সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয়
পুজোর আর একমাসও বাকি নেই। আগমনীর সুর লেগেছে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে। বারো মাসে তের (এখন বোধহয় তেইশও হতে পারে, কেউ আর বিশেষ গুনছেন না) পার্ব্বণে জর্জরিত বাঙালীর কাছে কিন্তু ‘পুজো’ মানে এককথায় দুর্গাপুজোই। সারা বছরের অপেক্ষা। খুব মনে পড়ে যাচ্ছে বছর কুড়ি আগের কথা। কাঁচা বয়স – নতুন জামা – বাড়ির পুজো – অনেক ভাইবোন – নতুন নতুন বন্ধুত্ব... এই শেষেরটার আকর্ষণই আলাদা। বেশিরভাগেরই মেয়াদ এক পুজো থেকে পরের পুজো – বয়সটাই তো তেমন ছিলো।
এখন পুজোর মানেটা বদলে গেছে। এখন পুজো মানে পুজো সংখ্যা, পুজোর লেখা – আর তার ফাঁকে ফাঁকে এই আশ্চর্য সুন্দর সংস্কারগুলির উৎস খোঁজা। আর ভারতবর্ষের এই অপৌরুষেয় আবহমান সংস্কৃতির উৎস সন্ধানই যে ঋতবাক-এর সুদূরপ্রসারী অভিক্ষেপের মূল উপজীব্য বিষয়াভিলাস হয়ে উঠছে ক্রমশ, তা প্রায় স্পষ্ট। বর্তমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে বোধ হয় সেটা জরুরীও। ধর্ম যখন সংস্কৃতির কন্ঠ চেপে ধরে, তখনই সত্যের দায়িত্ব প্রকট হয়ে পড়ে ধর্মকে তার উৎস এবং উদ্দেশ্য স্মরণ করিয়ে দেওয়ার। সে উৎস সমাজ মানসের শুভ চেতনায় এবং তার সার্থকতা সেই সৌহার্দ্যের সার্বিক ব্যপ্তির পথ ধরে ব্যক্তি মানসে এক দ্বন্দ্বহীন ঔচিত্যবোধের উন্মেষে। অন্তত ভারতবর্ষের চিরন্তন সংস্কৃতি তাইই বলে।
এই লক্ষ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে ঋতবাক মুদ্রণ সংখ্যার কাজ প্রায় শেষের পথে। প্রকাশক, মুদ্রক, প্রচ্ছদ প্রস্তুত চূড়ান্ত পর্যায়ে। জোর কদমে চলছে প্রুফ চেকিং। অজস্র অযাচিত সাহায্যের প্রস্তাব আসছে অহরহ। আমরা কৃতজ্ঞ।
বিগত কয়েক সংখ্যা ধরে এবং বিশেষ করে মুদ্রণের কাজে অসীম ধৈর্য্য এবং একনিষ্ঠ একাগ্রতায় নীরবে সাহায্য করে চলেছেন ঋতবাক-এর পরম সুহৃদ ও শুভাকাঙ্ক্ষী সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংখ্যায় তার স্বীকৃতি দেওয়া গেল। এখন থেকে কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসাবে সৌম্য ঋতবাক-এর অনেক খানি দায়িত্ব ভার নিলেন। আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা সার্থকতা লাভ করুক। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন, সৌম্য।
আপনাদের নিরন্তর সাহচর্যে ঋতবাক-এর যাত্রাপথ মসৃণ ও সুগম হোক।
শুভেচ্ছান্তে
সুস্মিতা বসু সিং
অভিননদন :)
ReplyDelete