0

প্রচ্ছদ নিবন্ধ: স্বপন দেব

Posted in


প্রচ্ছদ নিবন্ধ

ফিরে দেখা বই-মেলা
স্বপন দেব



১৯৭৪ সালের ৫ ই ডিসেম্বর, বৃহস্পতি বার, বিকেল পাঁচটা। কলেজ ষ্ট্রীট কফি হাউসের তিনতলায় তিনটি টেবিল এক সাথে জুড়ে শীতের পড়ন্ত বিকেলে জোর আড্ডা চলছে কিছু তরুণ এবং নবীন প্রকাশক দের। এটা ওটা নিয়ে আলোচনা চলতে চলতে একজন বলে উঠলেন, আচ্ছা, বই নিয়ে একটা মেলা করা যায় না ? বই প্রেমীরা দলে দলে আসবেন আর আমাদের ব্যবসাও বেশ ফুলে-ফেঁপে উঠবে ? উপস্থিত সকলের ই মনে ধরল কথাটা। 

এর পর আলোচনা শুরু হল এটা নিয়েই। কথায় কথায় ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বই মেলার কথাও বললেন কেউ কেউ। সবাই এক কথায় রাজী ! চলো সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা যাক ! বই-মেলার স্বপ্ন বুকে নিয়ে যে যার বাড়ী ফিরে গেলেন। মাস দুয়েক পরে সমস্ত প্রকাশক দের নিয়ে একটা সভা ডাকা হোল ৩ নং সূর্য সেন ষ্ট্রীটের ত্রিপুরা হিতসাধিনী সভা গৃহে। সেখানে বিমল ধর মহাশয় বই-মেলার কথা তুলতেই ছ্যা ছ্যা করে ঊঠলেন প্রবীণ প্রকাশকেরা ! তাঁদের বক্তব্য, বই কি একটা পণ্য ? মেলায় বই বিক্রি করায় তাঁদের ঘোরতর আপত্তি আছে। এদিকে তরুণ প্রকাশকরাও নাছোড়বান্দা ! তাদের বক্তব্য বই তো প্রকাশ ই হয় বিক্রির জন্যে। আর যে কোন জিনিষের মত বিক্রির জন্যে বই এরও একটা বাজার দরকার। ঠিক আছে, পরীক্ষামূলক ভাবে বছর তিনেক চালিয়েই দেখা যাক না ! না, সেই সভায় কোন সিদ্ধান্তই নেওয়া গেলনা। কিন্তু, প্রবীণ দের রাজী করানোর জন্যে বিমল ধর, অশোক বারিক, সুপ্রকাশ বসু, অরুণ বাগচি রা কথাবার্তা চালাতে লাগলেন এবং আস্তে আস্তে এক এক করে রূপার এন ডি মেহতা, অক্সফোর্ড এর নিল ও-ব্রায়েন, সাহিত্য সংসদের মহেন্দ্রনাথ দত্ত, এম সি সরকারের সুপ্রিয় সরকার, আলায়েড পাবলিশার্স এর জয়ন্ত মাকনতলা, মিনার্ভা অ্যাসোসিয়েটস এর সুশীল মুখার্জী যাঁরা সেইসময়ে প্রকাশক মহলে বেশ নামকরা ছিলেন তাঁরাও দলে এলেন। 

এইসবেরই পরিণতিতে ১৯৭৫ সালের ১৮ ই সেপ্টেবর পাবলিশার্স & বুকসেলার্স গিল্ড জন্ম নিল। এর পরেই শুরু হয় কলকাতা বইমেলার চিন্তাভাবনা। সর্বভারতীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা বইমেলার পোষাকি নাম হয় কলিকাতা পুস্তকমেলা বা ইংরাজিতে ক্যালক্যাটা বুক ফেয়ার। প্রথমে ঠিক হয়েছিল যে প্রতি বছর নয় বরং একবছর অন্তর এই বই মেলার আয়োজন করা হবে। নেহাৎ ই পরীক্ষামূলক ভাবে ১৯৭৬ সালের ৫ ই মার্চ সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল-বিড়লা তারা মণ্ডলের উল্টোদিকের ছোট মাঠে যেটা এখন মোহরকুঞ্জ নামে পরিচিত সেখানেই প্রথম কলকাতা বইমেলার আয়োজন হয়েছিল। মাত্র ৩৪ জন প্রকাশক এবং ৫৬ টা স্টল নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। মেলার সাফল্য সম্পর্কে সন্দেহ থাকায় অনেক প্রকাশক ই যোগ দেন নি এই প্রথম মেলায়। 

কিন্তু এই বই মেলায় যথেষ্ট জনসমাগম হওয়ায় পরের বছর আবার বইমেলা করার সিদ্ধান্ত হয় এবং পরের বছর থেকে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আর এই প্রথম বইমেলার সুবাদেই সেই বছর নয়াদিল্লিতে বিশ্ব বইমেলায় অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পায় গিল্ড এবং জিতে নেয় মাঝারী স্টলের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার টি। এই প্রথম বছরেই গিল্ড ফ্রাঙ্কফুর্ট বুক ফেয়ারেও অংশ নেয়। তবে বইমেলার যে বিপুল জনপ্রিয়তা আজ চোখে পড়ে তার সূচনা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে আয়োজিত তৃতীয় বইমেলা থেকে। সে বছর মোট ১১২ টি প্রকাশন সংস্থা বইমেলায় অংশ নিয়েছিলেন আর মেলা আয়োজিত হয়েছিল রবীন্দ্রসদনের বিপরীতে ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন অপেক্ষাকৃত বড় মাঠটিতে। ১৯৮৩ সালে মেলায় যোগ দিয়েছিলেন ২৮৫ টি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সংস্থা। সেবার বিড়লা তারামণ্ডল থেকে রবীন্দ্রসদনের বিপরীতে অবস্থিত অধুনা মোহরকুঞ্জ উদ্যানের সবটাই মেলার জন্যে পেয়ে যায় গিল্ড এবং প্রায় এই সময় থেকেই বইমেলা হয়ে ওঠে বাঙালীর চতুর্দশ পার্বণ। 

এই বছরেই একটি গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মেলা-প্রাঙ্গনেই প্রয়াত হন আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক অশোক কুমার সরকার। ১৯৮৪ সালে মেলা আয়োজিত হয়েছিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে। সে বছরেই জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়ে বইমেলার আন্তর্জাতিক ক্যালেণ্ডারের স্থান করে নেয় কলকাতা বইমেলা। মেলার চতুর্থ বছর থেকেই গিল্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে কলকাতা বইমেলার একটা নির্দিষ্ট সময়সূচী থাকা উচিৎ। সেইমত ঠিক হয় যে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ বুধবার থেকে ফেব্রুয়ারীর দ্বিতীয় রবিবার অবধি মেলা চলবে। ক্রমশ কলকাতা বইমেলা একটা আন্তর্জাতিক রূপ পেতে থাকে। ১৯৮৩ সালে সারা বিশ্বের সাহিত্য ও প্রকাশনার সাথে যুক্ত বিখ্যাত ব্যক্তিরা কলকাতা বইমেলায় আসা শুরু করেন। সে বছর ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি জেনেভা থেকে কলকাতা বইমেলায় যোগ দিতে আসেন। আগের বছর এসেছিলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট বুক ফেয়ারের ডিরেক্টর। ভীড় বাড়ছে, ক্রমশ আরো বেশি বেশি করে প্রকাশক রা আসছেন বইমেলায় স্টল পেতে। স্থান সঙ্কুলান হচ্ছেনা আর পুরানো জায়গায়। 

১৯৯১ সালে কলকাতা বইমেলা উঠে এল মাদার তেরেসা সরণি-আউটরাম রোড- জহরলাল নেহরু রোডের সংযোগস্থলের ময়দানে। কলকাতা বইমেলার ইতিহাসে ১৯৯৭ সালটা কোনদিন ই ভোলার নয়। তখন কলকাতা বইমেলা পুরোপুরি আন্তর্জাতিক। এর আগে ভারতীয় রাজ্যগুলিকে ফোকাল থিম করা হলেও এই ৯৭ সালেই প্রথম একটি বিদেশী রাষ্ট্র ফ্রান্স কে ফোকাল থিম করা হয় আর একটা নতুন আকর্ষণ যোগ হয় বইমেলায়। সেটা হল মঁমার্তে। বিশিষ্ট এবং উঠতি নামী শিল্পী রা এসে প্রতিদিন ছবি আঁকতেন। থিম প্যাভিলিয়নটি সাজানো হয়েছিল প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের আদলে। বইমেলার উদবোধন করেছিলেন স্বনামধন্য ফরাসী সাহিত্যিক জাঁক দেরিদা। 

আর এই ১৯৯৭ সালেই ঘটল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। মেলার ষষ্ঠ দিনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেল বইমেলা। প্রচুর ক্ষতি এবং হতাশায় ভগ্নোদ্যম গিল্ডের পাশে এসে দাঁড়ালেন তৎকালীন সংস্কৃতি ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মাত্র তিন দিনেই আবার নতুন করে গড়ে তুললেন মেলা-প্রাঙ্গন। সে বছরে মেলা চলেছিল ২০ দিন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল অবধি ময়দানে বইমেলা নিরুপদ্রবেই চলেছে কোন ঘটনা বা দুর্ঘটনা ছাড়াই। প্রতি বছরে খালি ফোকাল থিম পাল্টেছে। ১৯৯৯ তে বাংলাদেশ ছিল ফোকাল থিম। বিখ্যাত কবি সামসুর রহমান মেলার উদবোধন করেন এবং তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাও বইমেলা ঘুরে যান। 

বইমেলার ভবিষ্যৎ আকাশ গাঢ় কালো মেঘে ছেয়ে গেল ২০০৭ সালে। ময়দানে বইমেলা অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মেলা উদবোধনের আগের দিন মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেন যে অবিলম্বে ময়দানে বইমেলা বন্ধ করে দিতে হবে। গিল্ডের তো মাথায় হাত ! সেবার ফোকাল থিম ছিল অষ্ট্রেলিয়া আর অতিথি রাষ্ট্র ছিল ইউ এস এ। ইতিমধ্যেই ইউ এস এ আর অষ্ট্রেলিয়া থেকে বহু অতিথি এসে গেছেন। ময়দানের ২৩ একর জায়গার বদলে মাত্র ১০ একর জায়গা পেল গিল্ড যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। মেলা শুরুর দিন আবার নতুন করে ঠিক করতে হল। ওদিকে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে নতুন করে মেলা শুরু করার কর্মকাণ্ড চলতে লাগলো। সেবার প্রকৃতিও ছিল গিল্ডের প্রতি বিরুপ। আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে ব্যহত হচ্ছিল পুননির্মাণের কাজ। 

মঁমার্তে, চিলড্রেন প্যাভিলিয়ন এবং আরো অনেক কিছু নিয়মিত অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে অবশেষে ১০ ই ফেব্রুয়ারী আবার শুরু হল বইমেলা। মেলা চলেছিল ১৫ দিন। কিন্তু, যাতায়াতের অসুবিধা, যানবাহনের অভাব ইত্যাদির জন্যে সেবারের মেলা তেমন জমে ওঠেনি। ২০০৬ এর ২৫ লাখ দর্শকের তুলনায় সেবার মেলায় লোকসমাগম ছিল মাত্র ৮ লাখ। ছোটো ও মাঝারী প্রকাশকেদের বিপুল ক্ষতি হওয়ায় গিল্ড স্থির করলো সল্টলেক স্টেডিয়ামের বদলে তাদের পরের বছরের মেলার জন্যে অন্য জায়গা খুঁজতে হবে। এর মধ্যেই এতদিন বন্ধু সেজে থাকা কিছু লোক তাদের আস্তিন থেকে ঈর্ষার অস্ত্র বের করে গিল্ডের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমে পড়ল। যাই হোক, রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মত মিলনমেলা অথবা পার্ক সার্কাস ময়দানের মধ্যে ২০০৮ এর বইমেলার জন্যে গিল্ড পার্ক সার্কাস ময়দানকেই বেছে নিল। ৩০শে জানুয়ারী থেকে ৯ ই ফেব্রুয়ারী বইমেলার দিন ঠিক হয়ে গেল। উদবোধন ২৯শে জানুয়ারী। 

কিন্তু আবার জনস্বার্থ মামলা এবং তার পরিণতিতে মেলার উদবোধনের ঠিক আগের দিন মাননীয় ক্যালক্যাটা হাই-কোর্ট নির্দেশ দিলেন পার্ক সার্কাস ময়দানে বইমেলা করা যাবেনা ! কি সর্বনাশ ! সেবারের ফোক্যাল থিম ছিল ইউ এস এ এবং ইতিমধ্যেই ৬৭ জন প্রতিনিধি ইউ এস এ এবং ল্যাটিন অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে কলকাতায় হাজির হয়ে গেছেন ! এই পরিস্থিতিতে গিল্ডের বেশীরভাগ সদস্যই মত দিলেন সেবারের বই মেলা স্থগিত ঘোষণা করার। মেলা বন্ধ হয়ে গেল। এই সময়েই যারা গিল্ডের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছিলেন তারা বইমেলা ২০০৮ নাম দিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঐ সল্টলেক স্টেডিয়ামে একটি বইমেলার আয়োজন করেন এবং সেটি চূড়ান্ত ফ্লপ করে। মেরেকেটে লাখ পাঁচেক দর্শক গিয়েছিলেন সেখানে। 

যাইহোক বহু বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে ২০০৯ সালের কলকাতা পুস্তক মেলা স্থানান্তরিত হল সায়েন্স সিটির বিপরীতে সেই বহুপ্রস্তাবিত মিলন মেলা নামক অত্যাধুনিক মেলাপ্রাঙ্গনে। এ বছর থেকেই কলকাতা পুস্তক মেলার নাম বদলে হয় আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এই বছর থেকেই চালু হয় বইমেলার থিম সং “ওই ডাকছে বই……বই এর সাথে পথ চলা”। সুরকার বিক্রম ঘোষ। গীতিকার সুগত গুহ আর গলা মিলিয়েছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, লোপামুদ্রা, শুভমিতা, রুপঙ্কর, রুপম ইসলাম এবং রূপরেখা । স্কটল্যান্ড ছিল সে বছরের ফোকাল থিম। সিটি অফ জয় এর লেখক ডোমিনিক ল্যাপিয়ার উপস্থিত ছিলেন এই বই মেলায়। ২৭শে জানুয়ারী, ২০০৯ এ এই নতুন স্থানে মেলা শুরু হয়। ১৫ লাখ দর্শক আর ১৭ কোটি টাকার বই বিক্রি গিল্ড কতৃপক্ষের মুখে হাঁসি ফোটালো আবার। 

২০০৯ থেকে এই মিলনমেলাই হয়ে গেল বইমেলা বা আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলার স্থায়ী ঠিকানা। ২০১০ সালে বইমেলা চলাকালীন এক সন্ধ্যায় ভয়াবহ লোডশেডিং ছাড়া আর কোন বিরূপতার মুখে পড়তে হয়নি গিল্ড কে। আর ২০১৪ তে ৩৮ তম বইমেলা পুরোপুরি টেকস্যাভি, বাণিজ্যমুখী। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার ওয়েবসাইট ও এখন ঝাঁ চকচকে, আগের থেকে অনেক বেশী দৃষ্টিনন্দন এবং সপ্রতিভ। 

গতবছরের বইমেলায় ১৮ একর মানে আটলক্ষ বর্গফুট এলাকায় ছড়িয়ে ছিল মোট ৭৭০ টি স্টল ! বিশ্বের ২৯ টি দেশের প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিয়েছিল এই মেলায়। কলকাতা আন্তর্জাতি পুস্তকমেলা এখন দর্শক সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের সব চেয়ে বড় বইমেলা। গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতা বইমেলার মঞ্চ ভাগ করে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল কে এল এফ বা কলকাতা লিটারারি ফেস্টিভাল। কিন্তু ২০১৪ থেকেই কে এল এফ আলাদা হয়ে গেছে। তাতে অবশ্য কলকাতা বইমেলার সেলেব্রিটি কোশেন্ট খুব একটা কমেনি। কারণ উদ্যোক্তারা গত বছর থেকেই শুরু করেছেন তিন দিনের কলকাতা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাণ্ড লিটারারি ফেস্টিভাল। ৩৯ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা শুরু হতে চলেছে ২৮ শে জানুয়ারী থেকে। ফোকাল থিম গ্রেট ব্রিটেন। শেষ করছি ওমর খৈয়ামের একটি কবিতা দিয়েঃ-

“ রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে
প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে
কিন্তু একটি বই অনন্ত যৌবনা
যদি তা তেমন বই হয়”

0 comments: