1

ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত

Posted in

১৫ 

সোয়ানার জলপ্রপাত প্রচণ্ড বেগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিচের গিরিখাতে। তার গর্জন শোনা যাচ্ছে- তার ভাষাকে অবজ্ঞা করা যায়না। কখনো ঢিমেতালে, কখনো দ্রুতবেগে, পরিপুষ্ট জলধারার পরিপূর্ণ তৃপ্তির ধ্বনি যেন শাশ্বত রূপান্তরের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। মাঝে মাঝে কানে আসছে ধস নামার শব্দ। বরফের চাঁই প্রচণ্ড শব্দে ভেঙে পড়ছে সাভাগ্লিয়া নদীর শরীরে, ফ্রান্সেস্কোর কানে আসছে সে শব্দ। প্রকৃতির মধ্যে এমন শক্তি আছে, যা শুধু মানুষের জীবনকে বদলে দেয় এমন নয়, সে শক্তি তার আত্মাকেও স্পর্শ করে। এই রূপান্তর হয়তো বা অবশ্যম্ভাবী। প্রকৃতির প্রতি কাজে যেন গান, কবিতা ছড়িয়ে আছে। প্রকৃতির প্রতি অণুপরমাণুতে ভালোবাসার ছোঁয়া, যা তার হৃদয়কে উদ্বেল করে তুলছে। ফ্রান্সেস্কো অনুভব করলো, তার পিঠে, কাঁধে যে উষ্ণ স্পর্শের আদর লেগে আছে সূর্যের আলোর সঙ্গে সঙ্গে, এ তো প্রকৃতির স্নেহ! বীচগাছের শাখার অগ্রভাগ, লতাগুল্মের গুচ্ছ হাওয়ায় দুলে উঠে যেন তার কাঁধে, মাথায় আদরের ছোঁয়া রেখে গেলো। নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে তার সমস্ত শাখায়, তার উৎস থেকে প্রতিটি বাঁকের প্রতি গ্রন্থিতে স্রোতের উচ্ছ্বাসে, ঢেউয়ের তালে তালে, যেন তার সঙ্গেই কথোপকথনে রত। সে, ফ্রান্সেস্কো ভেলা, সে কি পড়তে পারছে না প্রতিটি গাছের শিকড়ের ভাষা? প্রতিটি ফুলের রেণুতে, পরাগে, গর্ভকেশরে যে রহস্য লুকিয়ে আছে, সে কি সেই ভাষা বুঝতে পারছে না? তরুণ যাজক একটা ছোট্ট নুড়ি তুলে নিলো; নুড়িটি লালচে রঙের লাইকেন, শৈবালে ঢাকা- যেন এক অদ্ভুত চিত্র আঁকা হয়ে আছে এই ছোট্ট নুড়ির গায়ে। রহস্যময়ী প্রকৃতি তার প্রতিটি উপাদানের মধ্য দিয়ে কথায়, সুরে, ছবিতে যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে, প্রতিমুহূর্তে বুঝিয়ে দিচ্ছে এই পৃথিবীর বিশাল ক্যানভাসে দৃশ্যমান প্রাণশক্তির অদম্য উপস্থিতি। 

পাখির দল, যারা তার মাথার উপরে ওড়াউড়ি করছে, তারা যেন এইসব কিছুর সাক্ষী থেকে যাচ্ছে। তাদের কলকাকলিতে জড়িয়ে আছে তার অনুভবের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন। তারা যেন বলছে, ‘হ্যাঁ, তোমার সঙ্গে আমরাও আছি!’ বাবুই আর টুনটুনি পাখি তাদের ধারালো ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে বাসা তৈরি করছে। তারা যেমন সূক্ষ্ম সুতোয় বাসা বুনছে, সেই সেরকমই এক অদৃশ্য সুতোর বন্ধনে এই প্রকৃতি, পাহাড়, উপত্যকা, গুহা, শিলাখণ্ড সবকিছু বাঁধা আছে। সবকিছু যেন এই ঐন্দ্রজালিক বন্ধনের রূপালী সুতোয় গাঁথা। এই বন্ধন কখনো দৃশ্যমান, আবার কখনো অদৃশ্য। সেই সুতোর ঔজ্জ্বল্য ফ্রান্সেস্কোর মনের চকমকি পাথরে তৈরি করছিল ভাবনার স্ফুলিঙ্গ। সমগ্র দৃশ্যে এবং শ্রুতিতে প্রকাশিত হচ্ছে নতুন বার্তা; প্রকৃতির অন্তরে যে প্রেমপ্রীতি সুষুপ্ত, তা প্রকাশিত হচ্ছে। কী অদ্ভুতভাবে, সূক্ষ্ম সুতোটা যখনই ছিঁড়ে যাচ্ছে কিম্বা হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে, নিরলস পাখিগুলি আবার তাদের ঠোঁটে করে বাসা বুনবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। পাখিগুলো কোথায় লুকিয়ে থাকছে? এমনিতে তাদের দেখা যাচ্ছেনা। যখনই নিঃশব্দে এবং দ্রুত এরা স্থান পরিবর্তন করছে, তখনই এক ঝলক দেখা যাচ্ছে এদের রঙিন পালকের ঝিকিমিকি আলো। তাদের ছোট ছোট ঠোঁটে উঠে এসেছিল এক মন ভালো করা গানের সুর, যা দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ছিলো। 



প্রকৃতিতে যেন সবকিছু পরিপূর্ণ, চতুর্দিকে প্রাণের স্পন্দন- যেন এক উৎসব! ফ্রান্সেস্কো নিজের অন্তরে বাহিরে অনুভব করছিল এই উৎসবের আনন্দ। তার এই বোধের মধ্যে কোথাও মৃত্যুর স্থান ছিলনা। চেস্টনাট গাছের কাণ্ড স্পর্শ করে সে বৃক্ষের খাদ্যরসের গতায়াত বুঝতে পারছিল। সে মুক্ত বাতাস পান করতে করতে অনুভব করলো যে এই নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসের ক্রিয়া যা সে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করছে – এই কাজের জন্য সে যেন আপন আত্মার কাছেই ঋণী। তার জিহবা, স্বরযন্ত্র- যার সাহায্যে যে কথা বলছে, বাক্য উচ্চারণ করছে, এই সবকিছুই নির্মাণ করেছেন সেই পরমাত্মা। হঠাৎ তরুণ যাজক দেখতে পেলো- সেন্ট আগাথার চূড়ার সেই বাদামী অসপ্রে বাজপাখিদের। ঠিক তার মাথার উপরে নয়, অনেকখানি উঁচুতে পাহাড়ের মাথায় দেখা যাচ্ছে তাদের অবাধ উড়ান। তাদের প্রাণচঞ্চল পালকে ঢাকা শরীরে যেন এক রাজকীয় দীপ্তি। রেশমনীল আকাশের গায়ে তাদের ডানার আন্দোলন যে ছবি এঁকে চলেছে, তার গভীরতর অর্থ নিঃসন্দেহে প্রেমের কথা, প্রাণের কথা বলে যায়। পাখিরা যদি ফ্রান্সেস্কোকে তাদের ডানার ভাষা পড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাতো, ফ্রান্সেস্কো সে কথাই পড়তো। বহুদূর থেকে দেখতে পাওয়ার কী অদ্ভুত ক্ষমতা এই পাখিদের, ভাবছিল সে। শুধু বাজপাখি নয়, মানুষ, পাখি, অন্যান্য প্রাণী, স্তন্যপায়ী, পোকামাকড়, মাছ – সবাই তাদের অজস্র চোখ দিয়ে এই প্রকৃতিকে দেখছে। ক্রমাগত বেড়ে চলা বিস্ময়ের সঙ্গে সে উপলব্ধি করছিল প্রকৃতির কী অসীম মাতৃত্বের স্নেহ! তার স্নেহের পরিসরে তার সন্তানের কাছে কোনো কিছুই অধরা, গোপনীয় নয়। প্রকৃতি তার সন্তানদের চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা এবং ত্বক- এই পঞ্চেন্দ্রিয়ের উপহার দিয়েছে এবং যুগ যুগ ধরে নতুন নতুন বিবর্তনের জন্য সে তার সন্তানদের বোধবুদ্ধিকে প্রস্তুত করে দিয়েছে। প্রকৃতিতে, পৃথিবীতে কী অদ্ভুতভাবে, কী প্রাচুর্যের মধ্য দিয়ে দৃশ্য, শ্রবণ, ঘ্রাণ, স্বাদ এবং স্পর্শের খেলা চলেছে। একটা সাদাটে মেঘ এসে ঢেকে দিল অসপ্রে বাজগুলির শরীর। সারা পৃথিবী যেন উজ্জ্বল রঙচঙে এক মাদারি খেলার তাঁবু। যেখানে ঢুকলে, কেবলই জাদুর খেলা চলে অবিরাম। প্রকৃতি একই সঙ্গে নিজেকে প্রতিদিন বদলে ফেলছে এবং আরও নতুন নতুন প্রাণের খেলা নিয়ত অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে এখানে। 

---- ------- 

এক গভীর রহস্যময় শক্তির সঙ্গে ফ্রান্সেস্কোর বোঝাপড়া এখনো বাকি, একথা সে ভালোমত বুঝতে পারছিলো। কিন্তু এই অভিজ্ঞতার ভালো দিকটা বিশেষভাবে যেটা মনে হয়েছিল তার কাছে যে সেসময়ে ঐ গরিব অভিশপ্ত মেষপালিকা বালিকার সঙ্গে তার দেখা হবে। এই অদ্ভুত সচেতনতা তার অন্তরে এক নিরাপত্তাবোধ তৈরি করেছিল, ভালোবাসার সম্পদে ধনী মনে হয়েছিল নিজেকে, তার মনে হচ্ছিল যে আগামী সময় এত মূল্যবান যে তা যেন সহজে নষ্ট না হয়। অনেক উপরে, হ্যাঁ ওইখানে, সেন্ট আগাথার চ্যাপেল পর্বতের যে শিখরে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে, ঐ চূড়ার উপরে যেখানে অসপ্রে বাজপাখিরা পাক খাচ্ছে, সেখানে রয়েছে তার আনন্দময় মুহূর্তগুলি। সেই ভাগ্যকে যে দেবদূতেরাও ঈর্ষা করবে। সে উঠে যেতে লাগলো পাকদণ্ডী পথ বেয়ে, উঠে যেতে লাগলো অসীম আনন্দের উৎসমুখের দিকে। উপরে গেলেই যেন তার এক অদ্ভুত রূপান্তর ঘটবে। এক নির্মোহ আকাশের কাছাকাছি গিয়ে সে নিজেই যেন হয়ে উঠবে এক শাশ্বত মেষপালক। 

‘হৃদয় উন্নীত হোক! হৃদয় উন্নীত হোক!’ (Sursum corda!*)—পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণ করতে করতে ফ্রান্সেস্কো সেন্ট আগাথা, সেই শহিদ নারী যিনি হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তার নামাঙ্কিত চ্যাপেলের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। তার মনে হল যেন স্বয়ং সেন্ট আগাথা তার সঙ্গে আছেন। তার পেছনেই আছেন তিনি। তার মনে হল যেন আরোহণের পথে পবিত্র সন্ত এবং সন্ন্যাসিনীরা লাইন করে তার সঙ্গে যাচ্ছেন। ফ্রান্সেস্কোর সঙ্গে তারাও যেন চ্যাপেলের শিখরের এই আনন্দমুখর মিলনস্থলের অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে ইচ্ছুক। সন্ত মারিয়া যেন চলেছেন সবার আগে। তার খোলা চুলে যেন ঢেউ খেলানো পবিত্র সুরের ছন্দ। তার সুন্দর পদযুগলের ইঙ্গিতে তার পেছনে পেছনে চলেছেন বাকি সব সন্ত এবং সন্ন্যাসিনীরা। সন্ত মারিয়ার পবিত্র নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসে, তার আত্মার উপস্থিতিতে, এই পৃথিবী সেজে উঠছে প্রকৃতির উৎসবে, ফুল ফুটে উঠছে তার প্রতি পদক্ষেপে, তার আশীর্বাদ থেকে যেন একটি প্রাণীও বঞ্চিত না হয়! ‘কৃপা করুন! কৃপা করুন!’ অস্ফুটে বলতে থাকে ফ্রান্সেস্কো! ‘হে পবিত্র তারকা! কৃপা করুন!’ 

অক্লান্ত হেঁটে হেঁটে ফ্রান্সেস্কো অবশেষে পৌঁছালো সেন্ট আগাথার শিখরে। শিখরের ভূমি চ্যাপেলের মেঝের চেয়ে অল্প প্রশস্ত। সেই জায়গাটুকুর মধ্যে চ্যাপেলের চারপাশে অল্প একটু পরিসীমা এবং সামনে ছোট একটু আঙিনা। শিখরের উপরে আর কোনো জায়গা নেই। আঙিনায় একটি তরুণ, অথচ পত্রহীন চেস্টনাট গাছ। চারপাশে ইতস্তত ফুটে রয়েছে নীল জেন্‌টিয়ান ফুল- মনে হচ্ছে নীল আকাশের টুকরো টুকরো অংশ- নাকি সন্ত মারিয়ার পোশাকের প্রান্ত দিয়ে ঘেরা রয়েছে এই অতি প্রাচীন, অনাড়ম্বর উপাসনাগৃহটি। 

ধর্মীয় সঙ্গীতের গায়ক ছেলেটি এবং স্কারাবোটাদের ছোট ছোট বাচ্চাগুলি আগেই সেখানে পৌঁছে দাঁড়িয়ে ছিল চেস্টনাট গাছের নিচে। ফ্রান্সেস্কোর মুখ একটু ফ্যাকাসে হয়ে গেলো, কারণ একঝলক তাকিয়ে সেই দলের মধ্যে মেষপালিকা বালিকাকে সে দেখতে পেলোনা। কিন্তু সেই হতাশা বাইরে প্রকাশ না করে, গম্ভীর মুখ করে একটা বিশাল, জংধরা চাবি দিয়ে সে উপাসনাগৃহের দরজা খুলে দিলো। নিজের অন্তরের দোলাচল বাইরে আনবে না সে। উপাসনগৃহের ভেতরে ঢুকবার পরে গায়ক ছেলেটি ঈশ্বরের আসনের পিছনে গিয়ে নানারকম টুকিটাকি প্রস্তুতি শুরু করে দিলো। শুকনো হাত ধোবার গামলা একটা বোতল থেকে পবিত্র বারি ঢেলে পূর্ণ করা হল যাতে বাচ্চারা হাতের আঙুল ডুবিয়ে শুদ্ধমতে প্রস্তুত হয়। অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বাচ্চাগুলো জলের ছিটে দিয়ে বুকে ক্রস টেনে হাঁটু গেড়ে দরজার সিঁড়ির পেছনেই বসে পড়লো। 

ইতিমধ্যে একটা অদ্ভুত উদ্বেগ কাজ করছিল ফ্রান্সেস্কোর মনে। সে উপাসনাগৃহের বাইরে যাচ্ছিল বারে বারে। হঠাৎ সে লক্ষ্য করলো বাইরে, শিখরের সিঁড়িগুলির দু তিন ধাপ নিচে জেনটিয়ান ফুলের ঝোপের মধ্যে সেই মেয়েটি বসে আছে। 

-‘ভেতরে এসো, আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি!’ ডাক দিলো যাজক। 

মেয়েটি উঠলো, অথচ তার ভঙ্গিতে যেন কেমন আলস্য। শান্ত এবং আনত দৃষ্টিতে সে তাকালো তরুণ যাজকের দিকে। একইসঙ্গে যেন এক অদ্ভুত নমনীয় ভঙ্গিতে হাল্কা নরম একটা হাসির রেখা ফুটে উঠলো তার ঠোঁটে। তার মিষ্টি মুখের গড়ন, চিবুকের রেখা, নীল চোখ, গালের হাল্কা টোল, সব মিলিয়ে হয়তো বা আপনা থেকেই তার মুখটা হাসি হাসি দেখিয়েছিলো। 

সেই মুহূর্তে অদ্ভুত অবধারিত একটা ঘটনা ঘটলো। ফ্রান্সেস্কো অন্তরে যে ছবিটি ধরা ছিলো, সেই ছবিটি এসে যেন মিশে গেলো ঐ বালিকার অবয়বে। সে দেখলো এক শিশুসুলভ ম্যাডোনার মূর্তি, যার বিভ্রান্তিকর সৌন্দর্যের সঙ্গে মিশে আছে অদ্ভুত শান্ত অথচ ব্যথাতুর এক তীক্ষ্ণতা। একঝলক রক্তিমাভা দেখা দিলো তার বাদামী নয়, সাদাটে গালে, ঠোঁটে ভেসে উঠলো ডালিমের রসালো রং। এই বালিকার মস্তকের প্রতিটি দোলায় মিশে আছে মিষ্টত্ব এবং তিক্ততা, বিষাদ এবং হর্ষ। তার দৃষ্টির মধ্যে একই সঙ্গে মিশে আছে লাজুক গুটিয়ে থাকা এবং প্রশ্নমিশ্রিত স্পর্ধা; তার চলনবলনে কোথাও পরিশীলনের অভাব নেই, বরং যেন তার অবচেতনে মিশে আছে এক পুষ্পময় লাবণ্য। যদি তার চোখ সেই পুষ্পের রহস্য এবং রূপকথার আকর হয়, তার সম্পূর্ণ অবয়ব যেন এক সুন্দর, সুপক্ক ফল। 



(চলবে) 

গেরহার্ট হাউপ্টমান রচিত ‘ড্যের কেৎজার ফন সোয়ানা’ অবলম্বনে লেখা 

* Sursum corda –খ্রিস্টান ধর্মীয় জনসভা শুরু করবার আগে পুরোহিতরা এই পবিত্র ল্যাটিন মন্ত্র উচ্চারণ করে সবাইকে সম্বোধন করেন। এর আক্ষরিক অর্থ হল, ‘হৃদয় উন্নীত হোক!’

1 comment: