1

প্রচ্ছদ নিবন্ধ - পল্লববরন পাল

Posted in



আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস – গোটা পৃথিবী জানে - বাঙলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের ঢাকা শহরে ১৯৫২ সালের এই দিনে ছাত্র-যুব সমাবেশ বিক্ষোভের ওপর পাকিস্তানী প্রশাসকের পুলিশের অকথ্য নির্মম গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কথা। একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু শহীদস্মৃতিতে বাঙালীদের সমবেত অশ্রুমোচন বা দীর্ঘশ্বাসের নাম নয়, একটা গোটা দেশের মানুষের মধ্যে আপোসহীন প্রতিবাদী চেতনার জন্মের ছাড়পত্রও, যে চেতনাকে নির্ভর করে একাত্তরে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী জনতার জয়ের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি এমনই এক রাষ্ট্রনির্মাণের প্রথম বারুদ হিসেবে সাহিত্যিক ঐতিহ্যের মহামুহূর্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে পরবর্তী সময়ে বহু কবিতা গান নাটক ছবি ও ছায়াছবি নির্মাণ হয়েছে, এখনও হচ্ছে, আরো বহুদিন হবে।



মাহবুব উল আলম চৌধুরী। জন্ম ১৯২৭ সালের ৭ই নভেম্বর। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকায় এক প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ পরিবারে। অল্প বয়স থেকেই রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চা তাঁর কাছে জীবনাচরণের মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কিশোর বয়স থেকেই তাঁর সব সাহিত্য রচনাতেই বামপন্থী প্রগতিশীলতার স্পষ্ট ছাপ। তাঁর লেখার ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন প্রায় সমবয়সী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এবং সুভাষ মুখোপাধ্যায়। চল্লিশের দশকে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত ‘সীমান্ত’ নামে একটি প্রগতিশীল সাহিত্য মাসিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তিনি পরিচিত ও বিখ্যাত। চল্লিশ ও পঞ্চাশ দশকে পূর্ব পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন প্রথম সারির নেতা ও সংগঠক। সে সময়ে মাহবুব উল আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন।’ আহ্বায়ক হিসেবে চট্টগ্রামে ভাষা আন্দোলন কর্মসূচিকে কার্যকর করার জন্যে দিনরাত বিরামহীন শ্রমে নিজেকে জড়িয়ে ছিলেন, তারই ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই অসুস্থ অবস্থায় প্রচণ্ড জ্বরের মধ্যে তিনি খবর পেয়েছিলেন একুশের দিনে ঢাকায় গুলি বর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা। এই খবরের আবেগে উত্তেজনায় মাহবুব উল আলম চৌধুরী জ্বরের ঘোরে কবিতা লেখার জন্যে কাগজ কলম নিয়েছিলেন— জ্বরের তাপে তাঁর হাত কাঁপছিল— তিনি অনর্গল বলে যাচ্ছিলেন কবিতার এক একটি চরণ আর তা লিখে যাচ্ছিলেন—ননী ধর, মার্কসবাদী রাজনীতির একজন নিবেদিত কর্মী।



কবিতাটি লেখা শেষ হওয়ার পর অনতিবিলম্বে মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে দেখার জন্যে আসেন খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস— এসেছিলেন ঢাকা থেকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং তাদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে সহযোগিতা করার জন্যে। এই কবিতার প্রথম শ্রোতা তিনিই। তাঁর কিছুক্ষণ পর মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে দেখতে আসেন তৎকালীন চলচ্চিত্র মাসিক উদয়ন পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন নিজামী। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় – আন্দরকিল্লায় অবস্থিত কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসে খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াসের তত্ত্বাবধানে সারা রাত কাজ করে পুস্তিকার আকারে পর দিন সকাল বেলার মধ্যে গোপনে প্রকাশ করতে হবে অমর একুশের প্রথম সাহিত্য।



এই সূত্রে কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসের তৎকালীন ম্যানেজার দবির আহমদ চৌধুরী ও প্রেস কর্মচারীদের সম্মিলিত সাহস, উপস্থিত বুদ্ধি ও আন্দোলনের প্রতি দায়বদ্ধতা রীতিমতো স্মরণযোগ্য। খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াসের বর্ণনায় আমরা সেই সময়ের কথা জানতে পারি, “…রাতের শেষ প্রহরে কম্পোজ ও প্রুফের কাজ যখন সমাপ্তপ্রায়, হঠাৎ একদল সশস্ত্র পুলিশ হামলা করে উক্ত ছাপাখানায়। প্রেসের সংগ্রামী কর্মচারীদের উপস্থিত বুদ্ধিতে অতি দ্রুত লুকিয়ে ফেলা হয় আমাকে সহ সম্পূর্ণ কম্পোজ ম্যাটার। তন্নতন্ন করে খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ যখন খালি হাতে ফিরে চলে যায়, শ্রমিক কর্মচারীরা পুনরায় শুরু করেন তাঁদের অসমাপ্ত কাজ। শ্রমিক শ্রেণী যে ভাষায় যে দেশে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, তার সংগ্রামী চেতনা যে অসাধারণ, তার প্রমাণ সেদিন হাতে হাতে পেয়েছিলাম চট্টগ্রামে। দুপুরের মধ্যে মুদ্রিত ও বাঁধাই হয়ে প্রকাশিত হয় একুশের ওপর রচিত প্রথম কবিতা - ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’।”



১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি লালদিঘির ময়দানে বিশাল জনসভায় কবিতাটি পাঠের পর এর লেখক মাহবুব উল আলম চৌধুরী, পাঠক চৌধুরী হারুনর রশীদ, কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসে কবিতাটির মুদ্রণের জন্যে কাগজ সরবরাহকারী কামালউদ্দিন আহমদ বি.এ-র নামে হুলিয়া জারি হয়। জনসভায় কবিতাটির প্রথম পাঠক চৌধুরী হারুনর রশীদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। কবিতাটির পাণ্ডুলিপি দেখাতে অসমর্থ হওয়ায় মুদ্রাকর দবির আহমদ চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ জন্যে তাঁকে ছয়মাস জেলও খাটতে হয়।

কিন্তু ঐ ২২শে ফেব্রুয়ারি লালদিঘির ময়দানে হারুনর রশীদের পাঠের পরে জনসমুদ্র উত্তেজিত বারুদ হয়ে বিস্ফোরণে ফেটে পড়লো এবং সমস্বরে আওয়াজ উঠলো – “চলো চলো ঢাকা চলো”। দ্রুত কবিতাসহ গোটা বইটি বেআইনী ঘোষিত ও বাজেয়াপ্ত হলেও ততদিনে হাতে হাতে এবং মুখে মুখে কবিতাটি পূর্ব বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিলো।



‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি” এই কবিতা ও মাহবুব উল আলম চৌধুরীর নাম ইতিহাসে ঠাঁই পেলো “একুশের প্রথম কবিতা” ও তার কবি হিসেবে।





কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি

মাহবুব উল আলম চৌধুরী



ওরা চল্লিশজন কিংবা আরো বেশি
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে—রমনার রৌদ্রদগ্ধ কৃষ্ণচূড়ার গাছের তলায়
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য—বাংলার জন্য।
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
একটি দেশের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য
আলাওলের ঐতিহ্য
কায়কোবাদ, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের
সাহিত্য ও কবিতার জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
পলাশপুরের মকবুল আহমদের
পুঁথির জন্য-
রমেশ শীলের গাথার জন্য,
জসীমউদ্দীনের ‘সোজন বাদিয়ার ঘাটের’ জন্য।
যারা প্রাণ দিয়েছে
ভাটিয়ালি, বাউল, কীর্তন, গজল
নজরুলের “খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি।”
এ দুটি লাইনের জন্য
দেশের মাটির জন্য,
রমনার মাঠের সেই মাটিতে
কৃষ্ণচূড়ার অসংখ্য ঝরা পাপড়ির মতো
চল্লিশটি তাজা প্রাণ আর
অঙ্কুরিত বীজের খোসার মধ্যে
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের অসংখ্য বুকের রক্ত।
রামেশ্বর, আবদুস সালামের কচি বুকের রক্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সেরা কোনো ছেলের বুকের রক্ত।


আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের প্রতিটি রক্তকণা
রমনার সবুজ ঘাসের উপর
আগুনের মতো জ্বলছে, জ্বলছে আর জ্বলছে।
এক একটি হীরের টুকরোর মতো
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছেলে চল্লিশটি রত্ন
বেঁচে থাকলে যারা হতো
পাকিস্তানের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ
যাদের মধ্যে লিংকন, রকফেলার,
আরাগঁ, আইনস্টাইন আশ্রয় পেয়েছিল
যাদের মধ্যে আশ্রয় পেয়েছিল
শতাব্দীর সভ্যতার
সবচেয়ে প্রগতিশীল কয়েকটি মতবাদ,
সেই চল্লিশটি রত্ন যেখানে প্রাণ দিয়েছে
আমরা সেখানে কাঁদতে আসিনি।
যারা গুলি ভরতি রাইফেল নিয়ে এসেছিল ওখানে
যারা এসেছিল নির্দয়ভাবে হত্যা করার আদেশ নিয়ে
আমরা তাদের কাছে
ভাষার জন্য আবেদন জানাতেও আসিনি আজ।
আমরা এসেছি খুনি জালিমের ফাঁসির দাবি নিয়ে।



আমরা জানি ওদের হত্যা করা হয়েছে
নির্দয়ভাবে ওদের গুলি করা হয়েছে
ওদের কারো নাম তোমারই মতো ওসমান
কারো বাবা তোমারই বাবার মতো
হয়তো কেরানি, কিংবা পূর্ব বাংলার
নিভৃত কোনো গাঁয়ে কারো বাবা
মাটির বুক থেকে সোনা ফলায়
হয়তো কারো বাবা কোনো
সরকারি চাকুরে।
তোমারই আমারই মতো
যারা হয়তো আজকেও বেঁচে থাকতে পারতো,
আমারই মতো তাদের কোনো একজনের
হয়তো বিয়ের দিনটি পর্যন্ত ধার্য হয়ে গিয়েছিল,
তোমারই মতো তাদের কোনো একজন হয়তো
মায়ের সদ্যপ্রাপ্ত চিঠিখানা এসে পড়বার আশায়
টেবিলে রেখে মিছিলে যোগ দিতে গিয়েছিল।
এমন এক একটি মূর্তিমান স্বপ্নকে বুকে চেপে
জালিমের গুলিতে যারা প্রাণ দিল
সেই সব মৃতদের নামে
আমি ফাঁসি দাবি করছি।



যারা আমার মাতৃভাষাকে নির্বাসন দিতে চেয়েছে তাদের জন্যে
আমি ফাঁসি দাবি করছি
যাদের আদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের জন্যে
ফাঁসি দাবি করছি
যারা এই মৃতদেহের উপর দিয়ে
ক্ষমতার আসনে আরোহণ করেছে
সেই বিশ্বাসঘাতকদের জন্যে।
আমি তাদের বিচার দেখতে চাই।
খোলা ময়দানে সেই নির্দিষ্ট জায়গাতে
শাস্তিপ্রাপ্তদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
আমার দেশের মানুষ দেখতে চায়।



পাকিস্তানের প্রথম শহীদ
এই চল্লিশটি রত্ন,
দেশের চল্লিশ জন সেরা ছেলে
মা, বাবা, নতুন বৌ, আর ছেলে মেয়ে নিয়ে
এই পৃথিবীর কোলে এক একটি
সংসার গড়ে তোলা যাদের
স্বপ্ন ছিল
যাদের স্বপ্ন ছিল আইনস্টাইনের বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে
আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার,
যাদের স্বপ্ন ছিল আণবিক শক্তিকে
কী ভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায়
তার সাধনা করার,



যাদের স্বপ্ন ছিল রবীন্দ্রনাথের
‘বাঁশিওয়ালার’ চেয়েও সুন্দর
একটি কবিতা রচনা করার,
সেই সব শহীদ ভাইয়েরা আমার
যেখানে তোমরা প্রাণ দিয়েছ
সেখানে হাজার বছর পরেও
সেই মাটি থেকে তোমাদের রক্তাক্ত চিহ্ন
মুছে দিতে পারবে না সভ্যতার কোনো পদক্ষেপ।



যদিও অগণন অস্পষ্ট স্বর নিস্তব্ধতাকে ভঙ্গ করবে
তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঘণ্টা ধ্বনি
প্রতিদিন তোমাদের ঐতিহাসিক মৃত্যুক্ষণ
ঘোষণা করবে।
যদিও ঝঞ্ঝা-বৃষ্টিপাতে—বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভিত্তি পর্যন্ত নাড়িয়ে দিতে পারে
তবু তোমাদের শহীদ নামের ঔজ্জ্বল্য
কিছুতেই মুছে যাবে না।



খুনি জালিমের নিপীড়নকারী কঠিন হাত
কোনো দিনও চেপে দিতে পারবে না
তোমাদের সেই লক্ষদিনের আশাকে,
যেদিন আমরা লড়াই করে জিতে নেব
ন্যায়-নীতির দিন
হে আমার মৃত ভাইরা,
সেই দিন নিস্তব্ধতার মধ্য থেকে
তোমাদের কণ্ঠস্বর
স্বাধীনতার বলিষ্ঠ চিৎকারে
ভেসে আসবে
সেই দিন আমার দেশের জনতা
খুনি জালিমকে ফাঁসির কাষ্ঠে
ঝুলাবেই ঝুলাবে
তোমাদের আশা অগ্নিশিখার মতো জ্বলবে
প্রতিশোধ এবং বিজয়ের আনন্দে।

চট্টগ্রাম, ১৯৫২

[পাদটিকা হিসেবে একটি কথা বলা দরকার। এই কবিতায় চল্লিশজন শহীদের কথা বলা হয়েছে। হাসান হাফিজুর রহমানের বিখ্যাত ‘অমর একুশে’ কবিতায় এই সংখ্যাটা বলা হয়েছে পঞ্চাশ। আজ তথ্য হিসেবে হয়তো অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছে, কিন্তু তখন ঐ সময়ে এইরকম বিভিন্ন সংখ্যক শহীদের কথাই প্রচারিত হয়েছিলো। এটাই স্বাভাবিক। যদিও সংখ্যাটা নয়, হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ও নৃশংসতাই মূল বিষয় – হিটলারের হলোকস্ট বা বৃটিশ শাসকের জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো – শহীদ সংখ্যা আমরা সঠিক অনেকেই জানিনা, জানতে চাইও কি? বরং এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী প্রভাব কী অপরিসীম – সেই ভাবনার মধ্যেই আমাদের বসবাস।]

1 comment:

  1. শহীদদের সংখ্যা কখনও জানা যায় না। নব্বই এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞজনদের থেকে জেনেছি,রাতের অন্ধকারে অনেক লাশ পেট্রল ঢেলে পূড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
    সংখ্যায় কি আসে যায়। তাদের রেখে যাওয়া চেতনাই আমাদের অনির্বাণ দিকনির্দেশনা।

    ReplyDelete