ছোটগল্প : মৌসুমী দাস
Posted in ছোটগল্প
ছোটগল্প
মৌসুমী দাস
প্রায় প্রতিদিনকার মতো ভোরের বেলা উঠে, যথারীতি রান্না বান্না সেরে, স্বামী- সন্তান- নিজের টিফিন গুছিয়ে, স্কুলের জন্য ছেলেকে তৈরি করে, নিজে স্নান সেরে, নাকে মুখে ভাত গুঁজে, বেরিয়ে পড়ল কুহু। ও মধুপুর প্রাণী সম্পদ বিকাশ কেন্দ্রে চাকরি করে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। তারপর রিক্সায় ১০ মিনিট লাগে বাস স্টপেজে পৌঁছুতে । বাড়ি থেকে বেরিয়ে রিক্সা পাওয়া যায় না। আবার রিক্সা স্ট্যান্ডে পৌঁছেও কপাল ভাল থাকলে কখন রিক্সা জোটে, কখন বা জোটে না। কারণ, সে সময়টা স্কুল টাইম। তাই বেশির ভাগ রিক্সাই এ সময় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ভাড়া খাটে। তখন খুব বিরক্ত লাগে কুহুর। বহরমপুর থেকে বাসে করে দশ মিনিট লাগে অফিস যেতে। ওর অফিসে তেমন কোনো কাজের চাপ নেই। কিন্তু ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হওয়াটা বাধ্যতামূলক। তাই আজও প্রতিদিনের মত ভিড় বাসে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই অফিস এসে পৌঁছে গেল। ইতিমধ্যেই অফিসে বেশ কিছু স্টাফ চলে এসেছে। তবে কান্তা এখনো এসে পৌঁছায় নি। কান্তা ওর সহকর্মী। ঠিক পাশের টেবিলটাতেই বসে। কাজের ফাঁকে টুকটাক গল্প করতে করতে ওরা বন্ধু হয়ে গেছে। কান্তা খুব মিশুকে মেয়ে। সংসারের যত খুঁটিনাটি গল্প করে কুহুর সাথে। গতকালের অসমাপ্ত ফাইল পত্রগুলি নিয়ে টেবিলে গুছিয়ে বসল কুহু। খালি বোতলে ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে খানিকটা জল ভরে নিজের টেবিলে রাখল। বাড়ি থেকে জল বয়ে আনার ঝামেলা নেই। অফিসেই সে ব্যবস্থা আছে। নইলে ভিড় বাসে জলের জন্য ভারি ব্যাগ ক্যারি করতে কষ্টই হত কুহুর। কিছুদিন হল ঘাড়ে স্পন্দেলাইটিসের ব্যথা দেখা দিয়েছে। ডাক্তারবাবু হাল্কা ব্যয়াম করতে বলেছেন, কিন্তু সারাদিনের খাটুনির পর কুহুর আর নিজের দিকে তাকাবার সময় নেই, ইচ্ছেও নেই । কোনও ভাবে জীবন টা কেটে গেলেই বাঁচে। অফিসের সবাই এসে পৌঁছে যাওয়ার আগে ফ্যানের হাওয়ায় খানিক শুকিয়ে নিতে ভেজা চুলটা খুলে দিল কুহু। আরাম করে নিজের চেয়ারে গা এলিয়ে বসল। কিছুক্ষণের মধ্যেই কান্তা এসে গেল।
“happy birth day to you, কুহু ”- বলে কুহুকে শুভেচ্ছা জানাল কান্তা। চমকে উঠে কুহুর মনে পড়ল, আজ ওর জন্মদিন! আজকাল এই দিনটা ও প্রায় ভুলেই গেছে। আসলে ও আর মনে রাখতেও চায় না এই দিনটা। কত মানুষেরই তো জন্মদিন মনে থাকে না, তাতে কি আর তাদের জীবন চলে না! কি দরকারই বা মনে রেখে? তাতে কার কি এসে যায়! যাদের এসে যেত তারা তো আর পৃথিবীতে নেই! এই দিনটা এলে ওর খুব মা-বাবার কথা মনে পড়ে। তাঁরা যতদিন বেঁচে ছিলেন, কত ভালবাসা দিয়ে, কত যত্ন করে, আদর করে এই দিনটি পালন করতেন! ও খুব সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিল। তবুও বাবা-মা শুধুমাত্র ওর মনের আনন্দের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে এই দিনটি পালন করতেন। ওর বিয়ের পরও কেক, পায়েস, সাধ্য মত ছোট খাটো উপহার পাঠাতেন। অবশ্য তার জন্য সারাদিন স্বামী বিভাসের কাছে বাঁকা বাঁকা কথা শুনতে হত, “বুড়ো বয়সে বেশি আদিখ্যেতা” ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ কুহু যখন স্বামী সন্তানের জন্মদিন মনে রেখে পায়েস, পঞ্চ ব্যঞ্জন রেঁধে মুখের কাছে ধরে, তখন কিন্তু বিভাসের মনেও হয় না, বুড়ো বয়সে বেশি আদিখ্যেতা হয়ে যাচ্ছে। মা-বাবা গত হওয়ার পর তেমন কেউ নেই যে কুহুর খুশীর জন্য ভাবে! ও এখন বুঝতে পারে মা- বাবার মত পৃথিবীতে আর কেউ হয় না! জীবনের কত বড় বড় ব্যাপার কত সহজেই সমাধান করে দিতেন তাঁরা! মুখ দেখে মনের কষ্ট কেমন বুঝে যেতেন! দূরে থেকেও কত উজাড় করে ভালবাসতেন! সব চেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন তাঁরা! আজ বড় অসহায় একাকী মনে হয় নিজেকে!
মা-বাবা দেখে শুনেই বেশ বড় ঘরে বিয়ে দিয়েছিলেন। ওর স্বামী বিভাস খুব বড় ব্যবসায়ী। প্রচুর অর্থ- সম্পদ ওদের। তবে মানসিক সম্পদ একেবারেই নেই বললে চলে। বিভাস অত্যাধিক নিরস ও স্বার্থপর প্রকৃতির ছেলে। বড্ড গোঁয়ার। কথা বলা, পথ চলা, হাসি ঠাট্টা, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ- সবই নাকি হিসেব করে মেপে করতে হবে। কুহু খুবই প্রাণ খোলা মেয়ে। এভাবে মেপে চলতে ও একেবারেই অভ্যস্ত নয়। কিন্তু এ বাড়িতে ওর নিজের কোনও ইচ্ছেই টেঁকে না। বিভাসের একগুঁয়েমি মেনে চলতে চলতে কুহু হাঁপিয়ে উঠেছে। আজকাল হাসতেও ভুলে গেছে। মনের দুটো কথা বলে এমন আর কেউ নেই। মাঝে মাঝে মনে হয়, ও বুঝি পাগল হয়ে যাবে! শুধু ছেলেটার কথা ভেবে মনের কষ্ট মনে চেপে সুস্থ থাকার চেষ্টা করে। ভাবে ছেলেটা প্রতিষ্ঠিত হলেই ও যেন মা বাবার কাছে চলে যেতে পারে।
ব্যাগের মধ্যে হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠল। দেবব্রত মানে দেবু ফোন করেছে,- “শোন আজ অফিস থেকে ফেরার পথে আমার অফিসে দেখা করে যাস তো। বিশেষ দরকার আছে”। দেবু কুহুর অনেক ব্যক্তিগত কাজ করে দেয়। কারণ, অফিস সেরে কুহু ব্যাঙ্ক, পোষ্টাফিসের অন্যান্য অনেক রকম কাজ করতে সময় পায় না। সে কারণে সই সাবুদের জন্য কুহুকে মাঝে মধ্যে ওর অফিসে ডেকে পাঠায়। দেবু কুহুর স্কুলের বন্ধু। ক্লাস টেন পর্যন্ত ওরা একই স্কুলে পড়েছে। তারপর কুহুরা শিলিগুড়ি চলে গেছে। ওর বাবার ট্রান্সফারের চাকরি। সেখানেই কুহুর কলেজ, ইউনিভার্সিটি কেটেছে। তারপর কুহু বিয়ে হয়ে বহরমপুরের কাছে খাগরা ঘাট চলে আসে। স্কুল ছেড়ে যাবার পর থেকে দেবুর সাথে আর কোন যোগাযোগ ছিল না। দেবু এখন বহরমপুর স্টেট ব্যাংকে চাকরি করে। কিছুদিন আগে ফেসবুকে আবার ওদের যোগাযোগ হয়েছে। হ্যাঁ, কুহু কিছুদিন হল বিভাসের আড়ালেই ফেসবুক করছে। অফিসের সব কলিগদের ফেসবুকে একাউন্ট আছে। ওরাই একদিন জোর করে কুহুকে একাউন্ট খুলে দিয়েছে। বাড়িতে সময় নেই, তাই অফিসেই কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে ফেসবুক খোলে। আর এভাবেই একদিন দেবুর প্রোফাইলের ছবিটা চোখে পড়ে। নামের সাথে চেহারা মিলে যাওয়ায়, সাহস করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেয় কুহু। দেবুও রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে। স্কুলের সেই রোগা প্যাংলা দেবু আজ বছর পঞ্চাশের সুঠাম সুপুরুষ! দেবু অবশ্য কুহুকে চিনতে পারেনি। আর চিনবেই বা কি করে? স্কুলের সেই সুন্দরী প্রাণোচ্ছল মেয়েটা আজ ঘরে বাইরে কাজের চাপে, মানসিক কষ্টে ভেঙ্গে চুরে অকালেই বুড়িয়ে যাওয়া বছর পঞ্চাশের এক মহিলা। প্রথম আলাপ কুহুই শুরু করেছিল। হঠাৎ একদিন দেবুকে অন লাইনে পেয়ে জিজ্ঞেস করেছিল,
- “ আচ্ছা আপনি কি বীরনগর গুরুসদয় হাই স্কুলে পড়তেন? ১৯৮০ এর মাধ্যমিক ব্যাচ?”।
- “হ্যাঁ, কেন বলুন তো?”
- “ আমিও ঐ স্কুলে, ঐ ব্যাচেই মাধ্যমিক দিয়েছিলাম। আমি কুহু। চিনতে পারছেন?”
- “কুহু, মানে, আচ্ছা, সায়েন্স কি পরিমল স্যারের ব্যাচ?”
- “হ্যাঁ”
- “আমাদের স্কুলের কুহুকে তো চিনতে পেরেছি। তবে আপনার প্রোফাইলের ছবি দেখে তো প্রাণোচ্ছল অপরূপ সুন্দরী সেই স্কুলের বান্ধবী কুহুকে চেনার উপায় নেই। কি চেহারা হয়েছে আপনার, মানে তোর? আমাদের স্কুলের কুহুর সাথে যে কোন মিল নেই রে! তা কোথায় থাকিস এখন? কি করিস? বাড়িতে কে কে আছেন? ইত্যাদি”।
এই ভাবেই শুরু হয়েছিল ওদের আলাপ। দেবু ফোন নাম্বার দিয়ে বলেছিল, যদি ইচ্ছে হয়, আর সুযোগ সময় হয় আমাকে ফোন করতে পারিস। তারপর থেকে কুহু ফোন করে দেবুকে। তবে বিভাসের আড়ালেই কথা বলে। এমনিতে বিভাস খুব সন্দেহবাতিক! পর পুরুষের সাথে কুহু কথা বলে জানতে পেলে ঘর বন্দী করে এমন মানসিক নির্যাতন করবে যে, ছেলে প্রতিষ্ঠিত হবার আগেই কুহুকে মরতে হবে! বিভাসের কথায়, “একটি মেয়ের সাথে নাকি একটি ছেলের কখনই নির্ভেজাল বন্ধুত্তের সম্পর্ক হতে পারে না, কেবলমাত্র প্রেমের সম্পর্কই গড়ে ওঠে”। দেবুর সাথে কথা বলতে ভীষণ ভাল লাগে কুহুর। খুব পজিটিভ মাইন্ডের ছেলে দেবু। এত সুন্দর মজা করে কথা বলে, কুহুর সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনের দুঃখ যন্ত্রণা সব ভুলে যায়। ভীষণ ভাবে উজ্জীবিত মনে হয় নিজেকে। প্রথমদিকে বিভাসকে লুকিয়ে দেবুর সাথে কথা বলতে গিয়ে একটু অপরাধবোধ হত কুহুর। একদিন এই কথা বুঝতে পেরে দেবু বলেছিল,-
- “অদ্ভুত কথা! আরে, তুই কি লুকিয়ে আমার সাথে প্রেম করছিস নাকি? না তোকে নিয়ে আমি পালিয়ে যাচ্ছি! আমরা ছোটবেলার বন্ধু। তাছাড়া, তোর আমার সাথে কথা বলে হাল্কা লাগে তাই বলছিস। জানিস তো, সারাদিনে অন্ততঃ একবার কোন মানুষ যদি কারো সাথে দুটো কথা প্রাণ খুলে না বলে, তবে সে মানুষ ধীরে ধীরে একদিন পাগল হয়ে যায়। নানা রকম অসুখে আক্রান্ত হয়! কারণ মনের সাথে শরীরের অসুখ বিসুখের একটা যোগাযোগ আছে। বেশ তো আমার সাথে না হয় কথা বলিস না! স্বামীর ইচ্ছেমত কোন স্ত্রী লিঙ্গ কারো সাথেই না হয় বন্ধুত্ব করে মনের কথা বলে হাল্কা হ”। দেবুর কথাতেই এখন কুহু একটু একটু করে সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হয়েছে, আগের মত প্রাণ খুলে হাসতে শিখেছে।
অফিস ছুটির পর কুহু বাসে করে এসে বাস স্ট্যান্ডে নামল। প্রতিদিন অবশ্য এর দুটো স্টপেজ আগে নামে। নেমে রিক্সায় দশ মিনিট তারপর হেঁটে দশ মিনিট লাগে বাড়ি পৌঁছতে। কিন্তু আজ দেবু বিশেষ দরকারে ডেকেছে, তাই স্ট্যান্ডে নামা। বাস স্ট্যান্ডের প্রায় কাছেই দেবুর অফিস। এইটুকু পথ হেঁটেই যাবে বলে ঠিক করল কুহু । বাস থেকে নেমে একটু এগোতেই দেখে দেবু বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে। কুহু অবাক হয়ে বলল,- “তুই এখানে যে? আমাকে তো তোর অফিস যেতে বললি। কি দরকারে ডেকেছিস বল তাড়াতাড়ি”।
- “নে তাড়াতাড়ি বাইকে ওঠ তো, চা খেতে খেতে বলব। আর আজ কিন্তু তুই চা খাওয়াবি। মহা চিপ্পু [কিপটে] কোথাকার! চাকরি করিস, অথচ কোনোদিন কিছু খাওয়াস না”।
কুহু একটু ইতস্তত করে বাইকে উঠে বসল। বাইক গেল সোজা বেনুবন রেস্টুরেন্ট। দেবু দুটো মোগলাই, দুই প্লেট চিলিচিকেন, দুটো কফির অর্ডার দিয়ে বসল। কুহু খুবই অপ্রস্তুত ও অস্বস্তি বোধ করতে লাগল। নিচু হয়ে হাত ব্যাগটা খুলে দেখে নিল, খাবারের দাম দেওয়ার মত টাকা আছে তো! নইলে যে আজ কি লজ্জায় পড়তে হবে! দেবু টা কি যে বিপদে ফেলল! চা খাবে বলে কত খাবারের অর্ডার দিয়ে বসল! হাত ব্যাগে শুধুমাত্র যাতায়াতের ভাড়া ছাড়া সামান্য কটা টাকা রাখে কুহু ! কি যে লজ্জায় পড়তে হবে আজ কে জানে! চিন্তিত মুখে ব্যাগ থেকে চোখ সরিয়ে সোজা তাকাতেই দেখে, দেবু পকেট থেকে ছোট একটা উপহারের বাক্স বের করে কুহুর সামনে টেবিলের ওপর রেখে বলল,- “হ্যাপি বার্থ ডে কুহু, আগামী দিন গুলি যেন তোর খুব আনন্দে কাটে, খুব ভাল থাকিস রে”। কুহু বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল। দেবুকে ধন্যবাদ দেবার জন্য মুখে কোন ভাষা খুঁজে পেল না। গভীর আনন্দে কুহুর চোখে জল চলে এলো। মা-বাবা চলে যাওয়ার পর কত বছর পরে আজ কেউ ওর জন্মদিনটা মনে রেখে এত আন্তরিক ভাবে ওকে শুভেচ্ছা জানাল! চোখ থেকে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল কুহুর। তা দেখে দেবু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মজা করে বলল, “সে কি রে ? আমাকে খাওয়াতে হবে বলে ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিলি নাকি! ওরে না না, আজ তোর জন্মদিনে আমিই তোকে খাওয়াব রে। তোকে সারপ্রাইজ দেব বলে এভাবে ডেকেছি। একটা হাত ঘড়ি দিলাম তোকে, যদি ব্যবহার করিস, খুব ভাল লাগবে”।
কুহু বুঝতে পারল, সত্যিই প্রকৃত বন্ধুর কোন লিঙ্গ হয়না। ঈশ্বর, মা, বাবা, সন্তান, পুরুষ, নারী যে কেউ বন্ধু হতে পারে। যে মন দিয়ে ধৈর্য সহকারে অপরজনের যে কোন সমস্যার কথা শোনে, যে বন্ধুর দুঃখকে নিজের দুঃখ মনে করে, যে বন্ধুর প্রতিটি খুঁটি নাটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখে, সেই তো আসল বন্ধু! আর এক ছাদের নিচে না থেকেও যে কত আপনজন হওয়া যায়, আজ দেবু তা প্রমাণ করল। চোখ মুছে হাসি মুখে কৃতজ্ঞ চিত্তে তাকাল দেবুর দিকে। জানালা দিয়ে একফালি চাঁদের আলো এসে পড়ল ওদের গায়ে। অনেকদিন পর আজ কুহুর শুভজন্মদিন পালিত হল। বাইরে তখন জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চারিদিক।
0 comments: