1

ধারাবাহিক - সোমঙ্কর লাহিড়ী

Posted in


ধারাবাহিক


পায়ের শব্দ 
সোমঙ্কর লাহিড়ী




চার কামরার ফ্ল্যাটের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো ঘরটা অ্যান্ডি শোয়ার জন্য বেছে নিয়েছে। আরো একটা কারণ, এই ঘরটায় সুর্যের আলো প্রায় পৌছয় না বললেই হয়। অ্যান্ডি কোনো সাহেব সুবো নয় নিতান্তই বাঙালী পরিবারের ছেলে। বাবা মা তাড়িয়ে দিতে নাকি বাধ্য হয়েছিল যখন ও ক্লাস টুয়েলভে পড়ে। কারণ একটা ক্লাস টুয়েলভের ছেলের কাছ থেকে প্রবল প্রাপ্তমনষ্ক ধাক্কাটা তাঁরা ও তাঁদের ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দারা ঠিক সহ্য করতে পারেনি। 

অবস্থাপন্ন বাবা মায়ের ছোটো ছেলে লুকিয়ে মদ খাবে বাপের বোতলের তলানি সেটা স্বাভাবিক, মানাও যায়। গাঁজা অবধি না হয় কষ্টে শিষ্টে মানিয়ে নেওয়া গেল। গন্ধটাই যা খারাপ। কিন্তু যখন বাড়ীর ছেলে ঐ একই আপার্টমেন্টের অন্য একটি সমবয়েসই মেয়েকে নিয়ে পাতা ফাতা খেয়ে বিল্ডিঙের ওভারহেড ট্যাঙ্কে উদোম হয়ে জলকেলি করতে গিয়ে বান্ধবীকে প্রায় মৃত্যুর মুখে নিয়ে গিয়ে ভুলে যায় যে সে কোথায় আছে এবং নিজে ফ্ল্যাটে ফিরে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন সেটা জাস্ট নেওয়া যায়না। 

অনির্বান মৌলিককে তাঁর বাবা অনিকেত মৌলিক ও মা মানসী মৌলিক এর পরে বাড়ি থেকে বার করে দেন বাধ্য হয়ে। সেই মৌটুসি চৌধুরীর বাবা মা আর পুলিস কেসে যাননি। পুরো ব্যাপারটাই সোসাইটির প্রোমটার/সেক্রেটারী বিনয় মালকানি সামলে দিয়েছিলেন, নিজের ক্ষমতা টমতা ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়ে। 

অনির্বান বাড়ি থেকে ঘাড়ধাক্কা খেয়ে খুব যে মুষড়ে পরেছিল তা নয়। চিন্তা শুধু নেশার টাকা। খাওয়া দাওয়া মোটামুটি চেয়ে চিন্তে বন্ধুবান্ধবদের থেকে হয়ে যাচ্ছিল। শুধু নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য আনির্বান অ্যান্ডি হলো তার বন্ধুদের স্বপ্নের ব্যান্ডের লীড সিঙ্গার, সেখান থেকে মাচা সম্রাট আখ্যা লাভও হলো। তারপরে টাকা আসতে শুরু করল বেশ তোড়ে। কারণ ওদের দল “আর্মাডিলো” ততদিনে ফেমাস বা মাচাখ্যাত। 

মাত্র বাইশ বছর বয়েসে বিভিন্ন রকম ভাবে তার ও তাদের হাতে যে পরিমাণ টাকা এল তা দিয়ে পৃথিবী সব রকমের নচ্ছারপনা করা যায়। অ্যান্ডি বোধহয় বাড়ি থেকে বিতাড়িত ছিল বলেই একটা পেল্লায় ফ্ল্যাট কিনেছিল নিজের টাকায়। এই অবধি শুনে মনে হতেই পারে মডার্ন রূপকথা বুঝি, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। 

পৃথিবীর সমস্ত ব্যাপার ঘটার পিছনে একদল সলতে পাকানোর লোক থাকে। অ্যান্ডিদের দলের সেই সলতে পাকানোর কাজটা করত কাঞ্চন ঘোষদস্তিদার। পেশায় সি এ, নেশায় গান পাগল। আর তার বৌ অ্যান্ডিতে পাগল। ফলে পরিচিত জনা কয়েক ইম্প্রেসারিও যাদের ফাইল টাইল কাঞ্চন ঘোষদস্তিদার দেখেন তাদের নিয়ে মিটিং। বাকীটা অ্যান্ডির গায়ন ক্ষমতা আর বাকীদের বোধহয় কপাল। তা নাহলে চার বছরে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়। ভারতের সব বড়ো শহরে নিয়মিত শো, সিডি, সিনেমা সিরিয়ালে গান, ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট এইসব করে বিপুল টাকার মালিক হওয়া তো আর ছেলেখেলা নয়। 

কাঞ্চন যখন অ্যান্ডির ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল তখন অ্যান্ডির শোবার ঘর থেকে বেশ জোরে নাক ডাকার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কাঞ্চনের ভুরু দুটো কুঁচকে গেল। অ্যান্ডির তো নাক ডাকে বলে তার জানা নেই! তাহলে এই বেলা দশটার সময় কে নাক ডাকে ঐরকম কুম্ভকর্ণের মতো? 

অ্যান্ডির ঘরের দরজা খুলে কাঞ্চন দেখল সে তার খাটে একটা কম্বল গলা অবধি চাপা দিয়ে অকাতরে ঘুমচ্ছে, আর তার পাশে একটা বিপুলা পৃথুলা মহিলা চিত হয়ে শুয়ে প্রবল চেষ্টায় নিঃশ্বাস নিতে ও ছাড়তে চেষ্টা করছে। যেটাকে লোকে নাকের ডাক ও বলতে পারে। ঘরে এ সি চলার দরুন ঘরটা বেজায় ঠাণ্ডা হয়ে আছে। সময় নষ্ট না করে অ্যান্ডিকে জাগানোর জন্য কাঞ্চন আধ গ্লাস জল ওর কপালে ধীরে ধীরে খানেকটা উপর থেকে ঢালতে শুরু করল। 

জলের স্পর্শ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ডি প্রথমে একটা খিস্তি করে লাফিয়ে উঠল, গায়ের কম্বল গেল পড়ে। কাঞ্চন অন্যদিকে মুখটা ঘুরিয়ে বলল, 

বাগডোগরার ফ্লাইট কটায় খেয়াল আছে? 

আঁই যাবো না বাঁ.. 

কথাটা শেষ হওয়ার আগে সেই পৃথুলার দিকে চোখ গেল অ্যাণ্ডির, থমকে গিয়ে বলল, 
এটা কে? 

কাঞ্চন ওর দিকে না তাকিয়ে বলল, 

এটা কে শুধু নয়, এটা কি বল। আর কিছু একটা পরেনে। 

অ্যান্ডির কিছুতেই মনে পড়ছে না যে বিছানায় শুয়ে যে মহিলা সে কে আর তাকে ও কোথা থেকে জোটালো। 

কাঞ্চন ঘোষদস্তিদার হাতের গ্লাসটা রেখে বলল, 

অনেক টাকার ব্যাপার। টীমের বাকীরা রেডী। ওরা ঠিক টাইমে দমদম এ পৌঁছে যাবে। আমি তোকে ঠিক দশ মিনিট সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে এই সব ঝামেলা ফ্ল্যাট থেকে হাটা। আর তৈরী হয়েনে। 

অ্যান্ডি কাঞ্চনকে বোঝাবার চেষ্টা করতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চন ড্রয়িং রুমে গিয়ে কড়া গলায় বলল, 

দশ মিনিট। আর টাকার পরিমাণটা মনে রাখিস, একরাতের জন্য দেড়লাখ। আসা যাওয়া থাকা ইত্যাদি পার্টির। কমিটমেন্ট না রাখতে পারলে টাকা তো পাবিই না, উল্টে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। আর বাজোরিয়া গ্রুপের বা তাদের ভাই ভাতিজাদের কোনও কিছুতে জীবনে আর ডাকবে না তোদের। ঘুরে ঘাস খাওয়া লাটে উঠে যাবে। পাশে শুয়ে থাকা ঐ ধুমসির দালালি করে বাকী জীবন খেতে হবে। যত্তোসব! 

অ্যান্ডি বিছানায় মাথার চুল দুই মুঠোয় ধরে বসে রইল। শালা কিছুতেই মনে পড়ছে না মেয়েটা কে। কিন্তু কাঞ্চনদা যেটা বলল সেটা মনে পড়ে গেল। সত্যি তো, কমলা প্রসাদ বাজোরিয়া তাঁদের টি এস্টেটের ভেতরে একটা রিসর্ট না হোটেল কি একটা বানিয়েছেন। সে নাকি এলাহী ব্যাপার। সেখানে আজ রাতে ওপেনিং পার্টি। প্লেনের টিকিট ফিকিট সব দিয়ে ফিফটি পার্সেন্ট অ্যাডভানস করে গেছে, কাঞ্চনদার বন্ধু সুজয়দার মাধ্যমে। এখন ফেল করলে মহাকেলো। গান না হয় গেয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু এই ধুমসি কে নিয়ে কি করা যাবে? 

হ্যাংওভার কাটানোর জন্য বিছানার পাশের বেডসাইড টেবিল থেকে গ্লাসে একটু নীট হুইস্কি ঢেলে এক শটে মেরে দিল। গলাটা জ্বলে গেল একবারে। খকখক করে খানেকটা কেশে সেটা সামলাতে চেষ্টা করল অ্যান্ডি। খুব আবছা মনে পড়ল, গতরাতে একটা সিরিয়ালের পাঁচশ নাইট হীট করার সেলিব্রেশানে গেছিল অ্যান্ডি “নাইট আনলিমিটেডে।” 

সঙ্গে মুকেশদের গ্রুপটা ছিল, সাধারণত এই সব ওয়াইল্ড পার্টির খবর অ্যান্ডিকে দেয় মুকেশ, তারপরে ওরা সেখানে মাল খেয়েছে প্রথমে, তারপরে খেয়েছে গাঁজা, আবার মাল আর তারপরে আর কি খেয়েছে সেটা এখন মনে নেই অ্যান্ডির, সঙ্গে নাচও ছিল উদ্দাম, জকির অনুরোধ অ্যান্ডি একটা কি যেন গান ও গেয়েছিল, এখন মনে পড়ছে না। সেখান থেকে গোটা চারেক মেয়ে তুলেছিল মনে আছে। সংখ্যাটা। কাকে কি রকম দেখতে সেটা তো মনে রাখা সম্ভব নয়। এটা কি সেই লটের কেউ? 

তাই বা কি করে হবে? এই ডবল ডেকারের মতো চেহারা ওদের সঙ্গে গাড়িতে আঁটবে কি করে। যাক গিয়ে অত ভাবলে আবার কাঞ্চনদার গালাগালি জুটবে কপালে। কিন্তু এটাকে তাড়াবে কি করে? 

অ্যান্ডি মেয়েটার পাশে থেকে বলল, 

শুনছ? উঠে পর, তাড়াতাড়ি। অনেক বেলা হয়ে গেছে, আমাকে কাজে বরতে হবে তো? 

কাঞ্চন পাশের ঘর থেকে অ্যান্ডিকে ভেঙ্গিয়ে নীচু গলায় বলল, 

যাও আমার জন্য ব্রেকফাস্ট রেডি কর, আর শোনো তার আগে চান করে ঠাকুর ঘরে পুজোটাও দিয়ে দিও - ঠিক আছে? শাআলা। যত্তোসব জোটে আমারই কপালে। 

কাঞ্চন ঘোষদোস্তিদার সি.এ হিসাবে একটু মিডিওকার বা অর্থোডক্স। কোনও হটশট ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্ট, বা পলিটিশিয়ান বা কোন সেলেব বা ঐ জাতীয় গরমাগরম কোনও কিছু তার ক্লায়েন্ট লিস্টে নেই। কিন্তু তার বাবার ক্লায়নেটেলের প্রায় সবাই তাকে দিয়ে কাজ করায় ও সেই সন্তুষ্টি থেকে তারাও আরও ক্লায়েন্ট রেফার করেছে তাকে। ফলে একটু আসতে ধীরে কাজ করলেও তার অসুবিধা হয় না। ভালোই চলে যায়। নিপাট ভদ্রলোকেদের মতো চেহারা, ও পোষাক পরিচ্ছদ। জীবনে কেউ বোধহয় পাজামা শার্ট পরে পাড়ার দোকানে কিছু কিনতে যেতে দেখেনি। এত পরিপাটি সকাল থেকে রাত অবধি। 

বৌ অলির সাথে বাড়ী থেকে সম্মন্ধ করে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পাঁচ বছর পরেও যখন অনির বাচ্ছা কাচ্ছা হলো না তখন চেক আপ ইত্যাদি করাতে গিয়ে দেখা গেল সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তখন কাঞ্চন বুঝেছিল এই জটিল সংসারে সামাল দেওয়া কত শক্ত, কোথায় লাগে ডেবিট ক্রেডিট, আর কম্পানী ল ইত্যাদি। 

পরিবারের সমস্ত মহিলা আত্মীয়দের একমাত্র চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল কাঞ্চনের বংশরক্ষা কীকরে হবে সেটা। আর সেই সময় ওর বাবা আর মা বাকীদের থেকে অনি আর কাঞ্চনকে বাঁচানোর জন্য একেবারে দেওয়ালের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। 

সেই মা চলে গেল একবছরের মধ্যে। বাবা একা হয়ে গেল। সেই রকম একটা সময় অলি বাবাকে নিয়ে গেছিল একদিন বালিগঞ্জ বিড়লা মন্দিরে। সন্ধ্যা আরতি ইত্যাদি দেখে যখন ফিরবে বলে গাড়ীর কাছে পৌঁছেছে দুজনে ঠিক সেই সময় রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে দেখে একটা কিশোরকে। ময়লা জামা প্যান্ট, গায়ে সাত রাজ্যের ধুলো, দুর্গন্ধ, কষের থেকে ফেনা গড়িয়ে পড়ছে। উষ্কোখুস্ক চুল, গালে রোঁয়া রোঁয়া দাড়ি গোঁফ। অলি চিনতে পারে সেই আবছায়াতেও। 

কাঞ্চনের বাবাকে ফিসফিস করে বলে, 

বাবা, ছেলেটা অনি, অনির্বান। আমাদের কমপ্লেক্সে থাকে। 

অলির শ্বশুরমশাই একটু চিন্তিত মুখে জিজ্ঞাসা করলেন, 

কি করবে, তুলে নিয়ে গিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক করে বাড়িতে ফিরত দেবে? নাকি এই অবস্থায় ছেড়ে চলে যাবে। যেটা বলবে তুমি। 

অলিকে খানেকটা দ্বীধাগ্রস্থ দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, 

বাবা মার নম্বরটা আছে? ফোন কর। ভদ্রলোকের বাড়ীর ছেলে নেশা করে পথে পরে থাকবে আর তুমি আমি লোকে কি ভাববে এই বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাবো তা কি হয়। ফোন কর। 

ড্রাইভারকে নির্দেশ দিলেন, 

একটু নজর রাখ তো বিশু, বৌমা ফোনটা করে জেনে নিক। 

অলি ফোন করে ওর মায়ের থেকে জানতে পারল বাকী ব্যাপারটা। বলল ওর শ্বশুরমশাইকে। উনি শুনে হেসে বললেন, 

এবারে তো তোমার ডিসিশান নেওয়ার পালা। 

বিয়ের আগে কমপ্লেক্সের স্মৃতি অলিকে দূর্বল করে দিচ্ছিল ক্রমশ। শেষবারের মতো বলল অলি, 

আপনার ছেলে যদি কিছু মনে করে? 

কিরণ ঘোষদস্তিদার একটু হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, 

দেখা যাক। 

তারপরে অনেক হুজ্জত হ্যাঙ্গামা করে অনির্বানকে বাড়িতে আনা। তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা, ও সাময়িক সুস্থ হয়ে ওঠা। ওর গান আবার শুরু করা। ওর বাকী সব শয়তানি মেনে নিয়েও কিছুদিন কাছে রাখা। এই সব করতে করতে কাঞ্চন নিজেও কখন যে অনির্বানকে ভালবেসে ফেলেছে তা মনে করতে পারেনা। অলি লজ্জা পায় যখন ওর নেশা করে শয়তানি করার খবরগুলো তার কানে আসে। তবে প্রথম রোজগারের টাকায় কাঞ্চনের বাবাকে একটা কাজ করা লাঠি, কাঞ্চনকে একটা বেজায় দামি পেন আর অলিকে একটা গরদের শাড়ী যখন দিয়ে প্রণাম করেছিল। সেটা খানেকটা বাংলা সিনেমার মতো মনে হয়েছিল কাঞ্চনের। সেই পেনটা কিন্তু কোনওদিন কাছ ছাড়া করেনি তারপর থেকে। 

অ্যান্ডি একটা তোয়ালে কোনও রকমে জড়িয়ে বাথরুমের দিকে যেতে যেতে বলল, 

কাঞ্চনদা, মালটাকে বুঝতে পারছি না, আর উঠছেও না। কি করি? 

কাঞ্চনের কিছু কিছু সময় অনির্বানকে মেরে, কেটে, কামড়ে, খামচে, পুড়িয়ে, সব কিছু করে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করে এইটা সেই রকম একটা সময়। 

খুব গম্ভীর মুখে বলল, 

তোর বন্ধুরা কিন্তু আমাকে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এয়ারপোর্টের দিকে রওনা হয়ে গেছে। তোর জন্যে কিন্তু প্লেন দাঁড়িয়ে থাকবে না। আর এই সব ইতরামো করে আমায় সেটা বলতে তোর লজ্জা করে না? তোর অলিদি জানতে পারলে... 

কাঞ্চনের কথা শেষ হয়না অনির্বান বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দেয়, তারপরে দরজাটা আবার একটু খুলে বলে, 

স্টারেরা শেষেই ঢোকে। 

বলে দরজাটা আবার বন্ধ করে দেয়।

1 comment:

  1. বাঃ । শুরুটা বেশ ভাল তো !

    ReplyDelete