0

ধারাবাহিক - সোমঙ্কর লাহিড়ী

Posted in


ধারাবাহিক


পায়ের শব্দ
সোমঙ্কর লাহিড়ী



দ্রুত চান শেষ করে নিজের শোয়ার ঘরে ফিরে গিয়ে বেড সাইড টেবিল থেকে গ্লাসটা তুলে শেষ যেটুকু হুইস্কি পড়েছিল সেটা গলা দিয়ে নামিয়ে অ্যান্ডি প্যান্ট জামা ইত্যাদি পরা শুরু করল। 

পাশের বিছানায় ততক্ষণে নাক ডাকা বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যান্ডি দেখল বিছানা থেকে যেন একটা সিন্ধুঘোটকের মতো কিছু মাটিতে পা রাখল। 

নিজের উপরে ঘেন্না ধরে গেল অ্যান্ডির। একে তো চেনে না। আর এই চেহারার আর এই বয়েসের মেয়েরা তো সাধারণত ডিস্কে বা নাইটক্লাবে যায় না। তবে এটাকে ও জোটাল কোন চুলোরদোর থেকে?

শালা মুকেশ এন্ড পার্টিই শালা এরজন্য দায়ী। কচি গুলোকে নিজেরা নিয়ে পালিয়েছে আর ওর ভাগে রেখে দিয়েছে এই কচ্ছপটাকে। 

নিজের মনে অ্যান্ডি বলে উঠল,

এই হয়রে, পাগলা, এই হয়।

অ্যান্ডি সেই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করল,

টাকা কি কাল রাতেই পেয়ে গেছ?

সেই অচেনা অজানা অপরিচিত এবং উলঙ্গ মহিলাটি একটু ফিচেল টাইপ হাসি দিয়ে বলল, 

পেয়েছি, কিন্তু কিছু তো করতেই হয়নি। বাব্বাঃ ফিরেই তো খানেক হ্যাচোড় প্যাচোড় করে ঘুমতে লেগে গেলে। কেন খাও ওসব?


মহিলাটির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে অ্যান্ডি বুঝতে পারল সে জাগছে। বলল, 

এসো তবে। 


বলেই সেই মহিলাটির ঘাড়ের পিছনে হাত রেখে নিজের দিকে টান লাগাল। সব খেলায় একটু টানা পোড়েন হলেই খেলা জমে। এখানে টানের সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে মহিলা অ্যান্ডির ঠোঁটের উপরে নিজের ঠোঁট চাপিয়ে দিল আর নিজের শরীরের থরো থরো ভাব দেখাতে গেল, অ্যান্ডির বিরক্তি জাগানর জন্য তা যথেষ্ট। 

অ্যান্ডি সেই মহিলাটিকে পিছন দিকে ঘুরিয়ে ধরে তার উন্মুক্ত পাছাতে দুটো জোরে থাপ্পড় মেরে বলল, 

তাড়াতাড়ি ড্রেস আপ করে এখান থেকে বিদেয় হও। 

মহিলাটি ততোধিক ন্যাকা গলায় বলল, 

ওমা, কিছু করবে না? আমি ভাবলাম তোমার বুঝি একটু কষ্ট দিয়ে করতে ভালো লাগে। 


এই যাবি? না মেরে তাড়াবো?

কেন অসভ্যতা করছ হানি? আমায় ভালো লাগছে না?

তোর হানির মাকে...


মেয়েটা ভয়ে পিছিয়ে গেল খানেকটা, বিছানায় পাটা বাধা পাওয়ার ফলে বিছানায় পড়ে গেল চিত হয়ে। 

নির্লোম ফরসা ফ্যাক ফ্যাকে চেহারাটা দেখে অ্যান্ডির আবার সেই সিন্ধুঘোটকের কথা মনে পড়ে গেল। বাইরে কাঞ্চনদা রয়েছে না হলে একবার ট্রাই করে দেখলে হতো মানুষে পশুতে কেমন জমে।


অ্যান্ডিবাইরে বেরিয়ে এসে দরজাটা বন্ধ করে দিল। সঙ্গে সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ঢোকার পিঁক পিঁক শব্দটা কানে ঢুকল। 


হাতে ফোনটা তুলতেই কাঞ্চন বলল, 

আজ তুই ফ্লাইট মিস করেই ছাড়বি। তো বড্ড তেলানি হয়েছে বুঝতে পারছি। শালা স্টার! পিছনে ঢুকে যাবে সবকিছু যদি প্যাট্রনরা মুখ ঘুরিয়ে নেয়। হাতে বাটি নিয়ে ভিক্ষে করতে হবে।


অ্যান্ডির সেই সব কথা কানেই ঢুকছিল না, 

হোয়াটসঅ্যাপে একের পর এক ছবি, ভিডিও ক্লীপ পাঠিয়েছে তারই প্রিয় সাংবাদিক, বীরু মুখার্জী। তার মধ্যে কোনওটাতে দেখা যাচ্ছে অ্যান্ডি নাইট ক্লাবে নাচছে ঐ মহিলাটির সাথে। কোনওটাতে দেখা যাচ্ছে সে আর ঐ মহিলা নাইট ক্লাব থেকে বেরচ্ছে। অ্যান্ডির অবস্থা দেখে কারওকে বলে দিতে হবে না যে সে নেশায় চুর। আর নাচের সময় তার অভিব্যক্তি বুঝিয়ে দিচ্ছে সে ঠিক কি করছে ঐ মহিলার সঙ্গে।

নীচে বীরু লিখেছে,

আমি তুলিনি, আমার কিছু বন্ধুর কাজ। এতক্ষণে ভাইরাল হয়ে গেছে বোধহয়, নাইট ক্লাবে কি আজকাল মা মাসিদের নিয়ে যাওয়া শুরু করলে নাকি? 

কাঞ্চন অ্যান্ডির মুখের ভাব দেখে বুঝল আবার কিছু একটা গণ্ডগোল পাকিয়েছে,

কি হয়েছে রে?

অ্যান্ডি কিছু না বলে ফোনটা এগিয়ে দিল।



কাঞ্চন সব দেখে বলল, 

ভালোই তো হয়েছে। তুই তো এটাই চাইছিলি। তোর পাবলিসিটি হোক, যেন তেন প্রকারেণ। তা হয়েছে। এখন তো ইয়ং ফলোয়াররা তোর দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে কি না আমি বুঝতে পারছি না। তোর তো রোজ পার্টি, রোজ মদ, গাঁজা, রোজ নতুন মেয়ে। এখন কি ইম্প্রেশানটা পাবলিকের মনে হবে সেট বোঝ। নাও বাংলার মিক জ্যাগার এবারে সামলাও পেজ থ্রীর সাংবাদিকদের। দিয়েছে গুগলি। 

না না এগুলোতে তেমন খারাপ কিছু নেই।

নেই তো। পাঁচ পাবলিকের সামনে একটি মহিলার বিভাজিকায় মুখ ডুবিয়ে থাকা কি এমন খারাপ কাজ? উড়তে থাকা ফ্রকের নির্দিষ্ট ফাঁকে চোখের দৃষ্টি? কি এমন খারাপ। আসলে এসব খারাপ হতো না বোধহয় যদি না ঐ মহিলাটি তোর কাছাকাছি বয়েসের হতো। তা না হয়ে তুই একটা আধবুড়ির সঙ্গে ঐ রকম নচ্ছারপনা করছিস। ওরে এটা ভারতবর্ষ, এখানে ঘোমটা দিয়েই খ্যামটা নাচতে হয়।


এবারে তাড়াতাড়ি কর, প্লেন যে উড়ে যাবে বাবা। 

দুজনের এই সব কথার মাঝে সেই মহিলা ঘর থেকে বেরিয়ে এলো পরনে ছবিতে দেখা সেই স্কার্টের মতন ড্রেসটা। 

কাঞ্চন আর অ্যান্ডির দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলল, 

একটা প্রবলেম হয়েছে?

কি?

আমি না আমার প্যান্টিটা খুঁজে পাচ্ছি না।

কাঞ্চনের গাল আর কানের দিকে তাকিয়ে অ্যান্ডি বুঝতে পারল না, এত তাড়াতাড়ি ফর্সা লোকেরা লালচে হয়ে যায় কি করে?

মহিলাটির দিকে তাকিয়ে বলল,

তুমি ঘুমোচ্ছিলে তো তখন অনলাইন পোর্টালে বেচে দিলাম। কুড়িলক্ষ টাকায়। এই মাত্র ডেলিভারি নিয়ে গেল। আমার একটা দেবো? পরে এখান থেকে বিদায় নেবে? নাকি মেরে তাড়াবো? 


মহিলাটি বিন্দুমাত্র লজ্জা না পেয়ে হেসে বলল, 

য্যাঃ, তোমার খালি বদমায়েশি। একটা ক্যাব বুক করে দাও না গো?

এই নির্লজ্জ মহিলাকে কি করে হ্যান্ডেল করবে ভেবে পেলনা দুজনের কেউই। অ্যান্ডি নিজের পার্স থেকে গোটা দুয়েক একশ টাকার নোট বার করে মহিলাটির হাতে দিয়ে বলল, 

এখন যাও। আমাদের তাড়া আছে। 


সে টাকাটা নিয়ে খুব সুন্দর করে ভাঁজ করে নিজের ব্রায়ের ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে টাকাটা রেখে অ্যান্ডির দিকে তাকিয়ে বলল, 

তোমারা ছেলেরা কিন্তু রাত কেটে গেলে বড়ো কিপটে হয়ে যাও। 

মহিলা দরজার কাছ অবধি গেছে কি না গেছে, কাঞ্চন ক্ষিপ্র গতিতে গিয়ে দরজাটায় পিঠ দিয়ে মহিলার যাওয়া আটকে দাঁড়িয়ে বলল,

ফোন নম্বরটা একটু লাগবে যে।

কেন?

না পরে যদি আবার দরকার পরে কোনও রাতের জন্যে।

মহিলা তাঁর হ্যান্ডব্যাগ থেকে ফোনটা বারকরে। অ্যান্ডি অবাক হয়। একজন কল গার্লের ব্যবহারের পক্ষে বেশ দামিই ফোনটা। কেউ দিয়েছে হয়ত। কিন্তু কাঞ্চনদা এর ফোন নম্বর চাইছে? কি দিন এলো? এই ভাবনাটুকুর মধ্যে অ্যান্ডি দেখল কাঞ্চন প্রায় চিলের মতো তার ফোনটা হাত থেকে কেড়ে নিল। 

ওপেন করার কোড টোড কিছু থাকলে বলবে? নাকি ফোনটাই ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেবো?

আপনি আমার ফোন ফেরত দিন?

ফোনটা খুলে দেখব যে, না হলে তো এখান থেকে যেতে দেবো না, দরকারে পুলিস ডাকব। কোড প্লীজ। আমি তিন গুনব। এক..

ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।

সেটা তো আমিই বলছি যে ভালো হবে না। দুই...

কাঞ্চনের হাত ফোন সমেত মাথার উপরে ওঠে। মহিলা বুঝতে পারে যে এর চেহারা চরিত্র অ্যান্ডির মতো নয়। ভেঙ্গে দেবো বলেছে। দিলেই চিত্তির। প্রায় মরিয়া হয়েই সে বলে ওঠে,

ওতে কিছু নেই তো।

সেটা আমি বুঝবো, তিন.. 

বলেই এক আছাড় মারল ফোনটাকে। কপাল ভালো মেঝের কার্পেট ফোনটাকে গুঁড়িয়ে দিতে দিলনা। তবে ব্যাটারী কভার সব খুলে ছড়িয়ে গেল। 

মহিলার রাগ আতঙ্কে পরিবর্তিত হলো। 

আপনি আমার ফোনটা ভেঙ্গে দিলেন?


না না, ওটা জাস্ট খুলে গেছে। এখনও জুড়ে চালানো যাবে। এর পরে ভেঙ্গে গুঁড়ো করে দেবো। কোড বলুন।

মহিলা এবারে বুঝতে পারে যে ব্যাপারটা খারাপের দিকেই চলে যাবে ফোনের ওপেনিং কোডটা না বললে। ফোনটা প্রায় চোখের পলকে কাঞ্চন জুড়ে নিয়ে চালু করল। সেই মহিলা ওপেনিং কোড বলার কিছু সময়ের মধ্যে কাঞ্চেনের সামনে খুলে গেল সেই মহিলার ও অ্যান্ডির খেলাধুলার ছবি। কিন্তু সেই ছবি ও ভিডিও ক্লীপস পেরিয়ে গিয়ে কাঞ্চন আর অ্যান্ডির আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল। দেখা গেল সেই মহিলার স্তন বলয়ের চারধারে সাদা গুঁড়োর এক বৃত্ত। আর তার পরে সেই সাদা পাউডারের বৃত্ত অ্যান্ডি নাক দিয়ে নিজের ভেতরে টেনে নিচ্ছে। এ যেন এক খেলা। শরীরের আনাচে কানাচে মহিলাটি সাজিয়ে দিচ্ছে। আর অ্যান্ডি হাসতে হাসতে সেই সাদা গুঁড়োকে নিজের ভেতরে টেনে নিচ্ছে। যেকেউ এটা দেখলে বুঝবে অ্যান্ডি কোকেন টানছে।

অ্যান্ডি লাফিয়ে উঠে সেই মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে জিজ্ঞাসা করল,

কাউকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিস? বল? 

হতচকিত হয়ে সে বলল, 

না, কাউকে পাঠাইনি। বিশ্বাস কর।

শালা বিশ্বাসের মাকে একশ আট বার করি। বলবি নাকি মেরে গাঁড় ফাটাবো? বাঞ্চোত মাগী পিরীত দেখেছ, এবারে ক্যালানী দেখ। 

বলে দৌড়ালো মারার অস্ত্র আনার জন্যে।

মহিলা কি করবে ভেবে ওঠার আগে অ্যান্ডি একটা গীটার নিয়ে এসে হাজির হলো সেটা দিয়ে পেটাবে বলে।

অ্যান্ডি আর সেই মহিলার অশান্তির পুরো সময়টা কাঞ্চন মেয়েটার ফোন চেক করছিল। অ্যান্ডিকে বলল,

মনে হয় পাঠায়নি। দু একটা কন্ট্যাক্টস যেগুলো একেবারে উপরের দিকে রয়েছে দেখছি সেখানে লিখেছে, আজ অ্যান্ডিকে খাবো। আর কিছু তো দেখছি না। ছাড় এখন বেরতে হবে।

কাঞ্চন শুধু মেমারি কার্ড আর সিম খুলে মহিলাকে তার ফোন ফেরত দিতে গেল। অ্যান্ডি হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ব্যালকনি দিয়ে নীচে ফেলে দিয়ে বলল,

যা, নীচে গিয়ে কুড়ো।



মহিলা চোখ দিয়ে আগুন ঝরিয়ে তাকাতে গেল। ফল আরও খারাপ হলো। অ্যান্ডি চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে তাকে ফ্ল্যাটের দরজা পার করে পাছায় টেনে এক লাথি মেরে বলল, 

যা শালি বেরো এখান থেকে।

ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করার পরে কাঞ্চন বলল,

আরও পার্টি কর, আরও ইতরামো কর, আরও অসভ্যতা কর। তুই সেলিব্রিট তোর তো সব কিছু করার রাইট আছে। শুধু খেয়াল রাখিস, বাড়ীতে বসে কোন বয়েসে বড়ো মহিলার বুকে সাদা পাউডার ছড়িয়ে সেটা নাক দিয়ে টানতে দেখলে ছোটো বাচ্ছাও বুঝবে যে তুই কোকেন খাচ্ছিস, গুঁড়ো দুধ নয়। আর সেটা মিডিয়া, পুলিস এসবের হাতে পরলে ক্যালসানি বেরিয়ে যাবে পিছন দিয়ে। 

অ্যান্ডি চুপ করে বসে থাকে।

কাঞ্চন বলে চলে,

আমরা তোকে ভালোবাসি অনি।কারণ অলি তোকে ভাইয়ের মতো ভালোবাসে তাই, একসঙ্গে বড় হয়ে উঠেছিস এক বাড়িতে তাই ওর সব ভালোবাসা ও তোকে উজাড় করে দেয়। আমিও ভালোবাসি তোর গান গাওয়ার, গান তৈরী করার ক্ষমতার জন্য। ঈশ্বর সবাইকে এই জিনিস দেয় না রে। যেটা আছে সেটার গুরুত্ব বোঝ। 

আজ এটা ভাইরাল হয়ে যদি তোর দিদির চোখে পরে তার কি কষ্টটা হবে একবার ভেবে দেখেছিস? ওর ছেলেপুলে না হওয়ার দুঃখ ও তোর মধ্যে দিয়ে ভুলে থাকতে চায়। আর তুই। যে কে সেই। আঠেরো বছরেও যা চব্বিশে তার থেকেও ওঁচা। শুধু নাম বেড়েছে আর টাকা। পাবলিক জানে তুই ভালো গান করিস, পার্টি ফার্টিতে মদটদ খাস। এই ছবিটা যেদিন লোকের সামনে আসবে, ভেবে দেখিস একবার। কটা অ্যাড পাস, আর কটা স্টেজ, আর বাকীগুলো তো বাদই দিলাম। 

অ্যান্ডি বুঝতে পারে কাঞ্চন ঠিক কথাই বলছে। কিন্তু এখন আর কি জবাব দেবে? পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বলল, 

চল বেরোই। আর এই ভুল হবে না। 

অ্যান্ডিও বলল আর কাঞ্চনও বিশ্বাস করল। দুজনেই জানে যেটা আজকে ঘটল সেটা আবার যে কোন দিন ঘটতে পারে। তবে আজকে এই মহিলা কাঞ্চনকে চিন্তায় ফেলে দিল। কারণ পিছনে বড়ো মাথা না থাকলে একটা আধবুড়ী কলগার্লের এত সাহস হয় না।

দুজনে ফ্ল্যাট বন্ধ করে দমদমের উদ্দেশ্যে বেরল দশ মিনিটের সময় সীমা তখন প্রায় চল্লিশ মিনিটে পৌঁছেছে।

0 comments: