কবিতা - শুভঙ্কর দাশ
Posted in কবিতাকবিতা
শুভঙ্কর দাশ
যদি দ্বীপান্তর দাও
আমায় যদি কেউ দ্বীপান্তর দেয়
তাহিতির বোরা দ্বীপে হাত ধরে
চলে যেতে পারি।
অথবা মোরিয়া যেতেও
আপত্তি করবো না একদম।
ছবি আঁকতে গঁগাও তো
চলে গেছিলেন একা একা।
তুমি কি যাবে?
অবশ্য নির্বাসনে কীভাবে যাবে আর
কেনই বা যাবে?
লোকেই বা কী বলবে, গেলে।
তোমাকে তো সবাই রেখেছে ডেকে
হেসে হেসে অনুরোধে।
তুমি থাকো
অনুরোধে ঢেঁকি নিয়ে কী করবে ভাবো।
আমি চললাম,
যাবো,
যদি দ্বীপান্তর দাও
ফ্লাইটের পয়সা পাঠিও।
ঠেলতে ঠেলতে
কেউ কারো কথা শোনে না
শুধু বক বক করে যায় অহর্নিশ,
চুড়ুইয়ের মতো পেট ফুলিয়ে
ঝগড়া করে চলে গায়ে পড়ে।
ভাবো তুমি বারদুয়ারিতে ফোন ধরেছ
অথচ আমার কথা শুনতেই পাচ্ছো না।
আমি এইসব দেখে শুনে
ভয় পেয়ে গেছি খু্ব,
নিজেকে দূরে আরো দূরে ঠেলতে ঠেলতে
ঠ্যালার রহস্য আয়ত্ব করছি ক্রমাগত।
শব্দ ভালোবেসে দেখছি
শব্দ আমাকে গিলে খাচ্ছে রোজ।
করালবদনা মা আমা্র,
যার কশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে
হতাশা, রাগ, ব্যর্থতার নাগপাশ,
সামান্য মানুষের মতো।
এইসব থাক,
এইসব ভয় মনস্তাপ ছেড়ে রেখে
জলে ডুবে বসে থাকি কিছুক্ষণ।
বারদুয়ারি হতে গেলে কি
বারোটা দরজাই চাই?
এই দীর্ঘ চুল
মেঘ ঢেকে দিচ্ছে আরেকটা মেঘে
যেন সকালের উপর
আরেকটা সকাল নেমে এলো।
যে সকালে আমার আর কিছুই
করার নেই বলে
শুয়ে শুয়ে ভাবছি একটু ঘুমোব কিনা।
সূর্যের আলো এই নতুন মেঘ অনেকটা
শুষে নিয়েছে তাই
বই না পড়লে পাপ লাগবে কিনা ভাবার
অবকাশ যেমন নেই,
তেমন তোমার রাত আড়াইটের
মেসেজ এখন পড়ে ভাবছি
এর উত্তর এখন এই সকালে দেওয়ার
মানে নেই আর।
গত রাত গত হয়েছে বহুক্ষণ হল।
তার সঙ্গে ইচ্ছে আর তাড়নাগুলো
কোথায় হারিয়ে গেছে এতক্ষণে,
এই নতুন সকালে।
হৃদয়ের মত এই দীর্ঘ চুল
এখন বেঁধে গুটিয়ে রাখার সময়।
0 comments: