ধারাবাহিকঃ স্বপন দেব
Posted in ধারাবাহিক
ধারাবাহিক
আমার বারুদ বেলা—৯
স্বপন দেব
সেদিন রাতেই আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল দমদম সেন্ট্রাল জেল-এ। জেলে এসে প্রথম রাতটা আমদানী ঘরে কাটানোরই প্রথা। দমদম জেলের পাঁচ নং সেলটি ছিল আমদানী ঘর। অসম্ভব নোংরা এবং চাম-উকুনে ভরা কম্বল, ঘরের মধ্যেই একটা চটের আড়ালে পায়খানা পেচ্ছাপ করার জায়গা। দুর্গন্ধে, কম্বলে শুয়ে উকুনের কামড়ে, আর সহ-বন্দীদের মুখনিসৃত খিস্তি খেউড় শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল যে কখন সকাল হবে... আর এটাই আমার কারাবাসের স্থায়ী আস্তানা কিনা। সেল-এর মেট ফারুক জানালেন, যে এটা নাকি এক রাত কা সওয়াল। কাল সকালে আমাকে কেস টেবিলে পেশ করা হবে এবং সেখানেই ঠিক হবে আমার কারাবাসের নির্দিষ্ট স্থান।
পরদিন সকালে ফারুক আমকে কেস টেবিলে পেশ করল। কেস টেবিল মানে একটা টেবিলের সামনে হয় জেলর নাহয় ডেপুটি জেলর চেয়ারে বসে আছেন, তার পাশে জেলের হেড জমাদার, মানে সিকিউরিটি ইন চার্জ। আমি যেতেই দেখি পুরীর মন্দিরের পাণ্ডাদের মত দুটি দল দুভাগ হয়ে টেবিলের দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দুটি দলের লোকজন ই আমার পরিচিত। তবে একটি দলের লোকেরা বেশি পরিচিত। তাঁরা কিন্তু আমাকে খুব একটা পাত্তা দিলেন না। দুএকজন শুধু কুশল বিনিময় করেই অন্য খদ্দেরের আশায় দাঁড়িয়ে রইলেন। আর যাঁদের কম চিনি, মানে শুধু দু এক জনকে চিনি, তাঁরাই আমার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে জেলারকে বললেন, ইনি আমাদের লোক। ১০ নম্বরের। আমি তো সব দেখে শুনে একেবারে হাঁ! আমি ১০ নম্বরের লোক মানে? পরে জেনেছিলাম, জেলের সব থেকে বড় দুটো বাড়ি আমাদের রাজবন্দীদের জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। নয় নং আর দশ নং। পাশাপাশি দুটি তিনতলা বাড়ি। নয় নং এ থাকেন সিপিএম বা বামফ্রন্টের নেতা কর্মীরা আর দশ নং হল radicalদের, যারা সিপি এম এর বিরোধী এবং নকশালবাড়ি আন্দোলনের সমর্থক। প্রায় পাঁজাকোলা করে আমাকে নিয়ে যাওয়া হল দশ নম্বরের তিন তলার একটি ঘরে। একটি ঘরে একজন করে থাকার ব্যবস্থা। ঘরের মধ্যে খাট ছাড়াও আছে একটি টেবিল এবং চেয়ার। আমার ঘরের বাইরে টানা প্রশস্ত বারান্দা, যেটি ঐ ফ্লোরের সব গুলি ঘরকে যুক্ত করেছে। আমার ঘরের সামনে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালে জেলের সিপাই কোয়ার্টারের কিছুটা আর মহিলা জেলের কিছুটা দেখা যেত। আমাদের লক আপ করা হতনা। বাড়ির মধ্যে ইচ্ছেমত যে কোনও ঘরে যাওয়া যেত। কেবল বিকেল ছটার পর নিচের মেন গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হত। জেলের মধ্যে তখন সরকারী দাক্ষিণ্যে রাজবন্দী বা বিনাবিচারে আটক রাজনৈতিক বন্দীদের জন্যে এলাহি ব্যবস্থা! জেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই ৩৬৫ টাকা পাওয়া যেত লেপ, তোষক, চাদর কেনার জন্যে। এটা এক কালীন। এছাড়াও মাসে মাসে ৬০ টাকা হাতখরচা, প্রতিদিন খাওয়া বাবদ ২১ টাকা বরাদ্দ ছিল। এটা বেকারদের জন্যে। যারা কর্মরত এবং বিবাহিত, তারা আলাদা করে পেনশন পেত।
তো, এই যে টাকার পরিমাণ গুলি বললাম, ১৯৬৭ সালের নিরিখে এগুলি যথেষ্টই বেশি। বিশেষত মাসিক হাত খরচ আর দৈনিক খাইখরচ। এছাড়াও আরো নানারকম সুযোগসুবিধে পাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এক কথায়, অভ্যেস খারাপ করে দেওয়ার জন্যে যা যা দরকার, সরকার বাহাদুর তার সব ব্যবস্থাই করে রেখেছিলেন আমাদের জন্যে! সকালে ঘুম থেকে উঠে বেড টি এবং রাজকীয় খাওয়াদাওয়া, দিনভর আড্ডা আর না হয় তাস-দাবা-ক্যারম খেলা। আমি জেলে ঢোকার আগে থেকেই নয় এবং দশ নম্বরের রাজবন্দীরা তাঁদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে এই আশঙ্কা জানিয়ে জেল কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যে আমাদের জন্য আলাদা চৌকার ব্যবস্থা করা হোক, যেখানে আমাদের তত্ত্বাবধানে আমাদের পছন্দ মত রান্না করা হবে ঐ নির্দিষ্ট টাকায়। জেলে কিচেনকে বলা হয় চৌকা। আর রান্নার বাসন-কোসন, রান্নার কাজে সাহায্য এবং রান্না করার জন্যে ফালতু সরবরাহের দায়িত্বও জেল কর্তৃপক্ষের। ফালতু কথাটার মানে হল ১১ মাসের কম মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি। আমাদের সবার ঘরে আলো থাকলেও পাখা ছিলনা। কিন্তু কেউ ইচ্ছে করলে বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান এনে ঘরে রাখতেই পারত। জেলের একটা নিজস্ব লাইব্রেরি ছিল। কিন্তু তাতে বেশির ভাগই গোয়েন্দা গল্প নাহয় ধর্মমূলক বই। আমরা বাইরে থেকে বইও আনাতে পারতাম, তবে জেল কতৃপক্ষ সেটা দেখে অনুমতি দিলে তবেই। বাড়িতে বা অন্য কাউকে চিঠি পাঠানোই যেত। কিন্তু চিঠি যখন তার হাতে পৌঁছাত তখন অনেক গুলি লাইনই কালো কালি দিয়ে মুছে সেন্সর করা! আর বিকেল হলেই খেলার মাঠ। সেখানে নয় এবং দশ নম্বরের কোনও ভেদাভেদ নেই। মূলত ভলি খেলাটাই বেশি হত। তো, এত সুখ সুবিধে পাওয়ার কুফল দেখা দিতে লাগল অচিরেই। সোনারপুরের ভাগচাষি হাজরা সাঁপুই এর আঙ্গুলের ফাঁকে এখন আর বিড়ি নয়, সিগারেট! তাও আবার পেছনে ফিল্টার লাগানো! কেউ বা টোব্যাকো আর পেপার আনিয়ে সাহেবি কায়দায় নিজের সিগারেট নিজেই বানাতে লাগলেন। কেউ চুরুট আবার কেউ বা রীতিমত ঠোঁটে পাইপ চেপে কথা বলার অভ্যাস শুরু করে দিলেন! আর খাওয়াদাওয়া? সকালে আজ লুচি তো কাল চিঁড়ে ভাজা। দুপুরে আজ মাংস ভাত তো কাল চিংড়ি মাছের মালাইকারী! অসিত সেন প্রমুখ নেতারা বারে বারে এই প্রবণতার বিরুদ্ধে সতর্ক করলেও তাতে খুব একটা কাজ হলনা। প্রতি সপ্তাহে একটি করে গ্রুপের দায়িত্ব থাকতো চৌকার। খাওয়ার মেনু থেকে রান্নার তদারকি সবটাই তাঁরাই করতেন। এই গ্রুপ গুলির মধ্যেও শুরু হল প্রতিযোগিতা, কে কত ভাল খাওয়াতে পারে! জনা পাঁচেক কমরেড ঠিক করলেন যে তাঁরা তাঁদের সরল অনাড়ম্বর জীবনযাত্রা বজায় রাখবেন। তাঁরা ডাল ভাত সবজি এবং দিনের বেলা এক টুকরো মাছ আর রাতের বেলা নিরামিষ খেতেন। বাকি সবাই ভুরিভোজনে অভ্যস্ত হয়ে গেল। অবস্থা চরমে উঠল যখন হাওড়ার এক শহুরে মধ্যবিত্ত কমরেড ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ফালতু নিয়োগ করলেন। রাজবন্দীরা ইচ্ছে করলেই নিজেদের প্রয়োজনে একজন ফালতু চাইলেই জেল কতৃপক্ষ দিতে বাধ্য। কিন্তু বিপ্লবী কমিউনিস্টদের মধ্যে কেউ জেলে বসে নিজের গা হাত পা দলাইমলাই করার জন্যে ফালতু রাখবেন, এটা জেল কর্তৃপক্ষের কাছেও অভাবনীয় ছিল! পরের দিন সকালেই কেস টেবিলে গিয়ে সেই ভদ্রলোককে আমাদের দশ নং বাড়ি থেকে সরানো হল এবং প্রত্যেককে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল যে, কোনওরকম বিলাসিতা সহ্য করা হবেনা। তাস-দাবা ছেড়ে সবাইকে সকালে এবং বিকেলে বাধ্যতামূলক ভাবে পার্টি ক্লাসে যোগ দিতে অনুরোধ জানানো হল। পার্টি ক্লাসে সবাইকে জানানো হল, এটা হচ্ছে সরকারের দুরভিসন্ধি। তোমাকে বা গ্রামের কোনও ভাগচাষি বা ক্ষেতমজুরকে যদি বিলাসব্যসনে অভ্যস্ত করে দেওয়া যায়, তাহলে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে আগে তার বিলাসব্যবস্থার জন্যে প্রয়োজনে দুর্নীতি করবে কিন্তু কিছুতেই আর বৈপ্লবিক আন্দোলনে যুক্ত থাকবেনা। তার খেটে খাওয়ার আর লড়াই করার ক্ষমতাটাই নষ্ট করে দিতে চাইছে এরা। পুরোটা না হলেও এতে অন্তত কিছুটা কাজ হল। হাজরা সাঁপুই আবার বিড়ি খাওয়া শুরু করলেন!
আমার এই পর্বের কারাবাস প্রসঙ্গে একটি ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যের কথা বলতেই হবে। আমাদের দশ নম্বর বাড়ি তখন হাউসফুল। তখন রোজই স্ক্রীনিং চলে কাকে বাদ দেওয়া যায় আর কাকে রাখা যায়, নবাগত কোনও অতিথিকে স্থান দেওয়ার জন্যে। কি নয় নম্বর, কি দশ নম্বর উভয়েই একে অন্যের বাড়িতে লোক ঢুকিয়ে দিয়েছিল চরবৃত্তি করার জন্য, আর সেইসব চরেদের কাছ থেকে খবর দেওয়া নেওয়ার সবচেয়ে ভালো জায়গা ছিল বিকেলের খেলার মাঠ। আজ ও বাড়ি থেকে তিনজনকে এ বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় তো পরদিন আবার এ বাড়ি থেকে তিনজন ও বাড়ি ফেরৎ যায়। এইরকমই একদিন সকালে কেসটেবিলে অন্যদের সঙ্গে আমিও গেছি। দূর থেকে দেখি ফারুকের পিছনে একজন লম্বা মতন লোক, হাতে একটা তানপুরা নিয়ে আসছেন।উৎপল দত্ত!! গায়ে লম্বা সাদা ঢিলে পাঞ্জাবী, মুখে চুরুট আর হাতে ধরা তানপুরাটা! যদিও তখন উৎপল দত্ত নকশাল বাড়ির আন্দোলনের স্বঘোষিত সমর্থক, মিনার্ভায় রম রম করে চলছে নকশাল বাড়ির পটভূমিকায় লেখা ‘তীর’ নাটক, তবুও তাঁকে পাওয়ার আশায় সি পি এম এর নেতৃবৃন্দ ঝাঁপিয়ে পড়লেন। আমার মতনই উৎপল দাও হতবাক! এসব হচ্ছেটা কি? জলদ গম্ভীর স্বরে জিগ্যেস করলেন উনি। প্রেসিডেন্সি কলেজ আন্দোলনের সময় থেকেই উৎপলদার সঙ্গে আমার একাধিকবার কথা হয়েছে, আমাদের কলেজের সোশ্যাল-এ এসেছেন, প্রাইজ বিতরণ উৎসবে ওঁর হাত থেকেই মাও-সে-তুং এর রেড বুক আর লেনিনের বই হাত পেতে নিয়েছিলাম আমি। আমিই বুঝিয়ে বললাম যে, এটা হচ্ছে আপনি কাদের সঙ্গে থাকবেন তাই নিয়ে বচসা। নয় নম্বরে সি পি এম এর সাথে, না দশ নম্বরে নকশালবাড়ি আন্দোলনের সমর্থকদের সাথে? উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কত নম্বরে আছো? আমি দশ বলাতে উনি বললেন, আমিও দশ! সৌভাগ্যক্রমে ঠিক আমার পাশের ঘরটিই বরাদ্দ হল তাঁর জন্যে। উনি বম্বেতে “দ্য গুরু” নামে একটি হলিউড ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েছিলেন। ছবিটি ছিল এক ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের গুরুর কাহিনী নিয়ে এবং উনিই ছিলেন ছবিটির মুখ্য চরিত্র। একমাত্র চুরুট ছাড়া আর কোনও বিলাসিতা দেখিনি ওঁর। আর সকাল থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত উনি একাই মাতিয়ে রাখতেন সবাইকে। আমাদের ঘুম ভাঙতো ওঁর সেতারের ভৈরবীর মূর্ছনায়। কখনো ৭২ বছর বয়সী দন্তহীন পঞ্চু নস্করকে ডেসডিমোনা বানিয়ে অনর্গল ওথেলো আবৃত্তি করে যাচ্ছেন আবার কখনো চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব নিয়ে সুদীর্ঘ আলোচনা করছেন। তবে দিন বারোর বেশি এই সুখ আমাদের কপালে সইলোনা। টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স-এর অনেক টাকা লোকসান হচ্ছিল প্রতিদিন স্যুটিং বন্ধ থাকার কারণে।তাঁরা এসে ধরলেন ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এবং শোভা সেন বোঝালেন উৎপল দত্তকে। একদিন বিকেলে হঠাৎ জেলারের অফিসে ডাক পড়ল তাঁর। ফিরে এসে গম্ভীর মুখে জানালেন, আমার ছুটি হয়ে গেল।সবাইকে তীর এর পাস দিলেন ছাড়া পেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্যে। উনি চলে যাওয়ার আধ-ঘন্টা পরেই জেলের রেডিও থেকে শোনা গেল যে, উৎপল দত্ত বন্ড সই করে, মানে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। এক প্রকৃত বিপ্লবী, অসম্ভব মেধা আর সাংস্কৃতিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তি শেষ জীবনে হিন্দি আর বাংলা সিনেমার ভাঁড় আর ভিলেন হয়েই পরিচিত হলেন সাধারণের কাছে।
উৎপলদা মুক্তি পাওয়ার কয়েকদিন পরেই আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লাম। রুনু গুহ নিয়োগীর বৈজ্ঞানিক ধোলাই, মানে চেয়ারে বেঁধে চেয়ারটা উলটে দিয়ে মাথাটা নিচে রেখে পায়ের তলায় লাঠির ঘায়ের যে স্নায়বিক অত্যাচার, আমার অসুস্থতার ছিল সেটাই কারণ। হঠাৎ হঠাৎ মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, চোখে অন্ধকার দেখা,পাগলের মত চিৎকার চেঁচামেচির পর কনভালশন। জেল হসপিটালে ভর্তি হওয়ার পরে প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কোন উন্নতি না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ আমাকে বাইরের সরকারি হসপিটাল, নীলরতন কর-এ ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। সেখানে সি সি ওয়ার্ডে, বিখ্যাত নিউরো সার্জন অশোক বাগচির তত্ত্বাবধানে একটি কেবিনে আশ্রয় হল আমার। কিন্তুসে অন্য গল্প। তবে এই হাসপাতাল-বাস এবং ডাক্তার অশোক মুখার্জির সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গতা অন্তত সেবার আমার বন্দী দশা থেকে রেহাই পাওয়ার পক্ষে খুব কাজে দিয়েছিল। পরের কিস্তিতে সংক্ষেপে সেটি জানাব আপনাদের। (চলবে)
সত্তরের দশকের কথা! সেই অবিস্মরণীয় স্মৃতি! বাকি লেখাগুলো কোথায় পাবো?
ReplyDeleteএই অসাধারণ ধারাবাহিকটির মাত্র একটি পর্ব পড়েই, পুরোটা পড়ার ইচ্ছে খুব প্রবল হচ্ছে। বাকি পর্বগুলো কি পড়ার কোন উপায় আছে? অথবা, এটি কি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে? হলে কি নামে এবং কোথায় পাওয়া যাবে জানালে বাধিত থাকবো।
ReplyDeleteএটি একটি অমূল্য দলিল। এই আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, এমন একজন মানুষের অভিজ্ঞতা আর বিশ্লেষণের সংমিশ্রণে সৃষ্ট এক সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বর্ননা। এটিকে এভাবে এখানে আবদ্ধ করে রাখাটা সামাজিক অপরাধ। শ্রদ্ধেয় স্বপনবাবু, যদি ইতিমধ্যেই এটি দু'মলাটের মধ্যে না এসে থাকে, তাহলে আমি নিজে এটি বই আকারে প্রকাশে বিশেষ আগ্রহী।
ReplyDelete