0

প্রচ্ছদ নিবন্ধ - চয়ন

Posted in


প্রচ্ছদ নিবন্ধ


ক্রোধ - অক্রোধ
চয়ন 

শ্যামাপূজার প্রাক্কালে সম্পাদকীয়া আদেশ করলেন যে প্রচ্ছদ নিবন্ধ রচনা করতে হবে। ভাবলাম প্রসন্ন চিত্তে সবাইকে জানাব প্রীতি ও শুভেচ্ছা। রচনা করব বরাভয়দায়িনী, ভবতারিণী নাম্নী রূপকল্পের কোন টীকাভাষ্য। কিন্তু, লেখা শুরু করার ঠিক আগের মুহূর্তটিতে চোখ পড়ল বিজয়াদশমীর দিন জীবনসঙ্গীর হাতে খুন হওয়া মেধাবিনী মিতা দাসের শবদেহের ছবির ওপর। মনে পড়ল গত ১৫ই সেপ্টেম্বর দিল্লীতে ধর্ষিতা শিশুটির কথা আমাকে জানিয়ে আমার বোনের আকুতির কথা : "এগারো মাস দাদা! এগারো মাস বয়স ওর। কত ওজন হবে? পাঁচ কে.জি.? ও তোমার মেয়ে হতে পারত। আমার মেয়ে হতে পারত।" চিত্তের প্রসন্নতা আর রইল না। তার স্থান নিল প্রচণ্ড ক্রোধ। ভবতারিণীর রূপের পরিবর্তে আরেক কল্পবিগ্রহমূর্তির চিত্র উদিত হ'ল মানসপটে। ভীষণা, রক্তলোলুপা, খর্পরধারিণী, প্রলয়ঙ্করী কালিকার মূর্তি। বারবার মনে পড়তে লাগল স্বামী বিবেকানন্দের এক রচনার কথা। ১৮৯৮ তে লেখা। Kali The Mother। যন্ত্রণারূপিণী, বিনষ্টি রূপিণী, মৃত্যুরূপিণী দেবীর বন্দনা। নিবেদিতা লিখেছেন এই লেখা শেষ করেই স্বামীজি অজ্ঞান হয়ে যান। 

Kali The Mother

The stars are blotted out
The clouds are covering clouds
It is darkness vibrant, sonant.
In the roaring, whirling wind,
Are the souls of a million lunatics,
Just loosed from the prison house,
Wrenching trees by the roots
Sweeping all from the path.
The sea has joined the fray
And swirls up mountain waves,
To reach the pitchy sky.
The flash of lurid light
Reveals on every side
A thousand, thousand shades
Of death, begrimed and black.
Scattering plagues and sorrows,
Dancing mad with joy,
Come, Mother, Come! 
Death is Thy brearh.
And every shaking step
Destroys a world for e'er.
Thou 'Time ' the All Destroyer!
Come, O Mother, come!
Who dares misery love,
Dance in destruction's dance,
And hug the form of death, --
To him the Mother comes.

এই ভয়ঙ্করী, মহারুদ্রীর বন্দনা মন্ত্র জপ করতে ইচ্ছে হ'ল শঙ্খ ঘোষের ভাষায় : "এমনি করে থাকতে গেলে শেষ নেই শঙ্কার/ মারের জবাব মার/ বুকের ভেতর অন্ধকারে চমকে ওঠে হাড়/ মারের জবাব মার।" 

মন বারবার বলতে লাগল এই মহামারণ যজ্ঞের যথার্থ ঋত্বিক একজনই হতে পারেন। কুঠারধারী পরশুরাম। সমস্যা হ'ল তিনি পুরাণলোকের অধিবাসী। সেই কথনবিশ্বে আমার এই চণ্ড ক্রোধের কোন সঠিক বাকপ্রতিরূপের সন্ধান না পেয়ে দৃষ্টিপাত করলাম বঙ্গসাহিত্যলোকের দিকে। এবং সন্ধান পেলাম সেই পরশুরামের যাঁর কয়েকটি রচনায় অন্তত আমি আমার বর্তমান মানসিকতার প্রতিফলন স্থানে স্থানে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু, এ কি স্বপ্ন, না মায়া, না মতিভ্রম? কারণ, প্রথমত, রাজশেখর বসু একজন 'রসসাহিত্যিক', দ্বিতীয়ত, তাঁর ছদ্মনাম তিনি মোটেই পুরাণের পরশুরামের কথা ভেবে নির্বাচন করেন নি। ১৯২২ সালে এই অভিধা তিনি স্বর্ণকার তারাচাঁদ পরশুরামের নাম থেকে গ্রহণ করেন। কিন্ত, আমি যে দেখতে পাচ্ছি। ১৯৪৫ এ রচিত 'গামানুষ জাতির কথা' কাহিনীতে প্রথমে সমগ্র মানবজাতির বিনাশ কল্পনার পর গামানুষ জাতির সৃষ্টি ও বিলোপের কাহিনী বর্ণনা শেষে উপসংহারের তীব্র শ্লেষ যেন ফুটিয়ে তোলে তাঁর ভ্রুকুটিকুটিল মুখমণ্ডল : "মৃতবৎসা বসুন্ধরা একটু জিরিয়ে নেবেন তারপর আবার সসত্ত্বা হবেন। দুরাত্মা আর অকর্মণ্য সন্তানের বিলোপে তাঁর দুঃখ নেই। কাল নিরবধি, পৃথিবীও বিপুলা। তিনি অলসগমনা। দশ বিশ লক্ষ বৎসরে তাঁর তাঁর ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে না, সুপ্রজাবতী হবার আশায় তিনি বারবার গর্ভধারণ করবেন।" গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে কোন এক সময় রচিত 'গন্ধমাদন বৈঠক' এ প্রায় হুবহু এক কথা : "পরশুরাম বললেন,'... ও সব চলবে না বাপু, আমি এখন বিষ্ণুর কাছে যাচ্ছি। তাঁকে বলব, আর বিলম্ব কেন, কল্কিরূপে অবতীর্ণ হও, ভূভার হরণ কর, পাপীদের নির্মূল করে দাও, অলস, অকর্মণ্য দুর্বলদেরও ধ্বংস করে ফেল, তবেই বসুন্ধরা শান্ত হবেন। আর তোমার যদি অবসর না থাকে তো আমাকে বল, আমিই না হয় আরেকবার অবতীর্ণ হই।" রক্তস্রোতে পৃথিবী ধুইয়ে দেওয়ার কল্পনা যিনি করেন তিনি 'রসসাহিত্যিক'? ১৯৫৩ সালে রচিত 'বালখিল্যদলের উৎপত্তি' কাহিনীতে না পড়ে পণ্ডিত হতে চাওয়া, অপদেবতার প্রভাবগ্রস্ত, ত্রিশঙ্কু ও বিশ্বামিত্রের ভজনাকারী, আশ্রম পোড়াতে অগ্রসর বালখিল্যদের রূপকের আড়ালে দেশের কিছুই না জেনে অর্ধপাচ্য বিদেশী মতাদর্শের অন্ধঅনুসরণকারীদের প্রতি পরশুরামের তিক্ত বিদ্রূপ নির্মমতার রূপ নিয়েছে : "ক্রতু একটু চিন্তা করে বললেন, 'এরা ব্রাহ্মণ সন্তান অপজাত হলেও অধৃষ্য ও অবধ্য, নতুবা মুখে লবণ দিয়ে এদের ব্যাপাদিত করা যেত।" 

'তিন বিধাতা', 'সিদ্ধিনাথের প্রলাপ', 'নিধিরামের নির্বন্ধ', 'গগন চটি', রামরাজ্য' এরকম আরও বহুরচনার নাম করা যেতে পারে যেখানে পরশুরামের কলম কুঠার হয়ে উঠেছে। ১৯৫০ এ রচিত 'ভীমগীতা' তো বিস্তৃততর আলোচনার দাবী রাখে। সে আলোচনার পূর্বে ১৯২৬ সালে রচিত পরশুরামের 'প্রার্থনা' নামক কবিতার অংশবিশেষ একবার পাঠ করা যাক : "যত খুশি দাও ক্ষমা অহিংসা অন্তরে মোর ভরি/ একটি কেবল মনের বাসনা ব'লে রাখি হে শ্রীহরি/ দুর্জন অরি একচড় যদি লাগায় আমারে কভু,/ তিনচড় তারে কশাইয়া দিব মাফ কর মোরে প্রভু।" স্বর্ণকারের নাম ছাড়িয়ে চারবছরের মধ্যেই লেখনীকে খরশান আয়ুধে পরিণত করে ক্রমে ক্রমে পরশুধারী জামদগ্ন্যেরই সমীপবর্তী যে হচ্ছিলেন 'রসসাহিত্যিক পরশুরাম' সে বিষয়ে আর কোন সংশয় বোধ করি থাকা উচিত নয়। বস্তুত: রাজশেখরের দৌহিত্রিপুত্র দীপংকর বসু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, "নিজের সম্বন্ধে এই একটিমাত্র বিষয়ে তাঁকে বারবার বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখেছি... "এটা অত্যন্ত অপমানকর, 'রসসাহিত্যিক' আবার কী? আমি কি হাঁড়িতে রস ফুটিয়ে তৈরী করি?'" শ্রী বসু আরও জানিয়েছেন যে, "বহুবার বিশেষতঃ মানবসভ্যতার সমস্ত কুসংস্কার ও অন্যায়ের ক্ষেত্রে আঘাতের সীমানা ছাড়িয়ে তাঁর লেখা নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার রাজ্যে প্রবেশ করেছে।.... বুঝ যে জন জান সন্ধান।" ক্রোধসঞ্জাত অন্তর্দৃষ্টি সেই সন্ধানই দিল কি আমায়? 

একথা অনস্বীকার্য যে ব্যষ্টি ও সমষ্টির ক্রোধ কোন কোন সময় কল্যাণকর রূপ ধারণ করতে পারে। বেদে 'মন্যু' নামক দেবতার স্তুতি করা হয়েছে; মহাভারতে দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করেছেন, "কথং মন্যুর্ণ বর্ধতে?" ঐ পাষণ্ডদের বিরুদ্ধে আপনার ক্রোধ কেন বেড়ে উঠছে না? ঠিক এই প্রশ্নই পরশুরাম ভীমকে দিয়ে করিয়েছেন তাঁর 'ভীমগীতা' তে : "কৃষ্ণ, তোমার শরীরে কি ক্রোধ বলে কিছুই নেই?" এই কাহিনী পরশুরামের সৃষ্টিবিশ্বে অতি উল্লেখযোগ্য এক স্থান অধিকার করে কারণ এখানে সাহিত্যিক পরশুরাম স্পষ্ট ভাবে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন যা মহাভারতের অনুবাদক রাজশেখর বসুর পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। ভীম সরাসরি কৃষ্ণের প্রতিহিংসাপরায়ণতার সঙ্গে সম্পর্কহীন ধর্মযুদ্ধের তত্ত্বটিকেই চ্যালেঞ্জ করেন; "গোবিন্দ, তুমি নিতান্তই হাসালে। কংসকে মেরেছিলে কেন? জরাসন্ধকে মারবার জন্য আমাকে আর অর্জুনকে নিয়ে গিয়েছিলে কেন? রাজসূয় যজ্ঞের সভায় শিশুপালের মুণ্ডচ্ছেদ করেছিলে কেন? তোমার অক্রোধ কোথায় ছিল? আজ রণক্ষেত্রে অর্জুনের অক্রোধ দেখেও তাকে যুদ্ধে উৎসাহ দিলে কেন?" এই কাহিনীতে পরশুরাম নিজের সঙ্গে নিজেই বোঝাপড়ায় আসতে চান বলে মনে হয়। কারণ ভীম যখন বলেন, " যে লোক পরিণাম না ভেবে ক্রোধের বশে শত্রুকে আঘাত করে, সে হঠকারিতার ফলে নিজে মরতে পারে, তার আত্মীয়রাও মরতে পারে, কিন্তু তার স্বজাতির খ্যাতি ও প্রতাপ বেড়ে যায়"; তখনই আমরা বুঝতে পারি পরশুরাম স্মরণ করছেন যে সংস্কৃত ভাষায় সাহস আর bravery সমার্থক নয়। প্লাতো বা আরিস্তোতল যে নির্ভীক ধীরোদাত্ত বীরত্বকে arete বলতেন সেই বস্তুই ল্যাটিন cor এর হাত ধরে ইংরিজিতে হয়েছে courage। Cor শব্দের অর্থ হৃদয়। কিন্তু সাহস বলতে সংস্কৃত ভাষা কোন মহান হৃদয় বৃত্তিকে বোঝে না। সে যা বোঝে তা হ'ল Courage এর ঠিক বিপরীতার্থক শব্দ : Rashness। আর তাই পরশুরামের 'ভীমগীতা'য় শেষ কথা কৃষ্ণই বলেন, ভীম নয়: "যে ক্রোধের বশে ধর্মাধর্মের জ্ঞান হারায় না এবং অন্যায়ের যথোচিত প্রতিকার করে, সেই শ্রেষ্ঠ পুরুষ।" 

আমার ক্রোধ তবে এতক্ষণে তার প্রস্থানভূমি খুঁজে পেল। হৃদয়াবেগ প্রধান ক্রোধ ন্যায় অন্যায় বিচারে অক্ষম। আর সেই ক্রোধের বশবর্তী হয়ে রক্তস্নানের ইচ্ছা জিঘাংসাবৃত্তি হতে পারে কিন্তু ন্যায় বিচার প্রার্থনা নয়। চিত্তনদী উভয়তবাহিনী -- বহতি পাপায়, বহতি কল্যাণায় চ। আবেগের নদীকে যে দুদিকেই বওয়ানো যায়, একমাত্র মানুষই যে পারে ক্রোধের বেগ উলটো দিকে বওয়াতে : সেই শিক্ষাই পেলাম 'পরশুরাম' রাজশেখরের কাছ থেকে। মহাভারত অনুবাদকারী আমায় ডেকে বললেন, "ন মনুষ্যাৎ শ্রেষ্ঠতর হি কিঞ্চিৎ" : মানুষের চেয়ে বেশী বড় আর কিছুই নেই। 

তাহলে আমি কী করতে পারি? ঋতভাষী ঋতবাকের পদাঙ্ক অনুসরণ ক'রে চারপাশের মোহগ্রস্ত আঁধার পেরিয়ে আলোর উদ্দেশ্যে চলতে পারি। মূঢ়তার অন্ধকারে বন্দী বহুজনতার মধ্যে একাকী। মুহ্যন্তু অন্যে অভিতো জনাসঃ -- অপরে থাকুক মোহান্ধকারে -- কিন্তু আমি আলোর দিশারি হতে পারি যদি আমি তাই চাই। ঋতবাক সজাগ; সতর্ক তার বুধমণ্ডলী। তাঁরা স তর্ক ও বটে। নিজেকে বারবার যাচিয়ে নিয়ে তাঁরা প্রমাণ করেন যে জাগ্রতজনই ঋকমন্ত্রদের কৃপাধন্য : যো জাগায় তম্ ঋচঃ কাময়ন্তে। আমি আসন্ন দীপাবলী উৎসবের আলোর রোশনাই এর কথা স্মরণ করে গৌরী ধর্মপালের কথা একটু বদলে নিয়ে প্রার্থনা করতে পারি :

যত্র জ্যোতির্ অজস্রং যস্মিন্ লোকে স্বর্হিতম্।
তস্মিন মাং দেহি পবমান
অমৃতে লোকে অক্ষিতে।

যেখানে নিশিদিন আলোক অফুরান
যেখানে সূর্য অচল, ঠায় ---
প্রতিষ্ঠা কর আমায় পবমান
অমৃত অক্ষয় সে চেতনায়। 

এমনি করেই ক্রোধ রূপ নেয় অক্রোধের; ভীমা ভয়ঙ্করী হয়ে ওঠেন জননী বাক্। আর তাঁর ধ্যানমন্ত্রের সন্ধানও শঙ্খ ঘোষ রচিত 'স্লোগান' কবিতাটিতেই পাওয়া যায়: 

কথা কেবল মার খায় না কথার বড় ধার
মারের মধ্যে ছলকে ওঠে শব্দের সংসার। 

এই কথা বা শব্দই হ'ল সাহিত্য; যা সঙ্গে থাকে। এর চর্চাই ক্রোধকে সংহত করে উপলব্ধিতে উত্তীর্ণ করে। আমি বুঝি যে সংস্কৃত সাহস আর ইংরিজি courage এর মধ্যে যে ব্যবধান সংস্কৃত ক্রোধ আর বাংলা রাগের মধ্যেও ঠিক তাই। কারণ সংস্কৃতে রাগ বলতে ক্রোধের ঠিক বিপরীত অনুভূতিটিকে বোঝায় যার নাম ভালোবাসা। ক্রোধের বশে ধ্বংসস্বরূপা দেবীবন্দনা কারোরই কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না কিন্তু অমৃত, অক্ষয় চেতন লোকে উত্তীর্ণ হ'লে; নিজের প্রতিহিংসাকামীতাকে দমন করলে হয়তো বা আমি সেই সৃজনবিশ্বের অংশভাক হতে পারব যার মন্ত্রশক্তি কিছু প্রতিজিঘাংসুকে থামাতে পারবে। ঋতবাক উচ্চারণে সেই বোধ জাগ্রত হয় মহাভারতকার যাকে বলেন 'অনুক্রোশ'। এ হ'ল সেই নৈতিক ধর্মবোধ যা প্রকৃতিগত : intrinsic। ঔচিত্য নির্ভর শুভাশুভবুদ্ধি যা মানুষকে মানবতা দেয় তার মূলে থাকে এই অনুক্রোশ। প্রতিকারহীন অ-দণ্ডিত অন্যায় দেখলেও এই বোধ আক্রোশকে শমিত করে। 'ভীমগীতা'কে রূপান্তরিত করে ভাগবত গীতায় যা মানুষকে বুদ্ধিযোগ আশ্রয় করে আসক্তিহীনভাবে (অর্থাৎ involved না হয়ে) বহুজনহিতায় এমন এক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রাণিত করে যেখানে আর কোনও অমিতার বা ঐ এগারোমাসের শিশুটির মতন অপর কোনও শিশুর একই পরিণতি ঘটবে না। ঋতভাষী কোনও কবি প্রতিহিংসক মানবকুলকে নিবৃত্ত করে বলবেন:

"মারের মুখে মার দাঁড়াবে? শোকের মুখে শোক?
এই তাহলে উপায়? পথ? পদ্ধতি? সহায়?
ফিরে যাবার রাস্তা শুধু একদিকেই এগিয়ে যাবে?
হত্যা থেকে পালটা হত্যায়?
তোমার মুখ কী করে আমি হাতে ধরব তবে?" ( জয় গোস্বামী) 



ঋণ স্বীকার : 
১) বেদ ও রবীন্দ্রনাথ --- গৌরী ধর্মপাল। 
২) ভাতকাপড়ের ভাবনা এবং কয়েকটি আটপৌরে দার্শনিক প্রয়াস -- অরিন্দম চক্রবর্তী।

0 comments: