0

প্রবন্ধ - ধূপছায়া মজুমদার

Posted in


প্রবন্ধ


প্রতিবন্ধকতা ও আমরা
ধূপছায়া মজুমদার 


আলোচনার শুরুতেই কিছু ঘটনা জেনে নিই চলুন। 

ঘটনা : ১:
আলোলিকা বাবামায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা মা কাকা কাকীমা সবার সঙ্গে একই বাড়িতে হইহই করে দিন কাটতো তার। ছবিটা একটু বদলে গেল কয়েক বছরের ব্যবধানে তার বাবা মা দুজনেই গত হওয়ার পর। বাড়ির মধ্যে কি ঘটতো জানার উপায় নেই, তবে এক বৃষ্টির সন্ধ্যায় আলোলিকাকে পাওয়া গেল তার বাড়ির বাইরে, খোলা আকাশের নীচে। কোনও সহৃদয় মানুষের চোখে পড়েছিল সে, তাই তার প্রাণ মান দুইই বাঁচলো, স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তার নিকটাত্মীয়রা সম্পত্তির দলিলে সই করিয়ে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। একটা ছোট্ট তথ্য দিই, জন্মাবধি আলোলিকা মূক এবং বধির।


ঘটনা : ২ :
শিক্ষকতা তন্ময়ের স্বপ্নের পেশা। ছোট্টবেলা থেকেই সে দেখেছে, তার বাবা এক নামকরা সরকারী স্কুলের বিখ্যাত শিক্ষক, সবার শ্রদ্ধার পাত্র। সরকারী স্কুলের শিক্ষক হওয়ার লক্ষ্যে সে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে নিজের স্বপ্নপূরণের দিকে। এরপর চাকরির পরীক্ষা ইণ্টারভিউ ইত্যাদির পালা এলে তাকে মাটিতে আছড়ে পড়তে হয়। কারণ, সে আজন্ম সেরিব্রাল পালসি নামক একটি রোগের শিকার, যে রোগ তাকে নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটুকুও কোনওদিন দেয়নি। কাগজে কলমে 'বিশেষভাবে সক্ষম' চাকরিপ্রার্থীদের জন্য হরেক সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কার্যক্ষেত্রে "তুমি হুইলচেয়ার ছাড়া চলতেই পারো না, দোতলার ক্লাসে ক্লাস নিতে হলে তুমি কিভাবে ম্যানেজ করবে?" এরকম নানা প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে বারবার ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হয়।


ঘটনা : ৩ :
বছর বারোর একটি ছেলে রোজ সকালে মায়ের সঙ্গে স্কুলে যায়, 'নর্ম্যাল' স্কুল নয়, সে 'স্পেশাল চাইল্ড', তাই যায় 'স্পেশাল' স্কুলে। যাতায়াতের সময় এবং রুট, দুইই নির্দিষ্ট থাকায় অটোস্ট্যাণ্ডের সব ড্রাইভার মোটামুটি মুখচেনা, তাই পিছনের সিটে মায়ের কোলের কাছে সেই ছেলে রোজই জায়গা পায়। একদিন হলো কি, এক সুবেশা যুবতী অটোয় আগেই উঠে বসেছিলেন। এরা মা-ছেলে গিয়ে তার পাশে বসলো। ছেলেটির বোধহয় সেদিন মনমেজাজ খুব একটা ভালো ছিল না। খুব স্বাভাবিক, রোজ যে মেজাজ ভালো থাকতেই হবে, এমন নয়, অকারণে মুড অফ সবারই হয়। তা, সবার সঙ্গে এই ছেলেটির তফাৎ এই যে, আর পাঁচজন 'নর্ম্যাল' মানুষের মতো সে মনের ভাব লুকিয়ে দেঁতো হাসি হাসতে শেখেনি, তাই সে তার মুড অফের বহি:প্রকাশ অটোয় বসেই করে ফেলছিল, মায়ের গায়ে দু'চারটে চড়চাপড় এবং জড়ানো স্বরে নিজের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে। মা তাকে শান্ত করার অনেক চেষ্টাই করছিলেন, ধৈর্য হারালেন পাশে বসা সুবেশা যুবতী। না, মা বা ছেলেকে কিচ্ছু বললেন না, "ডিসগাস্টিং! এসব ইডিয়ট কোত্থেকে এসে জোটে কে জানে!" নাকে রুমাল চাপা দিয়ে এই স্বগতোক্তিটুকু করে অটো থেকে নেমে অন্য অটোর খোঁজ করতে লাগলেন। 


ঘটনা : ৪ :
গত বছরের গোড়ার দিকে খবরে এসেছিলেন আদিত্য তিওয়ারি নামে আঠাশ বছর বয়সী এক যুবক। প্রায় বছরখানেক ধরে ভোপালের এক অনাথাশ্রম থেকে একটি বছর দেড়েকের শিশুকে দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করে অবশেষে সফল হয়েছিলেন তিনি। তথ্যটি এখানে উল্লেখ করার কারণ, দত্তক নিতে চাওয়া শিশুটি ডাউন'স সিন্ড্রোম নামে এক জেনেটিক রোগের শিকার, যার ফলে কিছু ডেভেলপমেন্টাল ডিলে দেখা দেওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা। এছাড়া হার্টের সমস্যাও আছে। মোদ্দা কথা, সে 'স্পেশাল চাইল্ড'। আর এই সত্যিটা জানার পর তার জন্মদাতা বাবা মা জন্মের কয়েকদিন পরেই তাকে এক অনাথাশ্রমে দান করেন। আর্থিক দুরবস্থা কিন্তু এর কারণ নয়। যথেষ্ট ধনী বাবামায়ের তৃতীয় সন্তান সে, ডাউনস্ সিন্ড্রোম নিয়ে জন্মানোর কারণেই সে তার পরিবারে অবাঞ্ছিত। আবার এই একই কারণে তাকে দত্তক নেওয়ার জন্য এক বছর বিভিন্ন মন্ত্রকের কাছে ছুটোছুটি করে বেড়িয়েছেন আদিত্য তিওয়ারি! 


উপরোক্ত চারটি ঘটনার মধ্যে তিনটির চরিত্রদের নাম কাল্পনিক, কিন্তু ঘটনাগুলো নির্মম সত্য। চতুর্থ ঘটনাটির শেষাংশ ব্যতিক্রমী হলেও প্রথমাংশ মোটেই নয়, প্রতিবন্ধী সন্তানকে অনাথাশ্রমে দিয়ে না এলেও, জীবনভর তাকে অবহেলা করছেন, এমন বাবা মায়ের দৃষ্টান্ত মোটেই বিরল নয়। 


এই ঘটনাগুলো আমাদের দাঁড় করায় বেজায় মজার একটা প্রশ্নের সামনে, কোন্ মানুষগুলো বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন? প্রকৃতির খেয়ালে যাদের শারীরিক বা বৌদ্ধিক বিকাশে ঘাটতি রয়ে গেছে, তারা, নাকি যে মানুষগুলো নিজেদের ঈশ্বরের আশীর্বাদে বলীয়ান মনে ক'রে সেই অহঙ্কারে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে লড়াই করা মানুষগুলোর বেঁচে থাকাকে আরও দুর্বিষহ করে তোলে প্রতিনিয়ত, সেইসব তথাকথিত 'স্বাভাবিক' মানুষেরা, কারা প্রকৃতপক্ষে 'প্রতিবন্ধী'?


কিছুদিন আগে আমরা হইহই করে পালন করলাম শিশুদিবস, ক'দিন পরেই আসছে 'বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস', সেদিনও বেশ উদ্দীপনার সঙ্গেই 'বিশেষভাবে সক্ষম' মানুষদের সঙ্গে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনে ভিড় জমাবেন প্রশাসন ও রাজনীতির বিভিন্ন স্তরের মানুষজন, ফুল চকলেট, হুইলচেয়ার, বই-খাতা, মোটিভেশনাল স্পিচ ইত্যাদি দান করে সবাই নিজের নিজের কর্তব্য সারবেন। আবার এক বছরের অপেক্ষা, আরেকটা 'বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস' এলে আবার মনে হবে, "ওদের জন্য কিছু না করলে খারাপ দেখায়"! বাকি দিনগুলোয়? সেই একই অবহেলা, বিদ্রূপের তির, ব্যঙ্গ পরিহাসে মানুষগুলোকে কোণঠাসা করা কিংবা অহেতুক করুণা দেখিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। 


২০১১ সালের জনগণনা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যার ২.২১ % হলেন প্রতিবন্ধী, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী, হাঁটাচলার সমস্যা আছে এমন মানুষ, মানসিক প্রতিবন্ধী (আন্তর্জাতিক স্তরে অবশ্য মানসিক প্রতিবন্ধকতা বা মেন্টাল রিটার্ডেশনের বদলে এখন ইন্টেলেকচুয়াল ডিসএবিলিটি শব্দটি ব্যবহৃত হয়), মানসিকভাবে অসুস্থ এবং মাল্টিপল ডিসএবিলিটিযুক্ত মানুষেরা। 


সরকারের পক্ষ থেকে এঁদের সকলের সুবিধার জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা, আইন ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে, খাতায় কলমে সেব্যাপারে খুব একটা ঔদাসীন্য চোখে পড়ে না। সত্যি কথা বলতে কি, বিভিন্নরকম প্রতিবন্ধকতা যুক্ত মানুষদের জন্য কি কি আইন আছে, কিভাবে সেই আইন কাজে লাগিয়ে একজন প্রতিবন্ধী মানুষ সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারবেন, এসব আলোচনা এই প্রবন্ধের উপজীব্য নয়, এবিষয়ে সম্যক জ্ঞানও এই অধমের নেই। তবে প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের কাছে অনুরোধ রাখছি। 


কেবল আইন দিয়ে তো কাজ চলে না, আইন প্রয়োগ করার জন্য সুস্থ বোধসম্পন্ন নাগরিকদেরও প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশ এখনও যথেষ্টসংখ্যক সুস্থ বোধসম্পন্ন নাগরিক উৎপাদন করতে পারেনি। কাজেই আইন রয়ে যায় আইনের জায়গায়, যাদের জন্য আইন তাদের ভাগ্যে জোটে কেবল উপহাস আর অবহেলা। সুবিচার চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হলে নিয়মের বেড়াজালে আটকে হাঁসফাঁস করতে হয়। 


এবার একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে আসা যাক। একজন মানুষের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে তাঁর আশেপাশের মানুষের কি মনোভাব, সেই বিষয়ে একটু আলোচনা করা যাক, নাকি? 
একটি শিশু যখন জন্মগত শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তখন শুরু হয় শিশুটির বাবামায়ের ভাগ্যকে দোষারোপ করার পালা। "আমি কি দোষ করেছি ঠাকুর যে এত বড় শাস্তি আমায় দিলে?" ইত্যাদি নানা সুরে বিলাপ চলে কিছুদিন। এসব অর্থহীন প্রলাপের মাঝে অবহেলিত হয় শিশুর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি। যখন বাবা-মা হুঁশ ফিরে পান, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে।


এর সঙ্গে যোগ হয় আত্মীয় ও পাড়াপ্রতিবেশীর অনাবশ্যক কৌতূহল। 
"ও নিজে হাতে খেতে পারে? পেচ্ছাপ পেলে বলতে পারে? হাঁটতে তো একেবারেই পারে না, রাস্তায় নিয়ে বেরুচ্ছ কোন আক্কেলে? নর্ম্যাল স্কুলে দিচ্ছ যে, পড়ার চাপ সামলাতে পারবে না তো!" এমন আরও অগুনতি প্রশ্নের বাণ ধেয়ে আসে বাবামায়ের দিকে, শিশুটির বড় হওয়ার প্রতি ধাপে।
শুনলে মনে হবে, আহা রে, কত্ত ভাবনা বাচ্চাটার জন্য! এই শুভানুধ্যায়ীদের যদি একঘন্টার জন্য বেবিসীটিং-এর অনুরোধ করা হয়, সিংহভাগ ক্ষেত্রে উত্তর কি আসবে, যাঁদের অভিজ্ঞতা আছে তাঁদের আর বলে দিতে হবে না, যাঁরা অভিজ্ঞ নন, তাঁরাও আশা করি আন্দাজ করতে পারছেন! ব্যতিক্রমী মানুষজন অবশ্যই রয়েছেন, তাঁরা রয়েছেন বলেই পৃথিবী এখনও বাসযোগ্য আছে। 


এরপরের ধাপ হলো মা-বাবার আড়াল ছেড়ে শিশুটির বাইরের জগতে পা রাখা। এই পর্যায় থেকেই একজন 'বিশেষভাবে সক্ষম' (Differently abled, এই শব্দটি 'Disabled' বা 'প্রতিবন্ধী' শব্দের চেয়ে অনেক বলিষ্ঠ) মানুষের আসল পরীক্ষা শুরু হয়। "তুই হেরো", "তোর দম নেই", "ও জড়বুদ্ধি, পিছিয়ে পড়া বাচ্চা", "তোর তো হ্যান্ডিক্যাপড কোটা আছে, পড় না পড় চাকরি বাঁধা", এমন সব বিচিত্র উক্তি এবং মতবাদ শিশু অথবা কিশোরটিকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় সর্বক্ষণ। সাধারণ স্কুলে ভর্তি হলে সেখানকার 'স্বাভাবিক' সহপাঠীদের কৌতূহল, লাঞ্ছনা, কিছু সঙ্কীর্ণমনা শিক্ষকের কাছে পাওয়া করুণামিশ্রিত অবজ্ঞা মানুষটিকে ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে। আর তার যদি বৌদ্ধিক বিকাশের ঘাটতি (Intellectual Disability) থাকে, তবে তো কথাই নেই, সহপাঠীদের লাঞ্ছনা যে কতটা নির্মম হতে পারে তা না দেখলে ধারণা করা সম্ভব নয়। 


এখানেই নিয়ে আসছি একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ : স্পেশাল চাইল্ডদের সঙ্গে অন্যান্য বাচ্চাদের স্বাভাবিক বন্ধুত্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে অভিভাবকদের ভূমিকা। একটি শিশু বা বালক, সে একতাল মাটি বৈ আর কিছু নয়। তাকে তার পরিবার পরিবেশ যেভাবে গড়বে, সে সেভাবেই তৈরি হবে। একটি সুস্থ বুদ্ধিমান বাচ্চা এবং একটি বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চা, যাদের সাধারণ মানুষ 'অ্যাবনর্মাল' বলে অভিহিত করে দায় সারেন, এরা দুজন পাশাপাশি থাকলে দু'ধরনের তুলনা চলে আসে। প্রথমত, দুজনের শারীরিক ক্ষমতা বুদ্ধি বিকাশ ইত্যাদির তুলনা, যার প্রভাবে বুদ্ধিমান বাচ্চাটি নিজেকে সুপিরিয়র বলে ভাবতে শেখে, এবং অবধারিতভাবে তার মনে আসে অন্য বাচ্চাটির প্রতি করুণামিশ্রিত অবজ্ঞা। দ্বিতীয়ত, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্য বাচ্চাটির না পারা গুলোকে অনেক বেশি হাইলাইট করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার অভিভাবকরাই এটা করে ফেলেন হতাশা থেকে। সে হয়তো বাকশক্তির অভাবে মনের ভাব বলে বোঝাতে পারে না, হয়তো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার নিয়মকানুন অতটা রপ্ত করতে পারেনি, কিন্তু সে যে রং পেন্সিলের আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে অসামান্য কিছু ছবি, সেই খবরটা সবার কাছে পৌঁছে দিতে অভিভাবকরা ভুলেই যান! অথচ এই ছবি আঁকার ক্ষমতা কিন্তু তার একটি বিশেষ গুণ, যেটাকে প্রাধান্য দিলে তার নিজের প্রতি বিশ্বাস আর অন্যদের তার প্রতি শ্রদ্ধা, দুটোই অনেক বেড়ে যাবে। এই প্রয়াসে এগিয়ে আসতে হবে সব অভিভাবকদেরই।


সময় বদলাচ্ছে, প্রচলিত অনেক ভিত্তিহীন ধ্যানধারণাকে আমরা যুক্তির আলোয় নেড়েচেড়ে দেখছি, গ্রহণযোগ্য না হলে তাদের বাতিল করছি। নতুন প্রজন্মের অভিভাবকরা, আসুন না, শারীরিক হোক বা মানসিক, যেকোনওরকম প্রতিবন্ধকতার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকেও একটু উল্টেপাল্টে দেখতে চেষ্টা করি। 'Every Child is unique', এই তত্ত্বে আস্থা রেখে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিই। তথাকথিত 'সুস্থ' মানুষরা যদি সত্যিই সুস্থ মানসিকতার পরিচয় দিয়ে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ান, ব্যঙ্গ বা লাঞ্ছনা নয়, আশ্বাস আর বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন, সহানুভূতির পাশাপাশি সমানুভূতিও ব্যক্ত করেন, তবে আগামী পৃথিবী আরেকটু বিশুদ্ধ হয়ে উঠবে, বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানদের অভিভাবকরা কিছুটা শান্তিতে চোখ বুজতে পারবেন।। 


তথ্যসূত্র :

0 comments: