0

ধারাবাহিক - রাজর্ষি পি দাস

Posted in


ধারাবাহিক


ফেরা - ৭
রাজর্ষি পি দাস


০৭/০৮/২০১৯ 

আমি ইতিমধ্যে চার্টের অর্দ্ধেকের বেশি মানুষকে খেয়ে ফেলেছি। অর্পিতা বলছে লিখতে, লিখে লিখে ধরে রাখো সবাইকে! 

নন্তু মিঠু বাপ্পা থব এবং... 

ক্লাশ থ্রীতে পড়ি, বাড়ির সামনে স্কুল, তিন্সুকীয়া বঙ্গীয় শিশু বিদ্যালয়! সকাল সাতটা থেকে দশটা ক্লাশ থ্রী অব্দি, সড়েদশটা থেকে দুপুর তিনটে অব্দি ক্লাশ সেভেন অব্দি! নন্তুর বয়স অনুযায়ী দুপুরের ক্লাশে থাকার কথা কিন্তু ক্লাশে আসে সকাল সাতটায়! আর নন্তু মানেই প্রচুর কথা প্রচুর পরিকল্পনা আর গল্প! যেমন তাম্বুল বাড়িতে সার্কাসের তাঁবু বসেছে, নাম ওলিম্পিক সার্কাস, তাঁবু দশটা, খাঁচা তেত্রিশটা, সাইকেল সাতটা, ঠেলা গাড়ি পঁচিশটা, হাতি পাঁচটা আর একটা মাঠের অর্ধেক তাঁবু! এবার কোন তাঁবুতে কতজন বিদেশি মেয়ে এবং পুরুষ, জোকার কজন, কটা কামান,বাঘ-সিংহ-জিরাফ-বাদর-টিয়াপাখি, রিং মাস্টারের তাঁবু নাকি কালো রঙের ইত্যাদি! তাছাড়া, নতুন ভিখারির খবর যাঁদের চোখের নীচে কাজল, চুলে মেয়েদের মত বিনুনি আর পায়ে কাটা টায়ারের চটি—এরা সব্বাই ছেলেধরা, ওদিকে ভুটকীর বাগানে এবার নাকি স্থল-পদ্মের মত বড়বড় জামরুল এসেছে, আর থবদের জামগাছে বেগুলের মত জাম, এদিকে খোকন্দের পুকুরের মাছ আজকাল ডাকলেই ডাঙায় লাফিয়ে উঠে খোকনের মায়ের বটির সামনে আছেড়ে পড়ে, নেহাত খোকনের মায়ের পান খাবার তাড়া থাকে বেশি তাই মাছেরা নাকি মাটিতে অপেক্ষা করতে করতে পাখি হয়ে অন্যপুকুরে চলে যায়, আর আমার বাড়িওয়ালা মানে মজুমদার দাদু নাকি তার কাণাচোখে হীরে লুকিয়ে রাখে, যিনি যে কোনও দিন ধরা পড়তে পারেন! এহেন খবরের মালিককে আমরা সবাই খাতার এক পৃষ্ঠা বা আধা পৃষ্ঠা ছিড়ে দিতাম উপঢৌকন হিসাবে! আর উনি ছুটির পর, সবাইকে দেখিয়ে রুব্বান দাদুর কাছে বিক্রী করে গুড়ের ক্যাডবেরি খেত! উঁহু কোনদিনও ছিটেফোটা দেয় নি! না দিক! আমরা সবাই মনে মনে ভাবতাম আমরা কবে নন্তুর মত বড় হব! 

একদিন প্রথম ক্লাশ থেকেই নন্তু গম্ভীর! প্রথম ক্লাশ শেষ হবার পরেও সেই এক, নন্তু গম্ভীর! ক্লাশে সবার মন খারাপ! আমি আর টিটু একই পাড়ার ছেলে তাই নন্তুর প্রতি আমাদের দাবী বেশি! সেকেন্ড পিরিয়ড শুরু হবার আগে আমরা নন্তুর পাশে। নন্তু ফেল করা ছাত্র বলে লাস্ট বেঞ্চে বসত! পাল স্যার আমাদের দুজনকে নন্তুর সাথে বসতে দেখে চোখ রাঙিয়ে, কাণ মুলে প্রথম বেঞ্চিতে থপ করে বসিয়ে দিল! কিন্তু ততক্ষণে আমাদের যা হবার হয়ে গেছে! নন্তুর বাবা নাকি গতকাল রাতে একটি কুমীর বাড়িতে নিয়ে এসেছেন পোষার জন্য! ওনার অনেকদিনের শখ! নন্তুর বাবার শখ আমাদের পেচ্ছাপ পাইয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট! কিন্তু তলপেটে চিনচিন নিয়েও কুমীর দেখার তাড়নায় আমরা মশগুল! নন্তু বলেছে স্কুল ছুটি হলেই আমাদের কুমীর দেখাতে নিয়ে যাবে। পাল স্যার কি পড়াচ্ছেন কিচ্ছু মাথায় ঢুকছে না, কানে শুধু কুমীরের লেজের ঝাপটের শব্দ! চোখ বুঝলেই দেখতে পাচ্ছি ‘ক’ তে কুমীর আসছে তেড়ে, পরিস্কার একটি কালো কুমীর একবেকে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে, দেখতে পাচ্ছি বাকানো লেজ, পিঠে বড়বড় চামড়ার ডিম সারা গায়ে আর দাঁত বের করে হাসছে! আমার কল্পনায় বিরক্তি –-কুমীর সবসময় হাসে ক্যান্‌! 

টিটুর উত্তর - আসল কথা পিঠে পড়ে না, কুমীররে কে মারবো ক? 

কোনও মতে স্কুল ছুটী হলেই আমরা দুজন নন্তুর পিছু পিছু সোজা ওর বাড়ির সামনে! রাস্তায় দুটো করে খাতার পৃষ্ঠা ছিঁড়ে দিতে হল রুব্বান দাদুর জন্য! বাড়ির সামনে এসে নন্তু পেছনের রাস্তা দেখিয়ে বলল, একদম কোনও কথা কবি না, পেছনের রাস্তা দিয়া সোজা গিয়া একটা ছোট কাঠের দরজার সামনে দাঁড়াইবি-- বলেই নিজের বাড়িতে ঢুকে গেল! 

আমি আর টিটু পা টিপে টিপে পেছনের রাস্তা দিয়ে দুপা হেঁটেই বুঝতে পারলাম এটা জমাদার আসা-যাওয়ার রাস্তা, মা যদি জানতে পারে-ওহো। আমি মারের আন্দাজ করে শিউরে উঠলাম! চার পাচপা হাটার পর দরজা এল! কিন্তু কোথায় কুমীরের ফোঁসফোঁস! লেজের ঝাপটার শব্দ! তার বদলে শুনি বেড়ালের রুগ্ম ডাক-মিউমিউ! দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি একটি শীর্ণ লোম-ওঠা বেড়াল পাটের দড়ি দিয়ে বারান্দায় বাধা! সে দুঃখে না খিধেয় ডেকে চলেছে বুঝতে পারলাম না! আমরা দুজন পালা করে ওই ক্ষুদ্র ফুটো দিয়ে যতটা সম্ভব চোখ চালিয়ে কুমীরের উপস্থিতির কোন চিহ্ন পেলাম না! কি করা যায়! নন্তুর কথা তো মিথ্যে হতে পারে না! আমরা দুজন চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম! কিছুক্ষণের মধ্যেই দরজার ওপার থেকে একবালতি মাছের নাড়ীভুঁড়ি, শাক্সব্জীর খোসা ইত্যাদি মাথায় এসে পড়তেই আমরা দুজন দৌড়নো শুরু করলাম! নন্তুর মা ততোধিক ক্ষিপ্রতায় ‘কে রে, কে রে’ করতে করতে বেরিয়ে এসে আমাদের দুজনকে চিহ্নিত করে দুজনের বাড়িতে গিয়ে অস্পৃশ্য হবার খবর দিয়ে আমাদের স্নান না করে বাড়িতে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে আমাদের দুজনের মার খাবার রাস্তা ঠিক করে দিলেন! নিজেও একদুঘা বসিয়ে দিয়ে গেলেন! বসিয়েই আর্তনাদ – দেখ ছ্যামড়াগুলারে আবার ছুঁইয়া দিলাম! 

বাড়িতে কুমীর দেখতে গেছিলাম বলা গেল না কারণ ক্যান জানি না মনে হল তাতে মারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে! 

পরেরদিন নন্তু ক্লাশে নেই! আমরা দুজন তক্কে তক্কে রইলাম! টিটু একটু হিংস্র প্রকৃতির, ও একটা কাঠপেন্সিল সঙ্গে নিয়ে ঘোরা শুরু করল, নন্তুকে দেখলেই নাকি পেটে ঢুকিয়ে দেবে! সাতদিন পর বিকেল চারটের সময় পরিমল দাশের দোকানে দেখা হলে নির্ভিক ভঙ্গিতে বলল, বেড়ালটা কুমিরের সকালের ব্রেকফাষ্টের জন্য আনা হয়েছিল! আর ও জানতো না যে ওর বাবা সকাল আটটার সময় কুমীরটাকে সার্কাস কোম্পানির কাছে বেচে দিয়েছিলেন! আমরা যদি বিশ্বাস না করি তো তাম্বুল্বাড়ির মাঠে গিয়ে দেখে আস্তে পারি! বোঝো! এবার যাও সার্কাস কোম্পানির কাছে নন্তুর বাড়ি থেকে ওরা কুমীর কিনেছে কিনা খোঁজ নিতে! কাকে নিয়ে যেতে বলব, বাবাকে? আবার কে মার খাবে! 

আসলে আমি আর টিটুও হয়ত মনে চাইছিলাম যে নন্তুর ওপর আমাদের বিশ্বাস যেন অটুট থাকে! তাই চুপ করে সাকার্সে কুমীরের হাঁটাচলা কল্পনা করতে লাগলাম! আর টিটু নন্তুকে কাঠপেন্সিল্টা দেখিয়ে বলল- নিবি! নন্তু স্যাট করে পেন্সিল্টা হাতে নিয়ে রাণী-বড়ই চুষতে চুষতে নতুন খবর দিল, রংঘরে ‘হাতি মেরা সাথি’ আইছে! এই সিনেমার নাম অনেকদিন ধরে ঘরেঘরে রেডিও বিনাকা দিয়ে ঢুকে গান হয়ে ঘুরছে-‘চল চল চল মেরে হাতি ও মেরে সাথি’-- মুহুর্তের মধ্যে কুমীর হাতি হয়ে গেল! 

নন্তু দেখতে অনেকটা দেশলাই কাঠির মত, রোগা টানটান কিন্তু মাথায় বারুদ ভর্তি! কিন্তু ও কেন পরীক্ষায় ফেল করে বুঝতে পারতাম না! অথচ ওঁদের বাড়ির সামনে দিয়ে রাত্রি বেলা গেলে মনে হয় পাড়ার সবার পড়া ওই সেন বাড়ির দায়িত্ব! একসাথে ছভাই আর একবোন প্রায় চীৎকার করে পড়ছে। কে কী পড়ছে বোঝা না গেলেও সবার গলায় একটা প্রাণাত্নকর চেষ্টা থাকে নিজের গলা শোনার। নাহলে কার পড়া কে মুখস্ত করে বসে থাকবে! এই ব্যাখ্যাটা অবশ্য আমার নয়, বাপ্পার, বাপ্পা নন্তুদের বাড়িওয়ালাদের মধ্যে একজন! মানে বাপ্পার বাবা, কাকু, জেঠু নন্তুদের বাড়িওয়ালা! এই জন্যই নাকি নন্তু-মিঠূ-গোপালদা-রাখালদা-রত্নাদি একইলাশে একদুবছর থাকার পর বুঝতে পারত যে এঁকে অন্যের পড়া মুখস্ত করেছে সারাবছর ধরে! বড়দা তখন বি এ পড়ছে, আর সবচেয়ে ছোটটা টিলু তখন ক্লাশ অ এ অজগড় আসছে তেড়ে- মানে আমি যখন ক্লাশ সিক্সে, নন্তু ক্লাশ ফাইবে, মিঠু ক্লাশ ফোরে, গোপালদা আর রাখালদা বহুকষ্টে ক্লাশ টেনে! নন্তুদের বাড়ির ভিতরে একটা বড় ঘর, তার তিনদিকে চারটিএ ঘর, তারপর বারান্দা তারপর রান্নাঘর! ওঁদের বাবা সেন জেঠু মাঝখানের ঘরে যুগান্তর নিয়ে বসেন আর কান সন্তানদের দিকে। বাপ্পা নাকি দেখেছে কোনও একজনের গলা এক মিনিটের জন্য বন্ধ হলেও তার নাম ধরে হুংকার দিয়ে উঠেন! এই হুংকার একদিনে কোন নির্দিষ্ট সন্তানের প্রতি তিনবার অতিক্রম করলেই তার কপালে প্রহার লেখা থাকে! প্রথমে সেন-জেঠু শুরু করেন, তারপর ছজন মিলে সেদিনের হতভাগাকে উদমা পেটানো নিত্যদিনের ঘটনা! সন্তানদের এই স্বতস্ফুর্ততায় পিতার সায় থাকে! 

বাপ্পার চিরশ্ত্রু থব জানতে চায় – তোরে কেঊ মারে না? বাপ্পার হাফপ্যান্ট টেনে তুলে জবাব –আমার বাবা আছে ? মারবো কে? 

নন্তু তাৎক্ষণিক কিন্তু বাপ্পা সুদূরপ্রসারী। তাই নন্তুর শত্রু নেই আর বাপ্পার শত্রু থব, সুবির, মিঠু, আমি... কে নয়! তার সাথে বাপ্পার পিত্তি জ্বালানো হাসি আর ঘাড় উঁচু করে হাঁটা! ক্লাশ সেভেন বাপ্পা কতদিন ধরে খাবি খাচ্ছে এটা গবেষণার বিষয়! অবশ্য তার আগে বাপ্পার বড়ভাই তপন ক্লাশ নাইনে পাঁচবছর থেকে সরস্বতীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পৈতৃক ব্যবসা কাপড় বিক্রি করতে নেমে পড়েছে! লোকে বলে ওঁদের টাকা নাকি গাছে ফলে! তাই হয়ত গাছের ঝরা পাতা ভাসানোর মত বাপ্পা প্রায়ই নালায় দুটাকা পাচটাকা নোটের নৌকো বানিয়ে ভাসিয়ে দেয়! আমরা পেছন পেছন দৌড়ই, দুটাকা না পাঁচটাকা কে প্রথম হবে! আর টাকার নৌকা প্রতিদিনের কোনও না কোনও কালভার্টের নীচে ঢুকে আর বেরিয়ে আসে না! কিন্তু বাপ্পা কোনদিনও একপয়সার কিছু কিনে খাওয়ায় না! এই টাকার নৌকো প্রতিযোগীতা বন্ধ হল থবর বাবার হস্তক্ষেপে! 

থবর বাবাকে দেখলেই ভয় লাগে! বিশাল চওড়া চেহারা, প্রতিদিন মীটার গেজ রেলের চাকা ওঠায় নামায়, তারপর লালা রঙের বক্সিং গ্লাভ্‌স পরে কল্গাছে ঘুষি প্র্যাক্টিস! কোনদিন হাসতে দেখি নি, একটি হারকিউলিস সাইকেল চেপে প্রতিদিন নটা নাগাদ সেনাইরাম হাইস্কুল! উনি সেনাইরাম স্কুলের টিচার! শহরের সবচেয়ে বড় অসমীয়া স্কুল! প্রতিটা বিভাগ আতংক জাগায়! এক বৃষ্টি ভেজা রবিবারের সকালে আমি, থব, নন্তু, সুবীর, বাপ্পা, বুলন যখন নৌকা প্রতিযোগিতায় উত্তেজিত, নালার দিকে লাল, সবুজ নোটের নৌকার দিকে তাকিয়ে দৌড়াচ্ছি, হঠাৎ শুনি ভারী গলায় কেউ জিজ্ঞেস করছে—এই কি করতাসত রে? আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখার আগেই দেখি থব দৌড়চ্ছে, তারপর সামনে দেখি বাপ্পা আর বুলন দৌড়োচ্ছে! তারপর আমার কানে আর সুবীরের কাণে লোহার মত আঙুল! 

ব্যস, তারপর দু’তিনদিন বাড়ি থেকে বেরোন বন্ধ। যে যার বাড়িতে মার খেয়ে আহত এবং বন্দী! নন্তু পালায় নি! সে উল্টে বলে ওঠে –- এদের মার দরকার, কেউ আমার কথা শোনে না! মারেন মারেন, মারেন না, কতবার না করসি এইসব টাকা ভাসাইয়া নৌকা নৌকা খেলা ... থব’র বাবা আমাদের দুজনের কাণে আরও শক্তি প্রয়োগ কোরে – সেন বাবু বাড়িতে আছে? সাথে সাথে নন্তু হাওয়া! 

আমি, বুলন আর থব একবারে ছোট বলে তিচারটে থাপ্পড় খেয়ে দুদিনের গৃহবন্দী থাকলাম! নন্তু যথারীতি সেনবাবুর কাছে মার প্লাস ছভাইবোনের মার খেয়ে দুদিন বিছানায়! বাপ্পা প্রথমে নিজের জ্যাঠামশাই এর কাছে পিঠে স্মৃতি বিগড়ে দেওয়া কিল ছসাতটা, তারপর কাকাবাবুর কাছে বেতের বারি কুড়িপঁশিচটা সবশেষে বড়দা তপনের হাতে লাথি চড় দিয়ে খাওয়া শেষ করে তিনবেলা প্রবল পড়াশুনায় নিজেকে সমর্পণ করে! সুবীর বড়দার কাছ থেকে দশবারোটা থাপ্পড় তারপর সরজদার কাছে থেকে খিলের বারি ও লাথি তারপর বাবার হাত দিয়ে নিজের জুলফির গোটা ত্রিশ চুল হারিয়ে জ্বরে খাবি খায় তিনদিন! পাড়ায় যে কোনও বাড়ির বড়রা যে কোনও বাড়িরে ছোটদের শাসন করতে পারতেন, প্রয়োজনে মার! কেউ কিছু মনে করত না, সবচেয়ে বড় কথা কেউ মনে রাখতো না কে কার ছেলেকে বকেছে বা পিটিয়েছে, তার চেয়ে বড় কথা যাদের বকা বা মারা হত, মানে আমরা, আমরাও মনে রাখতাম না! 

এসবের মধ্যেই রবিবারে থবর বাবা পুরোনো ফোর্ড গাড়ি বের করলে আমাদের মধ্যে হৈহৈ পরে যায়। কারণ ধাক্কা দিতে হবে, নাহলে গাড়ি চালু হয় না! কারণ আমরা সবাই মুঠো মুঠো লজেন্স পাবো ধাক্কা দেওয়ার জন্য। আমি, নন্তু, থব, বুলন, কটো, পার্থ, বাপ্পা, সুবির, মিঠু, টিটু সবাই গাড়িটাকে ঢেকে ফেলতাম আর কানাইদা রেফারি। কানাইদা রবিবার সকালটা বাতাসার বদলে লজেন্স চিবিয়ে খেত তাম্বুলপানের সাথে!


0 comments: