0

ওবাড়ির চিঠি - শতরূপা দত্ত

Posted in

ওবাড়ির চিঠি

অ্যান্টিবায়োটিক - বন্ধু যখন হননকারী
শতরূপা দত্ত


সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট। গত ২৪ এপ্রিল এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরদিন সেই রিট আবেদনের শুনানিতে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হতে দেওয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সরকারের কাছে জবাব চেয়ে রুল জারি করা হয়।

অ্যান্টিবায়োটিক একটি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ। কিন্তু আমাদেরই ভুলে বর্তমানে এটি হয়ে উঠেছে এক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ-তে মারা যাওয়া রোগীদের ৮০ শতাংশের মৃত্যুর সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধী সুপারবাগের সম্পর্ক থাকতে পারে। বলা হচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আজকের ভয়াবহ ছবিটি দেখার আগে একটু পেছনে তাকানো যাক। পেনিসিলিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক। পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ১৯২৮ সালে লন্ডনে। ১৯৪২ সালে প্রথম পেনিসিলিন মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হয়। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনীর সৈন্যদের ক্ষত সারাতে পেনিসিলিনের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়। ব্রিটেন, আমেরিকার বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফ্লেমিং-এর সেই ‘যাদু ঔষধ’ তৈরি হতে থাকে, যা অসংখ্য জীবন বাঁচায়।

স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং নাকি বলেছিলেন, “এই অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি লোক বেঁচে যাবে। অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না। তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।”

ফ্লেমিং সত্যিই এ কথা বলেছিলেন কিনা সে প্রমাণ আমার হাতে নেই, তবে আজ কিন্তু এ কথার সত্যতা প্রমাণিত হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু কেস-স্টাডিতে দেখা গেছে, ‘অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা’ তৈরি হয়ে যাওয়ার কারণে বহু মানুষের শরীরে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়ার বেঁচে থাকার ও বংশবিস্তার করার ক্ষমতা অর্জনই ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা’। আর এইঅ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল ব্যাকটেরিয়াগুলোকেই বলা হয় সুপারবাগ। ২০১৬ সালে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সুপারবাগ দিন দিন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এটি।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন রোগীর কেস-স্টাডি উঠে এসেছে। এসব কেস-স্টাডিতে দেখা গেছে, কোনোঅ্যান্টিবায়োটিকই তাদের শরীরে কাজ করছে না। ফলে দুরারোগ্য রোগ দূরে থাক, সাধারণ অসুস্থতাতেও তাই ওষুধ প্রয়োগ করে ফল পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। চিকিৎসার সমস্ত উপকরণ হাতের কাছে থাকার পরও বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে তাদের।

ফেসবুকে রাজীব হোসাইন সরকার নামে একজন চিকিৎসক চার বছরের একটি শিশুর কেস-স্টাডি সামনে এনেছেন। শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে দেওয়া ইউরিন কালচার রিপোর্টটি প্রকাশ করে দেখিয়েছেন এর ভয়াবহতা। সেই রিপোর্টটিকে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্তির সত্যয়িত সনদপত্র’ হিসেবে।

শিশুটির ইউরিন রিপোর্টে দেখা যায়, তাতে ১৮টি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং ১৮টিতেই রেজিস্ট্যান্ট রেজাল্ট পাওয়া গেছে! চিকিৎসকদের হাতে শত শত অ্যান্টিবায়োটিক থাকলেও এই শিশুটির শরীরে কাজ করবে না একটাও। শিশুটি নিশ্চিত মারা যাবে।

আরো একটি ভয়ের কথাও সেই সাথে শুনিয়েছেন রাজীব হোসাইন সরকার, ঐ শিশুটির রিপোর্টের মতো আরো অন্তত ৩০০টি রিপোর্ট আছে তাঁর কাছে। দীর্ঘ এক বছরের চেষ্টায় সেগুলো সংগ্রহ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্ট এই ৩০০ রিপোর্ট যাদের, তারা যত ধনীই হোক, দুনিয়ার যে দেশেই চিকিৎসা করাক, যে ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করুক, তারা আর ফিরবে না। তাদের মৃত্যু অনিবার্য।

সম্প্রতি দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতেও উঠে এসেছে এমনই দুটি কেস-স্টাডি। এগুলো থেকে জানা গেছে, ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ-তে ভর্তি দুই রোগীর কথা, যাদের শরীরে একটি মাত্র অ্যান্টিবায়োটিককাজ করছে, যেটি আবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়েই আইসিইউ-তে এসেছেন। শুধু এ দুজনই নয়, জানা গেছে, আইসিইউ-তে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই কোনো না কোনোঅ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত ২০-২৫ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। আইসিইউ-র অধিকাংশ রোগীরই ২০টার মধ্যে অন্তত ১৮টা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আর কিছু রোগী আছেন, যাঁদের সব অ্যান্টিবায়োটিকেই রেজিস্ট্যান্স।

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে এর জন্য প্রধানত দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। কোন রোগের জন্য কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কোন মেয়াদে দিতে হবে তা না জেনেই ফার্মেসির দোকানদার, পল্লী চিকিৎসক থেকে শুরু করে পাশের বাসার ভাই-ভাবী, বন্ধু-সহকর্মী, পাড়ার পরিচিত সবাই অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছে। জানা গেছে, দেশের প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার ফার্মেসিতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়। এছাড়া চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে যে অ্যান্টিবায়োটিকলিখছেন, রোগীরা পূর্ণমেয়াদে তা শেষ করছে না। বেশি দামের কারণে রোগীরা কিছুটা সুস্থ হলেই অ্যান্টিবায়োটিকের মেয়াদ শেষ না করেই ওষুধ বন্ধ করে দেন। ফলে তাঁদের শরীরে যে জীবাণু থাকছে, তা ওই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্স তৈরি করছে। জানা যাচ্ছে, দেশে গড়ে প্রতিদিন সাত লাখ মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক খায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, গত বছর প্রায় ৯০০ রোগী তাঁদের আইসিইউ-তে ভর্তি হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন মারা গেছেন, যার ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে রোগী যে ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে, তা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সংবেদনশীল নয়।

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলো শুধু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরেইথাকে না। তারা বংশবৃদ্ধি করে, তাদের ছানা-পোনারাও রেজিস্ট্যান্ট হয়েই জন্ম নেয়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াগুলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একদম সুস্থ, কোনোদিনও একটাও অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়া একজন মানুষও এধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যান। অর্থাৎ, ধরে নেয়া যায় আক্রান্ত মানুষটির সাথে সাথেই তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়েন। এ সমস্যায় আক্রান্ত নারীর গর্ভজাত শিশু জন্ম থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পৃথিবীতে আসবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান আহমেদ আবু সালেহ বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সত্যি কথা হলো, ভবিষ্যতে ব্যবহার করার মতো কার্যকর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক আর তাঁদের হাতে নেই। বর্তমানে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এ কারণে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

তবে শুধু কারণে-অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বা মেডিসিনের কোর্স শেষ না করলেই যে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সতৈরি হয়, তা কিন্তু নয়। আরো বেশি ভয়ের কথা হলো, মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য যে অ্যান্টিবায়োটিক বানানো হয়েছিল, অতিরিক্ত লাভের আশায় সেগুলো এখন পশুপাখিদের দ্রুত বর্ধনশীল করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামে করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শহরের অর্ধেকেরও বেশি পোলট্রি-মুরগির শরীরে এসব অ্যান্টিবায়োটিকঢোকানো হচ্ছে। শুধু চট্টগ্রাম নয়, এ চিত্র গোটা দেশেরই। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ২০১৮ সালেঅ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও এর কার্যকারিতা নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশে মৎস্য খামারে ১০ ধরনের ও ৫০ শ্রেণির অ্যান্টিবায়োটিক, কীটনাশক ও গ্রোথ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। গরুর দুধের নমুনায় টেট্রাসাইক্লিন, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, সিপ্রোসিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে সরকারের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাতেই। মাছ ও মাংসেও পাওয়া গেছে একই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যার বেশিরভাগই মানুষের জন্য সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি। এমনকি, বাদ যায়নি কৃষিখাদ্যও।

গবাদি পশু বা হাঁস-মুরগির জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আসলেই কতটা সহজলভ্য, তার প্রমাণ মেলে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারের পাশে প্রাণীর ওষুধের সারি সারি দোকান থেকে ঘুরে এলেই। কোনো প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এখানে যেকোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক যে কেউ কিনে নিতে পারেন।

এক প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনো ভেটেরিনারি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া প্রাণিসম্পদের কোনো ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু সে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না কোনোখানেই। দেশের বেশিরভাগ খামারি ওই সব ওষুধ সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় তারা যখন তখন ইচ্ছামাফিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করছে। কিন্তুঅ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ কম হলে যেমন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়, তেমনি গবাদি পশু, মুরগি বা মাছে এর ডোজ বেশি হলে তা তাদের শরীরে থেকে যায়। এগুলোর মাত্রা ঠিক না রাখলে খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানবদেহে ঢুকে ক্ষতি ঘটাতে পারে। আগুনের তাপেও এরা প্রভাবিত হয় না। এসব অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের কিডনি নষ্ট করে ফেলতে পারে।

এর পাশাপাশি কৃষিপণ্যে, শস্য ও সবজি চাষের সময় ব্যবহৃত কীটনাশক কোনো না কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকথেকেই তৈরি। সেগুলোও শস্য এবং সবজির মাধ্যমে প্রবেশ করছে মানুষের শরীরে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষিখাদ্যের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করায় রাজধানী ঢাকার ৫৫.৭ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

শুধু সরকারি নিষেধাজ্ঞা নয়, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাওয়া জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে হলে তাই আমাদের সকলের সচেতনতা সবার আগে প্রয়োজন। হয়তো এখনো অনেক দেরি হয়ে যায়নি, সবাই মিলে চেষ্টা করলে হয়তো এখনো পৃথিবী থেকে মানব জাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবার মতো একটি হুমকি থেকে আমরা আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে পারবো।

0 comments: