undefined
undefined
undefined
সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়
ভোরবেলায় ঘুম ভেঙে গেলে দেখি চারিদিক অন্ধকার করে অবিশ্রান্ত ধারায় বৃষ্টি পড়ে চলেছে। কখন থেকে, কে জানে! হালদারদের দেড়শো বছরের পুরনো জোড়া শিব মন্দিরের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা মহানিম গাছখানা তার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একেবারে কাকভেজা ভিজছে চুপটি করে। চেতনালোকে ঝোড়ো হাওয়ার বেগে ঝাপটা দিয়ে গেলো পদাবলি –
‘এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা
কেমনে আইলো বাটে।
আঙ্গিনার মাঝে বঁধূয়া ভিজিছে
দেখিয়া পরাণ ফাটে’
আহা! আহা! আমার বিরহবিলাসী মন মুহূর্তে আন্দোলিত হয়ে ওঠে…
‘এ সখি হামারি দুখের নাহিকো ওর।
এ ভরা বাদর মাহ ভাদর
শূন্য মন্দির মোর’
সেই মুহূর্তেই বুঝেছি, আজ আর কাজ হবে না কোনও… 'রইল পড়ে পসরা মোর পথের পাশে'। আজ ‘এইখানে বাঁধিয়াছি ঘর/ তোর তরে কবিতা আমার…’
তারপরে সারাদিন ধরেই শুধু বর্ষাযাপন… ‘তোমার বাঁশীটি বাজাও’ – ওগো আমার পরাণ বঁধুয়া, আমার গোপন প্রেমিক…আমার সুদূরের মিতা...
যাবার বেলায় শুধু জানিয়ে যাই, প্রকাশিত হলো ঋতবাক অষ্টম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা।
ভালো থাকুন সকলে
শুভেচ্ছা নিরন্তর…
0 comments: