সরবরাহ হইলে তিনি অন্যান্য বহনকারীগনের সহিত তাহা খালাস করিতেন, বিনিময় সামান্য কিছু অর্থ পাইতেন, যাহা দ্বারা জীবন নির্ধারণ সম্ভব ছিল না, অতি কষ্টে দিন কাটিত। তাহার আরও একটি ভগিনী ছিল, কিন্তু বিনা চিকিৎসায় মারা যায় শিশু বয়সেই। পিতাও মারা যান একপ্রকার বিনা চিকিৎসায়। কবিরাজী চিকিৎসায় রোগ সারে নাই, আরও কিছু প্রয়োজন ছিল, যাহা সম্ভব হয় নাই। পিতার মৃত্যুর পর মাতাঠাকুরাণী অতিথিভবনের বাসন মাজা-ঘষার কাজটি লাভ করিলে তাহাতেই কোনক্রমে দিন চলিতেছেছিল। এমত সময়ে সে এই বিদ্যালয়ে পড়িবার সুযোগ পাইয়াছে শিক্ষকদের দয়ায় বিশেষতঃ অবনী মাষ্টারের দয়ায়। তাঁর মত মানুষ পৃথিবীতে বিরল, তিনি দেবতা। এত সকল কথা বলিয়া অমিয়নাথ দুহাত কপালে ঠেকাইয়া শিক্ষকের উদ্দেশে একটি প্রণাম করিল।

জ্ঞানতোষ গৃহে থাকিতেও ক্ষেত্রনাথের নিকট অবনী মাষ্টারের কথা এতবার শুনিয়াছে, যে তাহা একপ্রকার মুখস্থ হইয়া গিয়াছে। শুধু মানুষটীকেই সে দেখে নাই, কিন্তু তাঁহার সম্বন্ধে জানিয়াছে অনেক। তিনি যে পাঠ্যের বাহিরে ছাত্রদের নানান বিষয়ে শিক্ষা দিয়া থাকেন, তাহাও শুনিয়াছে। এই বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম হইল ইংরাজ শাসন এবং দেশের অবস্থা, তাহা হইতে প্রতিকার, যাহা কিনা স্বাধীনতা। দেশের জন্য অতি ক্ষুদ্র কাজকেও তিনি বৃহৎ বলিয়া মনে করেন। সকলকে সেই শিক্ষাই দিয়া থাকেন। আগামী কল্য প্রাতে সেই শিক্ষক মহাশয়ের প্রতি সাক্ষাৎ হইবে, ইহা ভাবিয়াই জ্ঞানতোষ পরম সন্তোষ লাভ করিল।

(ক্রমশঃ)

0 comments: