2

ইতিহাসের কথা ইতিহাসের কাহিনি -- অভীক মুখোপাধ্যায়

Posted in











রাজেশ্বরী নামটা কি তোমার পছন্দ?



বর্ষা এসে গেছে, কিন্তু কারো আর তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই।

কারণ কী?

করোনার ভয়।

বর্ষা যেমন এসেছে, একটা সময়ে চলেও যাবে। তার আসা-যাওয়ার ফাঁকে কি ভেজা পাতার ওপরে হাঁটার শব্দটুকুও শুনব না আমরা? আসুন না, এই বর্ষণমুখর দিনে ঘরে বসেই পড়ে নিই বিংশ শতকের এক আসল নায়কের প্রেমকাহিনি। আমাদের ন্যাশনাল হিরোর কথা।

আমরা শুধু ন্যাশনাল হিরোদের বীরত্ব দেখি। ওইটুকুই কি সব? তাঁদের কি জীবন বলতে কিচ্ছু নেই? মোহ নেই? মায়া নেই? প্রেম নেই? তাঁদের জীবনের যতটা শুনি, তার থেকেও অনেক বেশি কথা না-শোনা হয়েই থেকে যায়। অন্তরালে। মাতৃভূমির জন্য তাঁরা নিবেদিত প্রাণ। নিজের জীবিনের স-বকিছু তাঁরা জুয়ার দানের মতো বাজি হিসেবে লাগিয়ে দেন শুধু আমাদের রক্ষা করবেন বলেই। কিন্তু তাঁরাও তো কোনো পরিবারের ‘সর্বস্ব’? তাঁরাও তো কোনও রমণীর ডায়েরির পাতায় লাল কালিতে লেখা নাম? তাঁরা নিজেরাও যে কোনও ছানি অপারেশনের তারিখ পেছোতে বাধ্য মায়ের নয়নের মণি? 

গল্প, কাহিনি এসব লিখলেও এটা আসলে সত্যি ঘটনা। এক পি ভি সি অ্যালাইভ সোলজারের জীবনের কথা।

পি ভি সি অ্যালাইভ?

জীবিত অবস্থায় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘পরমবীর চক্র’ প্রাপক যোদ্ধা।

নাম?

শ্রী রাম রাঘোবা রাণে।


জন্ম ১৯১৮ সালে। সৈন্যজীবন শুরু হল বাইশ বছরে বয়েসে। তখন ব্রিটিশদের জমানা। ইংরেজদের হয়ে লড়তে লড়তে বার্মা দেশে গিয়ে পড়লেন রাণে। তখন সেনাবাহিনীর কোরটার নাম ছিল ‘বোম্বে স্যাপার্স্’। এটাকেই আবার ‘বোম্বে এঞ্জিনিয়ার গ্রুপ’-ও বলা হতো। স্বাধীনতার পরে অবশ্য এরই নাম হয়ে যায় ‘কর্পস্ অব এঞ্জিনিয়ার্স্’। 

যাই হোক, হাতে মিডিয়াম মেশিন গান আসার আগে এসে গেল ‘কম্যান্ড্যান্ট কেইন’। তখনকার দিনে ট্রেনিং পিরিয়ডে এটাই ছিল বেস্ট ক্যাডেটের সম্মান। মানে, প্রথম থেকেই বাহিনীর জন্য মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন।

আর যখন মেশিন গান হাতে তুললেন তখন?

একার দমে জাপানের একটা প্লেন গুলি মেরে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এই রাম রাঘোবা রাণে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হল। ভারত স্বাধীন হয়ে গেল ১৯৪৭ সালে। রাণে হয়ে গেলেন ভারতীয় স্থল বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট।

স্বাধীনতায় দেশের অনেক কিছু বদলে গেলেও কিছু জিনিস বদলায়নি। যেমন ইন্ডিয়ান মিলিটারি। বিশেষ করে স্থলসেনার বেশিরভাগ কায়দা – কানুন সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। ব্রিটিশ পিরিয়ডের।

তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই অত তাড়াতাড়ি যে ভারত ভূখণ্ডের আবার স্থলসেনার প্রয়োজন পড়বে তা কেউ ভাবেননি। পাকিস্তান ভারতের থেকে প্রাপ্ত অর্থসাহায্য নিয়ে হাতিয়ার কিনে ভারতকেই আক্রমণ করে বসল।

পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল কাশ্মীরে দুদিক থেকে আক্রমণ করা হবে। প্রথম আক্রমণ হল শ্রীনগরে। সৈন্যবাহিনী তৎপর হয়ে ওঠার আগেই অখনূর এবং নৌশেরা সহ সম্পূর্ণ জম্মুও আক্রান্ত হল।

সেনার ইন্টেলিজেন্স সক্রিয় হয়ে উঠল। খবর পাওয়া গেল যে, পাকিস্তানি সেনা রাজৌরি থেকে অপারেট করছে। রাজৌরি একটা ছোট্ট গ্রাম। শ্রীনগর এবং জম্মু দুই জায়গা থেকেই এর দূরত্ব একশো কিলোমিটারের বেশি।

ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে, সর্বপ্রথমে রাজৌরি দখল করতে হবে। গাছের শেকড় কেটে দিলে গাছ আপনা আপনি মাটিতে পড়ে যাবে।

পাকিস্তানি সেনাপ্রধানরাও তো আর ঘাসে মুখ দিয়ে চলতো না। তারা আগে থেকেই জানত যে ভারত সরকার এধরণের কোনো পরিকল্পনাই করবে। তাই রাজৌরিকে ভারত থেকেই বিচ্ছিন্ন করার আগাম প্ল্যানটাকে এক্সিকিউট করে দিলেন তারা। রাজৌরি থেকে ভারতগামী (বা উলটোটা) সমস্ত ছোট এবং বড় পথ অবরুদ্ধ করে দিল পাকিস্তানি সেনা।

এই অবরোধের ফলে সেনার গাড়ি বা ট্যাঙ্ক যাওয়ার আর কোন পথ রইল না। অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার যে, স্বাধীন ভারতে এমন এলাকাও ছিল যেখানে ইন্ডিয়ান আর্মড অ্যান্ড আর্টিলারি কোরের কোনো দখলই ছিল না।

বড় বড় পাথরের চাঁই দিয়ে পথ বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। ভারতের আর্মি পাথর সরানোর সবরকম সম্ভাব্য প্রয়াস শুরু করল। বুলডোজার আনা হল। কিন্তু এত বড় কর্মযজ্ঞ তো আর নিভৃতে করা যাচ্ছিল না। তখন আজকের দিনের মতো টেকনোলজি ছিল না। একটা বিশালাকার ট্যাঙ্কের থেকে অনেক বেশি শব্দ করত একটা বুলডোজার। আর এই আওয়াজের জন্য পথের পাশের ঝোপেঝাড়ে অপেক্ষা করে থাকছিল পাকিস্তানি সেনারা। প্রথম বারে বুলডোজার চালাতেই শব্দ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চারজন জওয়ানের প্রাণ নিয়ে নিল তারা। বুলডোজার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল ভারতীয় সেনা।

তবে ইন্ডিয়ান আর্মি হাল ছাড়েনি। অলটারনেটিভ প্ল্যান আনা হল। জঙ্গলের পথ খোঁজা হল। লক্ষ্য নির্ধারিত করে এগোনোর দায়িত্ব গিয়ে পড়ল সেনার নির্দিষ্ট একটি সেকশনের ওপরে। এই কাজে পারদর্শী ‘কর্পস্ অব এঞ্জিনিয়ার্স্’রাই এগোতে শুরু করল। 

সেদিন নেতৃত্বে ছিলেন রাম রাঘোবা রাণে। সঙ্গে কয়েকটা ট্যাঙ্ক আর বত্রিশ জন সঙ্গী জওয়ান। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা চিহ্নিত করতে করতে এগোচ্ছিলেন। তাঁদের পেছনে এগোচ্ছিল বাকি বাহিনী।

পাকিস্তানি সেনারা এই পদ্ধতিটাও অনুমানের মধ্যেই রেখেছিল। পরিকল্পনা সাজানো ছিল আগে থেকেই। রাণে সাহেবদের টিম এগোতেই মাটিতে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটল। মাইন ব্লাস্ট! গোটা পলটন কেঁপে উঠল।

এগোনো তখন প্রায় অসাধ্য একটা ব্যাপার। বোঝাই যাচ্ছিল যে, জঙ্গলের মাটিতে আনাচে কানাচে বিছিয়ে রাখা হয়েছে প্রাণঘাতী মাইন। সৈন্যরা নিজেদের প্রত্যেক পদক্ষেপকেই সন্দেহ করছিল। এই বুঝি প্রাণ যায়, এই বুঝি কিছু হয়! আর চতুর্দিক থেকে তখন পাকিস্তানি মর্টার হানার ভয়। সেই সময়ে মর্টারে লোহার টুকরো ভরা হতো। অ্যাসল্ট ইন্টেনসিটি বেড়ে যেত।

রানে সাহেবের মাথায় তখন একটাই কথা ঘুরছিল – একটি বার যা হোক করে যদি আমরা রাজৌরি অবধি পৌঁছে যেতে পারি, তাহলে আমাদের চলা পথ ধরে বাকি ট্রুপ রাজৌরি পৌঁছে যেতে পারবে। 

এরই মধ্যে একটা মর্টার ফায়ার করল পাক বাহিনী। আহত হলেন ভারতীয় সেনার বেশ কয়েকজন জওয়ান। তাঁদের হাঁটুতে লোহার টুকরো ঢুকে গেল। একদিকে বন্ধ পথ, জঙ্গলের মাটিতে পোঁতা মাইন, মর্টার হামলা, আহত জওয়ান – সব মিলিয়ে সে এক ভয়ংকর দশা! হেডকোয়ার্টার থেকে বলা হল, ‘ফিরে এসো!’

কিন্তু রাণেও কোঙ্কণী মরাঠা। জাতিতে ক্ষত্রিয়। বাড়িয়ে দেওয়া পা ফিরিয়ে নিতে জানতেন না। উনি এমন একটা পথ, এমন একটা উপায় বের করলেন, যা পাকিস্তানি সৈন্যরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি।

নিজের বাহিনীকে তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দিলেন –

 সব ট্যাঙ্ক অ্যারো ফর্মেশনে চলবে। মানে, সরলরেখায়।

 সবথেকে সামনে যে ট্যাঙ্কটি থাকবে, তার ড্রাইভিং বক্সে একটা দড়ি বেঁধে ঝোলানো থাকবে সামনের দিকে।

 ওই প্রথম ট্যাঙ্কটির নীচে, দুদিকে চাকার মাঝে রাণে নিজে বুকে হেঁটে এগোতে থাকবেন।

 যেখানেই মাটিতে মাইন পোঁতা দেখবেন, সেখানেই রাণে ওই ঝুলন্ত দড়ি ধরে ডানদিকে টান মারবেন। ট্যাঙ্ক তখন থেমে যাবে। মাটি-কাদার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে মাইনের বোতাম অফ করে সেটাকে নিষ্ক্রিয় করে দেবেন রাণে।

 এই মাইন ডি-অ্যাক্টিভেশন সম্পূর্ণ হলে তিনি দড়ি ধরে বাঁদিকে টান মারলে আবার ট্যাঙ্ক চলতে শুরু করবে।

রাণে যেহেতু জীবিত অবস্থায় পরম বীর চক্র পেয়েছিলেন, তা থেকে বোঝাই যাচ্ছে তিনি সফল হন। কিন্তু রাণে নিজের স্কিলের থেকেও বেশি নিজের মনের জোরের অপর আস্থা রেখেছিলেন। তিনি নিজে লিখে গেছেন যে, যখন কাদামটির মধ্যে আঙুল ঢুকিয়ে উনি অন্ধের মতো মাইন ডীফিউজ করেছেন, তখন প্রতিবার তাঁর চোখ বন্ধ হয়ে আসতো।

৮ই এপ্রিল সকাল ছ’টায় শুরু হওয়া অপারেশন, ১২ই এপ্রিল সন্ধ্যে ছ’টায় গিয়ে শেষ হল। বলা ভালো, সফল হল। এই গোটা অপারেশন চলাকালীন রাণে নাকি নিমকি খেয়েছিলেন। আর এভাবেই নিজের বত্রিশ সঙ্গী জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ইন্ডিয়ান আর্মির ট্যাঙ্ক দিয়ে একটা রেখা টেনে দিয়েছিলেন বাকি ভারত আর রাজৌরির মধ্যে।

তারপর একদিন ভারত এই যুদ্ধে জয় লাভ করল। ভারতীয় সেনার রণকৌশলের ফলে ও রসদ তথা অস্ত্রের অভাবে ভারতের সীমানা ছেড়ে পিছু হটে গেল পাক বাহিনী।

এই যুদ্ধ জয়ের নায়ক ছিলেন রাম রাঘোবা রাণে। বলা হয়, যদি রাণে না থাকতেন, তাহলে যুদ্ধটা হয়তো বছরের পর বছর চলতো। অসাধারণ রণকৌশল, পরাক্রম, শৌর্যবীর্যের জন্য তিনি পেলেন পরমবীর চক্র। রাষ্ট্রপতি বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ নিজের হাতে তাঁর কাঁধে ব্যাজ লাগিয়ে দিলেন।

তখন বয়েস কত ছিল বলুন তো?

তিরিশ বছর!

দ্য মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর অব দ্য কান্ট্রি। 

তা এই কুমারের কপালে কোন কুমারীর নাম লেখা ছিল?

গুগল সার্চ করলে বন্ধুরা পেয়ে যাবেন রাম রাঘোবা রাণের স্ত্রী’র নাম – রাজেশ্বরী রাণে। কিন্তু এখানেও একটা গল্প আছে। ওই কন্যের নাম সেদিন রাজেশ্বরী ছিল না।

তাহলে কী নাম ছিল?

লীলা! আজ্ঞে হ্যাঁ, লীলা।

নাম তো নয় যেন শিল্প। বাস্তবেও শিল্পী মেয়ে। রাণে যখন লীলাকে প্রথমবার দেখেন, তখন লীলা নাকি গান করছিলেন। অভ্যর্থনা সঙ্গীত। এ ধরণের গান সাধারণত কোনও অনুষ্ঠানে অতিথিদের আগমনে গাওয়া হয়ে থাকে।

শিবাজী হাইস্কুল, সদাশিবনগর, করবার, কর্ণাটক। রাণে ছুটিতে নিজের বাড়ি গিয়েছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে শিবাজী হাইস্কুলে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন রাণে।

সেখানে প্রথম চার চোখ এক হল। শাড়ি পরিহিতা লীলা রাণেকে দেখেই চলেছিলেন... দেখেই চলেছিলেন। তাঁর মুখে তখন স্বাগত-সঙ্গীত। 

আমরা রাণের কীর্তি দেখেছিলাম তাঁর তিরিশ বছর বয়েসে। এই সময়ে রাণে সাঁইত্রিশ।

আর লীলা?

তিনি ঊনিশ।

রাণে লীলাকে দেখামাত্রই তাঁর প্রেমে পড়ে গেলেন। কিন্তু ফৌজি মানুষ। ডেকোরাম মেইনটেইন করা তাঁর মজ্জাগত অভ্যেস। তিনি লীলাকে কিচ্ছুটি বললেন না। নিজের ছুটির মেয়াদ কিছুটা বাড়িয়ে নিয়ে একদিন সোজা চলে গেলেন লীলার বাড়ি।

বয়েসের এতটা ফারাক দেখে সামান্য ইতস্তত করলেও লীলার বাড়ির পক্ষে এমন ছেলেকে জামাই হিসেবে পাওয়া গর্বের বিষয় ছিল। ৩রা ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫ চার হাত এক হয়ে গেল। মিশে গেল দুটি মন।

ফুলশয্যার রাতে নিজের প্রিয়তমাকে প্রথম কী বলেছিলেন বলুন তো –

‘রাজেশ্বরী নামটা কি তোমার পছন্দ?’

লীলা নামক মেয়েটি বলেছিল, ‘খুব সুন্দর নাম।’

‘তাহলে আজ থেকে তোমার নাম হল রাজেশ্বরী রাণে।’

‘এই নামটাই কেন বাছলে?’

রাণে বলেছিলেন – ‘একবার একটি রাজপরিবারের আমন্ত্রণে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেখানে রাজমাতার নাম ছিল রাজেশ্বরী দেবী। ওঁর ব্যক্তিত্ব দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। সেই দিন থেকে তোমাকে দেখার আগে অবধি আমি ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা করেছিলাম, আমি যেন ওই রাজমাতার মতো ব্যক্তিত্বের স্ত্রী পাই। আর আজ তুমিই আমার সহধর্মিণী, রাজেশ্বরী।’

এরপর নিবিড় মৌনতা ছাড়া আর কিছু ছিল না। আকাশে একটা ক্লান্ত চাঁদ উঁকি মারছিল। মাটির বুকে এক যোদ্ধা নিজের রণক্লান্তি ভুলে শুধু ভালোবাসতে চাইছিল। চাঁদকে মেঘ ঢেকে দিল, যোদ্ধার মুখ ঢেকে দিল রাজেশ্বরীর শাড়ির আঁচল।

তারাভরা রাত ক্রমশ যুবতী হচ্ছিল। আলোর দরকার ছিল না। রাণে নিজের হাতেই ঘরের রোশনাই নিভিয়ে দিয়েছিলেন।

2 comments:

  1. দারুন...... পড়ে অনেককিছু জানতে পারলাম......

    ReplyDelete