0
undefined undefined undefined

মুক্তগদ্য - স্মৃতি চট্টোপাধ্যায় সমাদ্দার

Posted in


মুক্তগদ্য


আর রেখো না আঁধারে আমায় 
স্মৃতি চট্টোপাধ্যায় সমাদ্দার


কৃষ্ণা একাদশীর তমসাময়ী রাত... সারা আকাশপথ জুড়ে একটাই সুরের কাঁপন... নক্ষত্রলোককে দিল ছুঁয়ে। দু একটা নক্ষত্র সেই কাঁপন বুকে নিতে না পেরে ঝরে পড়ল...। সৃষ্টি হলো অতল গহন গহ্বর... মৃত্তিকা বড়ো সহননশীল... তাই ভেতর বুকে নিয়ে নিল জ্বলন্ত ঊল্কাকে--- "অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ হবে"... ঝুম ঝুম ঝিম ঝিম... গুন্ঠনে ঢাকা ও কে? 

অকস্মাৎ আদ্রা অথবা মৃগশিরা...কারও দেহ থেকে... তির্যক আলোক রেখা ঘিরে ফেলে অবগুণ্ঠনবতীকে...। ক্ষুধিত শার্দুল তাড়িত হরিণীর মত ক্ষিপ্র পদে এগিয়ে চলে সে অতল গহবরের দিকে... চারপাশ জুড়ে হিমায়িত নৈঃশব্দ--- "অবনী বাড়ি আছ..." কালো গহ্বরের দ্বারে দাঁড়িয়ে আজানুচুম্বিত কেশ ছড়িয়ে এই আহ্বান সে ছুঁড়ে দেয় অশনির মতন... ঊর্দ্ধবাহু হয়ে..." অন্ধকারে বেজে ওঠে যেই, চেয়ে দেখি কেহ কোথা নাই..."। ও!!

"অনন্ত কূয়ার জলে চাঁদ পড়ে আছে" গুণ্ঠনহীনা বাড়িয়ে দেয় হাত... সুরের কম্পন যায় দ্রুত থেকে খাদে... ধৈবতে... পঞ্চমে---" উজ্জ্বল বিধবা ঝোলে একটানা দীর্ঘ জামগাছে" এসো... ধরো... অন্ধকারের বন্ধন ভয় আমারও আছে..." আলোক চাইতে তোমার কাছে যেতেই হবে বিড়ম্বনা হয়তো তখন রইবে হাতে আলোক মাত্র একটি কণা" ...রাত্রির চেতনে লাগে আঘাত... কার হাত! 

ভালবাসা বাড়িয়েছিল হাত... হায়..."ভালবাসা তার কাছ ক্রমাগত ভীষণ অসুখ" ...আকাশপথ জুড়ে সুরের সে কাঁপন এবার দুই কুটুরীর ফাঁকে... ক্রমাগতভাবে পরিবর্তন করে স্থান...। ফাঁকটুকু হলো রুদ্ধ... তীব্র পঞ্চম এবার... কম্পন... শুধুই কম্পন...। ভাল থাক হৃদয় আমার--- যোজন দূরত্ব থেকে আলোক তরঙ্গ এবার ভেঙ্গে পড়ে... ভেঙ্গে পড়ে--- অতল গহবর থেকে ভেসে আসে ভৈরব স্বর..."ভালো রাখার কে সে? জীবন মরণ সবটুকু যায় নদীর জলে ভেসে দুঃখ ও সুখ দুজনে যায় বাণের জলে ভেসে ভালোরাখার কে সে? তখন ভালোরাখার কে সে?" 

বাড়ান হাত ধরে অতল - নিতল থেকে উঠে আসে কবি... শঙ্খ বাজে... লাজ বর্ষিত হয়--- ক্ষিপ্রপদে পিছু হাঁটে গুণ্ঠন হীনা...। আকাশ গঙ্গা সুধা ধারায় ভরিয়ে দেয় আকাশপথকে..." এই তো তোমার প্রেম ওগো হৃদয় হরণ এই যে পাতায় আলো নাচে সোনার বরণ... সোনার বরণ...বরণ..।। 

কৃতজ্ঞচিত্ত :- শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও সুধীন দত্ত


0 comments: